বুধবার, ৮ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রয়োজনীয় লোকবল-সরঞ্জাম নেই বকশীগঞ্জ হাসপাতালে

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে সাত বছর আগে। হাসপাতালটির বেড সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি সেবার মান। পর্যাপ্ত জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে উন্নতি হয়নি চিকিৎসা সেবার। ৫০ শয্যা তো দূরের কথা ৩১ শয্যার লোকবলের সংকটই কাটেনি এখনো। তাই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। ছোটখাটো সমস্যার জন্যও যেতে হচ্ছে জেলা সদর হাসপাতাল কিংবা মানহীন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ ছাড়াও ভৌগলিক কারণে শ্রীবরদী, রাজিবপুর, রৌমারী ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের ৪-৫ টি ইউনিয়নের মানুষ বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫-৬শ’ রোগী এই হাসাপতালে চিকিৎসা সেবার জন্য আসে। প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৭ জন। এ অঞ্চলের মানুষের কথা ভেবে ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর ৩১ শয্যার এই হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নীত করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ৫০ শয্যা হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের ৭ বছরেও চালু হয়নি ৫০ শয্যার কোনো কার্যক্রম। দেওয়া হয়নি ৫০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি। বাড়ানো হয়নি সুযোগ-সুবিধা। ৩১ শয্যার হাসপাতালে যে জনবল ও যন্ত্রপাতি থাকার কথা, সেটিও নেই। ফলে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা জরুরি রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জনবল সংকট, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম না থাকায় এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। ইনডোর চালু করতে যে জনবল ও সাজ-সরঞ্জাম প্রয়োজন তার কোনোটাই এখানে নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালে আসার অধিকাংশ রোগীকে রেফার করা হয় ময়মনসিংহ কিংবা ঢাকায়। ফলে চিকিৎসার ব্যয় বহনে অপারগ রোগীদের বিনা চিকিৎসায় মরতে হচ্ছে। বহির্বিভাগে রোগীদের আসা-যাওয়া আর পরামর্শ নেওয়াই হলো নামে মাত্র ৫০ শয্যা এ হাসপাতালের নিত্যদিনের চিত্র।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার জন্য শুধু প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ চিকিৎসা কর্মকর্তা থাকার কথা ২৬ জন। ২৬টি পদের মধ্যে ১৯টি পদই শূন্য। জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলোজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (নাক, কান, গলা), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), অ্যানেসথেসিয়া, অ্যান্সেথেটিক্স বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ফলে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।

এ ছাড়াও ইনডোর মেডিকেল অফিসার, প্যাথলজিস্ট, নার্সিং সুপারভাইজার একজন, সিনিয়র স্টাফ নার্স সাতজন, মিডওয়াইফ তিনজন, মেডিকেল টেকনিক্যাল ল্যাব একজন, ফার্মাসিস্ট, প্রধান সহকারী, হিসাব রক্ষক, কার্ডিওগ্রাফার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর একজন, ইমার্জেন্সি অ্যাটেনডেন্ট, ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট একজন, ওটি বয় একজনের পদ শূন্য রয়েছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালের একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে।

সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে রোগীদের প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে অতিরিক্ত কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হয় গন্তব্যের হাসপাতালে। অপারেশন থিয়েটার থাকলেও নেই মেশিনপত্র। ছোট খাটো কোনো অপারেশনের জন্য যেতে হয় জেলা সদর হাসপাতাল কিংবা প্রাইভেট ক্লিনিকে। আল্ট্রা মেশিন থাকলেও তার ব্যবহার হয়নি কোনোদিন। ইসিজি মেশিন রয়েছে তবে জরুরি প্রয়োজনে বেশিরভাগ সময়ই থাকে বিকল। জনবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বরাদ্দ না পাওয়ায় উদ্বোধনের ৭ বছরেও ৫০ শয্যার কোনো কার্যক্রমই চালু হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা ভাটি কলকীহারা গ্রামের মালেকা বেগম, আলম মিয়া, কামালপুর এলাকার মর্জিনা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন রোগী জানান, এই হাসপাতালে সময়মতো ডাক্তার পাওয়া যায় না। তা ছাড়া সব ওষুধ এখানে পাওয়া যায় না। বেশির ভাগই বাইরে থেকে কিনতে হয়।

বকশীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহীন আল আমীন বলেন, নামেই ৫০ শয্যা হাসপাতাল। এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে ডাক্তার পাওয়া যায় না। জরুরি বিভাগে থাকা ওয়ার্ড বয় ও ঝাড়ুদাররা ফোন করলে ডাক্তার আসে। ততক্ষণে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। আবার ডাক্তার এলেও ততটা দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে রেফার করেন সদর হাসপাতালে। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে নিয়ে যেতে হয়। ৫০ শয্যার সব কার্যক্রম চালু করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, চিকিৎসকসহ জনবল সংকট এবং অন্যান্য সমস্যা থাকলেও আমরা রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই এর সমাধান হবে। সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল থাকায় ভাড়াটে একটি অ্যাম্বুলেন্স জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এসএন

Header Ad

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ৭ মে সব বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত এই আলোচনার সূত্রপাত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে উত্থাপিত এ আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনটা (৭ মে) আমার জীবনের অনন্য দিন, কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শত বাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিল আপনি আসবেন না, আপনি বাইরে থাকেন, যা যা লাগে করব। আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিল। এ কথা বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দেবে। আমি বলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজের দেশের মাটিতেই তো কিন্তু আমি আসব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিল, আমাকে বোর্ডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি। লন্ডনে যেদিন আমি বিমানে উঠতে যাব উঠতে দেওয়া হয়নি। সে দিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরব। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওনা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছে আপনি আসবেন না, আসলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী ভাইদের প্রতি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখন বলা হয়েছিল যে কেউ যেন এয়ারপোর্ট না যায়। এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আর আমাদের নেতা-কর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিলাম সবাই থাকবে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, তবে ঘাসের সঙ্গে থাকবা, আমি বলেছিলাম আমার প্লেনটা না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না।

তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমার দলের কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা নয় আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে নেতা-কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় কালে ভদ্রে দুই এক জন আমার কাছে আসতে পারত। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম সে সময় দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে সংসদ ভবনের এক পরিত্যক্ত নোংরা ভবনে। সেখানেই আমাকে বন্দি করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এই দিন নয়, ৮৩ সালেও এরশাদ সাহেব আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোডে লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরও কয়েকবার গ্রেপ্তার করে। আমি মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে এক সঙ্গে নিয়ে কন্ট্রোল রুমে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, বার বার গ্রেপ্তার সরাসরি গুলি বোমা গ্রেনেড সব কিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি। এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি, বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে, দলের নেতা-কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে।

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! শুধু তাই নয়। স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করেন স্ত্রী।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে। যদিও অভিযুক্ত মহিলার অভিযোগ, স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে স্বামী তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। যার জেরে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিসের কাছে দাবি করেছেন অভিযুক্ত স্ত্রী। খবর: জি ২৪ ঘণ্টা

তবে পুলিশ এই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগে ২৮ বছরের ওই স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। নির্যাতিত স্বামী বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তার অভিযোগ, অভিযুক্ত মেহের জাহান ২৯ এপ্রিল দুধে নেশার সামগ্রী মিশিয়ে স্বামীকে সেই দুধ পান করতে বাধ্য করেন। এরপর স্বামী বেহুঁশ হয়ে পড়লে স্বামীর হাত-পা বেঁধে তার সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। শুধু তাই নয় সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তার সারা শরীর পুড়িয়ে দেয়। এমনকি গোপনাঙ্গেও ছ্যাঁকা দেয়। গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।

জানা গেছে, গত নভেম্বরের ১৭ তারিখ সেওহারা থানা এলাকার সাফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা মেহের জাহানকে বিয়ে করেন মান্নান। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের কয়েকদিন পর তিনি দেখতে পান যে তার স্ত্রী মদ্যপ এবং ধূমপান করেন। তিনি বাধা দিলে স্ত্রী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।

পাল্টা মেহের জাহানেরও অভিযোগ, স্বামী মান্নান তার উপরে নির্যাতন চালান বিবাদের সময়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৭ মে) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এ পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি।

এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি হস্তান্তর করেন।

এসময় সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’: দেবপ্রিয়
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন
বন্ধুদের আড্ডায় রাসেল ভাইপারের ছোবল, প্রাণ গেল রাবি শিক্ষার্থীর
সিক্স-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির জাপান, গতি ফাইভ-জি’র চেয়ে ২০ গুণ
হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তৃতীয় বিয়ের আলোচনার মধ্যে ‘তুফান’ নিয়ে হাজির শাকিব খান
ডেঙ্গুতে আমার মা মারা গেছেন, আর কেউ যেন মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া
৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু : মন্ত্রী
টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই : রিজভী
কারওয়ান বাজারে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে লাগবে ডোপ টেস্ট
ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম