বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘সবজি খেতে পারি না, ফল খাব কীভাবে’

সম্প্রতি রমজানে প্রতিটা দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এ শ্রেণির ভোক্তাদের অভিযোগ, এমনিতেই কয়েক মাস থেকে দ্রব্যের দাম বাড়তেই আছে। সেই সঙ্গে রমজানে বেড়েছে আরও কয়েকগুণ।

সরেজমিনে ফলের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা অনেকেই বলছেন, যেভাবে শাকসবজির দাম বেড়েছে তাতে সবজি খেতে পারি না, ফল খাব কীভাবে?

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, রমজান এলে মানুষের একটু খরচ বাড়ে, একটু বেশি কেনাকাটাও করতে হয়। ঠিক এই সুযোগটা গ্রহণ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যদিও পাইকারি বাজারে বাড়ে ১ টাকা কিন্তু এই পণ্যটি যখন অন্যান্য বাজারে ছড়িয়ে যায় তখন ওই পণ্যটির ৫ গুণ হারে বেশি দাম নেয় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। যা দেখার কেউ নেই।

তবে, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিয়ম মেনেই আমরা ব্যবসা করছি। তবে পাইকারি বাজার থেকে প্রতিটা দ্রব্যের দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে এ কারণেই একটু দাম বেশি রাখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পলাশী বাজারে সরেজমিনে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর এই প্রতিবেদকের কথা হয়। এতে বাজারের সার্বিক পরিস্থিতির বিভিন্ন তথ্য উঠে আসে।

পলাশী বাজারে ফল কিনতে এসেছেন আজিমপুরের বাসিন্দা মো. জুলহাস। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছি। না পারছি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কেনাকাটা করে পরিবারকে দিতে, না পারছি নিজেরা খেতে। তিনি বলেন, এমন কিছু সবজি আছে যেগুলোর দাম ১০০ টাকা করে— প্রায় ফলের দামের মতো।

তিনি আরও বলেন, আজ আমার ছেলে-মেয়েরা আপেল, আঙুর, বেদানা, ও মালটা খেতে চেয়েছে। এজন্য বাজারে ফল কিনতে এসেছি। এসে দেখি ফলের বাজারে আগুন। রমজানের আগে যে আপেলের কেজি ছিল ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা সেই আপেল এখন চায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রায় প্রতি কেজিতে ১০০ টাকার মত বেড়েছে প্রতিটা ফলের দাম। বিদেশি ফলের দাম তো বেড়েছে সঙ্গে বেড়েছে আমাদের দেশীয় ফলের দামও। আয় রোজগার মোটেই বাড়েনি, বেড়েছে খরচ। এভাবে চলতে থাকলে আমরা পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকব কীভাবে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী স্টাফ কোয়ার্টার থেকে বাবার জন্য ফল কিনতে এসেছেন জেরিন আক্তার। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা অসুস্থ, রোজা থাকতে তার কষ্ট হয়। প্রতিদিন এক দুই পিস করে ফল কিনে নিয়ে যাই বাবার জন্য। বাজারে এসে দেখি প্রতিটা ফলের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এভাবে দাম বাড়লে আমরা এ সব কিনব কি করে? সবকিছু আমাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

বুয়েট বাজারে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন গাউসুল আজম। তিনি রমজান উপলক্ষে প্রতিদিন পলাশী বাজার থেকে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করেন। জানতে চাইলে আজম বলেন, আবাসিক এলাকা হওয়ায় এবং আশেপাশে উন্নত মানের একটি বাজার থাকায় আমাদের এই বাজারে প্রতিটা সবজির দাম দুইগুণ। তিনি বলেন, শুধু সবজি নয়, পলাশী বাজারে নির্ধারিত রেটের পণ্য ছাড়া প্রতিটা দ্রব্যের দাম বেশি।

তিনি বলেন, আজ আমার মেয়েটা বলেছে কিছু ফল কিনতে কিন্তু বাজারে দরদাম করে দেখি ফল আমাদের রিজিক থেকে উঠে যাচ্ছে। কারণ আমার মতো নিম্ন আয়ের মানুষ ফল কিনতে পারছেন না। রমজানে প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ গুণ। সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি দ্রব্যমূল্য। সাধারণ মানুষ এ সব কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের মত গরিব মানুষের কথা কেউ চিন্তা করে না। উল্টাপাল্টা দাম বাড়ার কারণে আমরা সাংসারিক জীবনে টাকা-পয়সার অশান্তিতে পড়ছি।

আজম আরও বলেন, রোজার একসপ্তাহ আগে ফলের দাম অনেকটা স্বাভাবিক ছিল আর এখন প্রতিটা ফলের কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করে বেড়েছে। রোজার সময় একটু ফল এবং ভালো সবজি যে খাব— আস্তে আস্তে আমাদের সেই ভাগ্য উঠে যাচ্ছে।

ফল কিনতে আসা টিপু সুলতান বলেন, বাচ্চারা ড্রাগন ফল খেতে চেয়েছে। একটি ড্রাগন কিনেছি। যে ড্রাগন ফলের কেজি ছিল এর আগে ৩০০ টাকা এখনে সেই ফলের কেজি হয়েছে ৭০০ টাকা। রোজার সময়ে এই ফলটার দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পরিবারের জন্য ফল কিনেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে শাকসবজির যে হারে দাম বেড়েছে তাতে ভালো মতো সেটাই কিনতে হিমশিম খাচ্ছি, ফল কিনে খাব কীভাবে?

এই বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশী মার্কেটের হফ ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ড্রাগন ফলের দাম একটু বেড়েছে। তা ছাড়া অন্যান্য ফলের দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। আমরা বাইরে থেকে বেশি দামে ফল কিনে আনি এজন্য একটু চড়া দামে বিক্রি করতে হয়। অন্যথায় আমরা চলব কীভাবে।

জানতে চাইলে পলাশী মার্কেটের ফল ব্যবসায়ী মো রুবেল মিয়া বলেন, আমরা অতিরিক্ত হারে কারো থেকে দাম বেশি নেই না। তবে এটা আবাসিক এলাকা হওয়ার কারণে হয়ত সামান্য কিছু টাকা অন্য বাজারে তুলনায় বেশি। তিনি বলেন, আমরা তো ছোট ব্যবসায়ী, যারা বড় ব্যবসায়ী তারা মূলত দাম বাড়িয়ে দেয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না।

কেএম/আরএ/

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

হিট অ্যালার্ট জারি। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে চলমান তাপমাত্রার পারদে উঠতি গতার খুব একটা হেরফের না হওয়ায় এখনও অস্বস্তি কমেনি। মাথার ওপর গনগনে সূর্যকে সঙ্গী করেই প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি পার করছে মানুষ। যদিও কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বাতাসের উপস্থিতি থাকলেও পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়

ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’ এর পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। সৌদি আরবের কাছে হেরে অঘটন দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল আলবিসেলেস্তারা। তবে শেষমেশ লিওনেল মেসির হাতেই ওঠে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি, এমন বিশ্ব আসরকে সেরা বলতে বাধ্য যে কেউ।

অবিস্মরণীয় এই বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ নিয়ে এরইমধ্যে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু ডকুফিল্ম। যার মধ্যে আলোচিত একটি স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’।

স্প্যানিশ পরিচালক জেসাস ব্র্যাসেরাস নির্মাণ করেছেন ১০০ মিনিটের এই ডকুফিল্ম। গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় মুক্তি পাওয়া ‘মুচাচোস’ সেখানকার দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া তুলেছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্টার সিনেপ্লেক্স জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার ‘মুচাচোস’ মুক্তি পাবে এই মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শাখায়।

বাংলাদেশে ডকুফিল্মটি মুক্তি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার বিপুলসংখ্যক সমর্থক রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খেলা উপভোগ করেছে কোটি মানুষ। বিশ্বকাপ জয়ের পর ঢাকাসহ সারাদেশ উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে রীতিমত অবাক হয়েছেন আর্জেন্টিনার মানুষও।

“লিওনেল মেসির হাত ধরে বিশ্বকাপ জয়ের এই মুহূর্ত নিয়ে ভক্তদের উৎসাহ ফুরাবে না সহজে। এই ভক্ত-সমর্থকদের জন্যই ‘মুচাচোস’ নিয়ে এসেছি আমরা। আশা করি এই ছবি দেখাটা চমৎকার একটা ব্যাপার হবে দর্শকদের জন্য।’’

‘মুচাচোস’এ অভিনয় করেছেন জেসুস ব্র্যাসেরাস, বসসি অগাস্টিন বসি, হার্নান ক্যাসশিয়ারি, ম্যাক্সিমিলিয়ানো লাসানস্কিসহ আরও অনেকে।

শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫

হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দফায় দফায় উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের সারেংকান্দি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন- শাহাবুদ্দিন সারেং (৩০), মো. আরশাদুল (১১), সৈকত সরদার (১৯), হাজেরা বেগম (৭৫) ও আকাশ হাওলাদার (২৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী এবং তার নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত ২৭ মার্চ দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সেই ঘটনার সূত্র ধরে আজ আবারও দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এসময় তারা সারেংকান্দি এলাকায় ফসলি জমিতে নেমে একে–অপরকে লক্ষ্য করে হাতবোমা (ককটেল) ছুঁড়তে থাকে। ককটেলের মুহুর্মুহু শব্দে ভারী হয়ে উঠে আশপাশ। এই ঘটনায় শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত, আকাশ ও হাজেরা নামে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত ও আকাশকে ঢাকায় পাঠান। এছাড়া দুপক্ষের বেশকিছু বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর অভিযোগ করে বলেন, ‘কুদ্দুস বেপারীর লোকজন গতকাল মঙ্গলবার আমাকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে বলেন, ‘‘বাবার জন্মে হয়ে থাকলে সবার সামনে গিয়ে মারামারি করিস। পোলাপান সামনে দিয়ে মারামারি করিস না। আগামীকাল সকালে শুরু হবে।’’ এ বিষয়ে আমি পুলিশকে জানিয়েছি। পরে আজ কুদ্দুস বেপারীর লোকজন আমার লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর করে ও আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।’

তবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, ‘জলিল মাদবর মারামারি করার জন্য কয়েক গ্রাম থেকে লোকজন এনে আমার লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আমার একজন লোক মুমূর্ষু অবস্থায় আছে।’

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর যাবত বিলাসপুর ইউনিয়নে দুইটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব, হামলা-মামলা চলছে। তারই জেরে আজ দুই পক্ষ সংঘর্ষে জরায়। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা পৌঁছানোর আগেই দুপক্ষের অন্তত চারজন লোক আহত হয়। তারা বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন
রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু
প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ সচিব
ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে
ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস
নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
কালশী উড়ালসেতুর নাম বদলে হলো শেখ তামিম মহাসড়ক
ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ