রেললাইন কেটে চুরির চেষ্টার অভিযোগে রেলওয়ের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইন কেটে চুরির চেষ্টার অভিযোগে রেলওয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধাকে। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত সুলতান মৃধার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরের চরকামার হাওলাদারকান্দি গ্রামে।
ঘটনার বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় মামলা করেন পার্বতীপুর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) তহিদুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী ও পাকশী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তহিদুল ইসলাম সৈয়দপুরে অভিযুক্ত প্রকৌশলীর কার্যালয়ের পাশের গোডাউনে পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শনের সময় সেখানে পাওয়া যায় চারটি অক্সিঅ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার, একটি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার, কাটিং ক্যাবল এবং রেললাইনের ২৫টি বিভিন্ন সাইজের কাটা পাত। এসব উপকরণ দিয়ে রেললাইন কেটে টুকরা টুকরা করা হচ্ছিল, যার মাধ্যমে চুরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকা।
এই ঘটনায় প্রকৌশলী সুলতান মৃধাসহ আরও পাঁচ-সাতজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে এবং তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে। পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডলকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।
এ বিষয়ে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম জানান, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার সুলতান মৃধাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য অজ্ঞাত আসামিদেরও দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
রেলওয়ের সম্পদ রক্ষায় এই ধরনের ঘটনা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
