মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রহমান

১৮ মার্চ ২০২৩, ০১:০৮ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:১৯ এএম


মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রহমান

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার পাতাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুস সালামের ছেলে আব্দুর রহমান এবার ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তার পরিবারে। দেখা দিয়েছে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা।

যতসামান্য কৃষি জমি থেকে স্বল্প আয় দিয়ে ছয় সদস্যের পরিবারের সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলে আব্দুর রহমানের পড়া-লেখার খরচ চালিয়ে আসছেন কৃষক আব্দুস সালাম। আব্দুস সালাম ও সামেছা বেগম দম্পতির পরিবারে তিন সন্তানের মধ্যে আব্দুর রহমান দ্বিতীয় সন্তান। আব্দুর রহমান সাপাহার উপজেলার আল হেলাল ইসলামী একাডেমি অ্যান্ড কলেজ থেকে জেএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। একই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি-তে গোল্ডেল এ-প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর রাজশাহী নিউ গর্ভমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসিতেও গোল্ডেন এ-প্লাস অর্জন করেন। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত তিনি।

আব্দুর রহমান বলেন, আমার বাবার তেমন কোনো সম্পদ নেই। দাদার কাছে থেকে দেড় বিঘা মতো জমি পেয়েছেন বাবা। সেই জমিতে চাষাবাদ করে কোনো রকমে সংসার এবং আমার লেখা-পড়া খরচ চালিয়েছেন। আমাকে নিয়ে বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল, পড়া-লেখা করে একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে হবে। মেডিকেলে ভর্তির সুযোগের মধ্যদিয়ে বাবা মায়ের সেই স্বপ্নের দুয়ার খুললেও অর্থ সংকটের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়েছে আমার পরিবারকে। চলতি মাসের ২৭ তারিখ ভর্তির সময় দিয়েছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। জানি না কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিবে আমার পরিবার।

আব্দুস সালাম বলেন, আল্লাহ্'র কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। তিনি আমার ছেলেকে ডাক্তার হওয়ার একটি সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি গরিব মানুষ, যতসামান্য জমিতে চাষাবাদ ও কৃষি কাজ করে সংসার এবং ছেলের পড়া-লেখা খরচ চালিয়ে আসছি। এখন ছেলেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করাতে হবে। ভর্তির জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা করা আমার জন্য খুবই কঠিন হবে। তাই আল্লাহ্'র উপর ভরসা করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।

সাপাহার আল হেলাল ইসলামী একাডেমি অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর আলম বলেন, আব্দুর রহমান একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। সে এই বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ-প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বর্তমানে আব্দুর রহমান মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তার এই কৃতিত্বে আমরা গর্বিত। আব্দুর রহমান একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে দেশ ও জাতীর কল্যাণে অবদান রাখবে বলে আশা করছি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মেডিকেলে ভর্তির বিষয়ে আব্দুর রহমানের পরিবার যদি সহযোগিতা চেয়ে যোগাযোগ করে, তা যাচাই করে সরকারি সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

এসএন


এবার দেশের সকল ইউএনওকে বদলির নির্দেশ

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫১ এএম


এবার দেশের সকল ইউএনওকে বদলির নির্দেশ
ফাইল ছবি

দেশের সকল ওসিকে বদলির নির্দেশের পর এবার দেশের সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) বদলির নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এ নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

গতকাল ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনাটি পাঠান।

চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্ত সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বর্তমান কর্মস্থলে ১ বছরের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

এর আগে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলি করতে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে এ নির্দেশনা দেয় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে।

চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায়/অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।


ঢাকাপ্রকাশ-এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫২ এএম


ঢাকাপ্রকাশ-এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগান ধারণ করে ঢাকাপ্রকাশ-এর এবারের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উদযাপিত হয়েছে। রাজধানীর ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার-এর নিজ কার্যালয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই ঢাকাপ্রকাশ-এর ভবনে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি উৎসবে আগতদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন।

বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক

 

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেক কেটে ঢাকাপ্রকাশ-এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহাদৎ জামান সাইফ। এ সময় অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকাপ্রকাশ-এর সাংবাদিক ও কলাকুশলীরা।

কেক কেটে ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

 

কেক কাটার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাহাদৎ জামান সাইফ বলেন, ঢাকাপ্রকাশ তার দ্বিতীয় বছর অতিক্রম করল। দুইটি বছর গণমাধ্যমের জন্য বড় কিছু নয়। কিন্তু এই দুই বছরে বোঝা যায়; এই মাধ্যমটির সম্ভাবনা কতটুকু। এই অল্প সময়েই ঢাকাপ্রকাশকে পাঠকরা যতটা গ্রহণ করেছে তা সত্যি অভাবনীয়। ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যম পাঠকদের ভালোবাসায় সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে ছড়িয়ে পড়বে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

এসময় ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশের জন্মদিন। সাফল্যের দুই বছর অতিক্রম করে ৩য় বর্ষে পা রাখল তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যমটি। মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টালটি বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাঠকদের মাঝে ইতিধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। তারুণ্যের অদম্য শক্তিতে ঢাকাপ্রকাশ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি আরও বলেন, দুই বছর সময়টি কম হলেও আমরা পাঠকদের কাছে এই অল্প সময়ের মধ্যে যে জায়গা করে নিয়েছি তা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। আমাদের এই অর্জনের পেছনে পাঠকদের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তাদের গ্রহণযোগ্যতাই আমাদের সব থেকে বড় সম্পদ। তারাই আমাদের শক্তি, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। পাঠকদের এই ভালোবাসাই ঢাকাপ্রকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে।

কর্ম ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা

 

বর্ষপূর্তিতে ঢাকাপ্রকাশের মফস্বল বিভাগের জাহিদুল ইসলাম তার অনুভতি ব্যক্ত করে জানান, নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। ঢাকাপ্রকাশ তরুণ নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে সাজানো হয়েছে এই পরিবার। ঢাকাপ্রকাশ অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় স্থান দখল করে নিয়েছে। এর জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও কাঠামোগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

স্পোর্টস বিভাগের আশিক মোহাম্মদ রিয়াদ বলেন, সাফল্যের দুটি বছর শেষ করলাম আমরা। এবার সামনে এসেছে নতুন সম্ভাবনার দিন। ঢাকাপ্রকাশ পরিবার আরও সামনে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

জন্মদিনে নতুন রূপে সেজেছে ঢাকাপ্রকাশ

 

কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের ক্যাম্পাস বিভাগের একরামুজ্জামানের সাথে। তিনি বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশ তার ২ বছরের সাফল্যমাখা সময় অতিক্রম করে তৃতীয় বর্ষে পা রাখল। গণমাধ্যমে সত্যতা ও সচ্ছ্বতা বিদ্যমান রাখা সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকাপ্রকাশ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে তার নিজস্ব গতিতে। পাঠকদের ভালোবাসায় পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে চাই আমরা।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢাকাপ্রকাশের বিনোদন বিভাগের আরিফ হাসান বলেন, ঢাকা প্রকাশ এগিয়ে যাক অদম্য গতিতে। ছুটে চলুক সত্যের সন্ধানে। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা

 

ঢাকাপ্রকাশের ওয়েব ডেভেলপার পার্থদেব জানান, প্রতিদিনই আমরা পাঠকদের মন্তব্য বিশ্লেষণ করে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের ওয়েবসাইটকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাঠকদের বিভিন্ন মতামতের উপর ভিত্তি করে ঢাকাপ্রকাশকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে।

এদিকে সারাদেশ থেকে প্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শোবিজ অঙ্গণের অনেকের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা এসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-কে।


ইসি’র শোকজের জবাব দিলেন সাকিব

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫০ এএম


ইসি’র শোকজের জবাব দিলেন সাকিব
ছবি: সংগৃহীত

মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার বিরুদ্ধে করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা শোকজের জবাব দিয়েছেন । শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে শোকজের ব্যাখ্যা দেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সাকিব আল হাসান বলেন, সব কিছু সব সময় ক্যামেরাতে বলা সম্ভব না। দেখুন আমি তো গতকালই বললাম প্রথমবার আমি ইলেকশনে অংশগ্রহণ করতেছি। স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি আমার হতে পারে, আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। যখন আমি সব নিয়ম কানুন জানব, পড়ব, বুঝব, তারপর যদি হয় তখন আমার দোষ হতে পারে। কিন্তু এখন যেটা হয়েছে এটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত একটা বিষয়। নেক্সট টাইম যাতে এমন না হয় সে বিষয়ে আমি খেয়াল রাখব।

সাকিবের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম জানান, ২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় লোকজন জমা হয়। সেখানে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি রাখেননি। সুতরাং এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে তলব করেন। তাকে আজ শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

অনুসরণ করুন