রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কঙ্গনাকে চড় মারা সেই নারী কনস্টেবলকে চাকরি দিতে চান বিশাল দাদলানি

ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী ও নয়া সংসদ সদস্য কঙ্গনা রানাওয়াতকে চড় মেরে বরখাস্ত হয়েছেন কুলবিন্দর কৌর নামে এক নারী কনস্টেবল, যিনি পাঞ্জাবের চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন। তার পাশে দাঁড়ালেন বলিউডের নামজাদা সংগীত পরিচালক ও গায়ক বিশাল দাদলানি।

সেই নারী কনস্টেবলকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন বলিউডের এই গায়ক ও সংগীত পরিচালক। শুক্রবার (৭ জুন) নিজের ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন বিশাল দাদলানি।

গায়ক ও সংগীত পরিচালক বিশাল দাদলানি। ছবি: সংগৃহীত

ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কখনোই সহিংসতাকে সমর্থন করি না। কিন্তু সিআইএসএফ তাদের এই কর্মীর বিরুদ্ধে যদি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে আমি এটা নিশ্চিত করছি যে, তার জন্য চাকরি অপেক্ষা করছে। যদি সে চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করে।’

চলতি বছর ভারতের লোকসভা নির্বাচনে হিমাচলের মান্ডি আসন থেকে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা। ভোটে জয়ের পর অভিনেত্রী দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিতে চন্ডীগড় এয়ারপোর্টে পৌঁছালে হঠাৎ কঙ্গনাকে চড় মেরে বসেন কনস্টেবল কুলবিন্দর।

জানা গেছে, সেখানে সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় কুলবিন্দরের সঙ্গে তর্কে জড়ালে কঙ্গনাকে চড় মারেন তিনি। অন্যদিকে কঙ্গনার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তিও কুলবিন্দরকে পাল্টা চড় মারেন।

কঙ্গনাকে চড় মারার কারণ উল্লেখ করে কুলবিন্দর বলেন, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতীয় কৃষকরা ১৫ মাস আন্দোলন করেন। ওই সময়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। তিনি বলেছিলেন, কৃষকরা ১০০ রুপির জন্য সেখানে বসেছিল। সে কি সেখানে যাবে, সেখানে বসবে? আমার মা সেখানে বসে প্রতিবাদ করেছিলেন।’

উল্লেখ্য, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ১৫ মাস আন্দোলন করেছিলেন ভারতীয় কৃষকরা। সেসময় ওই আন্দোলন সম্পর্কে কঙ্গনা বলেছিলেন, কৃষকেরা ১০০ রুপির জন্য সেখানে বসেছিল। এদিকে ওই আন্দোলনের একজন কর্মী ছিলেন কুলবিন্দরের মা। মূলত ওই ঘটনার জেরেই অভিনেত্রীকে কষে চড়ে মারেন ওই নারী কনস্টেবল।

Header Ad
Header Ad

গেজেটের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকারি গেজেট প্রকাশের পরই দলটির নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

রোববার (১১ মে) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "সরকার যদি গেজেট প্রকাশ করে, তাহলে নির্বাচন কমিশন তা বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করবে। আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবতা ও সংবিধানের স্পিরিট বুঝেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলে সময় লাগবে কিনা—এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, "যদি কাল গেজেট হয়, তাহলে কালই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

উল্লেখ্য, গত ৭ মে মধ্যরাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের থাইল্যান্ড যাত্রার খবরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবিতে মাঠে নামে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় জুলাই অভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠনও। তবে বিএনপি ও বাম রাজনৈতিক দলগুলো এ কর্মসূচি থেকে নিজেদের দূরে রাখে।

গত দুদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে এনসিপি ও তাদের মিত্ররা। এর প্রেক্ষিতে শনিবার (১০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জরুরি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে জানানো হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চলমান বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরল শনিবার রাতের এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত গেজেট সোমবার (১২ মে) প্রকাশ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

আবারও শাহবাগ অবরোধ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আজ আবারও শাহবাগ অবরোধ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহতরা।

রোববার (১১ মে) সকাল থেকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।

আন্দোলনরত আহতরা বলেন, কোনো দলের ব্যানারে জুলাইকে হারিয়ে যেতে দিতে চান না তারা। আহতরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগ বা তাদের দোসরদের কোনোভাবেই পুনর্বাসন করা হবে না বলেও জানান তারা।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে নাটক নয়; আইন প্রয়োগের মাধ্যমে চিরতরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। তারা জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ফয়সালা ছাড়া রাজপথ ছাড়বেন না তারা। এছাড়া রাজপথে থাকাকালীন-ই জুলাই ঘোষণাপত্র চান তারা।

এসময় আহতদের চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা দাবি করেন তারা। দাবি তোলেন দ্রুত বাস্তবায়নের এবং আজীবন চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিতের। যতদিন তাদের এসব দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততোদিন রাজপথে থাকার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

অবরোধের কারণে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে তীব্র স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকেই শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আহতদের পরিবার ও সহকর্মীরাও কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

শাহবাগ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেজন্য অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আন্দোলনকারীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে, শুক্রবার (৯ মে) আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। শনিবার সারাদিন দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ করেন তারা। আয়োজিত ওই সমাবেশে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

 

Header Ad
Header Ad

বিশ্ব মা দিবস আজ

ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর সব থেকে মধুর ডাক হলো ‘মা’। সন্তানের জন্য সব থেকে বেশি যে আত্মত্যাগ করতে পারে সে নামটিই হলো মা। স্বার্থপর এ দুনিয়াতে নিঃস্বার্থভাবে শুধু মাই আমাদের ভালোবাসতে পারেন।

আজ বিশ্ব মা দিবস। মায়ের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস পালন করা হয়।

১৯০৮ সালে সর্বপ্রথম মা দিবস উদযাপন করেছিলেন আন্না জার্ভিস নামে এক ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় নিজের মায়ের স্মৃতি রূপে এ বিশেষ দিনটি উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে মা দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। পরে ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানিসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে। আজকের দিনে বিভিন্নভাবে মাকে সম্মান জানানো হবে। মাকে সালাম, ফোন করে কিংবা এসএমএসের মাধ্যমে দোয়া নেয়ার মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে।

সন্তানরা মায়ের প্রতি ভালোবাসা জানাতে কেউ ফুলসহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে মাকে শুভেচ্ছা জানাবে। তবে মা দিবস শুধু একটি নির্দিষ্ট দিনেই সীমাবদ্ধ নয়। একজন মা যেভাবে তার সন্তানকে যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে বড় করে তোলেন, সে ঋণ কোনো দিনই শোধ করা যাবে না। এজন্য মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন শুধু একটি দিবসের মধ্যে না রেখে মাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসাই সন্তানদের দায়িত্ব। মা দিবস উপলক্ষে আজ নগরীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁসহ পোশাকের ব্র্যান্ড মূল্যছাড়ের সুযোগ রেখেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গেজেটের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
আবারও শাহবাগ অবরোধ
বিশ্ব মা দিবস আজ
আইনের মাধ্যমে আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া ইতিবাচক মনে করে বিএনপি
ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই
জুলাই ঘোষণাপত্র ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে
‘লীগ ধর, জেলে ভর’: হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
অবশেষে ছোট সাজ্জাদের আলোচিত স্ত্রী তামান্না গ্রেফতার
আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা
আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পর এয়ারপোর্টে মিসাইল পড়ে: রিশাদ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: এক ঘণ্টার মধ্যে কাশ্মীরে আবারও ড্রোন হামলা
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিবৃতি
সিগারেটের দাম বাড়ানোর দাবি তরুণ চিকিৎসকদের
বেনাপোলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু
শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব বিটু ও সাবেক এমপি শামীমা গ্রেপ্তার
জনগণ আর পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে এক ঘণ্টা সময় দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিরতির তথ্য নিশ্চিত করলো ভারত-পাকিস্তান, সামরিক অভিযান বন্ধ
জাতীয় পার্টি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়: জিএম কাদের