ভারতের ১৫ শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত
ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মির, পাঞ্জাব ও গুজরাটসহ একাধিক রাজ্যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই হামলা চালানো হয়।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড়সহ একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। যদিও এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনকে মাঝ আকাশেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতীয় সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের লাহোরসহ অন্তত ৯টি স্থানে পাল্টা হামলা চালায়। বুধবার মধ্যরাতে মাত্র ২৫ মিনিটে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় পাকিস্তানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতভর আরও কয়েক ডজন ড্রোন হামলা চালানো হয় বলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তর দাবি করেছে, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলার জন্য তারা ‘হারপি’ নামের বিশেষ ধ্বংসাত্মক ড্রোন ব্যবহার করেছে, যা রাডার ধ্বংসে কার্যকরী। ভারতীয় বাহিনী তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক এস-৪০০ সিস্টেম ব্যবহার করেছে বলেও জানানো হয়।
পাল্টা অভিযোগে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি ‘হারোপ’ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারতের ছোড়া একটি ড্রোন রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদরদপ্তরের কাছে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, লাহোরের উপকণ্ঠে একটি ড্রোন হামলায় চারজন সৈন্য আহত হন। সিন্ধু প্রদেশে ভারতীয় ড্রোন হামলায় একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও একজন আহত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লাহোরজুড়ে বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ড্রোন বিধ্বস্তস্থল ঘিরে কৌতূহলী মানুষের ভিড়ও দেখা গেছে বলে এএফপি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। বর্তমান সংঘর্ষ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে দু'দেশের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
