শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ছাত্র আন্দোলনে নিশ্চুপ থাকা জয়া বন্যা ইস্যুতে তোপের মুখে

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গণহত্যার সময় মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে কথা বলা তো দূরে থাক- গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেননি তিনি। ফেসবুকে সব সময় সক্রিয় থাকা এই অভিনেত্রী আন্দোলন চলাকালীন ছিলেন নিশ্চুপ; কিন্তু সরকার পতনের ১৭ দিন পর দেশের চলমান বন্যা ইস্যুতে মুখ খুলতেই তোপের মুখে পড়েন জয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসান লেখেন, কোনো পূর্বাভাস না দিয়ে প্রলয়ের মতো কী এক বন্যা এসে দেশের পূর্বদিক একেবারে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। মানুষের অসহায়তার ছবি দেখে মনটা ভারি হয়ে আছে। মানুষই এর উপশম দিতে পারে। মানুষ এক হলে কেমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটাতে পারে, সেটা আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিস্মিত হয়ে দেখেছি। একটা ভয়াবহ রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি।

তিনি আরও লিখেন, এখন তো আমাদের দেশটা গড়ার নতুন সময়, এখন তো হাতে হাত রেখে কাজ করার জন্য আমরা সবাই প্রস্তুত হচ্ছিলাম, রিবিল্ড, রিফর্ম বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের, সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্ন। আবার এক হলে এ বিপদ থেকেও মানুষকে উদ্ধার করতে পারব। ঢাকা থেকে যে কোনো সাহায্যের জন্য আমি প্রস্তুত, আপনাদের কাছে আমার প্রার্থনা- যতটা পারি আমরা সবাই এগিয়ে এলে অনেক জীবন বেঁচে যাবে।

 

তবে জয়ার এই স্ট্যাটাসে খুশি নন নেটিজেনরা। কারণ রক্তাক্ত জুলাই-আগস্ট নিয়ে চুপ থাকায় অভিনেত্রীর সমালোচনা করেছেন তারা। রক্তের বন্যা যখন বইছিল তখন আপনার মানবতা কোথায় ছিল-এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই।

আরিফুল ইসলাম লিখেছেন, আপনার প্রিয় ভারত এটা করেছে। একবারও তো বললেন না। বলবেনও না।

 

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

কেএইচ রাতুল লিখেছেন, আপনার মতো নারী দেশকে নিয়ে চিন্তা না করলেও হবে, আমার সোনার বাংলা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা যে ভারতের দালাল, এটা বাংলার মানুষ ভালো করে জানে। নাটক কম করো প্রিয়।

ইথার নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এবং ছাত্রদের কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নেন, পরে এগুলো করতে আইসেন প্লিজ। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরামর্শটা দিলাম, ক্ষমা চান করজোড়ে।

সাদিয়া আফরিন নামে এক তরুণী বলেছেন- ‘উজান থেকে পানি আসছে বলবেন না, বলুন ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানি, ভারত থেকে আসা পানি। ভারত কী আপনার ভাসুর যে তার নাম মুখে নিতে পারছেন না’?

প্রিন্স তুহিন লিখেছেন, ‘আপা আপনি ভারতে গিয়ে আরও ছবি করেন, গান করেন, নাচ করেন। দেশ নিয়ে না ভাবলেও চলবে। আপনারা এ দেশে জন্ম নিয়ে সারাজীবন এ দেশের বিরুদ্ধে গেছেন, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গেছেন। তাই আপনাকে এ সময়ে প্রয়োজন নেই’।

 

অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

রাকিব হাসান লিখেছেন, ‘আপনি না বললেও এ দেশর মানুষ এ দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আপনি গর্তে ছিলেন, গর্তেই থাকেন’।

কেএইচ রাতুল লিখেছেন, ‘আপনার মতো নারী দেশকে নিয়ে চিন্তা না করলেও হবে, আমার সোনার বাংলা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা যে ভারতের দালাল, এটা বাংলার মানুষ ভালো করে জানে। নাটক কম করো প্রিয়।’ জাবিন তাসনিম খান লিখেছেন, এখন বিজ্ঞাপন দিতে আসছে, এখানেও টাকা কামানোর ধান্ধা।

তারেক মাহমুদ লিখেছেন, ‘আপনার প্রিয় ভারতের কারণে এ বিপর্যয়। এটা বলার সাহস নেই অথচ দরদ কুড়ানো মার্কা পোস্ট দিচ্ছেন’। নজরুল ইসলাম বাবু লিখেছেন, ‘তারপরও তো ভারত গিয়েই নিজেকে বিলিয়ে দেন’। শাকিল আলম অরন্য বলেন, ‘তারপরও ভারতের দালালি করো তোমরা’।

আকিব ইফরান বলেন, ‘বন্যাকে ঢাল বানিয়ে দীর্ঘদিন গর্তে থাকা অমানুষেরা বের হচ্ছে, কুমিরের কান্না শুরু’!

ইথার নামে একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এবং ছাত্রদের কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নেন, পরে এগুলো করতে আইসেন প্লিজ। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরামর্শটা দিলাম, ক্ষমা চান করজোড়ে।’

হাসান মাহমুদ লিখেছেন, ‘কত টাকা খাইছেন এসব ফাউন্ডেশন বিজনেসকে প্রমোট করতে? আপনারা টাকা ছাড়া কিছু করেন এখন আর বিশ্বাস হয় না। আমার দুই চাচা এইখানকার দুই কোম্পানিতে আছে, খোঁজ নিতে বেশি টাইম লাগবে না’।

প্রিয়া সেন বলেছেন, ‘এতদিন আইডি ডি-অ্যাক্টিভ রেখে সময় ও সুযোগ বুঝে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেছেন কতিপয় কোম্পানির! সুযোগের সদ্ব্যবহার! সেই তো আবার আমাদের কলকাতায় এসে পড়ে থাকবেন। দেখলেন হাসিনার দালালি করে লাভ হলো না। শেষ স্ট্যাটাস ডিলিট করলেন কেন? মানুষের গালি শুনে? এ আন্দোলনে আপনার ভূমিকা কী? কোনো স্ট্যাটাস প্রসব করেননি বা উপস্থিত হননি। এখন বন্যার্ত যারা আছেন তাদের আপনি না বললেও সবাই স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্য করছেন। সুবিধাবাদী অভিনেত্রী কুমিরের ক্রন্দন করতে এসেছেন’।

কাইফ হাসান লিখেছেন, ‘আপনার বিবেক জাগ্রত হয়েছে তাতেই আমরা খুশি। এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল, তখন আপনাদের বিবেক মৃত ছিল সেটাই আমাদের দুঃখের জায়গা। আপনারা ছিলেন অবৈধ খুনি হাসিনার ভোট চুরির ব্র্যান্ড প্রমোটার। আপনাদের আমরা ভালোবেসে প্রতারিত হয়েছি। আপনাদের কাছে কুকুরের জীবনের মূল্য যতটা, মানুষের মূল্য ঠিক ততটাই নগন্য। আপনাদের এ দেশের মানুষ ভালোবাসে আর আপনারা একটা দলের হয়ে ব্র্যান্ড প্রমোটিং করেন। অথচ আপনাদের হওয়ার কথা ছিল প্রতিটা মানুষের ভালোবাসার পাত্রী। হয় তো জনগণ আপনাদের এই ধোঁকা ধরতে পেরেছে। তাই আপনাদের এত সহজে ক্ষমা করবে না। লিখেছেন সবকিছুই ঠিক আছে কিন্তু ভারত এ পানিটা দেশে ছেড়ে মানুষগুলোকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে সেই কথাটা বলেননি। আসলে আপনারা জন্মগতভাবেই বৈষম্য তৈরি করে রেখেছেন। সত্যিই আপনাকে ভালোবাসি কিন্তু আপনি জঘন্য কাজ জাতির সঙ্গে করেছেন এতে ভালোবাসাটা ক্ষীণ হয়ে আসছে। আশা করি, কমেন্ট এবার ডিলিট করবেন না। জাতির জানা উচিত আপনারা কতটা আওয়ামী লীগ ছিলেন।

এসএ আখতার লিখেছেন, প্রথমত আপনি এবং চঞ্চল চৌধুরী ভারতীয় দালাল গোলাম, বাংলাদেশের শত্রু, আপনি শেখ হাসিনার দালাল।

শায়ের রহমান লিখেছেন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, জয়া এবং চঞ্চলকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।

জাকারিয়া মাসুদ মুন্না লিখেছেন- একজন ভারতীয় এজেন্ট যিনি সর্বদা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের চেয়ে ভারতীয় রাস্তার কুকুর নিয়ে বেশি চিন্তিত। এখন বন্যা দুর্গতদের মানবতা দেখানোর চেষ্টা করছেন। এটা কতটা হাস্যকর।

Header Ad
Header Ad

সিগারেটের দাম বাড়ানোর দাবি তরুণ চিকিৎসকদের

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে সিগারেট অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় এটি তরুণদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন তরুণ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, তামাকের সহজলভ্যতা কমাতে কার্যকর কর ও মূল্যবৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। এজন্য আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর কমিয়ে তিনটিতে নামিয়ে আনা এবং দাম বাড়ানোর দাবি জানান তারা।

শনিবার (১০ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন। ‘প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তরুণ চিকিৎসকরা বলেন, দেশে বর্তমানে সিগারেটের চারটি মূল্যস্তর (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) থাকায় কর কাঠামো জটিল হয়ে পড়েছে এবং তা তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের দামের ব্যবধান খুব কম হওয়ায় ধূমপায়ীরা এক স্তর থেকে অন্য স্তরে সহজে সরে যেতে পারছে। তারা প্রস্তাব করেন, নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একীভূত করে ১০ শলাকার প্যাকেটের দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হোক, উচ্চ স্তরের দাম ১৪০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হোক এবং প্রিমিয়াম স্তরের দাম নির্ধারণ করা হোক ১৯০ টাকা।

এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবেন এবং প্রায় ১৭ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ডা. ফারজানা রহমান মুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, সিগারেটের কর কাঠামো পুনর্গঠন ও মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। বর্তমানে তামাকজাত পণ্যে যে রাজস্ব আসে তা স্বাস্থ্য খাতে তামাকজনিত রোগের ব্যয় মেটাতে যথেষ্ট নয়।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর তামাকজনিত অসংক্রামক রোগে মৃত্যু হয় ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের। এই মৃত্যু প্রতিরোধে তামাকজাত পণ্যের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করে সেগুলো সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়া জরুরি।

চিকিৎসকরা আরও বলেন, শুধুমাত্র সিগারেট নয়, বিড়ি, জর্দা ও গুলের দামও বাড়াতে হবে। ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার বিড়ির দাম ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার বিড়ির দাম ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি জর্দা ও গুলের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৫৫ এবং ৩০ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরামর্শক ও জয়ীতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. নাইমুল আজম খান, প্রজ্ঞার হেড অব প্রোগ্রামস মো. হাসান শাহরিয়ার, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রাশেদ রাব্বিসহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু

নিহত সুমন হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার খড়িডাঙ্গা গ্রামে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় সুমন হোসেন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। সুমনের স্ত্রী, ৬ বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান, এবং বাবা-মা রয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায়। আহত সুমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর শনিবার (১০ মে) সকালে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে মৃত মইরদ্দিনের তিন ছেলে—মশিয়ার, মফিজুর এবং শহিদুল্লাহ—সুমনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ১২ কাঠা জমি বন্ধক নিয়েছিল। দীর্ঘদিন পর উক্ত জমির ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দিলে সুমন টাকা ফেরত দিয়ে জমি বুঝে নিতে চান। এ নিয়ে বিরোধ বাড়তে থাকে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুমন মশিয়ারদের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরতের কথা বলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। সেখান থেকে ফিরে সুমন স্থানীয় আনিছুর রহমানের দোকানে গিয়ে বসেন।

কিছুক্ষণ পর মশিয়ার, মফিজুর ও শহিদুল্লাহসহ আরও কয়েকজন আনিছুরের দোকানে গিয়ে সুমনকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, সোটা ও ইট দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই শনিবার সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনও পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি, তবে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব বিটু ও সাবেক এমপি শামীমা গ্রেপ্তার

আশরাফ সিদ্দিকী বিটু এবং অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু এবং কৃষকলীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার ( ১০ মে) বিকালে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কৃষকলীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম এবং শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, আশরাফ সিদ্দিকী বিটু ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ে সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীকালে ২০২১ সালে তার চুক্তির মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হয়। তবে ২০২২ সালের ২১ জুলাই তার নিজ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই পদ থেকে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সিগারেটের দাম বাড়ানোর দাবি তরুণ চিকিৎসকদের
বেনাপোলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু
শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব বিটু ও সাবেক এমপি শামীমা গ্রেপ্তার
জনগণ আর পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে এক ঘণ্টা সময় দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিরতির তথ্য নিশ্চিত করলো ভারত-পাকিস্তান, সামরিক অভিযান বন্ধ
জাতীয় পার্টি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়: জিএম কাদের
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক
আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করলেন শর্মিলা রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান
ভারত-পাকিস্তান ‘যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে: ট্রাম্প
মুন্সীগঞ্জে লঞ্চে ২ তরুণীকে বেল্ট দিয়ে পেটানো সেই যুবক আটক
চট্টগ্রামে বিএনপির তারুণ্য সমাবেশে উপস্থিত তামিম ইকবাল
শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোদির জরুরি বৈঠক
টানা দ্বিতীয়বার স্কাই স্পোর্টসের সেরা একাদশে হামজা চৌধুরী
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ইস্যু: আযম খান
সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক
বিরামপুরে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্‌যাপন
আইপিএলের পর এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত পিএসএল
যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন