বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘চোখ গেল’ ‘চোখ গেল’ কেন ডাকিস রে...

চোখ গেল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সম্প্রতি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় যাওয়ার জন্য রওনা হই। মোটরসাইকেল যোগে যখন মহাদেবপুর উপজেলার ছাতড়া বিলে পৌঁছাই তখন ঘড়িতে সকাল সাড়ে ৮ টা বাজে। চারিদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন তীব্র শীত। এমন সময় বিলের মধ্য দিয়ে সংযোগ সড়কের ব্রিজের পিলারের উপর বসে থাকা একটি পাখি নজরে আসে। দ্রুত মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে দাঁড় করালাম।

তখন বিলের মাঝে সংযোগ সড়কটি জনমানব শূন্য। দূরে কিছু দেখা যাচ্ছে না কুয়াশায়। সেদিন তাপমাত্রা পারদ ছিলো ১০ এর নিচে। ধীরে ধীরে পাখিটির কাছে গেলাম, আমাদের দেখে একটুকু ভয় পেল না। তীব্র শীতে পাখিটি উড়তে পারছে না।

সচরাচর এই পাখিটি মাটিতে নামেনা। আবার শীতকালে দেখাও যায় না। বলতে গেলে আমাদের সৌভাগ্য তারপর বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম খু্ব কাছ থেকে তবুও উড়ে গেল না। উড়ে যখন যাচ্ছে না তখন তাকে আর বিরক্ত না করি; এই ভেবে রওনা দিলাম গন্তব্যস্থলে।

পাখিটির নাম: চোখ গেল

 

পাখিটির বাংলা নাম: ‘চোখ গেল’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন,

‘চোখ গেল’ ‘চোখ গেল’ কেন ডাকিস রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে!
তোরও চোখে কাহার চোখ পড়েছে নাকি রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে!
তোর চোখের বালির জ্বালা জানে সবাই রে–
জানে সবাই
চোখে যার চোখ পড়ে তার ওষুধ নাই রে–
তার ওষুধ নাই ;
কেঁদে কেঁদে অন্ধ হয় কাহার আঁখি রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে॥
তোর চোখের জ্বালা বুঝি নিশিরাতে বুকে লাগে
‘চোখ গেল’ ভুলে রে ‘পিউ কাঁহা’ ‘পিউ কাঁহা’ বলে
তাই ডাকিস অনুরাগে রে।
ওরে বন-পাপিয়া, কাহার গোপন প্রিয়া ছিলি–
আর-জনমে
আজও ভুলতে নারিস আজও ঝুরে হিয়া
ওরে পাপিয়া বল, যে হারায় তাহারে কি
পাওয়া যায় ডাকি রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে।
‘চোখ গেল’ পাখি॥

‘চোখ গেল’, ইংরেজি নাম: “কমন হাক কুক্কু”, (Common Hawk Cuckoo), বৈজ্ঞানিক নাম: “হাইরোকক্সিস ভেরিয়াস”, (Hierococcyx varius), গোত্রের নাম: কুকুলিদি। এরা লম্বায় ৩৩-৩৪ সেন্টিমিটার। ঠোঁট তীক্ষ। ঠোঁটের ডগা কালো বাদবাকি হলদেটে সবুজ। মাথা থেকে লেজের প্রান্ত পর্যন্ত ধূসর। তবে লেজের ওপর কিছু কালো বলয় রয়েছে। গলার নিচ থেকে বুক পর্যন্ত লালচে বাদামি। বুকের দু’পাশে সরু বাদামি দাগ। চোখের তারা, বলয় হলুদ। পা, আঙুল হলুদ। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম।

দেশী কালো কোকিলের মত মিষ্টি ডাক কিন্তু অতটা জোড়ালো না। মোটামুটি ১ মিটার দূরে গেলেই মিলিয়ে যায় বাতাসে এমন ক্ষীন স্বরে ডাকে। শীতকালে এরা সাধারনত চোখে পড়ে না। কিন্তু বসন্ত এলেই গাছের উঁচু ডালে ডালে এদের বসে থাকতে দেখা যায়। সাধারণত ঘন সবুজ বনে এদের দেখা যায় আর বাসা বাধে গাছের উঁচু অংশেএ কোটরে বা দুটি ডালের মাঝের খাঁজে। পারতপক্ষে এরা মাটিতে নামে না।

গাছে গাছে কিংবা শূন্যে ওড়াউড়ি করেই সময় কাটায়। পতঙ্গ ভক্ষণের লোভে ঝোপ-জঙ্গলের কাছাকাছি বেশিরভাগ সময় উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। দেখা যায় রসালো নরম ছোট ফল গাছের আশপাশেও। এদের খাবার এর তালিকায় রয়েছে কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়, ছোটখাটো সরীসৃপ। ছোট নরম ফল-ফলাদিও খায়। নিজেরা বাসা বাঁধতে জানে না। জ্ঞাতিভাই কোকিলের মতো পরের বাসায় ডিম পেড়ে পালিয়ে যায়। বেশিরভাগ সময় ডিম পাড়ে একটি। ডিম পাড়ে ঘুঘু, ফিঙ্গে, হলদে পাখির বাসায়।

সাধারণত একাকী বিচরণ করে। প্রজনন সময় ঘনিয়ে এলে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। মার্চ থেকে জুন মাস এদের প্রজনন ঋতু। অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে বলে সঠিক ডিম ফোটার সময় নির্ধারণ করা যায় নি। তবে একটি ডিম ফুটে বাচ্চা হলে সেই বাচ্চাকে হিংসুটে বাচ্চা বলা যেতে পারে। কারণ সে ডিম থেকে বেড় হয়েই নিজের শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে অন্য সকল ডিম গুলোকে বাসা থেকে বের করে দেয় বা ফেলে দেয়। এ যেনো প্রকৃতির এক নির্মম নিষ্ঠুরতা।

Header Ad

দুই মাসের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীসহ সারা দেশে দুই মাসের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখা থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সই করেন সিনিয়র সচিব জেতা প্রু।

এতে বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে ও সময়কালে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

এতে উল্লেখ করা হয়, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা কার্যকর করতে পারবেন। আর এই ক্ষমতা কার্যকর থাকবে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত।

এদিকে রাজধানীসহ সারা দেশে দুই মাসের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করে তৎকালীন সরকার। এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। একপর্যায়ে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনো সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল, চালু হচ্ছে কাজীপাড়া স্টেশন

ছবি: সংগৃহীত

আগামী সপ্তাহে আবারও চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন। সেই সঙ্গে আসছে শুক্রবারও (২০ সেপ্টেম্বর) মেট্রো চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। একইদিন থেকে কাজীপাড়া স্টেশনটি চালু করা হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর চলতি সপ্তাহ থেকে শুক্রবারও (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে মেট্রোরেল চালানোর চেষ্টা চলছে। এই শুক্রবার থেকে মেট্রোরেল কাজীপাড়া স্টেশনটি পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা করে দুর্বৃত্তরা।

এরপর গত ২৫ আগস্ট মেট্রোরেলের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হলেও এই দুটি স্টেশনে কোনো ট্রেন থামতে পারছে না। ৫ আগস্টের আগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জানিয়েছিল এ দুটি স্টেশন চালু হতে এক বছরের মতো সময় লাগবে।

মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, “যাত্রীদের জন্য দুটি স্টেশন প্রস্তুত করতে কর্তৃপক্ষ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।”

গতিশীল প্রবাসী আয় রিজার্ভের পতন ঠেকাচ্ছে: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) প্রবৃদ্ধির কল্যাণে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি বা রিজার্ভের ক্ষয়রোধ (পতন ঠেকানো) করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

হুসনে আরা শিখা বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে, রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়নের (বিপিএম৬) কাছাকাছি এবং বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ বা গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

‘প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বেশি হওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয় রোধ সম্ভব হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর চলতি বছরে জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। ’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, আন্তঃব্যাংকিং ফরেন এক্সচেঞ্জ সক্রিয় করা হয়েছে। এখন ব্যাংকগুলো নিজেরা কেনা-বেচা করতে পারছে। এক্ষেত্রে ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। ডলারের দাম এখন ১১৮ থকে ১২০ টাকার বেশি হবে না। আর খোলা বাজারে ডলারে দাম ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে ১ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।

আন্তঃব্যাংক লেনদেন সক্রিয় থাকার কারণে ফরেন এক্সচেঞ্জ স্থিতিশীল থাকবে বলেও জানান মুখপাত্র হুসনে আরা।

সর্বশেষ সংবাদ

দুই মাসের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল, চালু হচ্ছে কাজীপাড়া স্টেশন
গতিশীল প্রবাসী আয় রিজার্ভের পতন ঠেকাচ্ছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজান গ্রেপ্তার
‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
দুবাইফেরত যাত্রীর সাবান-শ্যাম্পু হাতিয়ে বরখাস্ত ৩ কর্মকর্তা
সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলামের রিমান্ড স্থগিত
ভাইরাল হওয়া মালা খানের স্বামী ও দুই মেয়ে থাকেন কানাডায়, ঢাকায় আছে গরু-ছাগলের খামার!
পদত্যাগ করলেন ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল
যে গ্রামের নাম শুনলেই ভেঙে যায় বিয়ে, মেলে না চাকরি!
এখনই রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই : উপদেষ্টা আসিফ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ভারত আগ্রহী: জয়শঙ্কর
আইসিসির লেভেল ৩ কোচ হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল
নেতাকর্মীদের প্রতি আওয়ামী লীগের দুই নির্দেশনা
ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহায়তা চায় এস আলম গ্রুপ
ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে মধুমিতা, দুমড়েমুচড়ে গেছে গাড়ি
মিস সুইজারল্যান্ডকে হত্যার পর দেহ টুকরো টুকরো করে মিক্সারে ব্লেন্ড করলেন স্বামী
আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১
২৬ সেপ্টেম্বর কী ঘটবে, কেন এত আলোচনা!