শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

গেমিং স্মার্টফোন জগতের নতুন দানব আরওজি ফোন সেভেন

পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী নতুন সিরিজের দুই মডেলের গেমিং স্মার্টফোন লঞ্চ করলো আসুস। গেল ১৩ এপ্রিল তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই, জার্মানির রাজধানী বার্লিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী নিউ ইয়র্কে 'ফর দোজ হু ডেয়ার' স্লোগান নিয়ে একযোগে উন্মোচিত হল আসুস আরওজি (ROG) ফোন সেভেন সেভেন আল্টিমেট। এর মাধ্যমে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগনের সর্বাধুনিক চার ন্যানোমিটার প্ল্যাটফরমের নতুন প্রসেসর এইট জেন টু চিপসেটের দ্বিতীয় দুই গেমিংফোন বাজারে আসলো। ২০১৮ সালের অক্টোবরে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫ বছরে ৬ সিরিজে মোট ১৭ টি গেমিং স্মার্টফোন বাজারে ছাড়লো আসুস।

এর আগে অবশ্য গেল বছরের ৫ জুলাই একই স্লোগানে আরওজি ফোন সিক্স বাজারে ছেড়েছিল আসুস।

আসুস বরাবরই নতুন প্রসেসরের গেমিং ফোন বাজারে ছাড়ে সবার আগে তবে এবার এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম হয়েছে। আসুসের আগেই জেডটিই তাদের নুবিয়া রেড ম্যাজিক এইট সিরিজে নতুন এই প্রসেসরটি ব্যবহার করে ফেলেছে। তবে বরারবরের মতো আসুস তাদের অবস্থান ধরে রাখবে এবং আসন্ন স্ন্যাপড্রাগন এইট প্লাস জেন টু প্রসেসর ঘোষণা হবার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম গেমিং স্মার্টফোনটি আসসই বাজারে ছাড়বে বলে আশা ভক্তদের।

একটি গেমিং স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীর যা যা চাহিদা থাকে তার সর্বোচ্চ পূরণ করার চেষ্টা করে আসুস। আসুসের দাবি তারা গেমিং ফোনের ক্ষেত্রে এর বাহ্যিক ডিজাইনের বদলে এর কার্যক্ষমতার উপর বেশি প্রাধান্য দেয় এবং ব্যবহারকারী যেন এর থেকে সর্বোচ্চ উপযোগিতা পান সেটা বাস্তবায়ন করতেই প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে আসুসের টেকনিক্যাল টিম।

সেভেন সিরিজের নতুন এই দুই স্মার্টফোন নিয়ে আসুস দাবি করেছে আরওজি ফোন সেভেন অন্যান্য ফোনকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে।

আরওজি ফোন সেভেন ও সেভেন আল্টিমেট এর মাঝে বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই। বরাবরের মতোই পার্থক্য র‍্যাম, স্টোরেজ আর ব্যাকশেলের ডিজাইনে। আরওজি ফোন সেভেন এর পিছনে থাকছে একটি ইল্যুমিনেটেড আরজিবি লোগো, যার পরীবর্তে আরওজি ফোন সেভেন আল্টিমেট এ থাকছে একটি প্রোগ্রামেবল মিনি ওলেড ডিসপ্লে ও একটি এয়ারভেন্ট। এর বাইরে দুটো স্মার্টফোনের ক্যামেরা মডিউল থেকে শুরু করে ব্যাটারি সব একই থাকছে।

স্মার্টফোন দুটিতে প্রসেসর হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগনের সর্বশেষ সংস্করণ 'এইট জেন টু' চিপসেট। আট কোরের এই প্রসেসরটির কার্যক্ষমতা ৩.২ গিগাহার্জ। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাড্রিনো ৭৪০। ফোনটি চলবে অ্যান্ড্রোয়েড থারটিন অপারেটিং সিস্টেমে।

আরওজি ফোন সেভেন ফোনটিতে র‍্যাম থাকছে ১২ থেকে ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত। আর স্টোরেজ সুবিধা থাকছে ২৫৬ থেকে ৫১২ গিগাবাইট পর্যন্ত। এই ফোনটি পাওয়া যাবে ১২/২৫৬ ও ১৬/৫১২ দুইটি ভ্যারিয়েন্টে। অপরদিকে আরওজি ফোন সেভেন আল্টিমেট ফোনটিতে র‍্যাম থাকছে ১৬ গিগাবাইট। আর স্টোরেজ সুবিধা থাকছে ৫১২ গিগাবাইট।

দুটো ফোনে একই ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। ডিসপ্লে হিসাবে দেওয়া হয়েছে ১ বিলিয়ন কালার সাপোর্টেড ৬.৭৮ ইঞ্চির স্যামসাং অ্যামোলেড মনিটর যা ১৬৫ হার্জ রিফ্রেশ রেটে অপারেট করা যাবে। এছাড়াও থাকছে এইচডিআর টেন প্লাস ও ১৫০০ নিট পিক ব্রাইটনেস। ডিসপ্লের রেজুলেশন ১০৮০বাই২৪৪৮ (ফুল এইচডি)। ডিসপ্লের সুরক্ষায় স্ক্রিন হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাসের সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক সংস্করণ গরিলা গ্লাস ভিক্টাস। এই একই মডিউলের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছিল আরওজি ফোন সিক্স এ।

দুটো ফোনেই পিছনের ক্যামেরা প্যানেলে ৩টি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৯ অ্যাপারচারের ৫০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ২৪ মিলিমিটার ওয়াইড। প্রাইমারি ক্যামেরার সেন্সর সনির আইএমএক্স ৭৬৬ (IMX 766) ১/১.৫৬ ইঞ্চি ইমেজ সেন্সর। স্মার্টফোন, ড্রোন, অ্যাকশন ক্যামেরা প্রভৃতি ডিভাইসে ব্যবহৃত সেরা ইমেজ সেন্সরের র‍্যাঙ্কিং তালিকায় এই সেন্সরটির অবস্থান সপ্তম। এই ক্যামেরা এইট কে ফরম্যাটের ভিডিও ধারণে সক্ষম। সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ২.২ অ্যাপারচারের ১৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ১২০ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড। তৃতীয় ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ম্যাক্রো। এই ক্যামেরা প্যানেলটিও আরওজি সিক্স সিরিজ থেকে নেওয়া। আর সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে ২.৫ অ্যাপারচারের একটি ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর যার লেন্স ২৯ মিলিমিটার ওয়াইড। সেলফি ক্যামেরার সেন্সরট সনির আইএমএক্স ৬৬৩ (IMX 663)।

দুটো ফোনেই সাউন্ড সিস্টেম হিসাবে থাকছে ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার ও ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক। সাউন্ড কার্ডে ব্যবহার করা হয়েছে ডিরাক এর অডিও টেকনলজি আর ব্লুটুথ অডিও আউটপুটে থাকছে কোয়ালকমের এপিটিএক্স অ্যাডাপ্টিভ কোডেক। তবে বরাবরের মতই থাকছে না আলাদা মেমোরি কার্ড স্লট। দুটো ফোনই অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের এবং ওজন ২৩৯ গ্রাম এবং। পিছনের ব্যাকশেল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস থ্রি।

স্মার্টফোন দুটো সচল রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের দুটো মোট ৬০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলি ব্যাটারি। যা ৬৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড। দ্রুত চার্জের জন্য থাকছে কোয়ালকমের কুইক চার্জ ফাইভ টেকনলজি। ফোনের নিরাপত্তায় থাকছে সুপার ফাস্ট আন্ডার ডিসপ্লে অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। এর পাশাপাশি গেমিং এর জন্য সুপার সেন্সিটিভ আল্ট্রাসনিক সেন্সর তো থাকছেই। আগের মতই এবারও ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট দুটোই থাকছে।

আরওজি সিক্স সিরিজে যে প্রসেসর কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছিল সেভেন সিরিজেও একই কুলিং সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। নতুন এই কুলিং সিস্টেমটির ফলে আরওজি সিক্স এ গেমিংয়ের সময় হিটিং ইস্যু প্রায় ১০ শতাংশ কমে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে বলা যায় আরওজি সেভেন এ গেমিংয়ের সময় হিটিং ইস্যু অনেকটাই কম হবে।

আরওজি ফোন সেভেন এর বিষয়ে ব্যবহারকারীদের বিশেষ সুখবর দিয়েছে আসুস। এর সঙ্গে যে অ্যারিও অ্যাক্টিভ কুলার দেওয়া হবে তাতে কেবল যে কুলিং ফ্যান থাকছে তা-ই নয়, বরং সেটি ছোটখাটো একটি সাব হুফারও বটে। এতে থাকছে একটি ১৩/৩৮ মিলিমিটার স্পিকার।

আরওজি ফোন সেভেন পাওয়া যাবে সাদা ও কালো দুটো রঙে এবং সেভেন আল্টিমেট পাওয়া যাবে কেবল সাদা রঙে।

আসুস জানিয়েছে আগামী মে মাস থেকে স্মার্টফোন দুটো আন্তর্জাতিক বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে। আরওজি ফোন সেভেন এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০০ ইউরো যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। আর সেভেন আল্টিমেট এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০০ ইউরো যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। ফোনগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে চলে আসলেও অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর না থাকায় বাংলাদেশে কখনোই অফিশিয়ালি এই স্মার্টফোন আসবে না।

/এএস

Header Ad
Header Ad

জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম । ছবি: সংগৃহীত

ইসলামপন্থীদের ঐক্যের প্রতি গণমানুষের প্রবল প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, “যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, তাহলে জোটবদ্ধ ইসলামি দলই হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। ইনশাআল্লাহ, রাষ্ট্রক্ষমতা আমাদের হাতেই আসবে।”

শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চরমোনাই পীর বলেন, “আমরা স্বাধীনতার পর ৫৪ বছরে বহু রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় দেখেছি, কিন্তু ইসলামি দল আজও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারেনি। এর বড় কারণ—আমরা বারবার নেতৃত্ব ও নীতির বাছাইয়ে ভুল করেছি। এবার আর সে ভুল নয়, এবার আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো।”

তিনি জানান, শুধু ইসলামি দলগুলো নয়, বরং দেশপ্রেমিক আরও কিছু রাজনৈতিক শক্তিকে একত্রে নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া চলছে। সেই ঐক্যই হতে পারে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার সেতুবন্ধ।

চরমোনাই পীর বলেন, “আমি বহু আগেই বলে আসছি—ইসলামপন্থী ভোট এক বাক্সে আনতে হবে। আমরা যদি কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলতে পারি, তাহলে জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রাখবে এবং ইসলামি শক্তিই হবে এই দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব।”

তিনি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “আগামী নির্বাচনে ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি’ চালু করতে হবে। যে দল যত ভোট পাবে, তারা তত আসনে প্রতিনিধিত্ব পাবে। এটা এখন জনদাবি—বহু রাজনৈতিক দল এই দাবিতে একমত।”

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “বিএনপির উচিত পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিন্তা করা। এতে করে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা পাবে।”

এ সময় তিনি ইসলামী আন্দোলনের সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোর প্রতি দলটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “সংস্কার প্রশ্নে আমরা আপসহীন। দেরি করা মানেই ২০২৪-এর গণ-আন্দোলনের সঙ্গে বেইমানি। আমরা বিশ্বাস করি, ৭২-এর সংবিধান জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি বধির ছিল, তাই সেটিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন অপরিহার্য।”

তিনি আরও বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ উপায়ে জনমত গঠনে বিশ্বাসী। তবে জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে দেশজুড়ে নতুন গণজাগরণ শুরু হবে।”

মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি ও ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে এই বক্তব্য নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে ইসলামপন্থীদের সক্রিয় ও সংগঠিত ভূমিকাই যে এখন আলোচনার কেন্দ্রে, সেটাই যেন প্রতিফলিত হলো এই বক্তব্যে।

Header Ad
Header Ad

খামেনির প্রাণ বাঁচালাম, ধন্যবাদটুকুও দিলো না: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে 'লজ্জাজনক মৃত্যুর' হাত থেকে রক্ষা করলেও, তিনি ধন্যবাদ জানাননি— এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, খামেনির অকৃতজ্ঞতা ভবিষ্যতে চড়া মূল্য দিয়ে দিতে হতে পারে। পাশাপাশি তিনি ইরানকে সতর্ক করেছেন যে, তারা যদি পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের পথে এগোয়, তবে তিনি আরও জোরালো সামরিক হামলার নির্দেশ দেবেন।

শুক্রবার (২৭ জুন) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম Truth Social-এ এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “আমি খামেনিকে অত্যন্ত জঘন্য ও অপমানজনক মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তো ধন্যবাদটুকুও দিলেন না।”

এই মন্তব্য করেন ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে ইরান নিজেদের বিজয় ঘোষণা করার প্রতিক্রিয়ায়। ইরানি সর্বোচ্চ নেতার এমন বক্তব্যকে ট্রাম্প “মিথ্যা ও বোকামিপূর্ণ” বলেও উল্লেখ করেন।

ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানে সাম্প্রতিক হামলার সময় খামেনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তা তাঁর জানা ছিল। এমনকি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি অংশ আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল বলেও জানান তিনি। সেই পরিকল্পনা নস্যাৎ করে তিনি খামেনিকে জীবনদান করেন— এমন ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম X-এ এক পোস্টে লিখেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি সত্যিই শান্তি ও চুক্তি চান, তাহলে আয়াতুল্লাহ খামেনির বিরুদ্ধে এমন অসম্মানজনক ভাষা বন্ধ করতে হবে। এতে শুধু আমাদের নেতাকে নয়, তাঁর কোটি ভক্তের অনুভূতিকেও আঘাত করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েল অতর্কিতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়। জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র পরে মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলে ১২ দিনের সংঘাত থামে। কিন্তু এই সময়টায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে বলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছিল।

নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “খামেনিকে হত্যা করতে পারলেই পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি কমবে এবং ইসরায়েল-ইরান শত্রুতা একধরনের ‘সমাপ্তি’র মুখে পড়বে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কেবল অতীত ঘটনার পর্যালোচনা নয়, বরং এটি আবারও মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে উসকে দিতে পারে।

আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কের টানাপড়েন ইতিমধ্যে পারমাণবিক ইস্যুকে ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। খামেনিকে ঘিরে এমন স্পর্শকাতর মন্তব্য ভবিষ্যতের কূটনৈতিক সম্পর্ককেও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

পুরস্কার না নিয়ে মনু মিয়ার জানাজায় অভিনেতা খায়রুল বাসার

মনু মিয়া ও খায়রুল বাসার। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ইটনায় বিনা পারিশ্রমিকে ৩ হাজার ৫৭টি কবর খননকারী মানুষটি, যিনি জীবনের প্রায় অর্ধশতাব্দী সময় ব্যয় করেছেন নিঃস্বার্থ এই কাজে— সেই মনু মিয়া (৬৭) আর নেই। তার মৃত্যুতে শোক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে, হৃদয়ে আঘাত লেগেছে দূরের মানুষদেরও।

তার প্রতি ভালোবাসা জানাতে ছুটে গেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাসার। পুরস্কার নিতে নয়, বরং শেষবারের মতো প্রকৃত এক নায়কের পাশে দাঁড়াতে।

শনিবার (২৮ জুন) এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল অভিনেতা খায়রুল বাসারের। কিন্তু মনু মিয়ার মৃত্যুসংবাদ শোনার পর সেই অনুষ্ঠানে না গিয়ে সরাসরি কিশোরগঞ্জের ইটনায় ছুটে যান তিনি।

সন্ধ্যায় এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “মনু কাকা আমার আত্মীয় না হলেও তার জীবনদর্শন আমাকে নাড়া দিয়েছে। কয়েকদিন আগে কথা হয়েছিল, আমাকে বাড়িতে আসার জন্য বলেছিলেন। আজ এলাম, কিন্তু পেলাম না তাকে জীবিত। তার ঘর, তার তৈরি সরঞ্জাম দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ঠিক যেমন বলেছিলেন, তেমন করেই সাজানো। আমি চোখে দেখলাম একজন সৎ, সহজ ও আলোকিত মানুষের শেষ চিহ্নগুলো।”

খায়রুল বাসার আরও বলেন, “পুরস্কার তো জীবনে আরও পাওয়া যাবে। কিন্তু জীবিত এই মানুষটিকে শেষবার না দেখার আফসোস সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হতো। তাই আমি মনে করেছি— আজ এই জানাজায় উপস্থিত হওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি ছিল।”

এর আগে মনু মিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে, সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে তার মানবিক জীবনের গল্প। সেই সময় কেউ বা কারা তার একমাত্র সঙ্গী ঘোড়াটিকে মেরে ফেলে। অভিনেতা খায়রুল বাসার তখন তাকে একটি নতুন ঘোড়া উপহার দিতে চাইলেও মনু মিয়া শুধু দোয়ার আবেদন করেন।

মনু মিয়ার জীবনদর্শনে মুগ্ধ খায়রুল বাসার তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলেন— “আজ এক নায়কের সাথেই দেখা হলো আমার। আমি নিজ চোখে এক নায়ককেই দেখে আসলাম, বুক মেলালাম এক নায়কের সাথে! আজন্ম এক নায়ক মনু মিয়া। এই নায়কের গল্প বলবো শিগগিরই। মনু চাচা দোয়া ছাড়া কিছু চান না আপনাদের কাছে। উনি আপনাদের জন্য দোয়া করেন, যেন ভালো থাকেন।”

জীবনভর কোনো পারিশ্রমিক কিংবা উপহার না নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের কবর খুঁড়ে যাওয়ার এই মহান কর্মযোদ্ধা বলেছিলেন, “আমি কবর খুঁড়ি আল্লাহকে খুশি করার জন্য। মানুষের কাজ করি, তার বিনিময়ে কিছু নেই।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর
খামেনির প্রাণ বাঁচালাম, ধন্যবাদটুকুও দিলো না: ট্রাম্প
পুরস্কার না নিয়ে মনু মিয়ার জানাজায় অভিনেতা খায়রুল বাসার
মা হারালেন ব্যান্ড তারকা তানজির তুহিন
ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে বিএনপি: আমীর খসরু
ফিলিস্তিনের মতো সাইপ্রাসও দখলে নিচ্ছে ইসরায়েল!
কালও চলবে এনবিআরের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’
‘এনবিআরের প্রশাসনিক আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই’
সিইসির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
নওগাঁয় ছাত্রদলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নব গঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু,  শনাক্ত ৭
এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে: ট্রাম্প
ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে ১৬ দফা ঘোষণা
নতুন রক্তের গ্রুপের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
গোলাপ জলে গোসল করে রাজনীতি ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা
সাগরতীরে বিলাসবহুল রিসোর্ট উদ্বোধন করলেন কিম জং উন
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২
কূটনৈতিক অস্ত্র পানি নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান, শঙ্কায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান
পশ্চিমবঙ্গে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে তোলপাড়
দুধ আমদানি করা লজ্জার বিষয়: উপদেষ্টা ফরিদা