রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রংপুর কারমাইকেল কলেজে দুর্লভ কাইজেলিয়া

রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের গর্ব শতবর্ষী কারমাইকেল কলেজ। সবুজে-শ্যামলে সুশোভিত এ কলেজের গৌরব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে 'কাইজেলিয়া' গাছ। খুবই দুর্লভ গাছটির আদি নিবাস সেনেগালের দক্ষিণাঞ্চলে। আফ্রিকার বাইরে এটির অস্তিত্ব পাওয়া খুবই দুর্লভ।

পৃথিবীর মাঝে বিরল প্রজাতির গাছের মধ্যে এটি অন্যতম। এর ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ রং, পাকলে বাদামি। এই ফল বিষাক্ত, তবে অত্যন্ত রোচক। এটি প্রক্রিয়াজাত করে আলসার, সিফিলিস, সর্প দংশনের ওষুধ, বাত, ছত্রাক দমন, চর্মরোগ, মেয়েদের প্রসাধনী সামগ্রী এমনকি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায়ও বহুল ব্যবহৃত হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, কাইজেলিয়ার তাজা ফল মানুষের জন্য বিষাক্ত। কিন্তু এটি শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে গাছের ছাল, ফুল ও ফলের নির্যাস ত্বকের যত্নে অনেক উপকারী। যেসব অঞ্চলে সারাবছর বৃষ্টিপাত হয়, সেখানে গাছটি হয়। অন্যদিকে দীর্ঘ শুষ্ক মৌসুম অঞ্চলে বছরের কোনো এক সময় এর পাতাগুলো ঝরে যায়।

রংপুর কারমাইকেল কলেজের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখের সামনে পড়বে একটি ছায়াঘেরা সড়ক। সামনে কিছুদূর হাঁটলে দর্শনার্থীদের চোখ আটকে যাবে একটি সাইনবোর্ডে। এতে মোটা অক্ষরে লেখা 'দাঁড়াও পথিকবর- আমার নাম কাইজেলিয়া।' এরপরই গাছটি সেখানে তুলে ধরেছে তার পরিচিতি ও আবেদন। কাইজেলিয়া তার আত্মকথায় বলেছে, 'আমি বিগনোনিয়াসিস গোত্রের। আমার বৈজ্ঞানিক নাম কাইজেলিয়া আফ্রিকানা। আমার বাস আফ্রিকা হলেও, এই কলেজের প্রতিষ্ঠা লগ্নে কয়েকজন বৃক্ষপ্রেমিক আমাকে আনুমানিক ১৯২০ সালের দিকে এখানের মাটিতে রোপণ করেছিলেন। কারমাইকেল কলেজ ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও আমাকে দেখতে পাবে না। আমার উচ্চতা ২০ থেকে ২৫ মিটার। ফুল হয় মেরুন অথবা কালচে লাল রঙের। আমার ফল হয় লম্বাটে ও গোলাকার। এর একেকটির ওজন ৫ থেকে ১০ কেজি হয়। আমার ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ রং, পাকলে বাদামি। এই ফল বিষাক্ত, তবে অত্যন্ত রোচক। এটি প্রক্রিয়াজাত করে আলসার, সিফিলিস, সর্পদংশনের ওষুধ, বাত, ছত্রাক দমন, চর্মরোগ, মেয়েদের প্রসাধনী সামগ্রী এমনকি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায়ও বহুল ব্যবহৃত হয়। এশিয়ায় আমি এখন বিলুপ্ত প্রায়। যদি তোমরা সঠিক পরিচর্যা না কর, তবে অচিরেই আমি নিঃশেষ হয়ে যাব। আমাকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব তোমাদেরই।'

এ কলেজে দুটি বড় কাইজেলিয়া রয়েছে। একটি গাছ প্রধান ফটক থেকে ৫০০ গজ দূরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিপরীতে। অপর গাছটি কলেজ মসজিদের সামনে। ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ দেখতে আসা দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীরা কাইজেলিয়ার ছায়ায় দাঁড়িয়ে এর আত্মকথা শোনেন। অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন, গাছের সঙ্গে ছবি তোলেন। গৌরবের এ গাছটিকে অমরত্ব দিতে কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে কারমাইকেল কাইজেলিয়া শিক্ষা-সংস্কৃতি সংসদ (কাকাশিস)। প্রতি বছর এ সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কাইজেলিয়ার নামকে সবার সম্মুখে তুলে ধরছেন। এতে দিন দিন কাইজেলিয়াকে জানার আগ্রহ বাড়ছে কলেজে আসা শিক্ষার্থীদের।

এ গাছের পরাগায়ন প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল হওয়ায় এতদিন এর চারা উদ্ভাবন করা যায়নি। তবে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সফল হয়েছেন এই কলেজের মালি বাটুল সিং। তিনি কাইজেলিয়ার ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করে চারা উদ্ভাবনের চেষ্টা করে সফল হন। গাছটির চারা উৎপাদন করে গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছেন।

বাটুল সিং বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে সনাতন পদ্ধতিতেই বিলুপ্ত কাইজেলিয়ার চারা উদ্ভাবনের চেষ্টা করেছেন। অবশেষে ২০১৫ সালের শেষের দিকে বেশ কয়েকটি চারা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। এ গাছের চারা কলেজের রসায়ন ভবন, উদ্ভিদবিজ্ঞান ভবনসহ ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি স্থানে লাগানো হয়েছে।

এ ছাড়া রংপুর সরকারি কলেজ, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর জেলা প্রশাসকের বাংলো, পুলিশ সুপারের বাংলো, পাটগ্রাম সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের মিঠাপুকুর পায়রাবন্দ রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রে এর চারা সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে অন্তত একটি করে হলেও এ গাছের চারা রোপণ করে কাইজেলিয়াকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।

কারমাইকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আফরুজা বেগম বলেন, কারমাইকেল কলেজের গৌরব-ঐতিহ্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে কাইজেলিয়া গাছ। কলেজে আসা-যাওয়ার পথে এ গাছের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন অন্তত দুইবার দেখা হয়। তাই ক্যাম্পাসে গাছের কথা উঠলেই প্রথমে উচ্চারিত হয় কাইজেলিয়া গাছের নাম।

কাকাশিসের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক ফরহাদুজ্জামান ফারুক বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল কৃষিবিজ্ঞানী টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে বিলুপ্ত কাইজেলিয়ার বেশ কয়েকটি চারা উদ্ভাবন করেছিলেন। পরে চারাগুলোকে বাঁচানো যায়নি। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও বৃক্ষ প্রেমী দর্শনার্থীরা কারমাইকেল কলেজের কাইজেলিয়া গাছ দেখতে আসেন। বৃক্ষ প্রেমী দর্শনার্থীরা কাকাশিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দুর্লভ গাছকে সবার সম্মুখে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, কাইজেলিয়া বিরল প্রজাতির একটি ঔষধি গাছ। বর্তমানে এটি বিলুপ্তির পথে থাকায় এর চারা উৎপাদনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। প্রতিদিন ক্যাম্পাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ গাছ দেখতে আসেন পর্যটকরা। বৃক্ষপ্রেমী মানুষেরা কাইজেলিয়ার চারা সংগ্রহের জন্য খোঁজ-খবর নেন।

এসএন

Header Ad
Header Ad

এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কমিটির এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কথা বলছেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়া সফল ও সময়োপযোগীভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও অংশীদারদের মধ্যে দ্রুত ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কমিটির এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। বৈঠকে এলডিসি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতিগুলো পর্যালোচনা করা হয় এবং ভবিষ্যতের করণীয় নির্ধারণ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারদের মনোযোগ ও সমর্থন পেয়েছি। এখন আমাদের উচিত চলমান কর্মপ্রয়াসকে আরও শক্তিশালী করা এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে দ্রুত অগ্রসর হওয়া।”

তিনি প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমাদের এমন একটি সমন্বিত টিম প্রয়োজন যারা অগ্নিনির্বাপক দলের মতো সংকটে দ্রুত সাড়া দেবে—কার্যকর ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে যতক্ষণ না সমাধান আসে।” তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়ার সার্বক্ষণিক তদারকি চালানো হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ শুধুই একটি অর্থনৈতিক মাইলফলক নয়—এটি জাতীয় সক্ষমতা, আত্মনির্ভরতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকীসহ উত্তরণ কমিটির অন্যান্য সদস্য ও নীতি উপদেষ্টারা।

সভায় এলডিসি উত্তরণ কমিটি পাঁচটি জরুরি ও অগ্রাধিকার ভিত্তিক পদক্ষেপ চিহ্নিত করে, যেগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়:

১. জাতীয় একক জানালা (National Single Window) পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করা, যাতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

২. জাতীয় শুল্ক নীতি ২০২৩ বাস্তবায়নে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করা।

৩. জাতীয় লজিস্টিক নীতি ২০২৪-এর আওতায় অবকাঠামোভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা।

৪. সাভারের ট্যানারি শিল্প এলাকায় বর্জ্য শোধনাগার (ETP) কার্যকরভাবে প্রস্তুত করা।

৫. গজারিয়ায় এপিআই (API) পার্ক-এর পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।

Header Ad
Header Ad

ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে কাল। এখন প্রশ্ন, দুই দেশের সংঘাতের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল কবে শুরু হতে পারে?

ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, আইপিএল আবার শুরু হতে পারে ১৫ মে। এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অন্যদিকে পিএসএল শুরু করতেও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো নির্দিষ্ট কোনো তারিখের কথা বলতে পারেনি।

বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। এখন নতুন পরিস্থিতিতে বিসিসিআই কর্মকর্তারা এবং আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রোববার (১১ মে) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। দেখা যাক টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো শেষ করার জন্য কোনটা সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হয়।’

৮ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়ে যায়। এরপর এক সপ্তাহের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা আসে। ১৫ মে যদি আবার আইপিএল শুরু হয়, তাহলে ঠিক এক সপ্তাহই বিরতি থাকবে।

স্থগিত হওয়ার আগে আইপিএলের অষ্টাদশ আসর থেকে ছিটকে গেছে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। বাকি সাতটি দল এখনও প্লে-অফের দৌড়ে আছে। অবশ্য এর মধ্যে শীর্ষে (যথাক্রমে গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস) থাকা দলগুলোরই সম্ভাবনা বেশি।

 

Header Ad
Header Ad

‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

বাঙ্গরা বাজার থানা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে কথাকাটাকাটির জেরে বিএনপির চার নেতাকর্মীর ওপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, ‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ এমন মন্তব্য করায় ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ সমর্থিত একদল দুর্বৃত্ত তাদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।

শনিবার (১০ মে) রাতে উপজেলার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—জিয়া মঞ্চের সদস্যসচিব ও বিএনপি নেতা জুয়েল মিয়া, তার ছেলে সৌরভ, একই গ্রামের বিএনপি কর্মী জাহিদুল (পিতা: জাহের মিয়া) ও শাকিল (পিতা: ইউনুস মিয়া)। তাদের মধ্যে জাহিদুল আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। বাকি তিনজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা জানান, গত ৩ মে বাঙ্গরায় বিএনপির একটি সমাবেশে যাওয়ার সময় জুয়েল মিয়ার ছেলে সৌরভ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়ার ছেলে জিহাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। সেখানে সৌরভ মন্তব্য করেন—‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’। এই কথাটি কেন্দ্র করে তখনই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হলেও উত্তেজনা থেকে যায়।

ঘটনার দিন রাতে নবিয়াবাদ মাদ্রাসার সামনে জিহাদ, জিসানসহ ৫-৬ জনের একটি দল অতর্কিতে সৌরভের ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে গেলে ছুরিকাঘাতের শিকার হন তার বাবা জুয়েল, চাচা শাকিল এবং প্রতিবেশী বিএনপি কর্মী জাহিদুল। তাদের চোখ, পেট, পিঠ ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়।

চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুরুতর আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জাহিদুলের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

আহত জুয়েলের ভাই হাবীবুর রহমান বলেন, “বিষয়টি এলাকায় সামাজিকভাবে মীমাংসা হয়েছিল। এরপরও এমন নিষ্ঠুর হামলা চালানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। জাহিদুলের এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা ঘটনার বিচার চাই।”

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল
‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ
ভারতে যাওয়ার সময় দর্শনা চেকপোস্টে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
সরকার শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছে: রিজভী
লা লিগার মোড় ঘুরাতে আজ এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ
দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া
যুদ্ধবিরতির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
মেসির দুর্দান্ত গোলেও রক্ষা হয়নি, মিনেসোটার কাছে বিধ্বস্ত ইন্টার মায়ামি
‘এই মোটু’ বলে কটাক্ষ, রেগে গিয়ে গুলি
গেজেটের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
আবারও শাহবাগ অবরোধ
বিশ্ব মা দিবস আজ
আইনের মাধ্যমে আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া ইতিবাচক মনে করে বিএনপি
ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই
জুলাই ঘোষণাপত্র ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে
‘লীগ ধর, জেলে ভর’: হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
অবশেষে ছোট সাজ্জাদের আলোচিত স্ত্রী তামান্না গ্রেফতার