রবিবার, ৪ মে ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ইসরাইলের অবরোধ, গাজায় ৫৭ ফিলিস্তিনির অনাহারে মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইলের দুই মাসেরও বেশি সময় সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকায় ছিটমহলে কমপক্ষে ৫৭ ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাহায্য পৌঁছানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কাতার।

কাতার বলেছে, ইসরাইলের মন্তব্যে 'রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ববোধের অভাব' রয়েছে। খবর আলজাজিরার।

কাতার উপসাগরীয় দেশটিকে একটি পক্ষ বেছে নেওয়ার এবং সভ্যতার পক্ষে নাকি হামাসের বর্বরতার পক্ষে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং ইসরাইল পূর্ববর্তী বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, গাজার বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসনকে ‘সভ্যতার’ প্রতিরক্ষা হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাসজুড়ে সেই শাসকগোষ্ঠীর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি, যারা নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মিথ্যা বর্ণনা ব্যবহার করেছে।

তিনি লেখেন, এদিকে, গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ আধুনিক সময়ের সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এটি কি সত্যিই ‘সভ্যতার’ মডেল প্রচার করা হচ্ছে?

ফ্রিডম ফ্লোটিলা বলছে, ‘কেউ সাহায্য করছে না’ কারণ আক্রান্ত জাহাজটি সমুদ্রে আটকে আছে। তাতে গাজার জন্যে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।

মাল্টার কাছে ড্রোনের আঘাতে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন পরিচালিত জাহাজটি বর্তমানে নিরাপদ বন্দরে নোঙর করতে পারছে না, যেখানে চারজন স্বেচ্ছাসেবক সামান্য আহত হয়েছেন।

জোটের এক অভিনেত্রী এবং কর্মী নিকোল জেনেস বলেছেন, কেউ সাহায্য করছেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমাদের ক্রুদের বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করছি, যাতে জাহাজটি বন্দরে আসতে পারে।

জেনেস বলেন, শুক্রবার এবং শনিবার জাহাজে পৌঁছানোর চেষ্টা করা একদল স্বেচ্ছাসেবককে মাল্টিজ কর্তৃপক্ষ থামিয়ে দেয় এবং গ্রেফতারের হুমকি দেয়। যারা জাহাজে রয়ে গেছেন তাদের বিদ্যুৎ নেই এবং আরেকটি আক্রমণের ভয় করছেন। আমরা জাহাজটি চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। আমরা কল্পনাও করতে পারি না যে গাজার জনগণের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া আমাদের বিশ্বের খলনায়ক করে তুলতে পারে।

সাহায্য গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করেছে যে, গাজার বেসামরিক জনগণ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছেন, এবং উদ্বেগ রয়েছে যে এই মরিয়াতা আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে। যুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্বারা লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও, সাহায্য কর্মীরা বলছেন যে, এই সপ্তাহের ঘটনাগুলো আরও তীব্রতর হওয়ার লক্ষণ, কারণ এটি কম সংগঠিত এবং শহরাঞ্চলে পৌঁছাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্চ মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করার পর থেকে ইসরাইল এই অঞ্চলে যে কোনো মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দিয়েছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের গাজা সিটি ফিল্ড অফিসে প্রবেশ করে ওষুধ খাওয়ার পর তাদের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএ-এর একজন জ্যেষ্ঠ জরুরি কর্মকর্তা লুইস ওয়াটারিজ এই লুটপাটকে অসহনীয় এবং দীর্ঘস্থায়ী বঞ্চনার প্রত্যক্ষ ফলাফল বলে অভিহিত করেছেন।

 

Header Ad
Header Ad

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া, জানালো বিশ্ববিদ্যালয়

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। ছবি: সংগৃহীত

আলোচিত আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের বিতর্ক। সিডনির ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (UNSW) লিখিতভাবে জানিয়েছে, তাদের কাছে তুরিন আফরোজের পিএইচডি সম্পন্ন করার কোনো তথ্য নেই—এমনকি তার নামে কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন বলেও কোনো রেকর্ড মেলেনি।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো চিঠি সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করেছে। আইনজীবী ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হায়দার এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ওই মামলার শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক অভিযোগ করেন, তুরিন আফরোজ প্রসিকিউটর থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার মা ও ভাইকে উত্তরার পারিবারিক বাড়ি থেকে বের করে দেন। তিনি আদালতের কাছে অনুরোধ জানান, তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম যেন আবারও সেই বাড়িতে বসবাস করতে পারেন, আদালত যেন সে নির্দেশ দেন।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালে, যখন শামসুন্নাহার বেগম ও তার ছেলে শাহনেওয়াজ আহমেদকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর উভয় পক্ষ দখল ও মালিকানা নিয়ে পৃথক দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। শেষপর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা বাতিল হওয়ায় এখন আইনগত বাধা ছাড়াই শামসুন্নাহার ও শাহনেওয়াজ ওই বাড়িতে বসবাস করতে পারবেন।

মামলার শুনানিতে উপস্থাপিত আরও একাধিক তথ্য মতে, তুরিন আফরোজ নিজের নামে হেবা দলিলের ভিত্তিতে বাড়ির মালিকানা দাবি করলেও তার মা ও ভাই আদালতে লিখিতভাবে জানান, মূল মালিকানা ছিল শামসুন্নাহারের, যিনি পরে ১৯৯৭ সালে সম্পত্তি তার ছেলেকে হেবা করেন।

Header Ad
Header Ad

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত বিষয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

ছবি: সংগৃহীত

‘নারী সংস্কার কমিশন রিপোর্ট ২০২৫’-এর ছয়টি অধ্যায়কে ইসলামি শরীয়ত, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি এবং বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের হয়েছে।

রিটে রিপোর্টের বিতর্কিত সুপারিশ বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকতে এবং বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আজ রবিবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রওশন আলী। রিটটি বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

আইনজীবী বলেন, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট, ২০২৫’-এর অধ্যায় ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ এবং ১২-এ অন্তর্ভুক্ত সুপারিশসমূহ ইসলামী শরীয়তের বিধানসমূহের পরিপন্থি, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থি এবং বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায়, এ বিষয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট, ২০২৫’- এই রিপোর্টটি ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরীয়ত, আমাদের সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

প্রথমত, রিপোর্টের অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর জন্য সমান উত্তরাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থি।

দ্বিতীয়ত, রিপোর্টে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছে, যা ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত একটি বিধান এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে।

তৃতীয়ত, ‘My Body, My Choice’ স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে শরীয়তের ওপর ভিত্তি না রেখে নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করা হয়েছে।

চতুর্থত, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামি মূল্যবোধ এবং সংবিধানের ২(ক) ও ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।

পঞ্চমত, রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা শরীয়তবিরোধী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রিটে তিনটি মন্ত্রণালয় এবং উইমেন রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বিবাদী করা হয়েছে।

বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিতর্কের মুখে সরানো হলো হাসিনার সেই কুশপুতুল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে গত বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার কুশপুতুল ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানায় ‘জাগ্রত জুলাই’ নামে একটি সংগঠন।

শনিবার হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে যোগ দিতে এসে ওই কুশপুতুলে জুতা নিক্ষেপ করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। একে ‘নারীর প্রতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়। পরে রাতে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা কুশপুতুলটি সরিয়ে নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য আব্দুল্লাহ জানান, কয়েকজন ব্যক্তি বৃহস্পতিবার এই কুশপুতুল রাজু ভাস্কর্যের পাশে রেখে যায়। সেটি শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি বলে সবাই জানে। শনিবার হেফাজতের কর্মীরাও এটাকে শেখ হাসিনার কুশপুতুল ভেবেই জুতা মেরেছে।

টিএসসির চা বিক্রেতা রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমরা ২ দিন ধরে এটাকে এখানে দেখছি। সবাই তো শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি বলছে। শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি দেখে অনেকে ছবিও তুলছে। আজ দেখলাম কয়েকজন লোক জুতাপেটাও করেছে।’

ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘জাগ্রত জুলাই নামে একটি সংগঠন শেখ হাসিনার কুশপুতুল ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। শনিবার এটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া, জানালো বিশ্ববিদ্যালয়
নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত বিষয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
বিতর্কের মুখে সরানো হলো হাসিনার সেই কুশপুতুল
মেসি-সুয়ারেজের গোল, বড় জয় পেল মায়ামি
এলপি গ্যাসের নতুন দামের সিদ্ধান্ত আজ
সকালে কাঠবাদাম খাওয়ার যত উপকারিতা
একদিন পেছাল খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা
ইসরাইলের অবরোধ, গাজায় ৫৭ ফিলিস্তিনির অনাহারে মৃত্যু
শরীরে আত্মঘাতী বোমা বেঁধে পাকিস্তানে হামলা চালাতে যাবেন ভারতীয় মন্ত্রী
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতাকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নেইমারের ‘বিশেষ উপহার’ পেলেন ব্রাজিল-ভক্ত অভিনেতা পলাশ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাক
কাউকে যদি করিডোর ব্যবহার করতে দেন তাহলে জনগণের অনুমতি লাগবে: টুকু
রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
পদত্যাগ করলেন ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় আসামিদের নিয়মিত আদালতে উপস্থাপন না করায় ওসিকে শোকজ
মাদক সেবনের দায়ে নিষিদ্ধ রাবাদা
দুই পুত্রবধূসহ ফিরছেন খালেদা জিয়া, অভ্যর্থনা দিতে সবাই প্রস্তুত: মির্জা ফখরুল
চুয়াডাঙ্গায় প্রণোদনার সার মিলল গোডাউনে, অতঃপর...
মালয়েশিয়ায় পামওয়েল কারখানায় বিস্ফোরণ, বাংলাদেশিসহ দগ্ধ ৪