রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে সিলেট, উদাসীন কর্তৃপক্ষ

ভূমিকম্পের বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট অঞ্চল। ভূ-অভ্যন্তরের একাধিক স্থানে ফল্ট সক্রিয় থাকায় সিলেটকে ভূমিকম্পের ‘ডেঞ্জার জোন’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২ বছরে সিলেটে অন্তত ১৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পের ঝুঁকি থাকলেও মোকাবেলায় সিলেটে নেই কার্যকর উদ্যোগ। ভূমিকম্প মোকাবেলার প্রস্তুতিতে সংশয় থাকায় আতঙ্কে সিলেটের মানুষ। তবে ঝুঁকি মোকাবেলায় কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।

সিলেটে ভূমিকম্পের ক্ষতি কমাতে ২০২১ সালের মে মাসে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া সিলেটের ৬টি বিপণী বিতান বন্ধ করে দেয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এগুলো ভেঙে ফেলা হবে বলেও সেই সময় জানিয়েছিল সিসিক। তবে ভেঙে তো ফেলা হয়নি। উল্টো কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ফের খুলেছে ঝুঁকিপূর্ণ বিপণী বিতানগুলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে সংগঠিত ভূমিকম্পের অন্তত ২০টির উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের ভেতরে। যার মধ্যে ১১টি হচ্ছে সিলেট অঞ্চলে। বাকি ৭টি ছিল সীমান্ত এলাকাসহ আশপাশের দেশগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা জানান, বারবার ভূমিকম্প হওয়ার অর্থ এখানকার চ্যুতির লাইনগুলো সক্রিয় আছে।

এদিকে আটকে আছে সিলেটের ৪২ হাজার বহুতল ভবনের ভূমিকম্পের সহনীয়তা পরীক্ষার উদ্যোগও। সিসিক কর্মকর্তারা জানান, অর্থের অভাবে ভবন পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় থমকে আছে নগরীর ৪২ হাজার ভবন পরীক্ষার কাজ। এ জন্য দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ৩০ কোটি টাকার চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও সাড়া দিচ্ছে না মন্ত্রণালয়-এমনটা জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী। ফলে এখন পর্যন্ত আটকে আছে ঝুঁকি মোকাবেলার উদ্যোগ। এতে সিলেটে ভূমিকম্পে ক্ষতির ঝুঁকি আরও বাড়ছে। সম্প্রতি তুরষ্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর আবার আলোচনায় উঠে এসেছে সিলেটের ঝুঁকির বিষয়টি।

২০২১ সালের মে ও জুনে পরপর ৬ দফা ভূমিকম্পের পর বড় ভূমিকম্পে ক্ষতি কমিয়ে আনতে নগরীর সব বহুতল ভবনের ভূমিকম্প সহনীয়তা পরীক্ষা ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে নগরীর বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকার কিছু ভবন পরীক্ষা করানো হয়।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দলের অন্যতম সদস্য শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পুর প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, বিগত সময়ে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে সিসিকের নেওয়া উদ্যোগ নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। আমরা সিসিক প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। কিন্তু আজ অবধি মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি না আসায় উদ্যোগটি আলোর মুখ দেখছে না। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে ধীর গতি কোনোভাবেই কল্যাণকর নয়।

তিনি আরও বলেন, সেই সময়ে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে সিলেটের নতুন ভবনগুলো পরিকল্পিত হলেও পুরনো ভবনগুলো অপরিকল্পিভাবে গড়ে উঠেছে। অধিকাংশ ভবন ভূমিকম্প প্রতিরোধকভাবে নির্মাণ না হওয়ায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেই এসব বহুতল ভবন ভেঙে পড়তে পারে। দুই-চারটি ভবন নয় বরং নগরীর সবগুলো ভবন একসঙ্গে পরীক্ষা করাতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবন ভেঙে না ফেলে রেক্টোফিটিংও করা যেতে পারে। সাপোর্টিং পাওয়ার দিয়ে ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। আমাদের পরামর্শে নগরীর রাজা ম্যানশন রেক্টোফিটিং করেছে। যদিও তাদের রেক্টোফিটিং সঠিক হয়েছি কি-না সেটা এখনো পরীক্ষা হয়নি।

জানা গেছে, বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষার পর ২০২১ সালের ৩০ মে নগরীর ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রকাশ করে সিসিক। ওইদিনই নগরীর সুরমা মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, মিতালী ম্যানসন ও রাজা ম্যানসন নামের ৭টি বিপণী বিতানকে ১০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন নগরীর প্রায় ৪২ হাজার বহুতল ভবন পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। কিন্তু অর্থ সংকটে সেই উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখেনি। অপরদিকে নির্ধারিত ১০ দিন পর কোনো সংস্কার ছাড়াই খুলে দেওয়া হয় বন্ধ করা ভবনগুলো। এখনও এসব ভবনে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, আমরা ১০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছিলাম। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে এগুলো সংস্কার করার জন্যও আমরা মালিকপক্ষকে বলেছিলাম। কিন্তু তারা তা শোনেননি। আবার ভবনগুলো ভাঙতে গেলে তারা আদালতে মামলা করে বসেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা নগরীর ৪২ হাজার ভবনে ভূমিকম্পের সহনীয়তা নিয়ে প্রকৌশলগত বিস্তারিত মূল্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এ জন্য ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপও করেছিলাম। ওই প্রতিষ্ঠানটি চার তলা বিশিষ্ট একটি ভবন পরীক্ষা জন্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ফি চায়। সেই হিসেবে সব মিলিয়ে নগরীর ৪০ থেকে ৪২ হাজার ভবন পরীক্ষা করাতে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সিটি করপোরেশনের পক্ষে এই খাতে এত বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করার মতো তহবিল নেই। তাই এখনও আমরা এ ব্যাপারে কোনো চুক্তি করতে পারিনি। সিটির বর্ধিত নতুন এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। নতুন কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ ঠিকমতো পরিচালনা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় সিসিকের পক্ষে এই টাকা খরচ অসম্ভব।

প্রধান প্রকৌশলী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ভবন পরীক্ষার টাকা সংশ্লিষ্ট ভবন মালিকদের দেওয়ার কথা। কিন্তু কেউই টাকা দিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবেলায় নেওয়া সকল উদ্যোগ ভেস্তে যায়। তবে ভবন পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র প্রেরণ করেছি। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোন সাড়া মিলছে না। মন্ত্রণালয় থেকে এই বরাদ্দ নিশ্চিত হলে আমরা ভবন পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো।

সিসিক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে আরেকবার নগরীর বহুতল ভবনগুলোর ভূমিকম্প সহনীয়তা পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখনও মাঝপথে আটকে যায় সেই উদ্যোগ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এগুলো ধসে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশে সর্বশেষ ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৮৮৫ সালে ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে।

এসআইএইচ 

Header Ad

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

 

‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন একজন জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিউটন ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে, তাদের গর্ভপাত করানো হতো। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতো। এসব কর্মকাণ্ডে অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী সদস্য রফিকুলকে সহায়তা করতো।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, এক ভুক্তভোগী মামলা করলে গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে এবং আত্মগোপনে থাকাকালীন অবস্থায় র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে, রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

জানা যায়, গ্রেপ্তার রফিক এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতো। ভুক্তভোগী এক নারী গত দুই বছর যাবৎ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুলের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছিল। খেলার প্রশিক্ষণকালীন রফিক বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীক শারীরিকভাবে হেনস্তা করতো।

তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। কে বললো ভাই? আপনার তো তথ্যের দরকার। তথ্যের দরকার হলে তথ্যের জন্য ১০০ বার যাবেন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড়ের চেম্বার ভবন মিলনায়তনে রংপুর বিভাগে গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেন, প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে একজন করে মুখপাত্র থাকে। সবার তো কথা বলার দরকার নাই। তিন জন মুখপাত্র আছে। তাদের কাছে যাবেন। সেখানে বসার যায়গা আছে। চায়ের ব্যবস্থা আছে। তারা যদি আপনাকে সেটিসফাই (সন্তুষ্ট) না করতে পারে আমরা চার জন ডেপুটি গভর্নর আছি- আমরা উত্তর দেব। সমস্যা কোথায়? তাও বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ নিষেধ।

তিনি বলেন, অবাধ বলতে কী? অবাধে কোথায় যায়? আপনার একটা প্রাইভেট কোম্পানি কি আরেকটি কোম্পানিকে অবাধে কোনও কিছু দেবে? জার্নালিস্টকে দেবে যতই বন্ধু হন? অ্যাবসার্ড (অবাস্তব)। পৃথিবীর কোনও দেশে নাই। তাহলে আপনি বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনারা অবাধে যেতে চান। আমিতো যেতে নিষেধ করিনি। আপনি তো যান না। আমার লোকজন আপনার জন্য রেডি হয়ে আছে। যদি কোনও কর্মকর্তার কাছে একাই যেতে চান, যান। ধরুন আমার কাছে একাই আসতে চান, আসুন। যেটা সিক্রেসি আইনে কাভার করে না। যতদূর খোলামেলা বলা যায় তারা বলে দেবে। কিন্তু আপনি রাষ্ট্রীয় সিক্রেসির তথ্য চাইবেন সেটা তো পারমিট করে না কেউ।

খুরশিদ আলম বলেন, আলটিমেটটলি (মূলত) আপনার উদ্দেশ্য দেশটার মঙ্গল আমাদেরও তাই। দেশটা হলো সবার। বঙ্গবন্ধু এটাই বলেছিলেন। এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তি। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন, আমি ১৭টা ডিপার্টমেন্ট চালাতে হিমশিম খাই। আর প্রধানমন্ত্রী দেশ-বিদেশ সামলাচ্ছেন। কি পরিমাণ পরিশ্রম করছেন তিনি ভাবতে পারেন।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকের ম্যানেজার পোস্টিং দিয়ে বসে আছি। সে কী করছে না করছে আমরা সুপারভাইজ করছি না। এটা চলবে না। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবহারে সফট কিন্তু নিজেকে কঠোর করতে হবে। এটা সেন্ট্রাল ব্যাংকের মেসেজ।

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক