নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

ছবি: সংগৃহীত
দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ একাধিক রাজনৈতিক দল এই দাবি জানিয়ে আসছে।
গত ২২ জুন ইসিতে দলের নিবন্ধনের আবেদন জমা দিয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “বর্তমান ইসি পুনর্গঠন করতে হবে এবং হবেই। আমরা আর কোনো বিকল্পে যাচ্ছি না।” ওই দিনই তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠকও করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর এমন দাবির প্রেক্ষিতে ইসি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনকে এই বার্তা দিয়েছেন। এরপর থেকেই সিইসি অফিসে অনুপস্থিত। যদিও ইসি সচিব জানান, তিনি চিকিৎসাধীন।
প্রত্যাশা ছিল শুক্রবারের ওই বৈঠকের পর শনিবার ইসিতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত হবে—বিশেষ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। তবে সিইসি অফিসে না আসায় আলোচনা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে সিইসির অনুপস্থিতি নিয়ে দিনভর নানা জল্পনা চলে।
বর্তমান কমিশন গঠন হয় ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে। এতে আরও ছিলেন সাবেক জেলা জজ আবদুর রহমানেল মাছউদ, যুগ্ম সচিব তাহমিদা আহমদ, অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ইসি গঠিত হয়েছিল। তাদের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো বর্জন করে। সেই নির্বাচন শেষে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসে। কিন্তু মাত্র আট মাসের মাথায় গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এর পর থেকেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের প্রক্রিয়া চলমান।
