ময়মনসিংহের ত্রিশালের উজানপাড়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টার এদিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকালে মাদানি সিএনজি পাম্প সংলগ্ন উজানপাড়ায় একটি বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে এনামুল হকের দুই বছর বয়সী মেয়ে রুবায়া তাসনিম এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সিএনজিচালক শরিফুল ইসলাম (৩৩) মারা যান। এ ঘটনায় নিহত অপরজনের নাম জানা যায়নি।
আহতরা হলেন, রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মনি আক্তার (৪৫) ও একই গ্রামের শামীম আহমেদের স্ত্রী সাহিদা আক্তার (৪৫)। বাকি তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ময়মনসিংহের টাউন তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, হজ প্যাকেজে গতবারের চেয়ে ১ লাখ ২ হাজার টাকা কম নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ভালোভাবে চলছে। আগামী ৯ মে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী ৮ তারিখে উদ্বোধন করবেন।
সমাজ গঠনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে সব ধর্মের মানুষের কাছেই তাদের নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই শ্রেণির মানুষগুলোকে আমরা যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যদি তাদের আরেকটু শাণিত বা দক্ষ করে তুলতে পারি, তাহলে দেশ ও জাতি অনেক বেশি রিটার্ন পেতে পারে।
জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র হজ। প্রতিবছর একমাস আগে থেকে শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা করা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কিছুটা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সবচেয়ে ভালোমানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম (প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম) ৬৩০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।
শনিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা এ দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে ভালোমানের সোনা প্রতি ভরি (২২ ক্যারেট) বিক্রি হবে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকায়। ১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে এক লাখ ৮ হাজার ২৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯২ হাজার ৪০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি দুই হাজার ১০০ টাকা।
এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ভরি স্বর্ণের দাম ৬৩০ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস । এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮ হাজার ৪০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৯১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ৮০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
চলতি বছর এ নিয়ে ১৪ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস।
৪২.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। আজও বিকেল ৩ টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, দুপুর ৩ টা পর্যন্ত সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, বাতাসের আদ্রর্তা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এখন এ জেলায় অতি তাপদাহ চলছে। আরো ৪/৫ দিন এ অবস্থা থাকতে পারে। এরপর মে মাসের কালবৈশাখি ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। দু’দিন পর আবারও এ জেলায় তাপমাত্রার তীব্রতা বেড়ে গেছে। দু’দিনে এ জেলায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে।
এরআগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় মওসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র থেকে এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভূমির তাপমাত্রা। অতি তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকুল।
তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ড পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এদিকে অতি তীব্র তাপদাহে রবিবার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ চলতি তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুদের অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। সেখানে স্কুলগুলো চলমান তাপপ্রবাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সরকারের অনুরোধ জানিয়েছে এ জেলার অভিভাবকরা।