হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ে কেন ?

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:২৭ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৮ এএম


হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ে কেন ?
ছবি সংগৃহিত

নাকের প্রধান কাজ হলো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। হঠাৎ নাক থেকে রক্ত পড়তে দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ভয় পায় মানুষ। নাক দিয়ে রক্ত পড়াকে বলা হয় এপিসট্যাক্সিস। এটি নিজে কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণমাত্র। যেকোনো বয়সের নারী বা পুরুষ এ সমস্যায় পড়তে পারেন। এটি নাকের এক পাশ অথবা উভয় পাশ দিয়ে হতে পারে।

কারও কারও হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। ভয় না পেয়ে বরং কিছুক্ষণ নিয়ম মেনে নাক চেপে ধরে রাখলে সাধারণত রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। তবে রক্তপাতের কারণ খুঁজে বের করা উচিত। কারণ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে পরবর্তী সময়ে রক্ত পড়ার আশঙ্কা অনেকাংশে থাকে না। নাকে অনেক রক্তনালি থাকে, যা নাকের ঝিল্লি আবরণে এমনভাবে থাকে একটু আঘাত লাগলেই রক্তপাত হতে পারে। সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়ায় এ সমস্যা বেশি হতে পারে।

নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা এপিসট্যাক্সিস সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ সমস্যা হলেও অনেক সময় এটি জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। একে মেডিকেল ইমারজেন্সি হিসেবে দেখা হয়। সাধারণত ৬০ শতাংশ মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যার সম্মুখীন হয়।

কেন নাক দিয়ে রক্ত পড়ে ?

কোনোভাবে নাকে বা নাকের ভেতরে আঘাত পেলে, নাকের বা সাইনাসের সংক্রমণ অথবা নাকের বিভিন্ন টিউমার; ইনফেকশন, ট্রমা, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, নন-অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাদক সেবন ও বংশগত কিছু রক্তের সমস্যাও নাক থেকে রক্ত পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। তবে এসব ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য উপসর্গ থাকে। নাকের ঝিল্লি শুকিয়ে গেলে, ফেটে গেলে বা সেখানে শক্ত আবরণ সৃষ্টি হলে স্বাভাবিকভাবেই নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে। রক্ত জমাটবাঁধা দূর করার ওষুধ গ্রহণ করলে নাক থেকে রক্ত নির্গত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। আবার বৃদ্ধ বয়সে রক্তনালির সংকোচন প্রসারণশীলতা কমে যাওয়ার কারণেও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।

অন্যান্য যেসব কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে ?

⊲ ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
⊲ উচ্চ রক্তচাপ।
⊲ রক্তনালির কিছু জন্মগত ত্রুটি।
⊲ মাসিকের সময় এবং গর্ভাবস্থায় জটিলতা।
⊲ জন্ডিস বা লিভার প্রদাহ, লিভার সিরোসিসের মতো লিভারের বিভিন্ন অসুখ।
⊲ রক্তের রোগ, যেমন অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, হিমোফিলিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, পারপুরা ইত্যাদি।

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা :

কী কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে সেটি নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হয়। নাকের সামনের দিক থেকে রক্তপাত হলে খুব দ্রুত তা বন্ধ করা যায় কিন্তু পেছন বা ভেতরের দিক থেকে রক্তপাত হলে বহুক্ষেত্রে তা বন্ধ করতে অনেক সময় লাগে। কিছু ক্ষেত্রে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, নাকের এন্ডোস্কপির দরকার পড়ে।

প্রতিরোধ :

১। নাক খুঁটবেন না। এতে হুট করে নাক থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়।

২। ঊর্ধ্ব-শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, অর্থাৎ সর্দি-কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন। নাকের হাড় বাঁকা থাকলে তারও চিকিৎসা নিন। সময়মতো এসবের চিকিৎসা না করালে হঠাৎ করে নাক থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়।

৩। শিশুদের খেয়াল রাখুন। ঘন ঘন এক নাকে দুর্গন্ধযুক্ত সর্দি হওয়া এবং এর সঙ্গে রক্ত যাওয়া, কোনো ওষুধে ভালো না হওয়া মানে হলো, শিশু সবার অলক্ষ্যে নাকে কিছু ঢুকিয়েছে।

৪। বয়স্ক ব্যক্তিরা নিয়মিত রক্তচাপ মাপান, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং নিয়মিত ওষুধ খান। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ নাক দিয়ে রক্ত আসার অন্যতম কারণ। তাই যখনই এমন হবে, আগে রক্তচাপ মেপে নিতে হবে।

৫। যাঁদের নাকের ভেতর শুকিয়ে যায় বা ময়লা জমে, তাঁরা খোঁচাখুঁচি না করে দিনে তিন থেকে চারবার নরসল ড্রপ চার থেকে পাঁচ ফোঁটা করে উভয় নাকের ছিদ্রে দিয়ে অথবা ভ্যাসলিন ব্যবহার করে নাক আর্দ্র রাখতে পারেন।

লেখক : নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন, রেজিস্ট্রার, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

 


বৃষ্টিতে ভেসে গেল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম


বৃষ্টিতে ভেসে গেল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন
বৃষ্টির কারণে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

সকাল থেকেই টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত তাই বেরসিক বৃষ্টির কাছে হার মেনে দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হল চলমান মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা।

এ কারণে ম্যাচের তৃতীয় দিন আবহাওয়া ঠিক থাকলে আধঘণ্টা খেলা বেশি হবে। ম্যাচ শুরু হবে ৯টা ১৫ মিনিটে, দিনের শেষেও বাড়তি খেলা হবে ১৫ মিনিট। দুদিক মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ ওভার খেলা হবে।

আগের দিন আলোকস্বল্পতায় খেলা আগে শেষ হয়। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল সোয়া নয়টায়। কিন্তু এদিন ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সারাদিনে পিচ থেকে কখনোই কাভার সরানো হয়নি। ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমে সময় কাটিয়েছেন আড্ডায়। দুয়েকজন অবশ্য ইনডোরে গিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করে আসেন। তবে মাঠে আর ক্রিকেট ফিরতে পারেনি।

এর আগে বুধবার প্রথম দিন ছিল বোলারদের দাপট। দু দল মিলিয়ে এদিন ১৫ উইকেট নেন। বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে নিউজিল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৬.২ ওভারে ১৭২ (জয় ১৪, জাকির ৮, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৩৫, শাহাদাত ৩১, মিরাজ ২০, সোহান ৭, নাঈম ১৩*, তাইজুল ৬, শরিফুল ১০; সাউদি ৫.২-৫-০-১, জেমিসন ৪-২-৮-০, এজাজ ১৭-৬-৫৪-২, স্যান্টনার ২৮-৭-৬৫-৩, ফিলিপস ১২-১-৩১-৩)।

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২.৪ ওভারে ৫৫/৫ (ল্যাথাম ৪, কনওয়ে ১১, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, মিচেল ১২*, ব্লান্ডেল ০, ফিলিপস ৫*; শরিফুল ১-১-০-০, মিরাজ ৬-১-১৭-৩, তাইজুল ৫.৪-০-২৯-২)।


প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম


প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, শুক্রবার সকাল ১০.০০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শাহ রেজওয়ান হায়াত আরও জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রকার সামগ্রী এরইমধ্যে জেলায় পাঠিয়েও দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় (রংপুর ৮, বরিশাল ৬, সিলেট ৪) এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫ এবং কক্ষের সংখ্যা ৮১৮৬।

পরীক্ষা-সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে।


১০ কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন বাড়ির উঠোনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষক

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫১ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম


১০ কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন বাড়ির উঠোনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষক
ছবি: সংগৃহীত

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়া করানোর উদ্দেশে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের বাড়ির উঠোনে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাকিস্তানের রিফাত আরিফ । কিন্তু অর্থের অভাবে রিফাতের কাছে ছিল না কোনো শিক্ষক কিংবা ভবন । কিন্তু মনোবল ছিল অটুট । আজ সেই মনোবল স্বপ্নকে পুঁজি করেই রিফাত আরিফ এখন সারা বিশ্বের শিক্ষকের কাছে আইকন। অর্থের অভাবে যিনি স্কুল চালাতে পারছিল না । তিনিই আজ কোটিপতি বনে গেলেন ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, রিফাত আরিফ ‘সিস্টার জেফ’ নামেও পরিচিত। এই নারী শিক্ষাবিদের জন্ম পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। স্কুল চালানোর অর্থ জোগাড়ের জন্য তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার পর সন্ধ্যায় স্কুলে ফিরে এসে চার ঘণ্টা ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। রিফাতের এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর তাঁর স্কুলে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন। সবাইকেই তিনি বিনামূল্যে শিক্ষা দেন।

রিফাত আরিফের স্কুল । ছবি: সংগৃহীত

রিফাতের এই মহানুভবতার জন্য গত মাসে তিনি ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল টিচার’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ফ্রান্সের প্যারিসে পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রিফাত বলেন, শিক্ষকতা নিছক কোনো পেশা নয়। এটি এমন এক পেশা, যা পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে। আসুন, আমরা প্রতিটি শিশুকে শেখার সুযোগ দেই, স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেই এবং তাদেরকে ইতিবাচকভাবে বেড়ে উঠতে দেই।

পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ ডলার পেয়েছেন রিফাত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। পুরস্কারের এই পুরো অর্থই তিনি শিক্ষাখাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের অনেক ছোট শহরে পর্যাপ্ত স্কুল নেই, শিক্ষক নেই। অনেক শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’

রিফাত আরিফ বলেছেন, পুরস্কারের এই অর্থ দিয়ে তিনি অনাথ শিশুদের জন্য একটি স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবেন। সারা পৃথিবী থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এসে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।

অনুসরণ করুন