বুধবার, ১ মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অটোরিকশা ছিনতাই চক্র গ্রেপ্তার

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স না থাকায় এটাকে টার্গেট করে সারাদেশে কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে অপরাধ করে আসছে একটি চক্র। ভাড়ার কথা বলে নির্জনে নিয়ে ছিনতাই করে লাইসেন্স বিহীন অটোরিকশা বিক্রি করে দেয় তারা। ছিনতায়ে বাঁধা দেওয়ায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে খুনের ঘটনাও ঘটছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

বুধবার (২ মার্চ) রাতে রাজধানীর গাবতলী টার্মিনাল, বংশাল, ঢাকা মেডিকেল, যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়া ও মাতুয়াইলে অভিযান চালিয়ে এ চক্রের প্রধান রাফসান হোসেন রুবেলসহ সিএনজি ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

সিআইডি জানায়, এ চক্রের প্রধান রাফসান হোসেন রুবেল ওরফে পাওয়ার রুবেল (৩২) সহ তার দুই সহযোগী আবুল কালাম (৫০) ও ইমন আলী (২২) গ্রেপ্তার হন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে গ্রেপ্তার হন- মাসুদ রানা রনি (৩২) ও রকিবুল হাসান আলিফ (৩২)। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা সিএনজি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স না থাকায় এবং ইঞ্জিন ও চেচিস নাম্বার না থাকায় তা ছিনতাই করে সহজেই বিক্রি করে দেওয়া যায়, ভালো দামও মেলে। পাশাপাশি সিএনজি ছিনতাইয়ের পরে মালিকের কাছে মুক্তিপণও দাবি করে চক্রটি।

সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে আসে এই চক্রটি বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে আসছে। প্রথম দলের সদস্যরা সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে টার্গেট করে, তার বাসা-বাড়ি, মোবাইল নম্বর ও গাড়ির গ্যারেজের অবস্থানসহ সব তথ্য সংগ্রহ করে। পরে তারা দ্বিতীয় দলকে এই সব তথ্য বুঝিয়ে দেয়। এই দলের সদস্যরা গাড়ির গ্যারেজের আশপাশে অবস্থান নেয়, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে চালক রাতে গাড়ি গ্যারেজে জমা দিতে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা যাত্রীবেশে গাড়িতে ওঠে, অধিক ভাড়ার কথা বলে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। পরে চালককে মারধোর করে রাস্তার পাশে ফেলে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। ওখান থেকে গাড়ি ছিনিয়ে নিয়ে তৃতীয় দলের কাছে পৌঁছে দেয়। পরে তৃতীয় দলের সদস্যরা চালককে ফোন নিয়ে নিদিষ্ট অর্থের বিনিময়ে সিএনজি ও অটোরিক্সা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব করেন। অর্থ পেলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিএনজি ফেরত পায় ভূক্তোভোগী চালক।

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে সিআইডি এ ধরনের চোর চক্রের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করে। অবশেষে সিআইডির একটি চৌকস টিম এ চক্রের সদস্যদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এবং এ অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুক্তা ধর আরও বলেন, মাসুদ রানা প্রথম দলের সদস্য হিসেবে ছিনতাইয়ের জন্য টার্গেট করা সিএনজির চালক ও তার গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে চক্রেটির টিম লিডার রাফসান হোসেন রুবেল পাওয়ার রুবেলকে জানায়। দ্বিতীয় দলের নেতৃত্বে থাকা রকিবুল হাসান আলিফ ও তার অপর সহযোগীরাসহ যাত্রীবেশে লোভনীয় ভাড়া দেওয়ার কথা বলে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রটির প্রধান রাফসানের নামে নয় থেকে দশটি মামলা আছে সারাদেশের বিভিন্ন থানায়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

কেএম/এএস

Header Ad

পুলিশ হেফাজতে সালমান খানের বাড়িতে হামলার অস্ত্রদাতার আত্মহত্যা

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যা করেছেন বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই অস্ত্রদাতা। সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সালমান খানের বাড়িতে হামলার মামলায় পুলিশ ভিকি গুপ্তা (২৪), সাগর পাল (২১) এবং অনুজ থাপন (৩২) নামের তিনজকে গ্রেপ্তার করে। এরমধ্যে অনুজ থাপনসহ দুজন অস্ত্র সরবরাহ করেন।

সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল অনুজকে পাঞ্জাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে টয়লেটে গিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, অনুজ ১০ জন কারাবন্দীর সঙ্গে ছিলেন। তাঁকে দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল চার থেকে পাঁচজন পুলিশ। অনুজের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলছে।

গত ১৪ এপ্রিল ভোরে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সালমানের বাড়ির বাইরে দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলি চালায়। এরপর হেলমেটের আড়ালে মুখ ঢেকে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তারা।

মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ধারণা এটি শুধুমাত্র ভয় দেখানো কোন হামলা নয়। এর পেছনে দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে। তাদের ধারণা কারাবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। বিষ্ণোই গ্যাং ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।

দুই মাস পর ইলিশ ধরতে নেমেছেন জেলেরা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের ৬ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত মধ্যরাতে। ফলে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে জাল-নৌকা নিয়ে মাছ শিকারে নেমেছেন জেলেরা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাত থেকে ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুরসহ নদী অঞ্চলে জেলেদের ইলিশ ধরতে দেখা গেছে।

চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বিচরণ করছেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। নিষেধাজ্ঞা সফল হয়েছে দাবি করে এবার রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ উৎপাদনের আশা করছে মৎস্য বিভাগ।

দুই মাস পর মাছ ধরা শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মৎস্য ঘাট ও জেলেপল্লিতে রীতিমতো উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে আড়ৎগুলোতে।

এর আগে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বাড়াতে মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস দেশের ছয় অভয়াশ্রমে সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়।

গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন? হতে পারে বড় বিপদ

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে বইছে তীব্র দাবদাহ। কোথাও মিলছেনা একটুখানি স্বস্তি। তবে প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি যোগায় এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানিতে। অনেকে অতিরিক্ত স্বস্তি পেতে বরফ মেশানো পানিও পান করে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা এতে উপকারের চেয়ে শরীরের ক্ষতিই দেখছেন বেশি।

এই গরমে নিয়মিত পানি পানের কোন বিকল্প নেই। তবে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পানে হিতে বিপরীত হতে পারে।

অনেকেই খাবার খাওয়ার সময় বা তীব্র গরমে ঠান্ডা পানি পান করেন। এতে হজমে ব্যাঘাত ঘটে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত ঠান্ডা পানি খেলে খাবারে থাকা পুষ্টিগুণ গ্রহণ করতে চায় না শরীর।

এছাড়াও তীব্র গরমে ঘরে ফিরেই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেলে গলায় ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বুকে ও মাথায় জমে যেতে পারে কফ। হাঁচিকাশির নিতে পারে পিছু।

নিয়মিত ঠান্ডা পানি খেলে ওজন কমাতেও বেগ পেতে হয়। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা পানির কারণে শরীরের ফ্যাট মেটাবোলিজম ধীর হয়ে যায়। ফলে বাড়তে শুরু করে ওজন। তাই শরীরচর্চার পর হুট করে ঠান্ডা পানি পান থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।

হুট করে ঠাণ্ডা পানি পানে দেহের তাপমাত্রা হঠাৎই বদলে যায়। তাপমাত্রাজনিত এই তারতম্যের সঙ্গে শরীর ঠিক মানিয়ে নিতে পারে না। এতে পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে ক্রনিক ব্যথাসহ একাধিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানিকে না বলুন।

সর্বশেষ সংবাদ

পুলিশ হেফাজতে সালমান খানের বাড়িতে হামলার অস্ত্রদাতার আত্মহত্যা
দুই মাস পর ইলিশ ধরতে নেমেছেন জেলেরা
গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন? হতে পারে বড় বিপদ
নিজ এলাকায় জানাজায় গিয়ে মোবাইল হারালেন ধর্মমন্ত্রী
মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হচ্ছে!
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা
বিমানের খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী, দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী
যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব!
সৌদি আরবে ভারী বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, মদিনায় রেড এলার্ট!
সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
বৃষ্টি নিয়ে সুসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় নিহত বেড়ে ১৬৯, নিখোঁজ শতাধিক
টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নারীসহ নিহত ২
শ্রমিকের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে সরকার: রাষ্ট্রপতি
‘আমার জীবনটা এখানেই থেমে গেলো’