রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

রিজার্ভ থেকে অর্থ ছাড়াই দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলারের দেনা পরিশোধ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে কোনো অর্থ খরচ না করেই গত দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধ করেছে। এর ফলে তেল, গ্যাস, সারসহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের আমদানি নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা কাটতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে সব দেনা পরিশোধের পর অর্থনীতিতে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তবে তিনি বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তা না করে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশকে প্রায় সব ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য, যেমন জ্বালানি তেল, গ্যাস, ও কয়লা, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর পেছনে গত অর্থবছরে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎ ও সার আমদানিতেও দেশের নির্ভরতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে, গত দুই বছর ধরে চলমান ডলার সঙ্কটের কারণে এসব ব্যয় সময়মতো পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে, আদানি, কাফকো, শেভরন এবং বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন) সহ বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বাংলাদেশের বকেয়া দাঁড়ায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। তবে, গত দুই মাসে রিজার্ভের অর্থ ব্যয় না করেই বাংলাদেশ ব্যাংক দেড় বিলিয়ন ডলারের দেনা পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি অংশও আগামী দুই মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গভর্নর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, "সরকারের ওপর প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলারের অনাদায়ী ঋণ ছিল, যা আমরা কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে এনেছি। সারের জন্য প্রচুর অর্থ দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুতের জন্যও ব্যয় হয়েছে। আদানি এবং শেভরনকেও পরিশোধ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী দুই মাসের মধ্যে এই দেনা শূন্যতে নামিয়ে আনতে পারব, যার ফলে বাজারে লিকুইডিটি আরও বাড়বে।"

দেনা পরিশোধের পর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় চাপ কমে আসবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি বাড়বে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে বর্তমানে ১০৩ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ ও এর উপর ধারাবাহিক চাপ কিছুটা উদ্বেগের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন গভর্নর।

তিনি আরও বলেন, "যদি আমরা আইএমএফ থেকে ২-৩ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত পাই এবং এর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ২ বিলিয়ন ডলার পাই, তাহলে আমরা এই ৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে কিছু সরকারি ব্যয় বাড়াতে পারব, যা অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে সহায়তা করবে। তবে এখনই বিনিয়োগে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার সময় নয়। বিশ্বব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী আমাদের প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে এটি সাময়িক, এক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।"

এ সময় শ্রম অসন্তোষের কারণে রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন গভর্নর।

Header Ad
Header Ad

এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে দুদক

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ছয়জন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২৯ জুন) দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।

দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, এনবিআরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিপুল অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। এসব কর্মকর্তারা করদাতাদের প্রকৃত কর কমিয়ে দিয়ে নিজেদের লাভবান হচ্ছেন। ফলে সরকার প্রতিবছর বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কোনো কোনো কর কর্মকর্তা ঘুষ না পেয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে করদাতাদের হয়রানি করছেন। এমনকি আগাম কর দেওয়া বা অতিরিক্ত কর দেওয়া করদাতাদের অর্থ ফেরত পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। সেই টাকা ফেরত পেতে করদাতাদের অনেক সময় ঘুষ বা উপহার দিতে হয়, যার পরিমাণ কখনো কখনো ফেরত পাওয়ার টাকার অর্ধেক পর্যন্ত।

দুদক জানিয়েছে, বিগত দুই দশকের বেশি সময় ধরে অনেক এনবিআর কর্মকর্তা তাদের দায়িত্ব পালনকালে নানা ধরনের শুল্ক, ভ্যাট ও কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে রাষ্ট্রকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এ ধরনের গুরুতর অভিযোগে যেসব এনবিআর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তারা হলেন: আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, ঢাকা কর অঞ্চল-১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক রিকাবদার এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু।

দুদক জানিয়েছে, এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি–ছাত্রদলের বিরুদ্ধে শিবিরের পরিকল্পিত অপপ্রচারের অভিযোগ নাছিরের

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারী ধর্ষণের ঘটনায় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটিকে ‘পরিকল্পিত অপপ্রচার’ বলে দাবি করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেছেন, এই অপপ্রচার চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির চক্র।

রবিবার (২৯ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে নাছির বলেন, “মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে একজন নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয় এবং সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ফজর আলীর পরিচয়ও আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে স্পষ্ট। অথচ এই ঘটনা ঘিরে বিএনপি-ছাত্রদলের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ঘটনাটিকে বিকৃত করে মধ্যরাতে জামায়াত-শিবিরের কিছু সদস্য বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা চালিয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক শিবির নেতা সাদিক কায়েম ও ঢাবি শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ। যারা গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্রলীগ থেকে শিবিরে যোগ দিয়েছে।”

নাছির দাবি করেন, “শিবির নেতারা বিএনপির নাম জড়িয়ে ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে নেতাকর্মীদের চরিত্রহননের চেষ্টা করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে। তারা ভুল স্বীকার না করে বরং আরও গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এটি ‘গুজবসন্ত্রাসে’ পরিণত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও ছাত্রদল সব ধরনের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

Header Ad
Header Ad

আবাসিক হোটেল থেকে স্বামী–স্ত্রী ও ছেলের লাশ উদ্ধার

প্রতিকি ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক দম্পতি ও তাদের শিশুপুত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে মগবাজার সুইট স্লিপ হোটেল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, মৃতরা হলেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তারা ছেলের চিকিৎসার জন্য শনিবার ঢাকা এসেছিলেন এবং মগবাজারের ওই হোটেলে ওঠেন। তবে ওইদিন তারা ডাক্তার দেখাতে পারেননি। রাতের খাবার হিসেবে মগবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে হোটেলেই খেয়েছিলেন।

পরে রাতেই তিনজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার দুপুরে তাদের অচেতন অবস্থায় মগবাজারের আ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তারা মারা গেছেন।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, খাবারে বিষক্রিয়াই হতে পারে মৃত্যুর কারণ। তবে বিস্তারিত জানার জন্য মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং হোটেল ও সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে দুদক
বিএনপি–ছাত্রদলের বিরুদ্ধে শিবিরের পরিকল্পিত অপপ্রচারের অভিযোগ নাছিরের
আবাসিক হোটেল থেকে স্বামী–স্ত্রী ও ছেলের লাশ উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
ইমাম-খতিবদের বেতন ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি
আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে সেই ফজর আলীর ছবি ভাইরাল
জনগণ ও অর্থনীতির স্বার্থে ছাড় নয়, এনবিআর কর্মীদের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা
ক্লাব বিশ্বকাপে আজ মেসির সামনে সাবেক ক্লাব পিএসজি
অ্যান্টি-এজিং ওষুধেই মৃত্যু? রহস্যে ঢাকা শেফালি জারিওয়ালার অকালপ্রয়াণ
উত্তরায় হোটেল দখলের চেষ্টা, ‘মব সৃষ্টি’র ঘটনায় আটক ৯ জন
সান্তাহারে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত যুবক
ভিজিট ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ সৌদি প্রবাসীদের জন্য সুখবর
আ.লীগ নেতার অপকর্ম বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: রিজভী
৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল করল সরকার
ঢাকায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার
সরকার ব্যর্থ হয়েছে: নাহিদ ইসলাম
উত্তরায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ওপর উঠে গেলো ট্রাক, নিহত ৩
আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানের ১৩ সেনাকে হত্যা করেছে ভারত!
৫ বছর পর মেসির পারিশ্রমিক পরিশোধ করল বার্সেলোনা
দুপুরের মধ্যেই ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস