শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ছাত্রদের চোখে একজন স্কুলশিক্ষক

আমরা যে জায়গায় অবস্থান করি না কেন, স্কুলশিক্ষকদের অবদান ভুলে যাবার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু তাদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ হয়ে ওঠে আনপ্যারালাল অতিমানবীয় একজন। যিনি শুধু শিক্ষাই দেন না, শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো আপন করে নেন, অভিভাবকদের কাছে হয়ে ওঠেন অতি আস্থার কেন্দ্র। ঠিক এরকমই একজন শিক্ষক হ্যানে রেলওয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো. মজিবর রহমান শেখ।

তিনি স্কুল থেকে অবসর নিয়েছেন ২০১২ সালে। অথচ আজও সেখানে তার অভাব পূরণ করা সম্ভব হয়নি। শুধু সেই স্কুল কেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মতে, মজিবর স্যারের মত শিক্ষক তো এমনিতেই চোখে পড়ে না।

ছাত্রদের চোখে মজিবর স্যার কেমন? এর উত্তর সত্যিই অবিশ্বাস্য। ৩০/৩৫ বছর আগে এসএসসি পাশ করা ছাত্ররা এখনো স্যারের কাছে অতি কৃতজ্ঞ। এখন তারা তাদের সন্তানদের জন্য মজিবর স্যারের মত শিক্ষক খুঁজে ফেরেন। মজিবর স্যারই যেন শিক্ষকতার মানদণ্ড।

শ্রদ্ধেয় মজিবর স্যারকে নিয়ে আর্টিকেল লেখার পর, তার সাবেক ছাত্ররা পিতৃসম স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশ করে যে মতামত দিয়েছেন, সেগুলো সত্যিই অবিস্মরণীয়। সবার সবটুকু মতামত দিতে গেলে, লেখাটা ৩ ফর্মার বই হয়ে যাবে। তাই দুই শতাধিক মতামত থেকে শুধুমাত্র কয়েকজনের মতামতের চুম্বক অংশ দেওয়া হলো এবং তাদের সকলেই ২৫/৩০ বছর আগে এসএসসি পাশ করে স্কুল ছেড়েছিলেন-

মাহমুদ হোসেন রাজিব: আজ মনে পড়ে স্যারের সেই অটল সাহসী পদক্ষেপে চলন যেন মুক্ত এবং অপার সম্ভবনাময় নতুন প্রজন্মের বিকশিত হওয়ার প্রতিকৃতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা উজ্জীবিত করে গোটা জাতির মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি। তার চওড়া বুকের ছাতি গর্বিত হবার অফুরান্ত শক্তি অবিচল আত্মার আন্তরিকতায় ভরপুর আর শিশুর মত হাসি মমের মত মন পাইনি আজও আর একটি। তিনি নির্ভীক, তিনি ইউনিক। মাঝে মাঝে বলি, সময়, স্থান কাল পাত্রে পুরুষ যদি হও, এমনই ব্যাঘ্র তবহে। টাকা সম্পদের মোহ থেকে থেকে দুরে থাকার শিক্ষা পেয়েছি স্যারের কাছ থেকে। সকল অবস্থায় বেঁচে থাকার স্পৃহা পাই স্যারের বিভিন্ন উপদেশ থেকে। কৈশোরের উদ্দিপনায় যৌবনের উন্মাদনয় বিপদগামী হতে মুক্ত হতে পারার কৌশল পেয়েছিলাম স্যারের কাছ হতে।

খুরশিদ আলম: বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে আমি আজও আমার এই মহান স্যারকে স্মরণ করি। আমাকে স্যার শুধু ছাত্র নয়, সন্তানের মতোই ভালোবাসতেন। মজিবর স্যার একালে একজনই হয়। স্যারের ভালোবাসা, শাসন, অনুপ্রেরণা সবসময় মিস করি। ছাত্রদের প্রতি গভীর ভালোবাসা, যত্নের সহিত পড়ানো ও বুঝানোর পদ্ধতি স্যারকে অন্য স্যারদের থেকে আলাদা করেছে। আমি গর্বিত স্যারের মতো একজন শিক্ষক পেয়েছিলাম। তিনি ছিলেন এমন একজন শিক্ষক যার কলমের তুলি দিয়ে অনেক হারিয়ে যাওয়া ছাত্রকে নতুন জীবন দিয়েছেন। এই মহান স্যারের সম্বন্ধে আমি যত লিখি তা সত্যিই কম হয়ে যাবে।

আনোয়ার সাদাত: স্যারের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। উনি শুধু আমার স্যারই ছিলেন না, বন্ধুও ছিলেন বটে। আমি ভাগ্যবান মজিবর স্যারকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলাম।

আতিক জামান: স্যারের কাছে আমার কখনো কোনো টাইম ছিল না। কখনো সকালে কখনো সন্ধায়। স্যার ভীষণ ভালবাসত আমাকে। স্যারের আদরমাখা শাসন আর ভালবাসা ভীষন মিস করি।

শাহজালাল: আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় স্যার। ইচ্ছে করে স্যারের পায়ে চুমু খেতে। আমি গর্বিত স্যারের মতো একজন শিক্ষক পেয়েছিলাম। আমি গণিতে কাঁচা ছিলাম। নবম শ্রেণির আগে যখন স্যারের কাছে পড়া শুরু করলাম, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে অবাক হলাম আমি। একজন শিক্ষক কীভাবে দক্ষ করে তুলতে পারেন তার ছাত্রকে। আমি যখন নবম থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম তখন গণিতে ১০০ পেয়েছিলাম।

মাসুদ রানা: স্যার আমাকে তার সন্তানের মত দেখতেন। স্যার শুধু পড়াতেন না, পড়ানোর সময় যতবার আজান হতো ততবার সঙ্গে করে মসজিদে নিয়ে যেতেন নামাজের জন্য। অঙ্কের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাটাও স্যারের কাছ থেকে পেয়েছি। আল্লাহ স্যারকে নেক হায়াত দান করুন।

নূর-এ-আলম বাদল: স্যারের অসংখ্য ছাত্রের মাঝে আমি তার নিকট বিশেষ স্নেহভাজন ছিলাম,যেটা কখনো ভুলতে পারব না।

শফিকুল ইসলাম: আমি খুব ভাগ্যবান এমন একজন স্যারের ছাত্র ছিলাম। আমরা ছয় ভাই বোনের মধ্যে পাঁচ জন স্যারের সান্নিধ্য পেয়েছি।

মিজানুর রহমান: দক্ষ মানুষ গরার কারিগর ছিলেন আমাদের মজিবর স্যার।মহান আল্লাহর দরবারে স্যারের জন্য অনেক অনেক দোয়া শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল।

জিকরুল হক: স্যারের অবদানের কথা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না । যতই বলি কম বলা হবে। তাই লিখে শান্তি পাচ্ছি না, মনও ভরছে না । শুধু প্রাণ খুলে আল্লাহর কাছে স্যারের সকল প্রকার মঙ্গলের জন্য দোয়া করছি।

শহিদুল ইসলাম: একজন শিক্ষক যখন একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ব্র্যান্ড হয়ে ওঠেন তখন কী আর তাকে কোন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা যায়? খুলনা বিভাগে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে কি না আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে জানা নেই যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একজন শিক্ষকের বিজ্ঞাপনে চলেছে। তার জ্ঞানের দীপ্তি এতই ব্যাপক ছিল যে, একজন ‘মজিবর স্যার’ ছাপিয়ে গিয়েছেন একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্যার একজন মহান কামার ছিলেন, তিনি জানতেন একখণ্ড লোহাকে কীভাবে হাতিয়ার করা যায়।উনি ছিলেনএকজন শৈল্পিক স্বর্ণকার, উনি জানতেন কীভাবে সোনাকে ডিজাইন করতে হয়। উনি ছিলেন একজন মহান রেস্টোরার, উনি জানতেন কীভাবে নস্ট হয়ে যাওয়া, রঙ জ্বলে যাওয়া মহামুল্যবান শিল্পকর্মকে স্বরূপে ফিরিয়ে আনতে হয়।

আশরাফুল রনি: যে ভাষায় স্যারের প্রশংসা করি না কেন তা কমই মনে হবে। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় এই ভেবে যে, এ রকম একটা মহান স্যারের সান্নিধ্যে অনেক সময় কাটিয়েছি। স্যারের হাতের ঘুশি একটা অন্যরকম ব্যাপার ছিল। এত এত স্মৃতি যা লিখে শেষ করা যাবে না।

আনিসুর রহমান: স্যারের মতো শিক্ষক এখন লাখে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। বিজ্ঞানের একজন পণ্ডিত ব্যক্তি। এত সহজভাবে অঙ্ক বোঝাতে পারতেন সত্যিই অবিশ্বাস্য। স্যারের কারণেই সম্মানের সঙ্গে কিছু করে খেতে পারছি। এখনো স্যারের সেই ট্রেডমার্ক ঘুসি মিস করি। ছাত্রদের জন্য সব সময় নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। সকল অভিভাবক স্যারের উপর ভরসা করত।

গোলাম কিবরিয়া সুমন: মানুষ গড়ার একজন দক্ষ কারিগর আমাদের প্রিয় মজিবর স্যার। তার মতো একজন মহান শিক্ষকের ছাত্র হতে পেরে আমি গর্বিত।

লতিফা হেলেন হীরা: প্রকৃতপক্ষে স্যার তার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের সন্তানের মতো করে দেখতেন। স্যারের অঙ্ক করানোর ধরনই ছিল অন্যরকম। পাঁচ দিস্তা কাগজ দিয়ে খাতা বানাতাম। কম কাগজের খাতা স্যার একদমই পছন্দ করতেন না। অঙ্ক যদি একটু ভুল হতো সেটা আমাকে পাঁচ বার করতে হতো, আর কোনো দিন যেন আমার অঙ্ক ভুল না হয়। উৎপাদকে বিশ্লেষণ এমনভাবে করাতেন মনে হতো যেন আরও আরও অঙ্ক করি। আশ্চর্য বিষয় এখনো যদি উৎপাদক আমাকে করতে দেওয়া হয় আমার ইনশাআল্লাহ কোথাও ভুল হবে না। এটা নিশ্চয়ই স্যারের কৃতিত্ব। আর পাঁচ দিস্তা কাগজ পাঁচ দিনেই শেষ। স্যারের কাছে আমি অবশ্যই কৃতজ্ঞ। স্যারের প্রচেষ্টার জন্য আমি নিশ্চয়ই ভালো রেজাল্ট করেছিলাম।

কেএম ওলিউর রহমান: সত্যিই স্যার অনেক মহান। আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে স্যার কোেনাদিন বেতন চাইতেন না।

আবু বকর সিদ্দীকি: বর্তমান সমাজে একজন মজিবর স্যারের বড্ড অভাব । মুখ দেখে ছাত্রদের মনে ভাষা পড়ার মত স্যারদের আজকাল আর পাওয়া যায় না। শাসনের সঙ্গে সঙ্গে স্যারদের মায়া মমতাগুলোও যেন ডিজিটালাইজেশনের মধ্যে হারিয়ে গেছে। কিরে মুখ শুকনো কেন, সকালে খেয়ে আসিসনি-এ রকম কথা ডিজিটাল যুগের স্যারেরা বলে কিনা আমি জানি না। পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতেন। বলতেন যেতে হবে অনেক দূর।

শাহজাহান আলী: স্যারের ভালোবাসা, শাসন, অনুপ্রেরণা সবসময় মিস করি। স্যারের সঙ্গে দেখা হলেই ভালোবেসে কাছে টেনে হাতে আলতো করে হাসি মুখে ‘ঘুষি’ মেরে কেমন আছিস বল, কথাটা আজ ও মনে পড়ে।

শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি ফেসবুকে ফ্রেশের একটি বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে। যেখানে একটি স্কুলের একজন শিক্ষককে নিয়ে কিছু বলতে বলা হয়েছিল? সেই বিজ্ঞাপনের মতামতেও দেখলাম, শ্রদ্ধেয় মজিবর স্যারকে নিয়ে শিক্ষার্থীরা মন্তব্য করেছে। ভাবা যায়! শিক্ষার্থীরা মজিবর স্যারকে কতটা ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। এই হচ্ছেন মজিবর স্যার, যিনি সবসময় হৃদয় দিয়ে অনুভব করতেন তার ছাত্রদের, যেন ছাত্রদের জন্যই জীবন।

লেখক: যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক

Header Ad

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

আজ ২৭ এপ্রিল, ‘অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার কৃষক ও মেহনতী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা এ কে (আবুল কাশেম) ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

মহান এ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ, ভালবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। এ কে ফজলুল হক এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষকদের অধিকার আদায়ে এ কে ফজলুল হক সবসময় সোচ্চার ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিনি দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থরক্ষায় কৃষি ঋণ আইন এবং প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন। জমিদাররা রায়তদের ওপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তা বিলোপ সাধন করেন। তাঁর সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাঁকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিলো। শোষণ, বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ করে দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

সর্বশেষ সংবাদ

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর