রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

স্বাধীনতাবিরোধীদের হুংকার ও সমাবেশের সহোদর

তানজিব রহমান

‘স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায়? দাসত্ব-শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায়?’ কবি রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়’র এ পঙতিটি স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে স্বাধীনতা সঙ্গীত বা মুক্তির গান বলা চলে। কবির দুটি চরণ থেকেই আমরা স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে পারি। পৃথিবীর কোন জাতি পরাধীন থাকতে চায় না।

স্বাধীনতা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। স্বাধীনতা এবং মুক্তির আকাঙ্খা যুগে যুগে মানুষের মনে ছিল। স্বাধীনতার স্বপ্ন ও মুক্তির চেতনা তাদের মনকে আন্দোলিত করেছিল যুগ, যুগান্তর। কখনো ফরাসি বিপ্লব, কখনো রেঁনেসা, কখনো আবার শিল্পবিপ্লব হয়ে তা আমাদের সামনে উঠে এসেছে। তবে এগুলোর সব কিছুর মূলেই কিন্তু স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাস পরিণতি ও পরিসমাপ্তি আছে।

পৃথিবীর অনেক জাতি আছে যাদের স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের মতো এতোটা গৌরব দীপ্ত নয়। তারা একই সাথে স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য ঝাপিয়ে পড়েনি আমাদের মুক্তির ইতিহাসটা পলাশী থেকে ধানমন্ডি ৩২ পর্যন্ত বিস্তৃত যা এখনও আমরা করে যাচ্ছি। আমাদের স্বাধীনতার একজন মহানায়ক আছেন-যার তর্জনীর ইশারায়, বজ্রকন্ঠের ডাকে সমগ্র বাঙালি জাতি সেদিন জেগে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছিলেন-‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। আর তাতেই সাড়ে সাত কোটি বাঙালির স্বাধীনতার মুখবন্ধ রচিত হয়ে গেল।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়ে গেলাম একটা স্বাধীন ভূ-খন্ড সার্বভৌম দেশ। আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এখনো চলছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরাধিকার ও রাজাকার দোসরদের বিরুদ্ধে এ সংগ্রাম নিরন্তর করে যেতেই হবে। তবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কিন্তু তখন থেকে এখনও তাদের দোসরদের কাঁধে ভর করে রাজনৈতিক শক্তিতে আবির্ভূত হচ্ছে।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপির জনসভায় স্বাধীনতাবিরোধী বিতর্কিত নেতা সা.কা. চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বলে দিতে চাই, ক্ষমতা ছাড়ার পর একা বাড়িতে যেতে পারবেন না। প্রত্যেকটা শহীদের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করব।’

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে হুম্মাম বলেন, ‘যাওয়ার আগে বাবার স্লোগান আপনাদের বলে যেতে চাই। নারায়ে তকবির, নারায়ে তকবির, নারায়ে তকবির। আমরা যখন আবার এই ময়দানে আসব, সরকার গঠন করে আসব।’

একজন যুদ্ধাপরাধী রাজাকার পুত্রের এমন হুংকার, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননা, একটা রাজনৈতিক দলের ব্যানারে! কী প্রমাণ করে? স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের অর্জনকে তারা শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলিই দেখাননি, বরং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির লোকদেরকে একা ঘরে না ফেরার হুমকি দিচ্ছেন প্রকাশ্যে।

বাস্তবে কী হবে তা আমরা তো তাদের পেট্রোল বোমা ও আগুন সন্ত্রাসী দিনগুলোর সময় দেখেছি।এই কালকেউটেদের ফনা বাংলাদেশকে আরো গুরুত্বের সাথে আমলে নেয়ার সময় এসেছে। এদের ফুঁস করে উঠতে দেয়া যাবে কি-না তা বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে যেমনটা নিয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে।

অসাম্প্রদায়িক, শান্তি ও সৌহার্দ্যের বাংলাদেশ, মিলে-মিশে বাংলাদেশ, সবার জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের জন্য এরা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অতীতেও তার দাদা ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী। তিনি বঙ্গবন্ধুর ছয়দফার বিরোধী ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধী ছিলেন, ১৯৭১ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রায় দেড় মণ সোনা নিয়ে নৌ-যানে করে দেশ থেকে পালানোর সময় আনোয়ারা উপজেলার গহীরা উপকূলে মুক্তিযুদ্ধাদের হাতে ধরা পরেন।

এসব অপশক্তির মূল কত গভীরে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাদের মূল উৎপাটনে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজাকার সাকা পুত্রের বক্তব্যে কপালে ভাঁজ ফেলার মতো আরো একটি বিষয় হলো-তিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে অবমাননা করে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির সাজা হওয়া সব আসামীদেরকে ‘শহীদ’ বলে জনসম্মুখে বক্তব্য প্রদান করেছেন। তা দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শামিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন ১৯৭৩’র ক্ষমতা বলে অপরাধীদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত যেখানে তাদের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন, সেখানে অপরাধীদেরকে জনসম্মুখে শহীদ বলে আখ্যায়িত করে সর্বোচ্চ আদালত অবমাননা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত। রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল।

অথচ হুম্মাম বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, হুম্মামের এই বক্তব্যকে আমীর খসরু মাহমুদ বিএনপি’র নয়, হুম্মামের ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করেছেন। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা ছাড়া আর কিছু নয়। ২০১৫ সালে যুদ্ধাপরাধে জড়িত সাকা চৌধুরীর রায় কার্যকর হলে বিএনপি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেনি বরং ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দলের কংগ্রেসে সাকা চৌধুরীর নামে শোক প্রস্তাব করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকে তারা এভাবে লালন করেন!

যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গিতে আমরা কম, বেশী বিচলিত। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ যুদ্ধাপরাধী নয়, রাজবন্দী। আর আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাবিরোধী। দলের চেয়ারপারসনের এ বক্তব্য আজ ও আগামী দিনের বাংলাদেশ কিভাবে নিবে? সবকিছুকে রাজনীতি আর ক্ষমতার মোড়কে ভাঁজ করে রাখলে দেশটাকে এগিয়ে নেবে কে? শুধু ভোটের রাজনীতির জন্য মাতৃতুল্য স্বদেশ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মর্যাদা বিকিয়ে দিয়ে; জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারলে জনগণের কাছে কী প্রত্যাশা করা যায়?

ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের ফলে চলমান বিশ্বসংকট থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেশকে আগামীর জন্য স্থিতিশীল রাখা এবং উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভিশনারি নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। একইভাবে আমাদের ভুলে গেলেও চলবে না লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন দেশে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের উত্তরসূরীরা এখনো প্রতিশোধের উন্মত্ততায় মরণ কামড় দিতে সুযোগ খুঁজছে। করছে রাষ্ট্রবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র। তাদের হাত থেকে দেশকে ও দেশের স্বাধীনতার মর্যাদাকে বাঁচাতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবেই। তার কোনো বিকল্প নাই।

মেইল : tanzib1971@gmail.com.

লেখক-গবেষক।

ছবি : পাহাড়পুর মহাবিহার।

ওএফএস।

Header Ad
Header Ad

এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কমিটির এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কথা বলছেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়া সফল ও সময়োপযোগীভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও অংশীদারদের মধ্যে দ্রুত ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কমিটির এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। বৈঠকে এলডিসি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতিগুলো পর্যালোচনা করা হয় এবং ভবিষ্যতের করণীয় নির্ধারণ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারদের মনোযোগ ও সমর্থন পেয়েছি। এখন আমাদের উচিত চলমান কর্মপ্রয়াসকে আরও শক্তিশালী করা এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে দ্রুত অগ্রসর হওয়া।”

তিনি প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমাদের এমন একটি সমন্বিত টিম প্রয়োজন যারা অগ্নিনির্বাপক দলের মতো সংকটে দ্রুত সাড়া দেবে—কার্যকর ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে যতক্ষণ না সমাধান আসে।” তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়ার সার্বক্ষণিক তদারকি চালানো হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ শুধুই একটি অর্থনৈতিক মাইলফলক নয়—এটি জাতীয় সক্ষমতা, আত্মনির্ভরতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকীসহ উত্তরণ কমিটির অন্যান্য সদস্য ও নীতি উপদেষ্টারা।

সভায় এলডিসি উত্তরণ কমিটি পাঁচটি জরুরি ও অগ্রাধিকার ভিত্তিক পদক্ষেপ চিহ্নিত করে, যেগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়:

১. জাতীয় একক জানালা (National Single Window) পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করা, যাতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

২. জাতীয় শুল্ক নীতি ২০২৩ বাস্তবায়নে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করা।

৩. জাতীয় লজিস্টিক নীতি ২০২৪-এর আওতায় অবকাঠামোভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা।

৪. সাভারের ট্যানারি শিল্প এলাকায় বর্জ্য শোধনাগার (ETP) কার্যকরভাবে প্রস্তুত করা।

৫. গজারিয়ায় এপিআই (API) পার্ক-এর পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।

Header Ad
Header Ad

ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে কাল। এখন প্রশ্ন, দুই দেশের সংঘাতের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল কবে শুরু হতে পারে?

ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, আইপিএল আবার শুরু হতে পারে ১৫ মে। এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অন্যদিকে পিএসএল শুরু করতেও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো নির্দিষ্ট কোনো তারিখের কথা বলতে পারেনি।

বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। এখন নতুন পরিস্থিতিতে বিসিসিআই কর্মকর্তারা এবং আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রোববার (১১ মে) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। দেখা যাক টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো শেষ করার জন্য কোনটা সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হয়।’

৮ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়ে যায়। এরপর এক সপ্তাহের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা আসে। ১৫ মে যদি আবার আইপিএল শুরু হয়, তাহলে ঠিক এক সপ্তাহই বিরতি থাকবে।

স্থগিত হওয়ার আগে আইপিএলের অষ্টাদশ আসর থেকে ছিটকে গেছে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। বাকি সাতটি দল এখনও প্লে-অফের দৌড়ে আছে। অবশ্য এর মধ্যে শীর্ষে (যথাক্রমে গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস) থাকা দলগুলোরই সম্ভাবনা বেশি।

 

Header Ad
Header Ad

‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

বাঙ্গরা বাজার থানা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে কথাকাটাকাটির জেরে বিএনপির চার নেতাকর্মীর ওপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, ‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ এমন মন্তব্য করায় ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ সমর্থিত একদল দুর্বৃত্ত তাদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।

শনিবার (১০ মে) রাতে উপজেলার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—জিয়া মঞ্চের সদস্যসচিব ও বিএনপি নেতা জুয়েল মিয়া, তার ছেলে সৌরভ, একই গ্রামের বিএনপি কর্মী জাহিদুল (পিতা: জাহের মিয়া) ও শাকিল (পিতা: ইউনুস মিয়া)। তাদের মধ্যে জাহিদুল আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। বাকি তিনজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা জানান, গত ৩ মে বাঙ্গরায় বিএনপির একটি সমাবেশে যাওয়ার সময় জুয়েল মিয়ার ছেলে সৌরভ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়ার ছেলে জিহাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। সেখানে সৌরভ মন্তব্য করেন—‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’। এই কথাটি কেন্দ্র করে তখনই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হলেও উত্তেজনা থেকে যায়।

ঘটনার দিন রাতে নবিয়াবাদ মাদ্রাসার সামনে জিহাদ, জিসানসহ ৫-৬ জনের একটি দল অতর্কিতে সৌরভের ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে গেলে ছুরিকাঘাতের শিকার হন তার বাবা জুয়েল, চাচা শাকিল এবং প্রতিবেশী বিএনপি কর্মী জাহিদুল। তাদের চোখ, পেট, পিঠ ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়।

চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুরুতর আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জাহিদুলের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

আহত জুয়েলের ভাই হাবীবুর রহমান বলেন, “বিষয়টি এলাকায় সামাজিকভাবে মীমাংসা হয়েছিল। এরপরও এমন নিষ্ঠুর হামলা চালানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। জাহিদুলের এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা ঘটনার বিচার চাই।”

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল
‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ
ভারতে যাওয়ার সময় দর্শনা চেকপোস্টে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
সরকার শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছে: রিজভী
লা লিগার মোড় ঘুরাতে আজ এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ
দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া
যুদ্ধবিরতির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
মেসির দুর্দান্ত গোলেও রক্ষা হয়নি, মিনেসোটার কাছে বিধ্বস্ত ইন্টার মায়ামি
‘এই মোটু’ বলে কটাক্ষ, রেগে গিয়ে গুলি
গেজেটের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
আবারও শাহবাগ অবরোধ
বিশ্ব মা দিবস আজ
আইনের মাধ্যমে আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া ইতিবাচক মনে করে বিএনপি
ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই
জুলাই ঘোষণাপত্র ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে
‘লীগ ধর, জেলে ভর’: হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
অবশেষে ছোট সাজ্জাদের আলোচিত স্ত্রী তামান্না গ্রেফতার