রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সিলেট-২ আসন নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর মুখোমুখি ড. অরূপ রতন

'একটি আলোকিত মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য গোটা দেশ চষে বেড়াচ্ছি'

‘কথায় আছে জীবন ক্ষণস্থায়ী কিন্তু তার কর্ম চিরস্থায়ী। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকেও মানুষ কর্মের মধ্য দিয়ে স্থায়ী ভাবে সকলের হৃদয়ে ঠাঁই নিতে পারে। এই বোধ জাগ্রত হতে হবে মন থেকে। সেই বোধ থেকেই কাজ করে যাচ্ছি মানুষের কল্যাণে। একটি আলোকিত মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য গোটা দেশ চষে বেড়াচ্ছি। মন সুন্দর হলেই পৃথিবীর সবকিছুই সুন্দর বলে মনে হবে। আমি সেই পথের একজন সহযাত্রী।’

কথাগুলো বলছিলেন রত্নগর্ভা মা বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ড. মঞ্জুশ্রী চৌধুরী এর সন্তান একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. অরূপ রতন চৌধুরী। তার পিতা সিলেটের কৃতী সন্তান শৈলেন্দ্র কুমার চৌধুরী। অরূপ রতন চৌধুরী রণাঙ্গণের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মাদকমুক্ত আন্দোলনে এই নামটি দেশব্যাপী সমাদৃত। সমাজসেবার রাষ্ট্রীয় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি লাভ করেন একুশে পদক। ড. অরূপ রতন চৌধুরীর বড়ভাই ডা. শুভাগত চৌধুরী, বোন ড. মধুশ্রী ভদ্র।

অরূপ রতন চৌধুরী ১৯৮৯ সালে মাদক ও ধূমপানবিরোধী সংগঠন ‘মানস’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই সংগঠনের বিস্তৃতি রয়েছে সারাদেশে। এ সংগঠনের মাধ্যমে দেশের যুব সম্প্রদায়কে ধূমপান ও মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে বিগত ৩৩ বছর ধরে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির একজন উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের একজন সদস্য।

সিলেটের এই কৃতি সন্তান এবার লড়তে চান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। নিজের জন্মস্থান সিলেট-২ আসনকে নিয়েই তার সকল স্বপ্ন। কোনোদিন জনপ্রতিনিধি হবেন-এমন স্বপ্ন বুকে লালন না করলেও মুক্তিযুদ্ধের দায়বোধ থেকেই কাজ করতে চান মানুষের কল্যাণে। জন্মস্থানের মাটি ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি।

কেনই বা হঠাৎ করে তিনি নির্বাচনমুখী এবং সিলেট-২ আসনকে নিয়ে কি পরিকল্পনা-সবিস্তার জানতেই ঢাকাপ্রকাশ-এর সিলেট প্রতিনিধির মুখোমুখি দেশের এই প্রখ্যাত দন্ত চিকিৎসক ড. অরূপ রতন চৌধুরী।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার জন্মস্থান সিলেট। তবুও আপনার সম্পর্কে সিলেটের মানুষের ধারণা একেবারেই কম। এই অবস্থায় আপনার নির্বাচনে অংশগ্রহণ-কতোটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম?

ড. অরূপ: প্রসঙ্গটা হচ্ছে নির্বাচনের। আর আমরা সবাই জানি এটি একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। এই অধিকারের জন্য নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে নামেন নামি-দামী লোকজন। চলে প্রতিশ্রুতির বন্যা। প্রশ্ন হচ্ছে-নির্বাচন পরবর্তী প্রত্যেক নেতারা যদি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেন, তাহলে দেশের কোনো অঞ্চল আর অবহেলিত থাকত না। দেশের জনগণের চোখে-মুখে ভেসে উঠত না হতাশার ছাপ! দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসন শিক্ষা, খাদ্য, চিকিৎসা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে গেলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যেতো আরও বহুদূর। কিন্তু তা হচ্ছে না। কারণ- ক্ষমতায় গেলেই আমাদের চরিত্র পাল্টে যায়। বেমালুম জনগণের কথা ভুলে গিয়ে নিজের আখের গোছাতেই সচেষ্ট হয়ে উঠেন জনপ্রতিনিধিরা। এই লোভই তাদের দুর্নীতির দিকে ধাবিত করে। আপনি বলেছেন প্রভাবের কথা। প্রভাব হচ্ছে ভোটাররা। ভোটাররা যদি আমার পরিবার সর্বোপরি সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা মাথায় রেখে প্রার্থী বিবেচনায় রাখেন, সেক্ষেত্রে আমাকেই বেছে নেওয়া হবে বলে মনে করি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন চাইছেন। দল যদি আপনাকে মনোনয়ন না দেয়, সেক্ষেত্রে কি স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হবেন?

ড. অরূপ: দেখেন, আমি রণাঙ্গণের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানেই সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণ করি। লক্ষ্য ছিল একটাই-দেশকে রক্ষা করা। যুদ্ধ না করেও আমি আজ কথা বলতে পারতাম! কিন্তু জীবনের মায়া ত্যাগ করে আজ যখন কথা বলছি-তখন আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অরূপ রতন চৌধুরী। সুতরাং কাজের মধ্য দিয়ে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়াই বীরের লক্ষন। জাতির পিতার কন্যা হয়েও রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ কর্মগুনে আজ বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। সেই অর্জন ধরে রাখতে হলে, মনে-প্রাণে দেশবান্ধব শক্তির প্রয়োজন। সুতরাং আমার বিশ্বাস-দলীয় প্রধান বিষয়টি গুরুত্বেও সাথে বিবেচনা করে আমাকে সিলেট-২ আসনে কাজ করার সুযোগ করে দিবেন। তবে এর বাহিরে আপাতত অন্য কোনো চিন্তা করছি না।

ঢাকাপ্রকাশ: সিলেটের অনেক মানুষ আপনার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। সংক্ষেপে যদি কিছু বলা যায়

ড. অরূপ: প্রথমত ২০১৫ সালে সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় একুশে পদক লাভ করি। আমি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। মানস (মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির উপদেষ্টা, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য, ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজের ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টালসার্জারির প্রফেসর, বারডেম হাসপাতালের ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টাল সার্জারির সাম্মানিক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিল্পী, উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করছি। ১৯৭৬ সালে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে বি.ডি.এস, ১৯৮২-৮৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলোশিপ এবং ১৯৯২-৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক এট স্ট্রনিব্রোক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় ফেলোশিপ লাভ। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি পিএইচডি অর্জন। ২০১২ সালে তিনি ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস থেকে ফেলোশিপ ইন ডেন্টাল সার্জারি রয়েল কলেজ অব সার্জনস ডিগ্রি লাভ করেছি।

ঢাকাপ্রকাশ: নির্বাচিত হলে সিলেট-২ আসনের জন্য যা করতে চান

ড. অরূপ: আসলে পরিকল্পনা ছাড়া সকল কাজই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথমত আমি যেটি করতে চাই, সেটি হচ্ছে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন। সেটি সম্ভব না হলে দেশের সামগ্রীক উন্নয়নের মানদণ্ড সমৃদ্ধ হয় না। এই জন্য তৃণমূল থেকেই এই উন্নয়ন যজ্ঞ শুরু করতে হবে। সুস্থ পরিবেশের মানুষ সুষ্ঠু চিন্তা করতে পারে। আমি সর্বাগ্রে একটি সুস্থ পরিবেশ দিতে চাই। এর জন্য প্রয়োজন কর্মোদীপ্ত, প্রাণোচ্ছল একটি যুব সমাজ। যাদের হাত ধরেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হবে বাসযোগ্য। যেমন ধরুণ-মাদক একটি ভয়ানক ব্যাধি। এই ব্যাধি হঠাৎ করেই নির্মূল করা সম্ভব হবে না। ঠিক তেমনি কয়েকটি রাস্তাঘাট তৈরি করে দিলেই তাকে উন্নয়ন বলেনা। যাদের জন্য উন্নয়নের সমাজ, উন্নয়নের দেশ-সবার আগে তাদেরকে চিন্তা-চেতানায়, মননে একটি সৃজনশীল পরিবেশ দিতে চাই। যে পরিবেশের মানুষ ভাবতে পারে অপর মানুষকে নিয়ে, নিজের দেশকে নিয়ে। সহজ কথা হলো- প্রতিটি মানুষ হবে একেকজন উন্নয়নকর্মী। তখন তাদেরকে আর কেউ ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পাবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: ঢাকাপ্রকাশকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ড. অরূপ: ঢাকাপ্রকাশ-কেও অসংখ্য ধন্যবাদ, এর সকল পাঠক ও কলাকুশলীদের প্রতি অনেক শুভকামনা।

/এএস

Header Ad

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

 

‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন একজন জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিউটন ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে, তাদের গর্ভপাত করানো হতো। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতো। এসব কর্মকাণ্ডে অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী সদস্য রফিকুলকে সহায়তা করতো।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, এক ভুক্তভোগী মামলা করলে গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে এবং আত্মগোপনে থাকাকালীন অবস্থায় র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে, রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

জানা যায়, গ্রেপ্তার রফিক এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতো। ভুক্তভোগী এক নারী গত দুই বছর যাবৎ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুলের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছিল। খেলার প্রশিক্ষণকালীন রফিক বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীক শারীরিকভাবে হেনস্তা করতো।

তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। কে বললো ভাই? আপনার তো তথ্যের দরকার। তথ্যের দরকার হলে তথ্যের জন্য ১০০ বার যাবেন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড়ের চেম্বার ভবন মিলনায়তনে রংপুর বিভাগে গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেন, প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে একজন করে মুখপাত্র থাকে। সবার তো কথা বলার দরকার নাই। তিন জন মুখপাত্র আছে। তাদের কাছে যাবেন। সেখানে বসার যায়গা আছে। চায়ের ব্যবস্থা আছে। তারা যদি আপনাকে সেটিসফাই (সন্তুষ্ট) না করতে পারে আমরা চার জন ডেপুটি গভর্নর আছি- আমরা উত্তর দেব। সমস্যা কোথায়? তাও বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ নিষেধ।

তিনি বলেন, অবাধ বলতে কী? অবাধে কোথায় যায়? আপনার একটা প্রাইভেট কোম্পানি কি আরেকটি কোম্পানিকে অবাধে কোনও কিছু দেবে? জার্নালিস্টকে দেবে যতই বন্ধু হন? অ্যাবসার্ড (অবাস্তব)। পৃথিবীর কোনও দেশে নাই। তাহলে আপনি বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনারা অবাধে যেতে চান। আমিতো যেতে নিষেধ করিনি। আপনি তো যান না। আমার লোকজন আপনার জন্য রেডি হয়ে আছে। যদি কোনও কর্মকর্তার কাছে একাই যেতে চান, যান। ধরুন আমার কাছে একাই আসতে চান, আসুন। যেটা সিক্রেসি আইনে কাভার করে না। যতদূর খোলামেলা বলা যায় তারা বলে দেবে। কিন্তু আপনি রাষ্ট্রীয় সিক্রেসির তথ্য চাইবেন সেটা তো পারমিট করে না কেউ।

খুরশিদ আলম বলেন, আলটিমেটটলি (মূলত) আপনার উদ্দেশ্য দেশটার মঙ্গল আমাদেরও তাই। দেশটা হলো সবার। বঙ্গবন্ধু এটাই বলেছিলেন। এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তি। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন, আমি ১৭টা ডিপার্টমেন্ট চালাতে হিমশিম খাই। আর প্রধানমন্ত্রী দেশ-বিদেশ সামলাচ্ছেন। কি পরিমাণ পরিশ্রম করছেন তিনি ভাবতে পারেন।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকের ম্যানেজার পোস্টিং দিয়ে বসে আছি। সে কী করছে না করছে আমরা সুপারভাইজ করছি না। এটা চলবে না। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবহারে সফট কিন্তু নিজেকে কঠোর করতে হবে। এটা সেন্ট্রাল ব্যাংকের মেসেজ।

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক