সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কে কত টাকা প্রাইজমানি পেল বিপিএল শেষে?

ছবি সংগৃহিত

এক জয়ের পর টানা তিন ম্যাচ হারলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ- বিপিএলের ট্রফি ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে তামিমের ফরচুন বরিশাল। ফাইনালে কাইল মায়ার্স তাণ্ডবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে ভিক্টোরিয়ান্সকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপা ঘরে তুলে তারা। এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা না পাওয়ার বেদনা ছিল বরিশালের। অবশেষে সেই ক্ষতে তারা প্রলেপ দিতে সক্ষম হলো।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ট্রাফির শোকেসটা পাঁচে পাঁচ হয়নি। বরং বিপিএলের প্রথম শিরোপা ধরা দিয়েছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের হাতে। দশম বিপিএলের ফাইনালে হ্যাটট্রিক শিরোপার আশায় থাকা কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। এর আগে চারবার ফাইনালে উঠে চারবারই শিরোপার স্বাদ পাওয়া কুমিল্লা ফাইনালে এবারই প্রথম হারল।

এবারের বিপিএলে ‘প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট’ হলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের অ্যাওয়ার্ডও তামিমের হাতেই। সেরা ফিল্ডারের পুরষ্কার জিতেছেন মোহাম্মদ নাইম শেখ। দুর্দান্ত ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলাম পেলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের পুরষ্কার।

দলকে শিরোপার স্বাদ এনে দেয়ার দিনে মোট ৪৯২ রান করা তামিম ইকবাল রান সংগ্রাহকদের শীর্ষস্থানে। তামিম ইকবালের জাদুতে প্রথমবারের মতো বিপিএল শিরোপা জিতল ফরচুন বরিশাল। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম জিতলেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও।

ফাইনালে বল হাতে সুনীল নারাইনের উইকেট শিকারের পর ব্যাটিংয়েও কাইল মায়ের্স ছিলেন উজ্জ্বল, ৩০ বলে খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস। এমন অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সের রাতে ফাইনাল সেরার পুরষ্কার ওঠল মায়ের্সের হাতে।

দুর্দান্ত ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলাম ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট শিকার করে পেয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর পুরষ্কার ও প্রাইজমানি। আর টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডারের অ্যাওয়ার্ড জিতলেন দুর্দান্ত ঢাকার আরেক তারকা নাইম শেখ, নিয়েছেন মোট ৮ ক্যাচ। এই দুই জন ফাইনালে না থাকায় তাদের হয়ে পুরষ্কার গ্রহণ করেন রিশাদ হোসেন।

বিপিএল ২০২৪ এর পুরস্কারের তালিকা -

প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল : কাইল মায়ার্স – ১ উইকেট ও ৪৬ রান (৫ লাখ টাকা),
বেস্ট ফিল্ডার অব দ্য টুর্নামেন্ট: নাঈম শেখ – ৮ ক্যাচ (৩ লাখ টাকা),
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি : শরিফুল ইসলাম – ২২ উইকেট (৫ লাখ টাকা),
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক : তামিম ইকবাল - ৪৯২ রান (৫ লাখ টাকা),
প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট : তামিম ইকবাল - ৪৯২ রান (১০ লাখ টাকা),
রানার্স-আপ টিম : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (১ কোটি টাকা),
চ্যাম্পিয়ন টিম : ফরচুন বরিশাল (২ কোটি টাকা)।

Header Ad

রাজধানীতে ২৩ জন গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

সোমবার (১৩ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৪০৫ পিস ইয়াবা, ৩.৫ গ্রাম হেরোইন, ১২ কেজি ৬৫০ গ্রাম গাঁজা ও ৩ গ্রাম আইস উদ্ধার জব্দ করা হয়।

ডিএমপি জানায়, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (১২ মে) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (১৩ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৬টি মামলা রুজু হয়েছে।

এসএসসি পাস করেছে বিদ্যালয়ের একমাত্র পরীক্ষার্থী রুবিনা

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একমাত্র শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার পাস করেছে।

রবিবার (১২ মে) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে সে জিপিএ ২.১৭ পেয়ে পাস করেছে বলে প্রধান শিক্ষক মো. নুর জামাল মিয়া নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর মাত্র একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তার নাম রুবিনা আক্তার। তার পরীক্ষার রোল নম্বর ৫১৭৪৭৭, বিভাগ মানবিক। ফলাফলে সে জিপিএ ২.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে।

অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হয়। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টির নিম্ন মাধ্যমিক শাখা এমপিওভুক্ত হয়। এরপর ২০১২ সালে মাধ্যমিক পর্যায় পাঠদানের অনুমতি পায়। পাঁচজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ১১ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। বিদ্যালয়টি থেকে এ বছর মানবিক বিভাগের একমাত্র শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ অবস্থার জন্য করোনা ও বাল্য বিবাহকে দায়ী করেছেন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা। ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার বলে, ফলাফল ভালো হয়নি, তারপরও পাস করেছি এটাই সৌভাগ্য।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর জামাল মিয়া বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের একমাত্র পরীক্ষার্থী রুবিনা আক্তার জিপিএ ২.১৭ পেয়ে পাস করেছে। ফলাফল সন্তোষজনক নয় তারপরও প্রতিষ্ঠানের সম্মান রক্ষা হওয়ায় আমি খুশি। তিনি জানান, রুবিনার আরও ৫-৬ জন বান্ধবী ছিল। এসএসসি পরীক্ষা আসতে আসতে সবার বিয়ে হয়ে গেছে

আবারও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, হাসপাতালে বাংলাদেশী যুবক

ফাইল ছবি

সীমান্তে হত্যা যেন বেড়েই চলছে। প্রতি মাসেই বিএসএফের গুলিতে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হলেও তবুও থামছে না। সবশেষ রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। এতে আমজেদ আলী নামের ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরিবার জানিয়েছে, রোববার রাতে পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু পাচার করার সময় ভারতীয় বিএসএফ গুলি ছুড়লে আমজেদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে, বুধবার (৮ মে) দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। হত্যার দুই দিন পর শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশির মরদেহ তেতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ।

সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ বাংলাদেশিরা। বিগত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার মরদেহ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে রাখা হয়েছিল। ওই সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর মরদেহের ছবি আলোড়ন তুলেছিল দেশে-বিদেশে। ওই ঘটনার পর দফায় দফায় আলোচনায় সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ। তবে গত বছরগুলোতে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় একেবারেই উল্টোচিত্র।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে মারা গেছেন ২০০ এর বেশি বাংলাদেশি। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে গতবছর ২৮ জনের প্রাণহানি ও ৩১ জন মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আসকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। ওই বছর ৪৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান, যার মধ্যে ৪২ জন বিএসএফের গুলিতে ও ছয়জন শারীরিক নির্যাতনে মারা যান। এর আগের বছর যে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৭ জন বিএসএফের গুলিতে এবং ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। গত সাত বছরের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে সবচে কম বাংলাদেশির মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে ১৪ জনের।

সরকারের হিসেবে বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৯ বছরে বিএসএফের হাতে ২৯১ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ২০০৯ সালে। আর সবচেয়ে কম ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছেন ২০১৭ সালে।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজধানীতে ২৩ জন গ্রেপ্তার
এসএসসি পাস করেছে বিদ্যালয়ের একমাত্র পরীক্ষার্থী রুবিনা
আবারও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, হাসপাতালে বাংলাদেশী যুবক
আবারও দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস
মালয়েশিয়ায় ২৭ বাংলাদেশী অভিবাসী আটক
রাতেই কুবুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ
সড়ক দুর্ঘটনায় অভিনেত্রীর মৃত্যু
এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ শুরু, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত
হাসপাতাল চত্বরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
সৌদি পৌঁছেছেন ১২ হাজার ৬৪৯ হজযাত্রী
এসএসসির ফল প্রকাশের পর সারাদেশে ৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বিসিবি সভাপতির হঠাৎ বৈঠক, অধিনায়ক বদলের গুঞ্জন!
অন্তর্বাসে লুকানো থাকত ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ হতো চাকরির পরীক্ষা
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বিএনপিকে নিশ্চিহ্নে ক্র্যাকডাউনের পরিকল্পনা করছে সরকার: রিজভী
নওগাঁয় ধান ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর সুপারিশের কার্যকারিতা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণ শুরু কাল, আবেদন করবেন যেভাবে
ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি হাতিয়ে নিতো চক্রটি
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশ ইসির