বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

রক্তাক্ত দ্বি-খণ্ডিত পাথর থেকে যেভাবে দেবী সোমেশ্বরী

ফাইল ফটো

সুনামগঞ্জ জেলার উল্লেখযোগ্য একটি উপজেলা শাল্লা। কোনো অঞ্চলের সংস্কৃতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে হলে ওই অঞ্চলের নৃতাত্বিক স্বকীয়তা, আঞ্চলিক বিশেষত্ব, ভাষার স্বতন্ত্র ইত্যাদি নিয়েই কাজ করতে হয়। এই উপজেলার কোথাও কোনো প্রকার শিলালিপি, দস্তাবেজ, আদিম মানুষের কঙ্কাল এমন কিছু পাওয়া যায়নি। সঙ্গত কারণে এই উপজেলার সংস্কৃতি স্থানীয় ভাষার প্রতি দৃষ্টি দিয়েই বুঝে নিতে হবে। এখানকার ভাষায় বিভিন্ন অঞ্চলের বিশেষ করে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভাষার সংমিশ্রণ রয়েছে।

শাল্লা উপজেলার লোক সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যায় এই এলাকায় এক সময় পীরবাদ বা মুর্শিদবাদ, দেবদেবী, জীন-ভূত, দৈত্য, দানব, লৌকিক ক্রীয়কর্ম ও জাদু-মন্ত্রের প্রতি লোকজনের বিশ্বাস ছিল খুব বেশি। এখানে দেব-দেবী, জীন-ভূত, দৈত্য দানব, পীর ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাবিজ-কবচ, ঝাঁড়-ফুঁক, পানি পড়া ইত্যাদির প্রভাব ছিল। শাল্লা উপজেলার কোনো কোনো এলাকায় বর্তমানেও এই প্রভাব রয়েছে। এক সময় এখানকার মানুষ চাষাবাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন করত। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে শিরনি মানতের মাধ্যমে নানান অলৌকিক দেবতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকত। শাল্লার এমনি এক অলৌকিক দেবী হচ্ছেন সোমেশ্বরী।

আনুমানিক ২৫০ বছর আগেরকার ঘটনা। অগ্রহায়ন মাসের কোনো এক সকাল বেলা। গ্রামের স্থানীয় এক কৃষক বাড়ির সামনের নলখাগড়া কাটতে গিয়ে ঘটে এক অলৌকিক কাণ্ড। তিনি নলখাগড়া কাটতে গিয়ে তার দায়ের কোপ গিয়ে পড়ে একটি পাথর খণ্ডে। তখনই দায়ের কোপে দ্বি-খণ্ডিত হওয়া পাথর থেকে আকস্মিকভাবে রক্ত ঝরতে থাকে বিরামহীন। ভয়ে ওই কৃষকের জ্বর আসতে থাকে। অগত্যা তিনি বাড়ি গিয়ে কাঁথা গায়ে জড়িয়ে শোয়ে পড়েন। ঘুমের মধ্যেই তিনি শোনতে পান, ‘তুই আমার গায়ে আঘাত করে রক্ত জড়িয়েছিস,আমি দেবী সোমেশ্বরী। আজ থেকে এই গ্রামের কোথাও আমাকে প্রতিষ্ঠা করে পূজা শুরু করতে হবে।’ তারপর ঘুম ভেঙে যায় কৃষকের। তিনি স্বপ্নের বিষয়টি নিয়ে সাহায্য চান গ্রামবাসীর কাছে। কৃষকের স্বপ্ন এবং দেবী সোমেশ্বরীর বিষয়টি ছড়িয়ে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী আরও ৪টি গ্রামে। সেই থেকে উদ্যোগ। অবশেষে স্বপ্নে সুমেশ্বরী দেবীর আদেশ অনুযায়ী বাহাড়া গ্রামের একটি উচুঁ স্থানে সেই কৃষকের হাত ধরেই পাথর খণ্ডে পূজা হচ্ছে দেবী সুমেশ্বরীর। এখানেই শেষ নয়, দ্বি-খণ্ডিত সেই একটি পাথর খণ্ডসহ অলৌকিকভাবে সেখানে স্থান হয় আরও ৩০ থেকে ৪০টি পাথর/ শিলার। তাঁরাও পূজিত হচ্ছেন সুমেশ্বরী মন্দিরে। তবে কবে এবং কিভাবে এই পাথর/শিলাগুলোর মন্দিরে স্থান হলো তার সুনির্দীষ্ট তথ্য কারোর কাছে নেই। কিন্তু বাকী পাথরখন্ড কিংবা শিলাগুলো সোমেশ্বরী দেবীর বোন হিসেবে মন্দিরে আগমন ঘটে-এমন বিষয়টি লোকমুখে বেশি প্রচারিত।

সেই থেকে সোমেশ্বরী দেবীর আগমন উপলক্ষে প্রতি বছর চৈত্র মাসের প্রথম রবিবার ও সোমবার বাহাড়া গ্রামে মেল বন্ধন শুরু হয় ভক্তদের। ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে মন্দির প্রাঙ্গন। মেলা এবং পূজানুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাহাড়া গ্রামসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক বাহাড়া, রঘুনাথপুর, শিবপুর, যাত্রাপুর ও পোড়ারপাড় গ্রামের লোকজন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রতি বছর প্রায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো ভক্তের ঢল নামে।

স্থানীয়ভাবে সোমেশ্বরী মেলা বারনি হিসেবেও পরিচিত। গ্রামের দাড়াইন নদীর তীরে প্রথম দিনের মেলাটি ‘বেল-কুইশ্যার (ইক্ষু)’ মেলা হিসেবে পরিচিত। চৈত্রের প্রথম রবিবার বেল, আখ ও লাঠির মেলা বসে নদীর তীরে। পরদিন একই স্থানে বসে সোমেশ্বরীর মেলা। সোমেশ্বরী মন্দিরে আসা লোকজন মেলা থেকে ঐতিহ্য ও পূণ্যবস্তু হিসেবে আখ, বেল ও লাঠি নিয়ে বাড়ি ফেরেন।

শাস্ত্রীয় দেবী হিসেবে এই দেবীর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও অলৌকিক দেবি হিসেবে বাহাড়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত সোমেশ্বরী দেবীর পূজা নিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। কারো কারোর মতে, প্রায় তিন শতাধিক বছর আগে থেকে সুমেশ্বরী দেবীর পূজানুষ্ঠান হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, দেড়শো বছর আগের ঘটনা। তবে অধিকাংশ প্রবীন লোক জানিয়েছেন, অন্তত ২৫০ বছর থেকে বাহাড়া গ্রামে দেবি সুমেশ্বরী পূজা হচ্ছে। এই সময়ে মহিষ বলি দেওয়া সুমেশ্বরী পূজার অন্যতম একটি রেওয়াজ। বলির পর মহিষটাকে ফেলে দেওয়া হয় পানিতে। এর আগে মহিষের রক্ত মিশ্রিত মাটি ভক্তি সহকারে সংগ্রহ করেন ভক্তরা। রক্ত মিশ্রিত সেই মাটি কেউ গায়ে মাখেন, কেউ ভালো ফসলের জন্য জমিতে ফেলেন আবার কেউ শারীরিক সুস্থতা কামনায়ও ভক্তি সহকারে মাটি গায়ে মাখেন।

সোমেশ্বরী দেবীর পূজাকালীন আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে-মহিষ বলিদানের আগ পর্যন্ত ওই ৫ গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও চুলোয় আগুন জ্বালানো হয় না। রেওয়াজ অনুযায়ী-বলিদান শেষে রান্নার যাবতীয় সরঞ্জাম ধুয়ে মুছে তারপর শুরু হয় রান্নার কাজ।

দেবি সুমেশ্বরী পূজায় অলৌকিক কাণ্ডের নানা তথ্য জানা গেছে লোকমুখে। নিয়ম অনুযায়ী বলি না হলে মন্দির প্রাঙ্গনে নানা ভুতুড়ে কাণ্ড ঘটতে থাকে। এমনকি বলির জন্য মহিষ প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে বারবার চেষ্টা করেও বলিদান সম্পন্ন করা যায় না-এমন তথ্যও জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। ফলে সুমেশ্বরী পূজা অনুষ্ঠান করার আগে সবাইকে একনিষ্ট এবং গভীর শ্রদ্ধায় মায়ের কাছে মাথা নত করে পূজা সম্পন্ন করতে হয়। এ ছাড়াও স্থানীয়দের বিশ্বাস, সুমেশ্বরী দেবীর সন্তুষ্টি আদায় করতে পারলে অকাল বন্যার কবল থেকে হাওরের বোরো ফসল রক্ষা করা খুবই সহজ হবে। ফলে কৃষি নির্ভর শাল্লা অঞ্চলের মানুষ গভীর শ্রদ্ধায় মহা আড়ম্বরে মাতা সোমেশ্বরী দেবীর পূজার্চনা করে আসছে।

হাওরাঞ্চলের মানুষ লোকজ বিশ্বাস ও লোকজ প্রথায় প্রবলভাবে বিশ্বাসী। শাল্লায় তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সংস্কার-কুসংস্কার বৈজ্ঞানিক বা যৌক্তিকভাবে উঠে গেলেও এক শ্রেণির মানুষের কাছে তা এখনও রয়ে গেছে। যেমন-বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চৌক্কা গোটা (একজাতীয় গুল্ম) কাইতনে (কালো রঙ্গের মসৃন সুতা) বেঁধে তার সঙ্গে ইমাম বা পীর ফকিরের দেওয়া তাবিজ গলায়, কোমরে, পায়ে, হাতের কব্জিতে বেঁধে রাখা। শিশুর চেহারা লাল-নীল হওয়া কিংবা খিচুনী হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোমরে বাইট্যা (কালো রঙ্গের মোটা সুতা) বেঁধে দেওয়ায়। টাউকরা-টাউকরি ধরলে শিশুর চেহারা লাল-নীল হয়। এতে শিশুর মৃত্যু হতে পারে। কোনো কারণে শিশুর চেহারা লাল-নীল হলে কবিরাজের মাধ্যমে লোহার বড়শী আগুনে পুড়িয়ে লাল করে শিশুর কপালে বা বুকে ছেক দেওয়া। লোকজনের বিশ্বাসের মধ্যে আরও একটি অন্যতম প্রথা ছিল, স্বামীর নাম মুখে আনলে অমঙ্গল হয়। হাতে চুঁড়ি না থাকলে স্বামীকে খাবার পানি দিতে নেই। ৮/১০ বছরের বাচ্চা ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় প্রশ্রাব করলে ঘুম থেকে ওঠার পর ওই স্থানে চাল ফেলে জিহ্বা দিয়ে চেঁটে চেঁটে খাওয়ানো ইত্যাদি।

সোমেশ্বরী দেবী ভক্ত ও সোমেশ্বরী সংগঠনের সদস্য বাহাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রবীন্দ্র চন্দ্র দাস (৭৫) জানান, ছোট বেলায় তিনি দেখেছেন তার দাদু-দিদা, মা-বাবাসহ স্বজনরা সোমেশ্বরী দেবীকে এসে পূজা দিতেন। তিনিও তাদের পথ ধরে প্রতি বছর পূজা দেন। এ উপলক্ষে দেবীর মন্দির ঘিরে মেলাও বসে।
তিনি আরও জানান, এই মেলা ও পূজার বয়স আনুমানিক ৫ শত বছর হবে।

সুমেশ্বরী মেলা বিষয়ে গ্রামের প্রবীন মুরুব্বী নিবরস রায় জানান, পূর্বসূরীদের ঐতিহ্য হিসেবে প্রতি বছর চৈত্র মাসে দেবী সোমেম্বরী এখানে পূজিত হচ্ছেন। মেলায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য ও পবিত্রতা রক্ষায় পরিচালনা কমিটি সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্ব পালন করে।

তিনি বলেন, সোমেশ্বরী দেবী এই অঞ্চলের মানুষের ফসল ও জীবন-জীবিকা রক্ষার অবলম্বন-এমন বিশ্বাস থেকে গভীর শ্রদ্ধায় ও ভক্তি সহকারে দেবির পূজার্চনা সম্পন্ন হয়।

শাল্লা উপজেলার চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, শাল্লায় দীর্ঘদিন থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। ফলে যেকোনো ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

তিনি বলেন, দেবি সোমেশ্বরী এই অঞ্চলের ফসল রক্ষার প্রতীক হিসেবে সকল ধর্মের মানুষের কাছে পূজনীয়। ফলে মেলায় সকল ধর্মের মানুষের ভক্তি সহকারে সহাবস্থান মেলার আরও একটি অসাম্প্রদায়িকতার নিদর্শন।

এ ব্যাপারে সোমেশ্বরী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার বলেন, মন্দির পরিচালনা কমিটির সার্বিক তত্বাবধানে প্রতি বছর দুই দিনব্যাপী মেলা ও পূজানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

তিনি বলেন, মেলায় বেল ও কুইশ্যারের ক্রেতা হিসেবে সনাতন ধর্মের পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের অংশগ্রহণ মেলার আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক। এর ফলে সোমেশ্বরী মেলায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়নি।

এসআইএইচ

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: পিআইডি

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে আজ মোট পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

চুক্তিগুলো হলো- কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।

এর আগে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় নায়েক ও কনস্টেবলদের 'দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স'-এর  উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ১৫তম ব্যাচে ৪২ জন পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে সপ্তাহব্যাপী পদমর্যাদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা  আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম'র সার্বিক নির্দেশনায় ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, কুষ্টিয়ার পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যরা এ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন।

পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান উদ্‌বোধনী ক্লাসে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে পোশাকের মর্যাদা, সৌজন্যতা ও মার্জিত আচরণ, সহকর্মী ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে পেশাগত আচরণ ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রিয়াজুল ইসলাম, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ); চুয়াডাঙ্গা; মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্); চুয়াডাঙ্গা; আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল); চুয়াডাঙ্গা; আবদুল আলীম, আরওআই, রিজার্ভ অফিস, চুয়াডাঙ্গা; আমিনুল ইসলাম, আরআই, পুলিশ লাইন্স, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিনিধিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

আব্দুল লতিফ প্রধান ও শাকিল আকন্দ বুলবুল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে যাচাই-বাছাই শেষে রিটানিং অফিসার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাচাই-বাছাই শেষে যাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আকন্দ বুলবুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মেসবাহ নাহিফুদ দৌলা, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো: আব্দুল মতিন মোল্লা, পাপন মিয়া, মাহাবুর রহমান ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজু। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পাপিয়া রানী দাস, মমতা বেগম, আফরুজা খাতুন, সাকিলা বেগম, ফাতেমা বেগম, উম্মেজাহান, সাথী আক্তার।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে এই উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ৩০ এপ্রিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ২ মে সকল প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।

সর্বশেষ সংবাদ

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ভাড়া বাড়াইনি, শুধু ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছি: রেলমন্ত্রী
নবাবগঞ্জে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, সাবেক ও বতর্মান চেয়ারম্যান জেলহাজতে
ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি
ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে দুঃসংবাদ, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত
'রূপান্তর' বিতর্ক: জোভান-মাহিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা
সাঘাটায় নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন টিটু
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, চরম উত্তেজনা
দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস
পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার
বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের
চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি
দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ