আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না: তামিম ইকবাল

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৭ এএম


আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না: তামিম ইকবাল

বিশ্বকাপ দল ঘোষণার নাটকীয়তা এখনও শেষ হয়নি পুরোপুরি। ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তামিম ইকবালকে। এর আগে গুঞ্জন ছড়ায় বিশ্বকাপে পাঁচটা ম্যাচ খেলতে চাওয়ায় তাকে নেওয়া হয়নি, পরে সেটিকে উড়িয়ে দেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এখন একই দাবি করেছেন তামিমও।


সব অপেক্ষার অবসান হলো বিকেল সোয়া ৫টায়।তামিম তার ফেসবুক বার্তায় বলেছেন,-

আসসালামু আলাইকুম। আপনার স্ট্যাটাস দেখে বুঝতেই পারছেন, গত দুই তিনদিনে যা হচ্ছে, যা মিডিয়াতে লেখা হয়েছে; পুরোপুরি ভিন্ন। যে জিনিসটা ঘটেছে, আমি আপনাদের স্টেপ বাই স্টেপ জানাই। আমার মনে হয় সবার এটা জানা উচিত।

আপনারা সবাই জানেন, আমি অবসর নিয়েছিলাম। সেটারও একটা কারণ ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফেরত আসি।

তারপর আমি দুই মাস অসম্ভব পরিশ্রম করি। ফিজিও যারা আছেন, তারাও জানেন আমি কতটা পরিশ্রম করেছি মাঠে ফেরার জন্য।

আমি হয়তো মাত্র ৪৪ রান করেছি। তবে ওই মুহূর্তে আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল ব্যাটিংটা কেমন করি সেটা দেখা। আমার মনে হয় আমি খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি বড় করতে চেয়েছিলাম ইনিংসটা, সেটা হয়তো হয়নি।

ওই ম্যাচের পর আমি মানসিকভাবে খুব খুশি ছিলাম। গত চার-পাঁচ মাস যা হয়েছে, আমার মাথায় ওতটা ছিল না। আমি আবার খেলার দিকে তাকিয়ে ছিলাম, বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

ইনজুরি থেকে ফেরার পর ব্যথা থাকবেই। আমিও প্রথম ম্যাচে একটু ব্যথা ফিল করেছি। তবে যখন খেলা শেষ হলো, আমি আমার অবস্থাটা বললাম ফিজিওকে। ঠিক ওই মুহূর্তে তিনজন সিলেক্টর ড্রেসিংরুমে আসেন।

একটা জিনিস ক্লিয়ার করতে চাই, আমি কখনও বলিনি ৫টার বেশি ম্যাচ খেলতে পারব না। এই কথাটা আমি কখনও বলিনি। এটা মিথ্যা কথা, ভুল কথা। আমি জানি না এই কথাটা কিভাবে মিডিয়ায় এসেছে, কে ছড়িয়েছে। এটা পুরোপুরি ভুয়া কথা।

আমি নির্বাচকদের বলেছিলাম, দেখেন আমার বডিটা এরকমই থাকবে এখন যে অবস্থা। একটু ব্যথা থাকবে। আপনারা যখন দল নির্বাচন করবেন এটা মাথায় রেখেই দল নির্বাচন কইরেন।

এটা বলারও একটা কারণ আছে। কিছুদিন আগে আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম, আমি যে ম্যাচ খেলার পর অবসর নেই। ওখানে আমার ইনজুরি নিয়ে একটা কনসার্ন ছিল। যখন আমি নিজের ইনজুরি নিয়ে বলি, সেখানে তিনজন সম্মত ছিল যে ম্যাচটা আমি খেলতে পারি।

তারপর আপনারা জানেন যে কেমন কেমন ধরনের কথা মিডিয়ায় বলা হয়েছে যে, ফিট না থাকলে খেলার দরকার কি। আমার কাছে খুব অবাক লাগছে তখন কারণ ওই সময় রুমে সবাই আমার সম্মতি দিয়েছিল।

এজন্য আমি আবার বিতর্ক তৈরি করতে চাইনি। আমার পক্ষ থেকে আমি পরিপূর্ণ সততার সঙ্গে একটা ক্লিয়ার করেছি। কারণ আমি যদি বিশ্বকাপে যাই, এমনও হতে পারে আমি ৯ ম্যাচ খেললাম কোনো সমস্যা ছাড়া। বিশ্বকাপের ফিকশ্চারটাই এমন ছিল যে, প্রতিটা ম্যাচের পর গ্যাপ আছে প্রথম দুই ম্যাচ ছাড়া।

আবার এমনও হতে পারে, এটা ফিট মানুষের সঙ্গেও হতে পারে, দুটো ম্যাচ খেলার পর ইনজুরি হয়ে গেলো। তাকে দেশে পাঠিয়ে দিলো, তার রিপ্লেসমেন্ট গেলো। এজন্য আমি নির্বাচকদের এটা ক্লিয়ারলি বলি।

ফিজিওর রিপোর্টে পরিষ্কার যে কথাটা ছিল, আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। কেউ চ্যালেঞ্জ করতে চাইলে আমি রাজি আছি। সেখানে বলা হয়েছে, প্রথম ম্যাচের পর এমন পেইন হয়েছে, পরের ম্যাচের পর এমন পেইন হয়েছে।

মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট মনে করে। ১-২ তারিখে প্রস্তুতি ম্যাচ। আমি যদি এখন রেস্ট নেই, পরে যদি দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলি। তাহলে আমি একটু সময় পাব। দুই সপ্তাহের পুনর্বাসন হয়ে যাবে। তাহলে আমি প্রথম ম্যাচটা খেলতে পারব। কোনো জায়গায় বলা হয়নি, ৫ ম্যাচ বা ২ ম্যাচ খেলব বা খেলতে পারব না। তবে আমার বডিতে পেইন ছিল, এটা সত্য কথা।

মিডিয়াতে যে কথা হচ্ছে, ৫ ম্যাচ বা বেশি কম। আমার মনে হয় না, আমি বিশ্বকাপে না যাওয়ার পেছনে এটার বড় অবদান ছিল। আমার ব্যথা থাকতে পারে, আমি তো ইনজুরড হইনি এখনও।

এক-দুদিন পর বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করলেন, তিনি আমাদের ক্রিকেটের সঙ্গে বেশ ইনভলবড। তিনি আমাকে ফোন করে বললেন, তুমি তো বিশ্বকাপে যাবা, তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। তাহলে তুমি আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ খেইলো না।

আমি বললাম-এটা তো ১২-১৩ দিন পরের কথা। আমি ১২-১৩ দিন পর ভালো কন্ডিশনে থাকব, তবে কী কারণে খেলব না। পরে আমাকে বললো, যদি তুমি খেলো তাহলে আমাদের প্লান হলো নিচের দিকে ব্যাটিং করতে হবে।

একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে আসছিলাম। হঠাৎ করে একটা ভালো ইনিংস খেললাম। আমি হ্যাপি ছিলাম। এর মধ্যে আবার এসব কথা, আমার পক্ষে নেওয়া আসলে সম্ভব না। আমি ১৭ বছর পর এক পজিশনে ব্যাটিং করছি, আমি কোনোদিন ৩-৪ নম্বরে ব্যাটিংই করিনি। এমন যদি হতো, আগেও করেছি, তাহলে একটা কথা ছিল।

স্বাভাবিকভাবেই আমি কথাটা ভালোভাবে নেইনি। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এই বিষয়টি আমি পছন্দ করিনি। আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমাকে জোর করে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছে করে করে। এটা ঠিক হলো, আরেকটা নতুন জিনিস দেওয়া হলো। আমার তাই মনে হয়েছে।

তখন আমি বললাম, যদি আপনাদের এমন চিন্তাধারা থাকে, তবে আমাকে পাঠায়েন না। আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। প্রতিদিন এক একটা নতুন জিনিস আমাকে ফেস করাবেন, আমি এসবে থাকতে চাই না। তারপর ওই ব্যক্তির সঙ্গে আমার আরও কথা হয়। মনে হয় আমার এটা এই প্লাটফর্মে বলা উচিত না। আমি স্ট্রংলি বলছি, তাহলে আমাকে রাইখেন না।

আমাদের একটা অভ্যাস আছে, একটা বড় জিনিস ঢাকার জন্য আরেকটা সামনে নিয়ে আসা যে, সে ৫ ম্যাচ খেলবে। আমার মনে হয়, যদি আপনি আমাকে চান, তবে আমাকে মেন্টালি ফ্রি এবং হ্যাপি রাখা উচিত। আমার জন্য গত ৩-৪ মাস অনেক কঠিন ছিল। এর মধ্যে এসব নতুন নতুন জিনিস বলা।

আমি এটাও বলি, এই কথাটাই যদি আমাকে অন্যভাবে বলা হতো, হয়তো আমি মেনে নিতাম। কিন্তু হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়া ফোন করে যদি বলে আপনি খেইলেন না, অথবা যদি খেলেনও, আমাদের এমন আলোচনা হচ্ছে আপনি নিচে ব্যাট করবেন। আসলে এটাই হয়েছে।

আমার মনে হয় এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই। আমি মনে করি, আমার সঙ্গে যা ঘটেছে, আমি শেয়ার করলাম। তবে দিনশেষে যারা বাংলাদেশের হয়ে যে ১৫ জন খেলতে গেছে, তাদের জন্য শুভকামনা। আশা করি তারা বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে।

সাথে আরও অনেক কিছুই ঘটেছে। আমি নিশ্চিত আপনারা দেখছেন। একটা ঘটনা ইনসিডেন্ট হতে পারে, দুইটা কাহিনী মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং হতে পারে। কিন্তু একজনের সঙ্গে গত তিন-চার মাসে যদি ৭-৮টা কাহিনী হয়, তবে সেটা ইচ্ছেকৃত। আমার জন্য দোয়া করবেন আর সবার কাছে অনুরোধ আমাকে মনে রাখবেন। ভুলে যাইয়েন না।

 

 


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৭ পিএম


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারই ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুইঁয়ার নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

মনোনয়ন দাখিল শেষে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দাখিল করেছি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো। বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে আমাদের নেতার সুনাম জড়িয়ে আছে তাই তার আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দলের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।

কাদের মির্জা আরও বলেন, নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমরা নিয়মিত মিটিং মিছিল করেছি। আগামী চার তারিখ থেকে কেন্দ্রভিত্তিক সভা করবো। এরপরে আমরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করবো। আগামী সাত জানুয়ারিতে যেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় সেইজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দাখিল উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন এই দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এমপি। এ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন।


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৭ পিএম


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩  বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

 


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৭ পিএম


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

 

অনুসরণ করুন