বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক

ছবি: সংগৃহীত

দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশীর অর্থপাচার করে গোল্ডেন ভিসায় সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমে ইতোমধ্যে ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই ৭০ জনের কর শনাক্তকরণ নম্বরসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য চাওয়া হলেও সেখানে তাদের পদ বা বিস্তারিত পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের লিডার রাম প্রসাদ ম-লের সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ই-টিআইএন, আয়কর রিটার্নসহ সব প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। চিঠিতে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা অর্থের মাধ্যমে দুবাইয়ে সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘চিঠির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কর্মকর্তা বলতে পারবেন। দুদকের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা তার প্রয়োজনে যে কোনো নথিপত্র তলব করতে পারেন। সেটা সম্পূর্ণ তার এখতিয়ার।’

চিঠিতে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা অর্থের মাধ্যমে দুবাইয়ে সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে চিহ্নিত এই ৭০ জনকে ‘ভিআইপি’ বাংলাদেশী হিসেবে উল্লেখ করেছে দুদক। এই তালিকায় রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীসহ বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাও আছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই) তাদের ৯৭২টি স্থাবর সম্পত্তি কেনার অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন), আয়কর রিটার্নসহ যাবতীয় তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে তথ্য তলব করেছে সংস্থাটি।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে জারি করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদক উপপরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট অভিযোগের নিরপেক্ষ অনুসন্ধান নিশ্চিত করতে ৪৫৯ ব্যক্তির নাম-পরিচয়সহ কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সার্টিফিকেট এবং সংশ্লিষ্ট কর সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য (ভিউ ডিটেইলস) সংগ্রহ জরুরি। এজন্য এনবিআরকে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের কর সংক্রান্ত রেকর্ড আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দুদকে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থপাচারবিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে এ ধরনের অনুসন্ধানকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে দুদক। সংস্থাটি মনে করছে, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ এবং সম্পদ শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে।
দুদকের এই অনুসন্ধান এমন সময়ে সামনে এলো, যখন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ’ ও ইউরোপীয় সংস্থা ‘ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি’ জানিয়েছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৫৯ বাংলাদেশী নাগরিক দুবাইয়ে মোট ৯৭২টি আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তি কিনেছেন। যার কাগজে-কলমে মূল্য প্রায় ৩১৫ মিলিয়ন ডলার। তবে প্রকৃত বিনিয়োগ আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
তালিকাভুক্ত ৭০ জনের মধ্যে রয়েছেন, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, আমলা, বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বিনিয়োগকারীসহ নানা পেশার লোকজন। যদিও দুদক এখনো কারও পূর্ণ পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি।

সূত্র জানায়, দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সহযোগিতায় তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এরই অংশ হিসেবে এনবিআরের কাছে তাদের আয়কর রিটার্ন ও টিআইএনসহ যাবতীয় কর সংক্রান্ত তথ্য তলব করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালে দুদক এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) তথ্য পাঠায়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের পাচার অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ায় এবং বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ তৈরি করে। বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগ না করে বাইরে সম্পদ গড়ার প্রবণতা নীতিনির্ধারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

সরকার ইতোমধ্যে পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে ‘বিশেষ আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রেস সচিব জানিয়েছেন। এনবিআরও ‘আন্তর্জাতিক কর বিশেষজ্ঞ’ নিয়োগের চিন্তা করছে।

দুদকের অনুসন্ধান ও এনবিআরের তথ্য যাচাইয়ের পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদেশে সম্পদ রাখার বৈধ উপায় থাকলেও অনেকে তা গোপন করে পাচার করেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে। এনবিআরের কর রেকর্ডের সঙ্গে এসব তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। অপরাধের প্রমাণ মিললে মামলা করা হবে।’
তিনি জানান, দুবাইয়ে ‘গোল্ডেন ভিসা’ নেওয়ার শর্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সেখানে বিনিয়োগ বা জমা রাখতে হয়। সেই অর্থ বাংলাদেশ থেকে কীভাবে পাঠানো হয়েছে, বৈধ রেমিটেন্স নাকি হুন্ডিÑ তা বিশ্লেষণ করছে দুদক।

চিঠিতে চিহ্নিত সন্দেহভাজন ৭০ ভিআইপির নামও উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের বিষয়ে কর নথি তলব করা হয়েছে। তারা হলেন, আহসানুল করীম, আনজুমান আরা শহীদ, হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল, হুমায়রা সেলিম, জুরান চন্দ্র ভৌমিক, মো. রাব্বী খান, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, এস এ খান ইখতেখারুজ্জামান, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সৈয়দ ফাহিম আহমেদ, সৈয়দ হাসনাইন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, সৈয়দ রুহুল হক, গোলাম মোহাম্মদ ভুঁইয়া, হাজী মোস্তফা ভুঁইয়া, মনজ কান্তি পাল, মো. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, মো. মাহবুবুল হক সরকার, মো. সেলিম রেজা, মোহাম্মদ ইলিয়াস বজলুর রহমান, এস ইউ আহমেদ, শেহতাজ মুন্সী খান, এ কে এম ফজলুর রহমান, আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, গুলজার আলম চৌধুরী, হাসান আশিক তাইমুর ইসলাম, হাসান রেজা মহিদুল ইসলাম, খালেদ মাহমুদ, এম সাজ্জাদ আলম, মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী, মোস্তফা আমির ফয়সাল, রিফাত আলী ভুঁইয়া, সালিমুল হক ঈসা /হাকিম মোহাম্মদ ঈসা, সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান /সৈয়দ কামরুজ্জামান, সৈয়দ সালমান মাসুদ, সৈয়দ সাইমুল হক, আবদুল হাই সরকার, আহমেদ সামীর পাশা, ফাহমিদা শবনম চৈতি, মো. আবুল কালাম, ফাতেমা বেগম কামাল, মোহাম্মদ আল রুমান খান এবং মায়নুল হক সিদ্দিকী।

এ ছাড়াও তালিকায় আরও যেসব নাম রয়েছে- মুনিয়া আওয়ান, সাদিক হোসেন মো. শাকিল, আবদুল্লাহ মামুন মারুফ, মোহাম্মদ আরমান হোসেন, মোহাম্মদ শওকত হোসেন সিদ্দিকী, মোস্তফা জামাল নাসের, আহমেদ ইমরান চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, এম এ হাশেম, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন চৌধুরী, নাতাশা নূর মুমু, সৈয়দ মিজান মোহাম্মদ আবু হানিফ সিদ্দিকী, সায়েদা দুররাক সিনদা জারা, আহমেদ ইফজাল চৌধুরী, ফারহানা মোনেম, ফারজানা আনজুম খান, কে এইচ মশিউর রহমান, এম এ সালাম, মো. আলী হোসেন, মোহাম্মদ ইমদাদুল হক ভরসা, মোহাম্মদ ইমরান, মোহাম্মদ রোহেন কবীর, মনজিলা মোর্শেদ, মোহাম্মদ সানাউল্যাহ চৌধুরী এবং মোহাম্মদ সরফুল ইসলাম।

এই তালিকা অনুসারে এনবিআর-এর কাছে তাদের ই-টিআইএন, আয়কর রিটার্নসহ যাবতীয় কর সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক।

Header Ad
Header Ad

পুতিন ইউক্রেনে শান্তি চান বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে শান্তি চুক্তি করতে আগ্রহী বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি, পুতিন শান্তি চান।”

তিনি এ মন্তব্য করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে রোমে পোপের শেষকৃত্যে অনুষ্ঠিত এক নাটকীয় বৈঠকের পর।

তবে গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছিলেন, “পুতিন গত কয়েকদিন ধরে বেসামরিক এলাকা ও শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন, যার কোনও যুক্তি নেই। আমি মনে করি হয়তো তিনি এখনো যুদ্ধ থামাতে চান না। শুধু আমার সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন।”

এদিন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দেন, পুতিন ইউক্রেনের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিলেন, “কিন্তু আমার কারণে তিনি তা করতে পারবেন না।”

নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি এখনো বাস্তবে ফলপ্রসূ হয়নি বলে সমালোচকরা মনে করছেন।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি বলেছেন, “যদি উভয় পক্ষ (রাশিয়া ও ইউক্রেন) শক্তিশালী শান্তি প্রস্তাব না দেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে শান্তির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।”

সূত্র: এএফপি

Header Ad
Header Ad

প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করছি, যেখানে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি রয়েছে। এই বাস্তবতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখাটা আত্মঘাতী।”

আজ (বুধবার) বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয় ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকারে অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় বিমানবাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ করেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, “আমি যুদ্ধবিরোধী মানুষ, পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক এটা চাই না। তবে যুদ্ধপ্রস্তুতিরও একটা বিপজ্জনক দিক আছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় চোখ বন্ধ রাখা চলে না। এই পরিবেশে যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখা মানে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর প্রস্তুতি নিলে সেটা পূর্ণমাত্রায় নিতে হয় - অর্ধেক প্রস্তুতির কোনো স্থান নেই।”

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতি এখন দুর্বল। বিগত সরকারের কারণে অর্থনীতি লুট হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এতে শুধু বাহিনীর নয়, দেশের মানুষের মনোবলও বাড়বে।”

বিমানবাহিনীর প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিমানবাহিনী বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে। তারা দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহারে আত্মনির্ভরতার উদাহরণ তৈরি করেছে। সরকারও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সরবরাহ ও সহযোগিতায় সর্বাত্মক ভূমিকা রাখছে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তৎপর থাকতে হবে এবং পেশাগত কারিগরি সক্ষমতা বজায় রেখে একটি আধুনিক ও শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়তে বিমানবাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।”

Header Ad
Header Ad

নেত্রকোণায় পুলিশ ডেকে বন্ধুকে ফাঁসিয়ে হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে পুলিশের সহায়তায় বন্ধুকে আটক করিয়ে তার হবু স্ত্রীকে হোটেল কক্ষে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে দুর্গাপুর পৌরশহরের বিরিশিরি এলাকা থেকে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দুর্জয় (২৪) দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং উপজেলার চন্ডিগড় গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। অভিযোগ ওঠার পরপরই ছাত্রদল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণী রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে পড়েন। তার সঙ্গে নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এবং পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়।

সোমবার ওই তরুণ ও তরুণী একসঙ্গে দুর্গাপুরে ঘুরতে যান এবং ছাত্রদল নেতা দুর্জয়ের পরামর্শে বিরিশিরির একটি হোটেলে ওঠেন। মঙ্গলবার বিকালে তরুণ খাবার কিনতে বাইরে গেলে দুর্জয় পুলিশে ফোন করে মিথ্যা অভিযোগ দেন, তার বন্ধু ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং তাকে যেন গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণকে আটক করে।

এরপর তরুণ পুলিশের কাছে জানান, তার হবু স্ত্রী হোটেল কক্ষে একা আছেন। পুলিশ তার সঙ্গে কক্ষে গেলে ভেতর থেকে মেয়েটির চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে এবং তরুণী জানান, দুর্জয় তাকে ধর্ষণ করেছেন।

ওসি আরও জানান, পুরো ঘটনাটি অল্প সময়ের মধ্যে ঘটে এবং ভুক্তভোগী তরুণী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলার পর দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বুধবার আদালতে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা নেত্রকোণা জেলা সদর হাসপাতালে সম্পন্ন করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী জানান, সংগঠনের নীতিবিরোধী আচরণের জন্য দুর্জয়কে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পুতিন ইউক্রেনে শান্তি চান বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
নেত্রকোণায় পুলিশ ডেকে বন্ধুকে ফাঁসিয়ে হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
একটু আদরে আমাকে রাখো: মাহি
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরের প্রাচীর ধসে ৮ জন নিহত, তদন্তে কমিটি গঠন
হাসিনা কখনও বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: ফখরুল
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৩২৬৯ হজযাত্রী
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ বছর কারাদণ্ডের সাজা বাতিল
গাজীপুরে ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় হাজির বাবা
রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায় ৮ মে
রেফারিকে আক্রমণ করে ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ রুডিগার
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
৪০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আসছে
১৯ দিন পর কারামুক্ত আলোচিত মডেল মেঘনা আলম
কলকাতায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৪
উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলার ঘটনায় মামলা
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি, দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে