মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রতিবন্ধী শেখ ফয়সাল মানবতার আড়ালে একজন ভয়ঙ্কর প্রতারক

প্রতারক শেখ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

পরনে দামি কাপড়, চলেন দামি গাড়ির বহর নিয়ে। হাতে পরেন আড়াই কোটি টাকা দামের ঘড়ি। মিটিং করেন পাঁচতারকা হোটেলে। শুধু তাই নয় সঙ্গে থাকে সশস্ত্র দেহরক্ষী। চলাফেরা দেখলে যে কারও মনে হবে সে কোনো ধনী ব্যবসায়ী। না কোনো ধনী ব্যবসায়ী না এ হচ্ছে শেখ ফয়সাল নামের প্রতিবন্ধী এক প্রতারকের জীবনযাপনের কিছু বর্ণনা।

স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। সেই টাকা ব্যয় করেন নিজের ভোগ-বিলাসে। কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা শেখ ফয়সাল গত কয়েক বছর ধরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন এমন প্রচারণা চালান নানাভাবে। স্বাস্থ্য সেবা কার্ডের প্রচারণা চালান ফেসবুকে বাংলাদেশে প্রথম ৯৯৯ টাকায় হেলিকপ্টার সেবা দেয়ার কথা বলে দেশের মানুষের সামনে আলোচনায় আসেন তিনি।

আর এসব ভিডিও নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করেন। দীর্ঘদিন এসব প্রচার চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস নামের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার অবস্থা! এরই মধ্যে নামিয়ে ফেলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড।

রাজধানীর মিপুর-৬ নম্বরের বাজারের পাশে ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেসের কার্যালয়। কিন্তু যে ফ্লোরে অফিস ছিল সেখানেই এখন ভাড়া হবে সাইনবোর্ড ঝুলছে। মিরপুর-১ নম্বর ঈদগাহ মাঠ এলাকায় ২০২২ সালের ১২ই ডিসেম্বর বিভিন্ন তারকাদের এনে বিশাল কনসার্টের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবার প্রচারণার আয়োজন করেছিল ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস।

প্রতারক শেখ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় এক দোকানদার গণমাধ্যমকে বলেন, তার প্রতিবন্ধী মেয়ের জন্য একটি কার্ড করেছিলেন। কথা ছিল ফয়সালের অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ সকল চিকিৎসা পাওয়া যাবে। তখন দেশসেরা তারকাদের দিয়ে কনসার্টের আয়োজন করে সেই সময় তাদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকার বিনিময়ে একটি স্বাস্থ্যকার্ড বিক্রি করেন ফয়সাল। কিন্তু কখনোই এই কার্ডের সেবা পাননি এই ভুক্তভোগী নারী। শুধু এই নারীই নন, যারাই কার্ড নিয়েছেন এবং যোগাযোগ করেছেন কেউ স্বাস্থ্যসেবা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এদিকে ফরিদপুরে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ১৮৬ জনতা রোড গোপালগঞ্জের নিজ এলাকায় হাতেগোনা কিছুসংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে শেখ ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস। সেখানেও বহু মানুষ ৩০০ টাকা দিয়ে হেল্থ কার্ড নিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে- মিরপুরে ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেসের অফিসে আরবি গান ছেড়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন তারই ব্যবসায়িক পার্টনার থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী চাকরিজীবীদের। কিন্তু নিজে প্রতিবন্ধী হয়ে কীভাবে তিনি এ কাজ করেন? এ বিষয়ে জালাল হোসেন নামে পুরান ঢাকার একজন ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকে বলেন, অনলাইনে ফ্ল্যাট বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন নাফকো রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সঙ্গে। ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস সার্ভিস লিমিটেডের অফিসের ৬ষ্ঠতলায় তারই বাবার প্রতিষ্ঠান নাফকো অবস্থিত। প্রতারক ফয়সাল এর হেল্থ এক্সপ্রেসে বিনিয়োগ করলে সেই লাভের টাকা দিয়েই ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব এমন আশ্বাসে জালাল ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। পাশাপাশি তার ফ্ল্যাট বাবদ ২৫ লাখ টাকা আগেই তুলে দিয়েছিলেন শেখ ফয়সালের হাতে। কিছুদিন পর ব্যবসার লভ্যাংশ তো দূরের কথা- ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিতে তালবাহানা শুরু করেন।

এর কিছুদিন পর জালাল ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ গেলে তাকে বিদেশ থেকে গোল্ড বার নিয়ে আসতে বলেন ফয়সাল। গোল্ড বারের টাকার সঙ্গে আগের সকল পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটে উল্টোটা। এ সময় ব্যবসায়ী জালালকে ফয়সালের অফিসে ডেকে রাতভর উচ্চ ভলিউমে আরবি গান ছেড়ে বন্দুক ও লাঠি-লোহার রড দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন শেষে জালালের সামনে ইয়াবা রেখে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে স্বীকারোক্তি নেয়া হয় ফয়সালের কাছে তার কোনো টাকা পাওনা নেই। এরপর ফয়সালের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ব্যবসায়ী জালালকে তার বাসায় নামিয়ে দেন। এসব ঘটনার পর ফয়সালের বাবা নতুন করে দলিল করে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার চুক্তি করেন। কিন্তু এটা ছিল তার নতুন ফাঁদ। গা শিউরে ওঠা ফয়সালের এই নির্যাতনের সাক্ষী বহু মানুষ।

মিরপুর-১০ নম্বরে এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিকও তার নির্যাতনের শিকার। শেখ ফয়সাল বরাবরই আয়েশি জীবনে অভ্যস্ত। মাঝে-মধ্যে দলবল নিয়ে চলে যান দুবাই। সেখানে থাকেন তারকা হোটেলে। ফয়সালের ভিসাসহ এসব কাজ করে দিতেন মিরপুর-১০ নম্বরের ব্যবসায়ী ইমন। ফয়সালের বিমানের টিকিট, হোটেল ভাড়া সবকিছু তিনিই ঠিক করে দিতেন। সেই টিকিট কাটতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। ৬ লাখ টাকার টিকিট করে দেয়ার পর সেই টাকা নিয়ে তালবাহানা শুরু করেন ফয়সাল।

পরে দুবাইয়ে থাকাকালীন ১ লাখ দিরহামের ব্যবস্থা করে দিতে ইমনকে অনুরোধ করেন। সেই দিরহামের ব্যবস্থা করে দিয়ে ফয়সালের মিরপুর অফিসে টাকা আনতে গেলে পাওনা ৪০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে সিনেমা স্টাইলে ফয়সালের লোকজন সেই টাকা কেড়ে নেয়। পরে তাকেও আটকে নির্যাতন করা হয়। এরপর তার থেকে ভিডিও বক্তব্য নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পাওনা টাকা ফেরত চাইলে দেশে ফিরে ফয়সাল উল্টো ৪৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ভুয়া মামলা দেয় ইমনের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে মিরপুর-৬ নম্বরের এক স্থানীয় নেতা এবং তারই সহকারী রাসেলও আসামি হন এই মামলায়। তুরাগ থানায় করা ভুয়া মামলাটি পরে খারিজ হয় আদালতে। এ ঘটনায় জড়িত মশিউর ঢাকা ছেড়ে তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলে চলে যান। মিরপুর থানায় ৬ লাখ টাকার জিডি করলেও বাকি ৩৪ লাখ টাকার কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি তারা।

ফয়সাল যে শুধুই এসব ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা বা নির্যাতন করেছেন তেমনটি নয়। তার প্রতিষ্ঠানে যারা বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেছেন তাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন। অলিফিন বিডি- রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোডে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানটি। আব্দুল্লাহ আল সাব্বির প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তিনি ফয়সালের জিমে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ করতেন। কিন্তু কাজ শেষে সেই টাকা নিয়ে শুরু হয় তালবাহানা। দফায় দফায় যোগাযোগ করা হয় শেখ ফয়সালের সঙ্গে। পরে সেই টাকা আনতে প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী ফয়সালের অফিসে গেলে তাকেও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয় ফয়সালের লোকজন।

শেখ ফয়সালের এমন প্রতারণা নতুন নয়। ২০২১ সালে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে নিজেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে দুই যুবককে নির্যাতন করেন। পরে ভুয়া ডিবি সাজার অপরাধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা হয় শেখ ফয়সালের নামে। এ মামলায় আসামি ছিল আর দুইজন।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ ফয়সাল গণমাধ্যমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। যারা অভিযোগ করেছেন তারা প্রত্যেকেই প্রতারক বলেও দাবি করেন ফয়সাল। তিনি বলেন, আমার ফেসবুক পেজে প্রায় ১০ মিলিয়ন ফলোয়ার। এটা এমনি এমনি হয়নি। আমি কীভাবে মানুষকে নির্যাতন করবো। আমি নিজেই তো একজন পঙ্গু মানুষ।

Header Ad

হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ভিআইপি পরিবহনের বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ৩০টি বাস আটক করেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী সাবিত, যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের ছাত্র, অভিযোগ করেছেন যে তিনি বাসে উঠার পর হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের হেল্পারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাস থেকে নামার সময় হেল্পার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, ফলে তার দুই পা কেটে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে হয়।

আহত সাবিত জানান, "আমি আজিমপুর থেকে কলেজে আসার জন্য ভিআইপি বাসে উঠি। নামার সময় হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় তারা আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, যার ফলে আমি পা ও হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই।"

অপরদিকে, আটক বাস চালকরা জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী কোনো ঘটনার কারণে এসব বাস আটক করা হয়েছে। লিটন নামের এক চালক বলেন, "কোন বাসের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি জানি না। তবে, শুনেছি কলেজের এক ছাত্রকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে হেল্পার। তাই আমাদের বাসগুলো আটক করেছে।"

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং নিউমার্কেট থানাকে জানিয়েছি। থানার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি দেখছে। তবে শিক্ষার্থীদের নিজেদের হাতে বিচার তুলে নেওয়া উচিত নয়।"

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে স্থানীয় নিউমার্কেট থানার পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় আটক বাসগুলো নিয়ে যায় মালিকপক্ষ। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

Header Ad

ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘকাল ধরে চলমান ভারত ও চীনের সীমান্ত সমস্যা অবশেষে মিটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষও ঘটেছে, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতির পথে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এবং আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপির রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) সংক্রান্ত এলাকায় 'টহল বন্দোবস্ত' এবং সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যে অচলাবস্থা ছিল, তা সমাধান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তাঁর এই সফরের প্রেক্ষিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, "গত কয়েক সপ্তাহে ভারত ও চীনের কূটনীতিক এবং সামরিক মধ্যস্থতাকারীরা বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার ফলস্বরূপ, সীমান্তে বিরোধের বিষয়গুলো সমাধান হয়েছে।"

তিনি আরও জানান, দুই দেশ এখন 'পরবর্তী উদ্যোগ' নিতে শুরু করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, "২০২০ সালের আগে সীমান্তে যে ধরনের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হত, তা আবারও শুরু হবে।"

যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই চুক্তির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে জয়শঙ্কর বলেছেন, "২০২০ সালের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছি, যার মাধ্যমে আমি বলতে পারি যে চীনের সঙ্গে সীমান্তে বিরোধের অবসান ঘটেছে।"

অতীতে, ভারত সরকার জানিয়েছিল যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি তখনই ফিরে আসবে, যখন চীন তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। চীনের সেনা মোতায়েনের জবাবে ভারতও ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রিকস সম্মেলন শুরুর এক দিন আগে এই ঘোষণায় মোদি ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মোদি ও শি'র দেখা হয়েছে ১৪ বার, কিন্তু ২০২২ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর মাত্র দুইবার তারা সাক্ষাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি জিয়ান জানিয়েছেন, "ভারত-চীন সীমান্তের বিরোধিতাপূর্ণ বিষয়গুলো সমাধানে দুই দেশ একমত হয়েছে।"

Header Ad

টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা

ছবি: সংগৃহীত

টাকা না পাওয়ায় চাঁদপুরের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) শাখায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত ব্যাংকটিতে টাকা উত্তোলনের জন্য গ্রাহকরা জড়ো হন। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ রাখলে উত্তেজিত গ্রাহকরা প্রবেশদ্বারে তালা লাগিয়ে দেন।

পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া উপস্থিত হয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চাঁদপুর জেলা শাখায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে ১০০ জন গ্রাহকেরও টাকা দিতে পারছে না ব্যাংক। জেলার অন্যান্য শাখাগুলোর পরিস্থিতিও একই রকম। ব্যাংকের টাকা সংকটের কারণে গ্রাহকরা চাহিদা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন না, যা তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

সরকার পতনের পর থেকেই ব্যাংকটির লেনদেনে জটিলতা শুরু হয় এবং তা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বর্তমানে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে টাকার সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না।

অনেক গ্রাহক জানান, দুই সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে এসে ব্যর্থ হচ্ছেন। প্রতিবারই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের পরবর্তী সপ্তাহে আসার পরামর্শ দেন, কিন্তু টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয় না। আজকের দিনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাংকের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মাহবুব আলম জানান, রোববার ও সোমবার সীমিত আকারে লেনদেন চলছিল, তবে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। আজ সম্পূর্ণ লেনদেন বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা তালা মেরেছেন। তিনি আরও জানান, প্রধান কার্যালয় থেকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা দিয়ে আপাতত গ্রাহকদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া সম্ভব হবে।

ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, "ব্যাংকে ভিড় জমেছে এবং গ্রাহকরা তাদের টাকা পাচ্ছেন না, এমন খবর পেয়ে আমরা টহল পার্টি পাঠাই। পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে আমি নিজে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে কিছু টাকার ব্যবস্থা করি। আশা করছি, আপাতত গ্রাহকদের শান্ত করা যাবে।"

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম
আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলো
বিরামপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
১৭ প্রতিষ্ঠানসহ সালমান পরিবারের নথি তলবে ৭০ সংস্থায় চিঠি
আন্ডারপাসের দাবিতে ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনের দীর্ঘলাইন
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
এসআই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষমা চেয়ে আদালতে ব্যারিস্টার সুমন বললেন, ‘আমি খুব সরি স্যার’
ফেসবুক লাইভে মিথ্যা আতঙ্ক ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৫৭ বাংলাদেশি
সারদায় পুলিশের ২৫০ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গনজমায়েতের ডাক
৩৬৯ দিন পর অবশেষে মাঠে ফিরলেন নেইমার