
রাজশাহীতে রমজানে বেড়েছে মুড়ির ব্যাপক চাহিদা
২৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম | আপডেট: ০১ জুন ২০২৩, ০৮:৩৫ এএম

রাজশাহীতে প্রতিবছরই রমজান মাস আসলেই ইফতারিতে মুড়ির ব্যাপক চাহিদা থাকে। ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মুড়ির চাহিদা ৩০ গুণের অধিক বেড়ে যায়। একারণে রমজানকে ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনাও নেয় কারখানাগুলো। আর চালের দামের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ হয় মুড়ির দাম। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রমজানের প্রথম দিনে রাজশাহী নগরীর মুড়ি কারখানা ও বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, মহল্লার ছোট্ট মুদি দোকান থেকে শুরু করে বাজারের সকল মুদিসহ অন্যান্য দোকানেও মুড়ি বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে খুচরা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, চালের দাম বেশি থাকার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় মুড়ির দাম বেশি। আর রমজানের মধ্যে মুড়ির দাম বৃদ্ধির তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তবে চলের দাম বাড়লে মুড়ির দাম বাড়বে। সিয়াম-সাধনার মাস পবিত্র রমজানের অন্যতম দুইটি বিষয় সেহেরী ও ইফতার।
আর ইফতারের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে কেনাকাটার অন্য সমগ্রীর সঙ্গে মুড়িও এখন একটি প্রধান উপকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে মুড়ি দোকানগুলোতেও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুক্রবার বিকেল থেকে নগরীর মোড়ে মোড়ে অস্থায়ী দোকানে ইফতারির অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে মুড়ি বিক্রি করতে দেখা গেছে। রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত মুড়ির এই চাহিদা থাকে বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, মুড়ি কারখানায় বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। নগরীর বিসিক এলাকায় অবস্থিত রাতুল বেকারীর সত্বাধিকারী মো. মানিক হোসেন জানান, আগে তিনি প্রতিমাসে ১০ বস্তা করে মুড়ি বিক্রি করতেন। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মুড়ি থাকে। সারা বছর মুড়ির বেচাবিক্রি খুবই কম থাকে। তবে রমজানে এখন প্রতিদিন ১০ বস্তা করে মুড়ি সরবরাহ দিতে হবে। আরও বেশি উৎপাদন করতে পারলে আরও বিক্রি হতো। কিন্তু তার ক্যাপাসিটি কম।
নগরীর কোর্ট এলাকার অস্থায়ী দোকান গড়ে তুলে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছিলেন জিয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, ইফতারির অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে মুড়িরও ভালো চাহিদা থাকে। তবে এবার মুড়ির দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। অপরদিকে, রমজানকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মনিটরিং এ নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. সেলিম জানান, অন্যান্য পণ্যের ন্যায় মুড়ির বাজারটাও তারা তদারকি করছেন। নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ দাম নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএজেড