শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পেল বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদ সভায় ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদনের তিন দিন পরই বাংলাদেশ পেল ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এটাই আইএমএফের প্রথম কিস্তির ঋণ। এর ফলে রিচার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডলার সংকট ও রিজার্ভ কমতে থাকায় বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য ছিল আইএমএফের ঋণ নেওয়ার। বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য আইএমএফের পর্ষদ সভায় তোলা হলে সংস্থাটি সার্বিক দিক বিবেচনা করে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে।

অনুমোদনের ফলে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঋণের প্রথম কিস্তি পেল বাংলাদেশ। ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে এ ঋণ দেবে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ ঢাকা সফর করেন। বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায় আইএমএফ।

আইএমএফ নির্বাহী পর্ষদের সভায় আরএসএফ খাতে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। এ ছাড়া, সংস্থাটি বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার অধীনে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি ডলার ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত নভেম্বরে ঢাকায় ঋণচুক্তির শর্তসহ নানা বিষয়ে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যেই বাংলাদেশ সফর করেন আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ।

জেডএ/এমএমএ/

 

Header Ad

রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন

ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করতে উদ্বোধন করা হলো আরও দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন। আজ (শনিবার, ৪ মে) সকাল ১০টায় মাদারীপুরের শিবচরে এক অনুষ্ঠানে ট্রেন দুটি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। রাজবাড়ি-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে রোববার (৫ মে) সকাল থেকে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হবে ট্রেন দুটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেলের উন্নয়নের জন্য অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। সবচেয়ে সস্তা পরিবহন ব্যবস্থা হলো রেল। এই রেল মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী একটা পরিকল্পনা নিয়েছেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাঙ্গা থেকে খুলনা, যশোর, বেনাপোল পর্যন্ত নতুন ট্রেন চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে সেটি উদ্বোধন করবেন। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত আরেকটা লাইন চালু হবে। এই রেললাইন ৮টি জেলাকে যুক্ত করবে। পুরো লাইনই এলিভেটেড হবে। কারণ এই অঞ্চলের মাটি ভালো না। ট্রেন চলাচলের জন্য এই অঞ্চলের মাটি উপযুক্ত না। সেজন্য এটা পুরোটাই হবে এলিভেটেড।

রেলমন্ত্রী বলেন, এই দুটি লাইন চালু হয়ে গেলে ভাঙ্গা, শিবচর এই অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। আমরা চিন্তা করছি রেলে বর্তমানে দুইটি জোন আছে। আরো দুইটি জোন তৈরি করা হবে। এর একটি হবে ভাঙ্গা-ফরিদপুর। এটির জোনাল অফিস হবে ভাঙ্গায়। এতে করে ভাঙ্গায় রেলের সেবা বাড়বে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতে আমরা ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে আরেকটি ট্রেন চালু করব। পরের ট্রেনটি নতুন বগি দিয়ে শুরু করব। আবার আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে খুলনা, যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত আরেকটি ট্রেন চালু হবে। ওই ট্রেন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ অন্যান্যরা।

জানা যায়, ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে এক জোড়া এবং অপারেশনাল সুবিধার্থে একই রেক দ্বারা রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ১২১ ও ১২৪ নম্বর ট্রেনটির নাম নির্ধারণ করা হয়েছে ভাঙ্গা এক্সপ্রেস। আর ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ১২২ ও ১২৩ নম্বর ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে চন্দনা এক্সপ্রেস।

ট্রেনটিতে ২৪টি প্রথম, ৪৪টি শোভন চেয়ার এবং ৪২৪টি শোভন শ্রেণির আসন ব্যবস্থা থাকবে। উভয় পথে ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা ননস্টপ চন্দনা কমিউটার সার্ভিস রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ছাড়বে ভোর ৫ টায়,ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে।এরপর এই ট্রেনটি ভাঙ্গা কমিউটার নামে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ও ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৯টায়।

ফিরতি যাত্রায় ভাঙ্গা কমিউটার ঢাকার কমলাপুর থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৬ টায়, ভাঙ্গায় এসে পৌঁছাবে রাত ৮টায়। এরপর এই ট্রেনটি চন্দনা কমিউটার নামে ভাঙ্গা ছাড়বে রাত ৮টা ১০ মিনিটে। আর রাজবাড়ী স্টেশনে এসে পৌঁছাবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে। ট্রেনটিতে ৫২৮টি শোভন শ্রেণির আসন থাকবে। বাণিজ্যিকভাবে ৫ মে থেকে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করবে।

বাড়ি ফিরলেই বিয়ে, হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল আশিকের

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

নাটোর জেলার সিংড়ায় তীব্র তাপপ্রবাহে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে গরমে অসুস্থ হয়ে আশিক ইসলাম (২৪) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার খড়খড়ি গ্রাম এলাকার একটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে আশিক ইসলামকে দাফন করা হয়েছে। মৃত আশিক রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে।

আশিক ইসলামের সঙ্গে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক রেজাউল করিম বলেন, গতকাল সকাল থেকে সিংড়া উপজেলার খড়খড়ি গ্রাম এলাকার ধানের মাঠে আশিকসহ আমরা ১৪ জন শ্রমিক ধান কাটছিলাম। ধান কাটা শেষে মাড়াইয়ের জন্য দুপুরের পর থেকে ধানের বোঝা জমি থেকে বহন করে মালিকের বাসায় নিচ্ছিলাম। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আশিক প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক করে ধানের বোঝা নিয়ে মাটিতে পড়ে সেখানেই মারা যায়।

আশিকের বাবা আশরাফ আলী বলেন, ধান কেটে বাড়ি আসলে ছেলের বিয়ে দেব বলে কনে দেখা হয়েছে। উভয় পরিবার বসে দিন ঠিক করে বিয়ে সম্পূর্ণ করা হবে। কিন্তু ছেলের ভাগ্যে আর বিয়ে হলো না।

এ বিষয়ে পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম জানান, তীব্র তাপদাহে হিটস্ট্রোকে আশিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়

ছবি: সংগৃহীত

প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর গরমের মাত্রা অনেক বেশি। গরমের তীব্রতা অসহনীয় করে তুলেছে মানুষের জীবন। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রতিকুল অবস্থা আশঙ্কাজনক। অত্যধিক ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় তরল বেরিয়ে যাওয়ার কারণে নানা ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হয়। আর এই ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে এই কম বয়সী শিক্ষার্থীরাই।

তাই উষ্ণ আবহাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজন যথাযথ পদক্ষেপের। উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া গেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। তাই চলুন, গরমের তীব্রতা থেকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

সূর্যালোক এড়িয়ে চলা:

সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অতিবেগুনি রশ্মি সবচেয়ে বেশি তীব্র থাকে। আর দিনের এই সময়টাতেই শিক্ষার্থীরা সাধারণত ক্লাস এবং স্কুল-পরবর্তী খেলাধুলার জন্য ঘরের বাইরে থাকে। তাই এই সময়টাতে শিক্ষার্থীদের বিচরণের জায়গাগুলোতে সর্বাত্মকভাবে ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। গাছ-গাছালি ঘেরা প্রাকৃতিক ছায়া শোভিত স্থান সর্বোত্তম। তবে এর পাশাপাশি ছাউনির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। খেলাধুলার সময় ছাত্রছাত্রীরা যেন উন্মুক্ত জায়গায় চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ছাতা ব্যবহার করা:

স্কুলে যাওয়া ও আসা নিয়ে প্রতিদিনই বাচ্চাদের একটি উল্লেখযোগ্য সময় রোদের আলোয় কাটাতে হয়। এই সময়টিতে সূর্যালোক প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরিধান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ছাতা ব্যবহার করা। খুব নান্দনিক এবং রঙচঙা নয়, এ ক্ষেত্রে খেয়াল দিতে হবে ছাতাটি রোদ থেকে কতটা ছায়া দিতে পারছে তার ওপর। মুষলধারে বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচাতে যেভাবে ছাতা ব্যবহার করা হয়, এক্ষেত্রেও একই কাজ করা উচিত। আর ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের এই অভ্যাস তৈরিতে আদর্শ হতে পারে পিতামাতা ও পরিবারের অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্করা।

গরমের জন্য আরামদায়ক পোশাক পরা:

শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়াসহ বিভিন্ন উপলক্ষে ঘরের বাইরে থাকার সময়ে হাল্কা বুনন, হাল্কা ও এক রঙের কাপড় পড়তে হবে। হাতাকাটা শার্ট বা গেঞ্জি এবং হাফ প্যান্ট বা শর্টস এক্ষেত্রে উপযুক্ত মনে হতে পারে। কিন্তু কাপড়ের উপাদান এবং শিক্ষার্থীদের শরীরের কতটা অংশ উন্মুক্ত থাকছে সেদিকে কড়া নজর দেওয়া আবশ্যক। হাতাকাটা বা শর্টসের ক্ষেত্রে কাপড় যদি অনেক মোটা বা ভারী হয়, তাহলে তা আরও গরম করে তুলতে পারে। তাই শরীর যতটা ঢেকে রাখা যায় ততই ভালো।

তোয়ালে আর টিস্যু সঙ্গে দিন:

সন্তানকে যতটা সম্ভব ঘাম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। ঘাম থেকে দূরে রাখার কাজটি সহজ না। স্কুলে থাকলে গরম ভয়াবহভাবে কাবু করতেই পারে। তাই তোয়ালে বা টিস্যু দিন। আপনার সন্তান স্কুলে গেলে মুখ, হাত ধোবেই। তাই তাদের যেন হাত-মুখ মোছার সুযোগ থাকে তা নিশ্চিত করুন।

বেশি বেশি পানি পান করা:

পানিশূন্যতার মতো গরম আবহাওয়ার ফলে সৃষ্ট নানা ধরনের রোগ বালাই থেকে বাঁচতে পানি পানের কোনও বিকল্প নেই। স্কুল বা বাড়ি যেখানেই থাকুক না কেন, বাচ্চাদের পড়াশোনা ও খেলাধুলার সময় নির্দিষ্ট সময় পরপর পানি বিরতি দিতে হবে। এমনকি তারা তৃষ্ণার্ত না থাকলেও চালিয়ে যেতে হবে এই কার্যক্রম। বেশি বেশি পানি পান শুধু পানিশূন্যতাই প্রতিরোধ করে না, বাচ্চাদের দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকিও কমাতে পারে।

আমেরিকার জাতীয় একাডেমি মেডিসিন ইনস্টিটিউট অনুসারে, ৯ থেকে ১৩ বছরের ছেলেদের জন্য প্রতিদিন পানি পান করতে হবে ৮ কাপ। আর একই বয়সের মেয়েদের প্রতিদিন ৭ কাপ পানি পান করা উচিত। ১৪ থেকে ১৮ বছরের ছেলেদের বেলায় এই পরিমাণ প্রায় ১১ কাপ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রায় ৮ কাপ।

পানিশূন্যতা রোধকারী ফল ও সবজি খাওয়া:

গ্রীষ্মের খরতাপ থেকে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সেরা উপায় হচ্ছে সর্বাধিক পানি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। এক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ একটি উৎকৃষ্ট খাবার কেননা এতে রয়েছে ৯১ শতাংশ পানি। এছাড়া অন্যান্য ফল-ফলাদির মধ্যে রয়েছে আঙ্গুর, আপেল, চেরি, কমলা, এবং আনারস। এগুলো সরাসরি অথবা জুস বানিয়ে কিংবা সালাদ করেও খাওয়া যায়।

তরকারির মধ্যে রয়েছে পালং শাক, টমেটো, শসা, মুলা, ফুলকপি, গাঁজর, পুদিনাপাতা, পেঁয়াজকলি, ঢেঁড়শ এবং লাউ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ফল এবং শাকসবজি থাকা মানে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন পাওয়া। এই পুষ্টি উপাদান পানিশূন্যতা রোধের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে।

প্রতিদিন গোসল করা:

স্কুল বা যে কোনও উপলক্ষে বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পরপরই গোসল করা একটি স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি এটি একাধিকবার দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কেননা যখন গোসলের পানি বাচ্চার ত্বকে ভিজিয়ে দেয়, তখন শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর কার্যকলাপের জন্য নির্ধারিত তাপমাত্রা বজায় থাকে। এই পরিমিত তাপমাত্রাতেই রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে শরীরকে সতেজ করে তোলে।

তবে গোসলের সময় আরামদায়ক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করা উচিত। খুব গরম বা খুব ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে না। এভাবে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত গোসলে অভ্যস্ত হলে উত্তাপজনিত অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে পারে।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন
বাড়ি ফিরলেই বিয়ে, হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল আশিকের
অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
নোয়াখালীতে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষ, সেনা সদস্যসহ নিহত ৪
‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাক পেলেন আম্পায়ার সৈকত
ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার করছে সৌদি
মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
চড়া দামে গ্রাহকরা কিনছে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট
হামাসকে ৭ দিনের সময় দিল ইসরায়েল
বিদেশে পাড়ি জমানো কানাডিয়ানদের সংখ্যা বাড়ছে : গবেষণা
নওগাঁয় ট্রলির চাপায় সড়কে প্রাণ গেল এনজিও কর্মীর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপিতে বহিষ্কারের তালিকা
প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠাল পাকিস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি
রাজশাহীতে আগুনে পুড়ল শত বিঘা জমির পান বরজ
জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক