গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৮১, যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবে সম্মত হামাস

ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এ নিয়ে চলমান সংঘাতে গাজায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৯৭৭ জনে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে গাজার চিকিৎসাসূত্রের বরাতে।
গাজার পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র জানান, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে হাসপাতালগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে ইসরায়েল একদিকে যেমন আক্রমণ চালাচ্ছে, অন্যদিকে সাহায্যপথগুলোও বন্ধ করে দিচ্ছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাচ্ছে।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাব সামনে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস সম্মতি জানিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হামাসের কাছে পাঠানো এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘ সময়ের সংঘাতের অবসানের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি ইসরায়েলের হাতে থাকা বহু ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির শর্ত রয়েছে। হামাস প্রথম ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে গাজা উপত্যকা থেকে আংশিকভাবে সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এছাড়াও, ইসরায়েল শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি দণ্ডপ্রাপ্তরাও রয়েছেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ মার্চ ইসরায়েল পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করে গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর হামাস এবং তাদের মিত্র সংগঠনগুলো পাল্টা রকেট হামলা চালায়।
হামাস জানায়, ইসরায়েল যদি গাজা থেকে পুরোপুরি সরে যায়, তবে তারা সব জিম্মি মুক্তি দিতে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ হবে না এবং কেবল জিম্মি বিনিময়ের শর্তে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি রয়েছে ইসরায়েল।
