ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা শহরের প্রতিটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে কার্যকর ও পর্যাপ্ত সৌর প্যানেল স্থাপন নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এরই মধ্যে স্থাপিত সৌর প্যানেলগুলো সচল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, সৌর প্যানেল বসানোর জন্য একটি সময়সীমাবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে এবং ছয় মাসের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এই আদেশ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং স্রেডাকে।
এই রিটটি দায়ের করে পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস. হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন।
রুলে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন, ঢাকার ভবনগুলোর ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন ও সচল না রাখার ব্যর্থতা কেন সংবিধান ও প্রচলিত আইনের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি সৌর শক্তির মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য ভবনের ছাদে প্যানেল বসানোর নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।
বেলার পক্ষ থেকে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সৌর শক্তি ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। ঢাকার অব্যবহৃত ছাদগুলোতে সোলার প্যানেল বসিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমানো সম্ভব। এতে যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে, তেমনি ভোক্তার খরচও কমবে। তবে দুঃখজনকভাবে, এখন পর্যন্ত অনেক ভবনে সোলার প্যানেল স্থাপন হয়নি। যেগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলোও অনেক সময় অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়া বেলা জানিয়েছে, বর্তমানে ভবন মালিকরা কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে গড়িমসি করছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এর আগে, গত ২৬ জুন প্রধান উপদেষ্টা সরকারি ভবনগুলোর ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের আজকের আদেশটি শুধুমাত্র সরকারি নয়—ঢাকার সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
