শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘চোখ গেল’ ‘চোখ গেল’ কেন ডাকিস রে...

চোখ গেল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সম্প্রতি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় যাওয়ার জন্য রওনা হই। মোটরসাইকেল যোগে যখন মহাদেবপুর উপজেলার ছাতড়া বিলে পৌঁছাই তখন ঘড়িতে সকাল সাড়ে ৮ টা বাজে। চারিদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন তীব্র শীত। এমন সময় বিলের মধ্য দিয়ে সংযোগ সড়কের ব্রিজের পিলারের উপর বসে থাকা একটি পাখি নজরে আসে। দ্রুত মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে দাঁড় করালাম।

তখন বিলের মাঝে সংযোগ সড়কটি জনমানব শূন্য। দূরে কিছু দেখা যাচ্ছে না কুয়াশায়। সেদিন তাপমাত্রা পারদ ছিলো ১০ এর নিচে। ধীরে ধীরে পাখিটির কাছে গেলাম, আমাদের দেখে একটুকু ভয় পেল না। তীব্র শীতে পাখিটি উড়তে পারছে না।

সচরাচর এই পাখিটি মাটিতে নামেনা। আবার শীতকালে দেখাও যায় না। বলতে গেলে আমাদের সৌভাগ্য তারপর বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম খু্ব কাছ থেকে তবুও উড়ে গেল না। উড়ে যখন যাচ্ছে না তখন তাকে আর বিরক্ত না করি; এই ভেবে রওনা দিলাম গন্তব্যস্থলে।

পাখিটির নাম: চোখ গেল

 

পাখিটির বাংলা নাম: ‘চোখ গেল’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন,

‘চোখ গেল’ ‘চোখ গেল’ কেন ডাকিস রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে!
তোরও চোখে কাহার চোখ পড়েছে নাকি রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে!
তোর চোখের বালির জ্বালা জানে সবাই রে–
জানে সবাই
চোখে যার চোখ পড়ে তার ওষুধ নাই রে–
তার ওষুধ নাই ;
কেঁদে কেঁদে অন্ধ হয় কাহার আঁখি রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে॥
তোর চোখের জ্বালা বুঝি নিশিরাতে বুকে লাগে
‘চোখ গেল’ ভুলে রে ‘পিউ কাঁহা’ ‘পিউ কাঁহা’ বলে
তাই ডাকিস অনুরাগে রে।
ওরে বন-পাপিয়া, কাহার গোপন প্রিয়া ছিলি–
আর-জনমে
আজও ভুলতে নারিস আজও ঝুরে হিয়া
ওরে পাপিয়া বল, যে হারায় তাহারে কি
পাওয়া যায় ডাকি রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে।
‘চোখ গেল’ পাখি॥

‘চোখ গেল’, ইংরেজি নাম: “কমন হাক কুক্কু”, (Common Hawk Cuckoo), বৈজ্ঞানিক নাম: “হাইরোকক্সিস ভেরিয়াস”, (Hierococcyx varius), গোত্রের নাম: কুকুলিদি। এরা লম্বায় ৩৩-৩৪ সেন্টিমিটার। ঠোঁট তীক্ষ। ঠোঁটের ডগা কালো বাদবাকি হলদেটে সবুজ। মাথা থেকে লেজের প্রান্ত পর্যন্ত ধূসর। তবে লেজের ওপর কিছু কালো বলয় রয়েছে। গলার নিচ থেকে বুক পর্যন্ত লালচে বাদামি। বুকের দু’পাশে সরু বাদামি দাগ। চোখের তারা, বলয় হলুদ। পা, আঙুল হলুদ। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম।

দেশী কালো কোকিলের মত মিষ্টি ডাক কিন্তু অতটা জোড়ালো না। মোটামুটি ১ মিটার দূরে গেলেই মিলিয়ে যায় বাতাসে এমন ক্ষীন স্বরে ডাকে। শীতকালে এরা সাধারনত চোখে পড়ে না। কিন্তু বসন্ত এলেই গাছের উঁচু ডালে ডালে এদের বসে থাকতে দেখা যায়। সাধারণত ঘন সবুজ বনে এদের দেখা যায় আর বাসা বাধে গাছের উঁচু অংশেএ কোটরে বা দুটি ডালের মাঝের খাঁজে। পারতপক্ষে এরা মাটিতে নামে না।

গাছে গাছে কিংবা শূন্যে ওড়াউড়ি করেই সময় কাটায়। পতঙ্গ ভক্ষণের লোভে ঝোপ-জঙ্গলের কাছাকাছি বেশিরভাগ সময় উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। দেখা যায় রসালো নরম ছোট ফল গাছের আশপাশেও। এদের খাবার এর তালিকায় রয়েছে কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়, ছোটখাটো সরীসৃপ। ছোট নরম ফল-ফলাদিও খায়। নিজেরা বাসা বাঁধতে জানে না। জ্ঞাতিভাই কোকিলের মতো পরের বাসায় ডিম পেড়ে পালিয়ে যায়। বেশিরভাগ সময় ডিম পাড়ে একটি। ডিম পাড়ে ঘুঘু, ফিঙ্গে, হলদে পাখির বাসায়।

সাধারণত একাকী বিচরণ করে। প্রজনন সময় ঘনিয়ে এলে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। মার্চ থেকে জুন মাস এদের প্রজনন ঋতু। অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে বলে সঠিক ডিম ফোটার সময় নির্ধারণ করা যায় নি। তবে একটি ডিম ফুটে বাচ্চা হলে সেই বাচ্চাকে হিংসুটে বাচ্চা বলা যেতে পারে। কারণ সে ডিম থেকে বেড় হয়েই নিজের শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে অন্য সকল ডিম গুলোকে বাসা থেকে বের করে দেয় বা ফেলে দেয়। এ যেনো প্রকৃতির এক নির্মম নিষ্ঠুরতা।

Header Ad
Header Ad

সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত

তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে 'প্রহসনের নির্বাচন' হিসেবে আয়োজনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার রিমান্ড আরও ৪ দিন বৃদ্ধি করেছে আদালত।

শুক্রবার (২৭ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে, প্রথম দফার ৪ দিনের রিমান্ড শেষ হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার আরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে আদালত শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গত সোমবারও নূরুল হুদার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। সেদিন আদালত ৪ দিনের রিমান্ড অনুমোদন করেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান গত রোববার শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক তিন সিইসি ছাড়াও আরও ২৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী এবং এ কে এম শহীদুল হক।

মামলার পরদিনই স্থানীয় জনগণের সহায়তায় কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের টেকনিক্যাল মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে যাওয়া একটি বাসের ধাক্কায় একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সরকারি বাঙলা কলেজের এক শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তবে হতাহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের মাঝে থাকা বিভাজকে উঠে পড়ে। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক পথচারী চাপা পড়ে নিহত হন এবং কলেজ শিক্ষার্থী আহত হন।

তিনি আরও জানান, ঘাতক বাসচালককে আটক করা হয়েছে এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি সরানোর কাজ চলছে।

Header Ad
Header Ad

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল— এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন, “আমরা খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেই সুযোগ তৈরি হয়নি।” তার দাবি, ইরানের শীর্ষ এই নেতা হামলার আশঙ্কায় আত্মগোপনে চলে যান এবং তার বাহিনীর নতুন নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

তবে বাস্তবে খামেনি ওই সময় একাধিকবার প্রকাশ্যে ভিডিও বার্তা দেন, এবং তার বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণও পাওয়া যায়— যা কাটজের দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

আরো চাঞ্চল্যকরভাবে কাটজ বলেন, এই ধরনের হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি প্রয়োজন ছিল না, যার মাধ্যমে তিনি আগের কিছু সংবাদমাধ্যমের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন যে, ওয়াশিংটন এ ধরনের পরিকল্পনায় অসম্মতি জানিয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, খামেনির মতো একজন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতার ওপর হামলা হলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বজুড়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করত। তিনি শুধু ইরানের নয়, বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের কাছে এক শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।

এই মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা এবং তার পরবর্তী প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল বিতর্ক চলছে। কাটজ আরও বলেন, “ইরান যদি পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করে, তাহলে আমরা আবারো হামলা চালাতে প্রস্তুত।”

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ প্রসঙ্গে বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই একটি বড় বিজয় এনে দিয়েছে, যা আরব বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।” তিনি ২০২০ সালের ‘আব্রাহাম চুক্তি’র প্রসঙ্গও টানেন।

তবে পাল্টা অবস্থান নিয়েছে ইরান। তেহরান জানায়, তাদের জবাবি হামলাই ইসরায়েলকে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করেছে এবং দেশটির অভ্যন্তরে বড় ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে। তারা দাবি করে, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য— ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করা— ব্যর্থ হয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন