যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জুন) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইরান যদি অতিরিক্ত মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে শুরু করে, তাহলে ‘নিঃসন্দেহে’ দেশটিতে বোমা হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিবিসির সাংবাদিক নোমিয়া ইকবালের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমরা খুবই সতর্কভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। যদি তারা এমন কিছু করে যা আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ অবশ্যই বিবেচনায় থাকবে।”
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন বাহিনী ইরানের কয়েকটি কৌশলগত পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যার মধ্যে ‘বাংকার বাস্টার’ বোমার ব্যবহারও ছিল। হামলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যদিও ট্রাম্প পরে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এক ভাষণে দাবি করেন, ওই হামলায় ইরান বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। কিন্তু ট্রাম্প তার অবস্থানে অনড় থেকে পাল্টা মন্তব্য করেন, “আমরা জানতাম কোথায় আঘাত করতে হবে। তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে।”
পরবর্তীতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তিনি জানতেন আয়াতুল্লাহ কোথায় লুকিয়ে আছেন, এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে তাকে টার্গেট করতে না করার নির্দেশও তিনিই দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে গোপনে আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। যদিও তেহরানের ভাষ্য অনুযায়ী, যুদ্ধের ফলাফল তাদের অনুকূলে গেছে এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ব্যাহত করতে পারেনি।
তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি ভিন্ন সুরে স্বীকার করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলায় কিছু পারমাণবিক স্থাপনায় ‘গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি’ হয়েছে।