বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জোহরের নামাজ বাদ মোহাম্মদপুর জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ওই মসজিদেরই কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে সাদি মহম্মদের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। তার ছোট ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ জানান, ইফতার সেরে সাদি সংগীত চর্চা করেন। এর কিছু সময় পর হঠাৎ দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। তখন দরজা ভেঙে সাদির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের এডিসি মৃত্যুঞ্জয় দে সজল গণমাধ্যমকে জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা, শিল্পী সাদি মহম্মদ আত্মহত্যা করেছেন।’ পরে তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
গত বছরের ৮ জুলাই সাদি মহম্মদের মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ বার্ধক্যজনিত রোগে মারা যান। এরপর থেকেই ট্রমার মধ্যে ছিলেন এই রবন্দ্রিসংগীতশিল্পী। মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছিলেন না তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, মা হারানোর বেদনা নিতে পারেননি সাদি মহম্মদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, বিকেল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জে কে এন্টারপ্রাইজ (ঢাকা-শেরপুর রুটে চলাচল করে) পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পড়ে মোটরসাইকেলটি টেনে হিঁচড়ে বাসটি অনেক দূর নিয়ে আসে। এতে মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্কি বিস্ফোরণের কারণে বাসে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইসতিসকার নামাজ শেষে মুসল্লিদের অঝোরে কান্না। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও প্রখর রোদে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জনজীবন। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফসল। নেমে গেছে সেচ পাম্পের পানির স্তর। প্রচন্ড রোদে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণীকুলের। কোথাও মিলছে না কোনো স্বস্তি।
অপরদিকে, বিদ্যুতের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভয়াবহ লোডশেডিং। এই বিপর্যয়ে আরও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ও হাসপাতালের রোগীরা।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন ইমাম, মুয়াজ্জিন পরিষদ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিশুসহ প্রায় দেড় হাজার মুসল্লিরা সমবেত হয়ে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করেছেন।
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনায় ছিলেন- সিরাজগঞ্জের বন পাড়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মুফতি মঈনুল ইসলাম খান। ইসতিসকার নামাজ শেষে মোনাজাতে শিশুসহ মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা সকলে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
নামাজে অংশ নেয়া আমিনুল ইসলাম, হাফেজ তুষার আহমেদ ও আলীম মিয়াসহ একাধিক মুসল্লি বলেন, আমাদের জীবনে আমি এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি ও গরম এরআগে কখনো দেখি নাই। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। তাই এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে আজ বিশেষ (সালাতুল) ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ পাক যেন বৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশটা ঠান্ডা করে দেয়।
গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে ধরে সারাদেশেই প্রচন্ড গরম পড়েছে। এই গরম থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় আমরা মুসল্লিরা খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায়ের জন্য সমবেত হয়েছি। মহান আল্লাহর দরবারে আমরা শান্তি কামনায় ক্ষমা প্রার্থনা করছি। নিশ্চিয় মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করে রহমতের বর্ষণ প্রেরণ করবেন।
নামাজ শেষে মাওলানা মুফতি মঈনুল ইসলাম খান বলেন, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহ তা’লার কাছে তওবা করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আকুতি ভরে বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে হয়। এই নামাজকে (সালাতুল) ইসতিসকার নামাজ বলে। বৃষ্টি ও শান্তি কামনার জন্য তাই আমরা মুসল্লিরা খোলা আকাশের নিচে তীব্র রোদকে উপেক্ষা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি।
এদিকে, একই দিন সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী, টেপিবাড়ী, ঘাটান্দী ছাড়াও জেলার গোপালপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী, বাসাইল, নাগরপুর ও মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও শান্তি কামনায় (সালাতুল) ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন হাজার হাজার মুসল্লিরা। এতে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন অংশ নেন এবং মহান আল্লাহ তা’লার দরবারে দোয়া প্রার্থনা করেন।
বক্তব্য রাখছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে তিন বিদেশি বড় শক্তি কাজ করেছিল বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আগেই বুঝেছিলাম, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠকে করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কখনই অনুগত বিরোধী দলের ক্যাটাগরিতে ছিলো না। সরকার তাদের অনুগত বিরোধী দল বানানোর চেষ্টা করেছে। নির্বাচনে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কি না সন্দেহ ছিলো, তাই দলটি নির্বাচনে গিয়েছে বলে দাবি তার। জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ ছাড় দিয়েছে এটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের।
জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে এমন ইতিহাস নেই। ফলে, বিএনপির ১ কিংবা ১০ লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না।
এসময় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ এখন রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগ চায় না দেশে আর কোনো রাজনৈতিক দল থাকুক এমন মন্তব্য করেন দলটির নেতারা।