রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভয়াবহ দূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চিন্তা দিল্লির

ছবি সংগৃহিত

সাধারণত শীতের শুরু থেকেই ভয়াবহ দূষণ ঘটে দিল্লির বাতাসে। এই দূষণের প্রধান কারণ দিল্লির সংলগ্ন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের গ্রামগুলোতে কৃষকদের খড়-বিচুলি পোড়ানো। শীতের শুরুতেই ধান বা গমের ক্ষেতগুলো থেকে ফসল তোলার পর পরবর্তী ফসল চাষের জন্য জমিকে প্রস্তুত করতে ধান-গমের গাছের গোড়া পুড়িয়ে দেন কৃষকরা।

রাজধানী দিল্লি আর তার সংলগ্ন এলাকাগুলির দূষণ মাত্রা আজও ফের ‘মারাত্মক’ (সিভিয়ার) পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে নভেম্বরেই অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকার দিল্লিতে কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি নামানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বলে আজ জানালেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। বিষয়টি নিয়ে আইআইটি কানপুরের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা সেরেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজ্ঞানীরা তাঁকে জানান, বাতাসে জলীয় বাষ্প বা মেঘ থাকলে তবেই এই কৃত্রিম বৃষ্টি করানো সম্ভব। আবহবিদদের যুক্তি, আগামী ২০-২১ নভেম্বর দিল্লিতে তেমন পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চলতি মাসের শেষেই তা করা সম্ভব হতে পারে। আইআইটি-র বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ নিয়ে শীর্ষ আদালতে দিল্লি সরকার শীঘ্রই একটি রিপোর্টও জমা দেবে বলে জানান রাই।

গত কাল দিল্লি, গুরুগ্রাম, নয়ডার মতো শহরের বাতাসে দূষণের পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি (আবহবিদদের পরিভাষায় ভেরি পুওর বা খুব খারাপ) হয়েছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকেই দিল্লির বেশ কয়েকটি এলাকার দূষণমাত্রা মারাত্মক (সিভিয়ার) পর্যায়ে পৌঁছেছে। পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দিল্লির ব্যস্ত কনট প্লেস এলাকায় বন্ধ থাকা স্মগ টাওয়ার আজ থেকে ফের চালু করা হয়েছে। এই টাওয়ার চালু করতে নির্দেশ দেওয়ায় আদালতকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

আজ রাজধানীর স্কুলগুলিতে শীতের ছুটিও এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। দিল্লির বাতাসের মান অত্যন্ত খারাপ থাকায় গত কয়েক দিন ধরে একেবারে নিচু থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছিল কেজরীওয়াল সরকার। আজ জানানো হয়েছে, আগামী কাল থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুলগুলিতে আগাম শীতের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে শিশুরা যে ছুটি পেয়ে থাকে এটি সেই ছুটিরই অংশ। পরে শীতের ছুটির সময়ে দিন কমিয়ে দেওয়া হবে। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।

গত কালই দূষণ কমাতে দিল্লি সরকারের জোড়-বিজোড় নীতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত। আজ গোপাল জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই জোড়-বিজোড় নীতি চালু স্থগিত রাখা হচ্ছে। সরকার আগে জানিয়েছিল, আগামী ১৩ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত শহরে জোড়-বিজোড় নীতি মেনে গাড়ি চালাতে হবে। কিন্তু এই নীতি নিয়ে খোদ শীর্ষ আদালতে প্রশ্ন ওঠায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এল সরকার। রাই আজ আরও জানিয়েছেন, দিল্লি শহরের বাইরে রেজিস্ট্রেশন আছে, এমন অ্যাপ ক্যাবগুলির শহরে ঢোকার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।

এর মধ্যেই নাসার প্রকাশ করা উপগ্রহ চিত্রে গোটা ভারতের ভয় ধরানো দূষণের ছবি ধরা পড়েছে। গত ২৯ অক্টোবর আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উপগ্রহে ধরা পড়া সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, আদতে উত্তরে পঞ্জাব থেকে পূর্বে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ধোঁয়াশার চাদর বিস্তৃত রয়েছে। দিল্লির এই ভয়াবহ দূষণের দায় গিয়ে পড়েছে মূলত পঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারের উপরে। এই পরিস্থিতিতে আজ ফসলের গোড়া পোড়ানো নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পঞ্জাব পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। গত কাল সুপ্রিম কোর্ট পঞ্জাব সরকারকে নাড়া পোড়ানো বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পরেই তড়িঘড়ি এই বৈঠক ডাকা হয়।

 

Header Ad

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে হোটেলের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক হোটেল বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে। ওয়াজেদ আলী খান উপজেলার ২নং ঘাটাইল ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার মৃত সোনা খার ছেলে।

রবিবার (০৫ মে) সকালে উপজেলার ঝাইকা রাস্তায় নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার (০৪ মে) রাত ১১টায় উপজেলায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রায়হান খান ও নিহতের পরিবার জানিয়েছেন, শনিবার রাতে হোটেলে কাজ শেষ করে ঘাটাইল থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় আকাশে ঘনঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। রাত ১১ টায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোডে একটি বজ্রপাত ওয়াজেদ আলীর ওপর পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

রবিবার সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে ঝাইকা রাস্তায় নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওয়াজেদ আলী একজন হোটেল বাবুর্চি ছিলেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, শনিবার রাতে বজ্রপাতে এক হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ বজ্রপাতে ঝলসে গেছে।

জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব

ফাইল ছবি

জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং তার পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের ফলাফল আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য কোনো কাজেই আসবে না বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

গতকাল বিকালে সাবেক জাতীয় দলের সতীর্থ পেসার রুবেল হোসেনের বাইকের শো রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান তিনি। সেই সাথে এই গরমে ডিপিএলের সুপার লিগ পর্বের খেলা চালানোকে অমানবিক বলেও আখ্যা দেন সাকিব।

নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘দেখুন জিম্বাবুয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলা বিবেচনা করে আমরা যদি বিশ্বকাপ চিন্তা করি, সেটা আমার কাছে মনে হয় ভুল হবে। বিশ্বকাপ সম্পূণ ভিন্ন একটা জায়গা। সেখানে আমরা যতবেশী চাপ নিতে পারব তত বেশি ভালো খেলার সম্ভাবনা থাকবে। সর্বশেষ আমরা যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি, আমার কাছে মনে হয় আমরা মোটামুটি একটা পারফরম্যান্স করেছিলাম। সেটা খুব ভালো না হলেও কেউ বলবে না যে খুব একটা খারাপ ছিল। আমি আশা করব সেখান থেকে যদি আমাদের শুরু হয় তাহলে এই বিশ্বকাপটা হবে আমাদের সেটাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। সেটা যদি করতে হয় তাহলে আমাদের অবশ্যই প্রথম রাউন্ডের (বিশ্বকাপে) তিনটা ম্যাচে জিততে হবে, তা যদি করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য মোটামোটি ভালো একটা অর্জন হবে সেখান থেকে পরবর্তীতে চিন্তা করলে আমার মনে হয় ভালো হবে।’

জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষেই চলতি মাসেই বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাবেন টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ খেলার প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আমাদের খেলার বড় কারণ হলো কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। সেইসঙ্গে সেই জায়গাটা সম্পর্কে জানা। আমাদের খুব বেশি খেলোয়াড় নেই যারা সেখানে খেলেছে। ফ্লোরিডাতে হয়তো আমাদের কয়েক জন খেলোয়াড়ের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের ঐ জিনিসটা কাজে লাগবে যে আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। তবে অবশ্যই এটা আদর্শ প্রস্তুতি না। আমি আগে যেটা বললাম যে আপনি যখন একটা কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে যাবেন... যখন নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মতো দলের সঙ্গে খেলে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম স্বাভাবিকভাবে আমরা ভালো একটি প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে গিয়েছিলাম। সেই দিক দিয়ে চিন্তা করলে অবশ্যই এটা আদর্শ নয় তবে মনে হয় এটাই আমাদের কাছে সেরা সুযোগ ছিল প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।’

১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌ এই অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

আজ (রবিবার, ০৫ মে) চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটে চট্টগ্রামের স্পেশাল ব্যাচ-২০২৩ এর শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থায় (আইএমও)-তে 'সি' ক্যাটাগরির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে, মংলা বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছে। আরো জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে একটি মাত্র মেরিন একাডেমি ছিল। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে চারটি নতুন মেরিন একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরো তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিশ্বের অন্যতম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়' শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের (এনএমআই) প্রশিক্ষণের গুণগতমান, আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরিটাইম সেফটি এজেন্সী কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত। এ গুণগতমান অব্যাহত রাখতে হবে। চট্টগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট এর পর মাদারীপুরে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী এবং মেহেরপুর স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিশ্বনৌবহর দ্রুতগতিতে উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে। সে সাথে তাল মিলিয়ে জাহাজী অফিসার ও নাবিকদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আমাদের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার এসটিসিডব্লিউ কনভেনশন যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে। দিনবদলের পালায় বর্তমান সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে দেশের সকল সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশে এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশে পরিণত হবে। এরই অংশীদার হিসাবে শিপিং সেক্টরও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। শিপিং সেক্টরে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রেনিং ইন্সটিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা দেশপ্রেমকে বুকে ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে যাতে করে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জল থাকে। তোমরা দেশের এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে পারবোনা। কিন্তু তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো। দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এবারের স্পেশাল ব্যাচে ১৭৭ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ডেক- ৮৮, ইঞ্জিন- ৭৯ এবং স্টুয়ার্ড- ১০। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এস.এস.সি পাশ। আবার কেউ বহি:নোঙ্গরে মার্চেন্ট জাহাজে ক্যাজুয়েল বেসিসে কাজ করছেন। কেউ শোর রিপেয়ার টিমের সাথে, কেউ শিপ রিপেয়ার ওয়ার্কশপ/শিপইয়ার্ড/ড্রাইডকে ক্যাজুয়েল অথবা স্থায়ীভাবে কাজ করছেন। কেউ পানামা সিডিসিধারী, কেউ দেশে/বিদেশে নন কনভেনশনাল জাহাজে টাগ বোট/সাপ্লাই বোট/বার্জ ইত্যাদিতে চাকরি করছেন। কারো কারো অভ্যন্তরীণ জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। প্রতিমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মার্চপাস্ট পরিদর্শন করেন এবং শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভিয়ার মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত