মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কামারশিল্পীদের ব্যস্ততাই জানান দিচ্ছে ঈদ

ঈদের মাত্র কয়েক দিন বাকি। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ঈদের ডামাডোল। ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি। মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম চাপাতি, ছুরি, চাকু দা ও বঁটি বানাতে কামারপল্লিতে টুংটাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন জামালপুরের কামারশিল্পীরা। কায়িক পরিশ্রমী এ পেশাজীবীদের কারখানায় চলছে হাপর টানা, পুড়ছে কয়লা ও জ্বলছে লোহা। হাতুড়ি পিটিয়ে কামার তৈরি করছেন মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম। তাদের টুংটাং শব্দেই যেন জানান দিচ্ছে আর কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস সাইজ করতে ছুরি, চাপাতি, দা ও বঁটি অত্যাবশ্যকীয়।

সেগুলো সংগ্রহ এবং প্রস্তুত রাখতে এখন সবাই ব্যস্ত। আর এ উপকরণ তৈরি ও শান বা লবণ-পানি দেওয়ার কাজে প্রয়োজন কামারদের। পশু কোরবানির দা, ছুরি, চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে এখন থেকেই মানুষ কামারপাড়ায় ঢুঁ-মারছেন। আবার কেউ কেউ পুরনো সরঞ্জাম মেরামত অথবা শান দিয়ে নিচ্ছেন।

প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। পাশাপাশি কয়লা আর কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে বলেও জানান কর্মকার শিল্পীরা। বর্তমান অধুনিক যন্ত্রপাতির প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠে এ শিল্প। শান দেওয়া নতুন দা, বঁটি, ছুরি ও চাকু সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে। দোকানের জ্বলন্ত আগুনের তাপে শরীর থেকে ঝরছে অবিরাম ঘাম। চোখে মুখে প্রচণ্ড ক্লান্তির ছাপ। তবু থেমে নেই তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কাজের ব্যস্ততা।

যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে বিক্রি খুব কম। সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করলেও তাদের মুখে নেই কোনো উচ্ছ্বাস, নেই প্রাণভরা হাসি। তারপরও আসন্ন কোরবানির ঈদের কথা মাথায় রেখে নতুন আশায় বুক বেঁধে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। হাতুড়ি আর লোহার টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামার দোকানগুলো। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত চলবে এমন কর্মব্যস্ততা। কিন্তু অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান সময়ে কয়লা, লোহাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লোহার জিনিসপত্র তৈরি করলেও তেমন কোনো লাভ হয় না। অনেক সময় কয়লা একেবারেই পাওয়া যায় না। কী আর করব পূর্বপুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেই হবে।

ইসলামপুরের পৌর এলাকার উত্তর দরিয়াবাদ, গাঁওকুড়া, মণ্ডল পাড়াসহ প্রতিটি ইউনিয়নে আছে কামারের দোকান। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সেখানে লোহা আর হাতুড়ির শব্দে এখন আকাশ-বাতাস মুখরিত। এ পেশার মানুষ সারা বছর কমবেশি লোহার কাজ করলেও কোরবানি ঈদে বৃদ্ধি পায় তাদের কর্মব্যস্ততা। সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জ বাজারে বসেন কামার মলিন মিয়া। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছরই কোরবানির ঈদে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ লোহার বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ মৌসুম ঘিরে ভালো আয় উপার্জন করে থাকেন তারা।

অকিল চন্দ্র কর্মকার বলেন, 'আর কিছুদিন পর ঈদ। ঈদের আগে কাস্টমার বৃদ্ধি পাবে। অন্যবার এই সময়ে জমে ওঠে দা-বঁটির বাজার। এবার এখনো পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়নি। দুই দিনের মধ্যে পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে'।

কামারশিল্পী খোকন চন্দ্র কর্মকার, সঞ্জিত কর্মকার ও আবুল হোসেন বলেন, 'বছরের কোরবানি ঈদে আমাদের মূল টার্গেট থাকে। বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা, ভালো উপার্জন করার চিন্তা করলে এই দিনগুলো ঘিরেই করা হয়। কোরবানি কেন্দ্র করে বেশি অর্ডার আসে।'

অন্যান্য কামার ব্যবসায়ীরাও একই রকম কথা জানান, দক্ষিণ কিসমতজাল্লার হাজী আ. মোতালেব খান ও পশ্চিম ভেঙ্গুড়ার জালাল শেখ জানান, কিছুদিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে প্রয়োজন চাকু ও ছুরির। সে কারণে বাজারে এসেছি দা, বঁটি ও ছুরি কিনতে। তবে গত বছরে এসব জিনিসের যে দাম ছিল তার চেয়ে এবারে দাম অনেকাংশে বেশি। বর্তমানে ভালো মানের প্রতিটি দা তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২৫০-৬০০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে ১২০, বড় ছুড়ি তৈরিতে ৫০০-৭০০, বঁটি তৈরিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এখনো ঈদের বেশ কিছু বাকি রয়েছে। জেলার কামার শিল্পীদের প্রত্যাশা ঈদের যেহেতু আরও কিছুদিন বাকি রয়েছে বেচাকেনা আরও বাড়বে।

এদিকে দামের বিষয়ে এনামুল কামার জানান, বর্তমানে প্রতিটি দা বিক্রি হচ্ছে ৩০০, হাঁসুয়া ১৫০, ছোট ছুরি ৫০, বঁটি ২০০, কাটারি ২৫০-৩০০ টাকা করে এবং কুড়াল বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকায়। সরিষাবাড়ীর সামাদ কর্মকার, বাউসী হাটের আজিজ কর্মকার ও বয়ড়া বাজারের সুরুজ কর্মকার জানান, সারা বছর কাজ খুব কম থাকে, কোরবানি এলে কাজ বেড়ে যায়। কিন্তু এবারের ঈদের আগে বন্যা হওয়ার কারণে বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি।

বয়ড়া বাজারে পশু জবাইয়ের ছুরি কিনতে আসা আব্দুল মজিদ, সাইদুল, আলিমুদ্দীনসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, কাটারির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।

এ ছাড়া জেলা সদরের নান্দিনা, নরুন্দি, লাহেড়িকান্দা, তুলসীপুর, দিগপাইত, জামতলি, সরিষাবাড়ীর আরামনগর, শিমলা বাজার, তারাকান্দি, পিংনা, বয়ড়া, ভাটারা বাজার, মাদারগঞ্জ, জোনাইল, মিলন বাজার, শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ি, মেলান্দহ বাজার, চরপলিশা, শ্যামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, সানন্দবাড়ি, বকশীগঞ্জের হাটবাজারে একই অবস্থা। সাধ্য অনুযায়ী কোরবানির কাজে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু ও দা-বঁটি ক্রয় করছেন ক্রেতারা।
এএজেড

Header Ad

ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক

ম্যাডোনার কনসার্ট দেখতে ব্রাজিলের কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতে হাজির হয়েছিল ১৬ লাখ দর্শক। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বখ্যাত গায়িকা ম্যাডোনার কনসার্ট, সেটিও ফ্রি! এই সুযোগ কি মিস করা যায়? মোটেও না। আর তাই তো ব্রাজিলের কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতে শনিবার (৪ মে) ম্যাডোনার কনসার্টে ১৬ লাখেরও বেশি লোক ভিড় করেছিল। গায়িকার সেলিব্রেশন ট্যুরের অংশ হিসেবে আয়োজিত এই কনসার্টে উপচে পড়া ভক্তদের ভীড় দেখা গেছে।

শনিবার (৪ মে) স্থানীয় সময় রাতে কোপাকাবানা সৈকতে উঠেছিল রীতিমতো ম্যাডানো ঝড়। আর সেই ঝড়ের সাক্ষী হয়ে রইল প্রায় ১৬ লাখ মানুষ।

ম্যাডোনার কনসার্ট। ছবি: সংগৃহীত

সঙ্গীতে পপ আইডল ম্যাডোনার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বছর অক্টোবরে লন্ডন থেকে শুরু হয় সেলিব্রেশন ট্যুর কনসার্ট। শনিবার রিও ডি জেনিরোতে কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতে আয়োজন করা হয় এই ট্যুরের শেষ কনসার্ট। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি দেখতে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ হাজির হয়েছিলেন। যা একক শিল্পীর কনসার্টে দর্শক উপস্থিতির দিক থেকে সর্বকালের সবচেয়ে বড় কনসার্ট বলে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পারফরম্যান্স শুরুতে ম্যাডোনা দর্শকদের উদ্দেশ করে বলেন, “রিও, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জায়গায় আছি।”

ম্যাডোনার কনসার্ট দেখতে ব্রাজিলের কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতে হাজির হয়েছিল ১৬ লাখ দর্শক। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কোপাকাবানা প্যালেস হোটেল থেকে বিশেষ এলিভেটেড ব্রিজে মঞ্চে আসেন এ জনপ্রিয় তারকা। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে “নাথিং রিয়েলি ম্যাটার্স”, “লাইক আ প্রেয়ার” ও “ভোগ”-এর মতো কালজয়ী গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন ৬৫ বছর বয়সী ম্যাডোনা। একপর্যায়ে তার সঙ্গে মঞ্চে যোগ দেন ব্রাজিলিয়ান গায়িকা আনিতা।

অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য সমুদ্র সৈকতের পাশে বড় পর্দা স্থাপন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন কেউ অ্যাপার্টমেন্ট, হোটেল, নৌকা থেকে ম্যাডোনার গান উপভোগ করেন। পুরো সৈকতে ছিল টি-শার্ট, স্যুভেনিরসহ নানা উপকরণের দোকান। এই কনসার্ট ব্রাজিলের স্থানীয় অর্থনীতিতে ৪০ লাখ ডলারের বেশি অবদান রেখেছে বলে জানা গেছে।

মার্কিন এ তারকা মঞ্চে ওঠার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই স্পিকারে তার গান বাজানো হয়। এ সময় ম্যাডোনার গানের সঙ্গে ভক্তদের নাচতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানটি নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৩ হাজার ২০০ সেনাসদস্য, প্রস্তুত ছিলেন আরও ১ হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য।

কনসার্টটি উপভোগ করতে বিভিন্ন দেশ থেকে ম্যাডোনা ভক্তদের ঢল নামে ব্রাজিলে। এজন্য রিও ডি জেনিরোতে ১৭০টি অতিরিক্ত ফ্লাইট নামে বলে জানা গেছে। স্থানীয় হোটেলগুলোও ছিল প্রায় শতভাগ পূর্ণ।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার (নন-রেসিডেন্ট) ডেরেক লোহ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে নৌ প্রটোকল রুটের বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম

পুলিৎজার পুরস্কার। ছবি: সংগৃহীত

এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স, মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট। সোমবার (৬ মে) এবারের পুলিৎজার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এ বছর দুইটি পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্স। একটি গাজায় চলমান সংঘাতের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরায়। অন্যটি ইলন মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করায়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটির জন্য ন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগে এ পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্স।

পুলিৎজারের ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের বেশ কয়েকটি ছবি। এর মধ্যে একটি ছবি তুলেছেন আলোকচিত্রী মোহাম্মদ সালেম। ছবিটিতে দেখা যায়, গাজায় নিহত পাঁচ বছরের এক শিশুর লাশ জড়িয়ে ধরে আছেন এক ফিলিস্তিনি নারী। ছবিটি এ বছর সম্মানজনক ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারও পেয়েছে।

এছাড়া তিনটি করে পুরস্কার পেয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। পাশাপাশি সম্পাদকীয় ও মতামত বিভাগেও পুরস্কার জিতেছে সংবাদমাধ্যমটি। জেলবন্দি রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামলেখক ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকে পুলিৎজার দেওয়া হয়েছে। কারাগারে থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আলোচিত কিছু কলাম লেখার কারণে তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমস যে তিনটি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে, সেগুলো হলো-ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং, ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং ও ফিচার রাইটিং। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা ও তারপর থেকে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক ও বর্বর আগ্রাসন নিয়ে বিস্তৃত ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন করায় ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

এবারের পুলিৎজারে অভিবাসীদের নিয়ে ছবি প্রকাশ করে ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এক্সপ্লেনেটরি রিপোর্টিং ও ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন দ্যা নিউ ইয়র্কারের সাংবাদিকেরা। আর ক্রিটিসিজম বিভাগে পুরস্কার নিজেদের করে নিয়েছে দ্যা লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস।

পুলিৎজারে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে ধরা হয় পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডকে। এ বছর এই অ্যাওয়ার্ড নিজেদের দখলে রেখেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করা নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা প্রোপাবলিকা। আর ব্রেকিং নিউজ বিভাগে এবার পুলিৎজার পেয়েছে লুকআউট সান্তা ক্লজ নামের একটি নিউজ পোর্টাল।

এবার পুলিৎজারের ফিকশন অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন সাহিত্যিক জেন অ্যান ফিলিপস। যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন ও তার পরবর্তী সময়ে এক মা ও তার মেয়েকে নিয়ে লেখা উপন্যাস নাইট ওয়াচের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে এ ডে ইন দ্যা লাইফ অফ আবেদ সালামা: অ্যানাটমি অব এ জেরুজালেম ট্র্যাজেডি বইয়ের জন্য পুলিৎজারের ননফিকশন পুরস্কার পেয়েছেন আমেরিকান ইহুদি লেখক নাথান থ্রাল।

সাংবাদিকতার নোবেল হিসেবে খ্যাত এই পুলিৎজার পুরস্কার। ১৯১৭ সাল থেকে সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত, নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড প্রতি বছর এ পুরস্কার ঘোষণা করে।

সর্বশেষ সংবাদ

ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম
৩ দিনেই স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হল 'ডেডবডি'
গরমে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
দেশে যানবাহনের নতুন স্পিড লিমিট, মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার
১৪১ উপজেলায় বুধবার সাধারণ ছুটি
খাবারের প্যাকেটে সাংবাদিকদের টাকা দিল ন্যাশনাল ব্যাংক
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ১০ মে
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার বড় সমস্যা না : সিইসি
যেভাবে জানা যাবে এসএসসি ও সমমানের ফল
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কভার্ডভ্যান-ট্রাক সংঘর্ষে একজন নিহত, যান চলাচল স্বাভাবিক
স্বাভাবিক রুটিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু
উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
হজ ভিসায় সৌদি আরবের নতুন নিয়ম
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভয়ংকর ত্রুটির খোঁজ, নিরাপত্তাঝুঁকিতে শতকোটি ব্যবহারকারী
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হামাস
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: ওবায়দুল কাদের
গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপনী