পালিয়ে যাওয়ার দশ মাস পর প্রথম চেহারা দেখালেন ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ দশ মাস আত্মগোপনে থাকার পর প্রথমবারের মতো ভিডিওবার্তায় চেহারা দেখালেন ভারতের পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর হুমকি দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জুলাই গণহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এর আগে দুটি অডিওবার্তায় নিজেকে বাথরুমে লুকিয়ে থাকার দাবি করলেও তখন তিনি ক্যামেরার সামনে আসেননি। এটাই তার প্রথম প্রকাশ্যে চেহারা দেখানো বক্তব্য।
ভিডিওবার্তায় কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এমনকি তারা নিজেরাই নির্বাচন দেবে কিনা, আমরা যথেষ্ট সন্দিহান।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “নির্বাচনের নামে আজকে যে অশুভ জোট হয়েছে, তারা সংস্কারের নামে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। বিচারের নামে প্রহসনের ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসানো হয়েছে। এই ধারা আমরা গুঁড়িয়ে দেবো। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ চলবে।”
কাদের দাবি করেন, বাংলাদেশে অর্ধেকের বেশি ভোটার এখনো আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং শেখ হাসিনার প্রতি জনসমর্থন দিন দিন বাড়ছে। সেই দলকে বাদ দিয়ে অংশগ্রহণমূলক কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়, আমরাও তা হতে দেব না—এমন হুমকি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা, বিশেষ করে জুলাই গণহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তরা, আত্মগোপনে রয়েছেন। ওবায়দুল কাদের তাদের মধ্যে অন্যতম। তার এই হুমকিকে পর্যবেক্ষকরা সংস্কার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একটি উসকানিমূলক অবস্থান হিসেবে দেখছেন।
