শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

নওগাঁয় ডাকাতি শেষে গৃহবধূকে ‍তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৭

গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মহাদেবপুরে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের পর গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ডাকাত দল। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকজামদই গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে পচা (২৯), একই গ্রামের তারেক হোসেন (২৬), বনসেতর গ্রামের সোলাইমান আলী (৩৮), জিনারপুর গ্রামের রিপন আলী (৩০), গৌড়রা বৌদ্দপুর গ্রামের ফারুক হোসেন (৩২), চককন্দর্পপুর গ্রামের সাগর হোসেন (১৯) ও বন্দীপুর গ্রামের রুবেল সরদার (২৮)।

গ্রেপ্তার সাত ব্যক্তির মধ্যে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে শরিফুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। অন্যদের পূর্বেই গ্রেপ্তার করা হয়। পূর্বে গ্রেপ্তার পাঁচ সদস্যের মধ্যে সাগর হোসেন, তারেক হোসেন ও রিপন আলী আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশের প্রেস কনফারেন্স। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, সংঘবদ্ধ ডাকাতদের একটি দল গত ৯ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঢোকেন। ওই বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তাঁরা বাড়ির সদস্যদের মুখ, হাত-পা বেঁধে রেখে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল ফোন লুট করে। স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে যাওয়ার সময় তাঁর ওই বাড়ির গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে একটি খোলা মাঠে গৃহবধূকে ডাকাতরা পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পর দিন মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, শুরুর দিকে এই ঘটনা পুলিশের কাছে ক্লুলেস একটি ঘটনা ছিল। ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়। তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় মহাদেবপুর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তিনজন আদালতের কাছে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। পরে তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরও চারজনকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গতকাল সোমবার দিবাগত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন ও জয়ব্রত পাল এবং মহাদেবপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার ওসি হাসমত আলী বলেন, সোমবার রাতে গ্রেপ্তার দুইজন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

Header Ad
Header Ad

১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজ টেস্ট যখন রোমাঞ্চকর এক সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে, তখন হঠাৎ করেই মাঠের উত্তেজনাকে ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে ক্যারিবীয় দলের এক বিতর্কিত খবর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের এক সদস্যের বিরুদ্ধে উঠেছে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের মতো গুরুতর অভিযোগ।

গায়ানার স্থানীয় গণমাধ্যম কেডিটর স্পোর্টস এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ওই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এক অপ্রাপ্তবয়স্কসহ মোট ১১ জন নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগকারীদের মধ্যে কেউ কেউ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, কেউ যৌন হয়রানি ও লাগাতার মানসিক নিপীড়নের শিকার বলে দাবি করা হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত ক্রিকেটারের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিবেদনে শুধু এতটুকু জানানো হয়েছে যে তিনি গত বছর গ্যাবা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন এবং সেই সফর শেষে গায়ানায় ফিরে তাকে নায়কোচিত সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি চলমান টেস্ট সিরিজের দলেও আছেন।

গণমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ঘটনাগুলো দুই বছর আগের। অভিযোগকারীদের একজন তখন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। ফলে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনো তদন্ত বা বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর ক্যারিবীয় ক্রিকেট মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

Header Ad
Header Ad

গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় টানা তৃতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা ‘আল কাসাম ব্রিগেড’। এতে গত তিন দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন ইসরায়েলি সেনা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ জুন) উত্তর গাজার তুফাহ এলাকায় একটি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে হামলা চালায় আল কাসাম ব্রিগেড। বিস্ফোরক রকেট ছোড়ার ফলে ওই যানে থাকা ১৭ সেনার মধ্যে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৭ জন, আহত হন আরও ১০ জন।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে আল কাসাম ব্রিগেডের গুলিতে মারা যান আরও একজন ইসরায়েলি সেনা। একই সঙ্গে হামলায় ধ্বংস হয় ইসরায়েলের দুটি মেরকাভা ট্যাংক, একটি সাঁজোয়া যান ও একটি বুলডোজার।

বুধবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় চালানো আরেকটি অভিযানে গুলি ও রকেট হামলায় নিহত হন আরও সাতজন ইসরায়েলি সেনা, যাদের একজন ছিলেন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

এই তিন দিনের হামলায় ইসরায়েলি বাহিনীর প্রাণহানির ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম বড় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত মার্চে যুদ্ধবিরতির পর পুনরায় গাজায় অভিযানে যাওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে শুরু হওয়া হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একদিকে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা, অন্যদিকে খাবার ও ওষুধসহ ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়ায় সেখানে তৈরি হয়েছে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা।

এখনও পর্যন্ত হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ২৫১ জনের মধ্যে প্রায় ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধে বারবার আহ্বান জানালেও তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বেনাপোল স্থলবন্দরের ২৬ নম্বর সেড থেকে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাফেজা সুলতানা। তার সঙ্গে ছিলেন কাস্টমস পরীক্ষণ টিম এবং এনএসআই কর্মকর্তারা।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৬ নম্বর সেডে অভিযান চালিয়ে সেখানে গোপনে রাখা ছয় বস্তা মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ ৬০ কেজি, ৯৬ হাজার পিস জিলেট ব্লেড, ৬০ পিস শাড়ি কাপড়, ২২০০ পিস মোবাইলের ডিসপ্লে এবং আনুমানিক এক কেজি ওজনের সাদা রঙের গুঁড়া পাউডার। জব্দ করা মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

এ বিষয়ে সেড ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, পণ্যগুলো আমদানি করেছে দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পণ্য ছাড় করানোর দায়িত্বে ছিল ‘সার্ভিস লাইন’ নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

এ ব্যাপারে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সরকারি ছুটি থাকার কারণে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান