শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩০ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

জীবন সংগ্রামে সফলতার দেখা পেল দেবহাটার ৫ নারী

জীবন সংগ্রামে সমাজ, পরিবারের নানা বাধাঁ কাটিয়ে সফলতার মুখ দেখেছেন দেবহাটার ৫ নারী। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এসব নারীদের ৫টি ক্যাটাগরিতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’’ শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় খুঁজে বের করা হয়েছে। এসব নারীদের জীবনে রয়েছে আলাদা আলাদা জীবন কাহিনী। তাদের সেই সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরা হলো।

জীবন চলার পথ মসৃণ নয়, আসে নানান বাঁধা-বিপত্তি। সাহসী মানুষ এসব বাধা অতিক্রম করে আত্মপ্রত্যয়ের উপর ভর করে এগিয়ে যায় এবং সফলতা বয়ে আনে নিজের জীবনে। পাশাপাশি যুক্ত হয় সামাজিক কাজে। অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠে অন্যদের জন্য। এমনই একজন নারী জি. এম স্পর্শ। ১৯৯৩ সালে জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের শ্বেতপুর গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়। পরে স্বামীর সহযোগিতায় এইচ.এস.সি পাশ করেন তিনি। পরীক্ষার কয়েক মাস পরেই তিনি প্রথম সন্তানের (কন্যা সন্তান) মা হন। যে কারণে অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেননি।

২০১৯ সালে স্বামী ও পরিবারের সহযোগিতায় জি.এম স্পর্শ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে উপজেলা গভর্ন্যান্স ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের ( ইউজিডিপি) সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক নারী উন্নয়ন ফোরাম সংক্রান্ত গাইড লাইনের আলোকে তিনি উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম গঠন করেন। একই সাথে নারী উন্নয়ন ফোরামকে টেকসই করার লক্ষে উপপরিচালকের কার্যালয়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সাতক্ষীরা থেকে ফোরামের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

এই নারী উন্নয়ন ফোরামের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত নারী সদস্যদের নিয়ে সমাজে নারীর ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিষদে তাদের ভূমিকা আরও জোরালো করা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কাজ করা এবং নারী নেতৃত্ব বিকাশের উপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ বিষয়ে নারীদের উজ্জীবিত করছেন/পরামর্শ দিচ্ছেন জি.এম স্পর্শ। এ ছাড়াও তার নারী উন্নয়ন ফোরামের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক প্রতি বছর যে বরাদ্দ পেয়ে থাকেন সেটা দিয়ে তিনি দেবহাটা উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়/ মাদ্রাসার কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ, বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে উঠান বৈঠক, স্কুলে অবহিতকরণ সভা ও নারী জন প্রতিনিধিদের দক্ষতা বিকাশে ব্যয় করছেন। তা ছাড়াও উক্ত বরাদ্দকৃত টাকা থেকে দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের দুঃস্থ-অসহায় নারী ও শিশুদের চিকিৎসা ও শিক্ষায় ব্যয় করছেন তিনি।

এসবের বাইরেও করোনাকালে নিজস্ব অর্থায়নে দরিদ্র অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া, খাদ্য বিতরণসহ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা এবং উপজেলা পরিষদের সম্মানীর টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অবদান রেখে চলেছেন তিনি।

অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ফুলজান বিবি। তিনি রত্নেশ্বপুর গ্রামের রায়হান হোসেনের স্ত্রী। প্রায় ২২ বছর পূর্বে তার বিয়ে হয়। জানা গেছে, সেই সময় তার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তিনবেলা পেট ভরে খাওয়া হতো না। পরপর তার দুটি সন্তান হয়। কিন্তু শিশুদের খরচ চালোনোর মতো সামর্থ্য ছিল না তাদের।

এক পর্যায়ে খরচ সামলাতে বাড়িতে গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালন করা শুরু করেন ফুলজান বিবি। তাতে যে টাকা আয় হতো তাতেও সংসার চলত না। তখন তিনি সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। পরে এনজিও থেকে লোন নিয়ে স্বামীকে ডেকোরেটরের ব্যবসা ছোট থেকে বড় আকারে রূপ নিতে শুরু করে। এতে করে তাদের অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। তাদের পূর্বের অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় এখন সমাজের মানুষের কাছে সম্মাননীয় ব্যক্তি হিসাবে সম্মান পায়। বর্তমানে ফুলজান বিবির পরিবার অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করেছে।

নির্যাতনে বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন জীবন শুরু করেছেন আরিফা পারভিন। তিনি জগন্নাথপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কন্যা।

জানা গেছে, গত ২ বছর আগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামে বিয়ে হয় আরিফার। বিয়ের পর থেকে কিছু দিন স্বামীর সংসারে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল। কয়েক মাস যাওয়ার পর তার স্বামী বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। এমনকি বিয়ে করা স্ত্রীকে সহ্য করতে পারত না। এক সময় কথায় কথায় শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী। অনেক সহ্য করার পরেও যখন তার স্বামীর অভ্যাস পরিবর্তন হয়নি তখন শ্বশুর বাড়ির পরিবারের সকলকে নির্যাতনের বিষয়টি জানান তিনি। জানানোর পরেও তারা তার অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে পারিনি।

স্বামীর অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হন তখন ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচির অফিসে অভিযোগ করেন আরিফা। ব্র্যাক অফিসে শালিসের মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তারা। এক পর্যায়ে দেনমোহর ও ভরনপোশন বাবদ মাত্র ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে তালাক দেন স্বামীকে। সেই টাকা দিয়ে পানির ফলের ব্যবসা শুরু করেন আরিফা। সেইসঙ্গে কিছু জমি বন্ধক রেখে ফসলের চাষ শুরু করেন। এসবের পাশিপাশি একটি কারখানার ব্যাগ তৈরির কাজে যোগ দেন তিনি। সেখান থেকে যে টাকা উপার্জন হতো তা দিয়ে নিজের ও পরিবারের আর্থিক খরচ চালাতে সক্ষম হন।

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের উপেক্ষা, স্বামীর নির্যাতন, অসহযোগিতা এত কিছু আরিফাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা, পরিশ্রম, সততা ও একাগ্রতা তাকে সাফল্যে পৌঁছাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। সত্যিকার অর্থে নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করার যে অভিপ্রায় সেটা অর্জন করেছেন তিনি।

সফল জননী নারী পারভিন আক্তার। তিনি মাঝ-পারুলিয়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের স্ত্রী।

পারভিন আক্তার জানান, তার স্বামী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশ স্বাধীনের পরে তিনি কিছুই করতেন না। স্বামীর তেমন জমি জায়গাও ছিল না। আমার বিয়ের পর আমাদের ৩টি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। স্বামী ও ৩টি সন্তান নিয়ে সংসার খুব ভালো চলছিল না। সব বাধা উপেক্ষা করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সংসার ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ কোনোভাবে নিজেই চালাতে লাগলাম।

তিনি আরও জানান, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগানোর জন্য বাড়িতে হাঁস-মুরগি ও গাভি পালন শুরু করলাম। পালিত পশু-পাখি থেকে পাওয়া মাংস ও ডিম ছেলে-মেয়েদের চাহিদার পাশাপাশি বিক্রি করে তাদের বই, খাতা, কলম ও পড়া লেখার খরচ যোগাতাম। ছেলে মেয়েরা সবাই ছিল মেধাবী ও পরিশ্রমী । স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সাফল্যের সাথে পড়াশোনা করে। বর্তমানে ৩ ছেলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সবাই সর্বোচ্চ মেধার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়। আমার বড় ছেলে তাহাজাত হোসেন (হিরু) সাউথ ইস্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট, মেঝ ছেলে শাহাদাত হোসেন (বিরু) মেহেরপুর জেলা আনসার কমান্ডার। ছোট ছেলে ইমদাদ হোসেন (মিথ) ঢাকা পলিটেকনিক কলেজের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার দেখা দেখি অন্য নারীরাও তাদের সন্তানদেরকে বিদ্যালয়মুখী করার জন্য আগ্রহী হচ্ছেন ।

শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী তুতিয়া খাতুন। তিনি বটিয়াঘাটা থানার নারায়নখালী গ্রামে ১৯৬৪ সালে মৃত আবু বকর শেখ ও নুরজাহানা বেগমের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আসেন।

তুতিয়া খাতুন তার জীবন সংগ্রাম নিয়ে বলেন, আমার পিতা একজন বিশিষ্ট বস্ত্র ব্যবসায়ী। মাতা ছিলেন একজন গৃহিনী। আমার পিতা তৎকালীন সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি ছোট বেলা থেকেই পড়ালেখায় ভালো ফলাফল অর্জন করে চলছিলাম। উপযুক্ত বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। সেই থেকে আমার উপরে এবং শিক্ষা জীবনে চরম বাধা বিপত্তি আসে। অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যে দিয়ে স্বামীর একান্ত প্রচেষ্টায় মেমোরিয়াল সিটি কলেজ খুলনাতে বিজ্ঞান শাখায় ১ম বর্ষে ভর্তি হই। সেখানে থেকে ১৯৮৩ সালে বিজ্ঞান শাখা থেকে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হই। সেখানেও আমি বিভিন্ন রিসাইটেশনের সাথে জড়িত থাকি এবং পুরুস্কার পেয়েও থাকি। এমন মুহূর্তে আমার একটি পুত্র সন্তান হয়, তাকে নিয়ে আমি বেশ কষ্টেও লেখাপড়া করি। ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বি.কম সম্মান শ্রেণিতে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভর্তি হই এবং ১৯৮৬ সালে বি.কম সম্মান ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর ডিগ্রি লাভ করি। সে সময় আমার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। এত কষ্ট সত্ত্বেও আমি ১৯৮৭ সালে এম কম শেষ বর্ষে ভর্তি হই। সেখান থেকে এম কম ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপরে ডিগ্রি লাভ করি। এরপর ১৯৯৩ সালে কলারোয়ার শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগ হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীর বাড়ি দেবহাটার সখিপুর হওয়ায় প্রতিদিন ৭২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আমাকে আমার কর্মস্থলে যেতে হতো। সংসারের সব কাজ শেষ করে সময়মতো কর্মস্থলে উপস্থিত হতাম। নির্দিষ্ট কয়েক বছর চাকরির পরে সহকারী অধ্যাপক পদে উপনীত হই। বর্তমানে ওই কলেজে যথেষ্ট সততা ও কর্মদক্ষতার সাথে (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ পদে নিয়োজিত আছি।

তুতিয়া খাতুন বলেন, বর্তমানে আমি স্বচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দময়ী একজন নারী। আমি আমার কর্মস্থলে যথেষ্ট সুনামের সাথে নিয়োজিত আছি।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

সাবেক এমপিসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

ছবি: সংগৃহীত

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরীসহ চার সহযোগীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক হওয়া অন্য চারজন হলেন আনোয়ার হোসেন, মিলন, জনি মিয়া এবং একজনের নাম এখনো জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়াসহ পাঁচজনকে আটক করেছে ছাত্র-জনতা।’

এর আগে ১২ নভেম্বর ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে র‌্যাব ইয়াহইয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই সময় মাসখানেক কারাগারে ছিলেন তিনি। এছাড়া ৪ আগস্ট কুমারপাড়া এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে গত ২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

ইয়াহইয়া চৌধুরী ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিলেট-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পরে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তবে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলেও ইয়াহইয়া চৌধুরী নির্বাচিত হতে পারেননি। ওই নির্বাচনে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান এমপি হন।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ

ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সাবেক নেতা আব্দুল্যাহ আল-মামুন মন্ডল। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সাবেক নেতা আব্দুল্যাহ আল-মামুন মন্ডল (৩০) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ধাপেরহাট বন্দরের জামদানি সড়ক মোড়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী নিহতের লাশ নিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধাপেরহাট বন্দরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে অবরোধ করে রাখে, ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নিহত আব্দুল্যাহ আল-মামুন মন্ডল উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মন্ডলের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের ধাপেরহাট ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে বিপিএলের সিলেট দলের নেট ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আব্দুল্যাহ আল-মামুন মন্ডল ধাপেরহাট বন্দরের জামদানি সড়ক মোড়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায় এবং কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে তার লাশ নিয়ে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান মন্ডল জানান, তার ছেলে কয়েক বছর ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না এবং ক্রিকেট খেলা নিয়েই ব্যস্ত ছিল। গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সে সিলেট থেকে বাড়ি ফিরেছিল। তিনি ছেলের হত্যার বিচার দাবি করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, এলাকাবাসীকে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুর পৌরসভা পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াজউদ্দিন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুর জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজউদ্দিন বিরামপুর পৌরসভা পরিদর্শন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় তিনি পৌরসভায় পৌঁছালে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরিদর্শনকালে উপ-পরিচালক পৌরসভার বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় পৌর প্রশাসক ও ইউএনও নুজহাত তাসনীম আওন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামাল হোসেন, পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম শরিফুল ইসলাম ডাকুয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু শোয়েব মো. সজল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জুয়েল মিয়া, কর নির্ধারক হাবিবুর রহমান, কোষাধক্ষ আবু সাঈদ মানিক, লাইসেন্স পরিদর্শক খলিলুর রহমান ও সার্ভেয়ার মনিরুজ্জামানসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক এমপিসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ
বিরামপুর পৌরসভা পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াজউদ্দিন
পদত্যাগ করলেন নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক মিরাজ
স্ট্যামফোর্ডে সাংবাদিকতা বিভাগের নবীনবরণ ‘অরুণোদয়’ উদযাপিত
অপারেশন ডেভিল হান্টে আরও ৫৬৬ জন গ্রেফতার
ডোনাল্ড লু’র স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ভারতপন্থি পল কাপুর
মনোবাসনা পূরণে ‘ডুবের মেলায়’ পুণ্যস্নান! (ভিডিও)
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন, দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে কাগজপত্র পাঠিয়েছে ঢাকা
যমুনা সেতু মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ২
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর ৫ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
মিয়ানমারে খাদ্যশস্যের চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর থাকার নির্দেশ খাদ্য উপদেষ্টার
পবিত্র শবে বরাতে তারেক রহমানের বাণী
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক হলেন ডা. নাসির উদ্দীন
ছাত্রফ্রন্টের শ্রোতাশূন্য সমাবেশে উচ্চ শব্দ, তোপের মুখে বন্ধ ২৬ মাইক
শবে বরাতে আতশবাজি-পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ, জানিয়েছে ডিএমপি
স্বাধীনতার পর প্রথমবার গোপালগঞ্জে জামায়াত নেতাকর্মীদের ঢল
শাবিপ্রবিতে আবরার ফাহাদের জন্মদিনে প্রদর্শিত হলো শর্টফিল্ম ‘রুম নম্বর ২০১১’