শামীমের বিরুদ্ধে এবার আরেক অভিনেত্রীর অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি নারী সহকর্মীকে হেনস্তার অভিযোগে নেটিজেনদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন ছোটপর্দার অভিনেতা শামীম হাসান সরকার। এবার অভিনেতার বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী সিফাত বন্যা। দুই বছর আগে ঘটে যাওয়া ভংয়কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন অভিনেত্রী।
ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘শামীম হাসান সরকার নামে একজন ভাঁড় আছে। সে গতকাল একজন অভিনেত্রীকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে। সেই সেটের ডিরেক্টর থেকে শুরু করে সবাই নাকি চুপ ছিল! চিন্তা করেন এদের অবস্থা! এদের মানসিকতা!’
অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়ার ঘটনার স্মৃতি টেনে তিনি লিখেছেন, ‘গত দুই বছর আগে রাজধানীর উত্তরায় একটি শুটিং হাউজে বুদ্ধিজীবী দিবসের দিন ওর (শামীম) সাথে আমার কাজ পড়ে। আমি এডিকে (এসেস্টেন্ট ডিরেক্টর) বলি আমাকে ২ টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। কারণ চারটার সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের অনুষ্ঠানে আমাকে আবৃত্তি করতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘সেদিন আমার খুব জ্বরও ছিল। মেকআপ রুমে যাওয়ার পর ওর সাথে (শামীম) এডি আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। ভাঁড়ের সাথে ওই দিনই আমার প্রথম কাজ ছিল। পরিচয়ের পরে হাই হ্যালো হলো এবং এডি ওকে বলেওছিল আমার খুব জ্বর। তাই এসি টা কমিয়ে দিলাম। মেকআপ রুমে আমি,ভাঁড়, আর মেকআপ আর্টিষ্ট। আমি বসে বসে স্ক্রিপ্ট পড়ছি। আর ভাঁড় জোরে জোরে ইংরেজি গান,হিন্দি গান বাজাচ্ছে। একটু পর এসিটাও বাড়িয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এডি যে ওকে বলে গেল আমার জ্বর তাতে ওর কোনো মাথাব্যথা নেই। আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছিল। তবুও সিনিয়র যেহেতু আস্তে করে উঠে গিয়ে বললাম ভাইয়া আমার তো খুব জ্বর এসি টা কমালে খুব ভালো হতো। তাছাড়া গানের সাউন্ড নিতে পারছি না আর আজ বুদ্ধিজীবী দিবস চলুন বাংলা গান শুনি। এ কথা বলতেই ও মেকআপ আর্টিস্টের সামনেই আমাকে বলে আপনার জ্বর আমি কি করবো! আপনি বাইরে যান। আর আপনি আমাকে ইন্টেলেকচুয়ালিটি শেখাচ্ছেন! মানে একদম চেঁচিয়ে। মনে হচ্ছিল সে পারলে গায়ে হাত তুলবে।’
সিফাত বলেন, ‘একজন নারী সহকর্মীর সাথে তার এমন আচরণ আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। স্বাভাবিক বিষয় শুরুতে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি। কিন্তু পরে বলেছি মেকআপ রুম আপনার একার নয়। মেকআপ রুম আমাদের সবার। এক কথায় দুই কথায় দুজনেই কথা কাটাকাটি করি। ডিরেক্টর এবং এডি এসে দুইজনকে দুই রুমে নিয়ে যায়। পরে ওকে ঠান্ডা করে, আমাকেও। এরপর ও আমার সাথে কাজ করবে বলে কিন্তু আমি বলেছিলাম এক কোটি টাকা দিলেও আমি ওর সাথে কাজ করবো না। সেট ছেড়ে চলে এসেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, শুটিংয়ের পরের দিন ওর জন্মদিন ছিল। মোবাইল খোলার পরেই দুপুরে প্রথম কলটা আমার যায়। আমি ওকে বলি গতকাল তো তোকে আর কিছু বলতে পারিনি। তোকে আমি জুতা দিয়ে পিটাইতে চাই। ইত্যাদি ইত্যাদি। ২ মিনিট কথা বলার পরে ও কেটে দেয়। এটা নিয়ে ডিরেক্টর কে আবার বিচারও দেয়। হা হা হা। ওকে ওর জন্মদিনে জুতা দিয়ে পিটাইতে চেয়ে সেরা উপহারটা দিয়েছিলাম। শুটিং সেটেই আমি বলেছিলাম আপনি তো একজন ইউটিউবার। মোবাইলে ওকে ভাঁড় বলেছিলাম। তারপর আমার শান্তি হয়েছিল।
সর্বশেষ অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন এই গাঁজাখোর,অভদ্র, ধর্ষক মন মানসিকতার লোককে যেন সকল ডিরেক্টর এবং অভিনয় শিল্পী সংঘ বয়কট করে। কোনো নারী কো-আর্টিষ্ট যেন ওর সাথে কাজ না করে। এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। শামীম হাসান সরকার কে বয়কট করুন।’
