
‘সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল না’
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪২ এএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪২ এএম

ববি হাজ্জাজ। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সম্প্রতি ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দল গঠন করলেও রাজনীতি তার পেশা না। পেশায় শিক্ষক ববি আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন। বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো দল না। তিনি তার বাবাকে (মুসা বিন শমসের) ছাত্রলীগের নেতা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
ঢাকাপ্রকাশ: আপনি একজন তরুণ রাজনীতিক। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) নামে আপনার একটা রাজনৈতিক দলও আছে। রাজনীতিটা আপনি কেমন উপভোগ করেন?
ববি হাজ্জাজ: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। একই সঙ্গে আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশ এবং ঢাকাপ্রকাশ-এর সকল দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকদেরকে সালাম ও শুভেচ্ছা।
আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে গত ১০-১২ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। যারাই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন বা রাজনীতি করেন এটা তাদের জীবনের একটা অংশ হিসেবেই করেন। তারা জনগণের কাছে থাকতে চান। মানুষের কাছে থাকতে চান, মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য তারা কাজ করেন এবং একবার যখন মানুষের কাছে পৌঁছান তখন তারা মানুষকে নিয়েই কথা বলেন। মানুষকে নিয়েই তারা কাজ করেন। আসলে রাজনীতি বৃহত্তর ও একটা জীবনের অংশ।
ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে রাজনীতি আপনার পেশা না?
ববি হাজ্জাজ: না, রাজনীতি আমার পেশা না। একটা নির্বাচন জিতে আপনি চেয়ারম্যান বলেন, কাউন্সিলর বলেন কিংবা এমপি বলেন, ওই একটা জায়গায় বসার আগ পর্যন্ত রাজনীতি আসলে পেশা হতে পারে বলে আমি মনে করি না।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনি জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এ এইচ এম এরশাদের উপদেষ্টা ছিলেন। মানে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে গেলেন কেন?
ববি হাজ্জাজ: প্রথমত মরহুম প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। উনি দাওয়াত দিয়ে আমাকে পার্টিতে জয়েন্ট করতে বলেন। উনার বিশেষ উপদেষ্টা বানান। দলের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কও বানান এবং স্পোকস্ পার্সনও বানান। কিন্তু মূল বিষয় ছিল উনার বিশেষ উপদেষ্টা।
২০১৫ সালের মাঝামাঝির দিকে একটা সময় আসে যেখানে দলীয় কিছু কারণে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমার একটা দূরত্ব তৈরি হয়। এই দূরত্ব একবার তৈরি হওয়ার পর আর আসলে জাতীয় পার্টিতে আমি ফিরে যাইনি। আমি জাতীয় পার্টি ছেড়ে দিয়েছি, এ কথাটা আসলে ভুল।
ঢাকাপ্রকাশ: হঠাৎ কেন নতুন রাজনৈতিক দল করার ইচ্ছা জাগল আপনার মতো একজন শিক্ষকের?
ববি হাজ্জাজ: ২০১৫ সালে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমার একটা দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর থেকে আমি…তখনও আমি জাতীয় পার্টির হয়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছিলাম। কাজ করতে করতে কিছু উপলব্ধি হলো। আমি যে জিনিষগুলো বিশ্বাস করি, জাতীয় পার্টি ভালো না খারাপ সেটা বিষয় না। আমি বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য কাজ করা। সেই কাজগুলো জাতীয় পার্টির মাধ্যমে করা অত্যন্ত মুশকিল হতো। আমি যে জিনিষগুলো সঠিক বলে মনে করি সেগুলো নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা থেকেই জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন গঠন করা।
ঢাকাপ্রকাশ: দেশে তো অসংখ্য রাজনৈতিক দল আছে। এতো দলের ভিড়ে আরেকটি রাজনৈতিক দলের কি খুব প্রয়োজন ছিল?
ববি হাজ্জাজ: আলবত প্রয়োজন ছিল। প্রয়োজন ছিল বলেই আমরা শুরু করি। অনেক রাজনৈতিক দল আছে নিশ্চয়ই। নিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু যেই বিশ্বাসে আমরা বিশ্বাসী সেই বিশ্বাসে অন্যকোনো দল না থাকার কারণে আমরা এনডিএম গঠন করি।
ঢাকাপ্রকাশ: দল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
ববি হাজ্জাজ: দেখেন রাজনৈতিক দল আমরা সৃষ্টি করি জনণকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য। আর জনগণকে রিপ্রেজেন্ট একমাত্র ইলেকট্রেট পজিশনে গেলেই হয়। সো, দল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হল সব পর্যায়ে অর্থাৎ স্থানীয় নির্বাচনে, জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করা।
ঢাকাপ্রকাশ: সামনে তো নির্বাচন আসছে। নির্বাচনে আপনার দলের প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থা কি আছে কোথাও?
ববি হাজ্জাজ: ২০১৯ সালে আমরা নিবন্ধন পাই সিংহ প্রতীক নিয়ে। সামনে যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে, ২০২৪ সালের নির্বাচন যদি সঠিকভাবে হয়, একসেপ্টবল একটা নির্বাচন দিতে সরকার সক্ষম হয় তাহলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে আলবত এনডিএম বড় ভাবে প্রার্থী দেবে এবং নির্বাচন করবে।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনি বলছেন নির্বাচন যদি সঠিক হয়, আপনার মনে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন আছে কিনা?
ববি হাজ্জাজ: দেখেন আমি এক মুহূর্তের জন্য ধরছি না যে নির্বাচন সঠিক, স্বচ্ছ ও সুন্দর হবে। ২০১৪ তে হয়নি, ১৮তে হয়নি। এটা হবেই না। তারপরও ২০২৪-এ এসে যদি সরকার একটা আশাবাদের জায়গা তৈরি করতে পারে, যেখানে একটা মিনিমাম জায়গা তৈরি হবে তাহলে আমরা নির্বাচনে যাব। মিনিমাম একটা জায়গা তৈরি করা, বেসিক একটা জয়গা তৈরি করা। যেখানে সবার একটা আস্থা আসে যে, এটলিস্ট একটা মিনিমাম স্বচ্ছতা থাকবে নির্বাচনে। ফুল স্বচ্ছতা না, আমার বিশ্বাস ফুল স্বচ্ছতা আসবে না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের বসা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও কিছু বিষয়ে তাদের অপারগতার কথা জানিয়েছেন যে, অনেক জিনিসই তাদের ক্ষমতার বাইরে। তাদের ক্ষমতার ভেতরে থাকলে যে তারা করতেন আমি সেটাও বলছি না।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কয়েকদিন আগে ফেনীতে একটি সমাবেশে বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। আওয়ামী লীগকে উড়িয়ে দিলেন…
ববি হাজ্জাজ: আমি আওয়ামী লীগকে উড়িয়ে দেইনি। আওয়ামী লীগ এদেশের একটা প্রাচীন রাজনৈতিক দল। কিন্তু সেই দলের সঙ্গে আজকের আওয়ামী লীগকে আমি রাজনৈতিক দল হিসেবে ধরি না। কারণ ক্ষমতায় যারা আছেন তারা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আওয়ামী লীগ এদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এটা আমি বিশ্বাস করি। তবে যতদিন সরকারে আছে ততোদিন আওয়ামী লীগ জনসম্পৃক্ত না এবং কোনো রাজনৈতিক দল না। দ্বিতীয়ত, আমরা মনে করি আমরা শুধু সত্য বলছি। সত্যটা যদি কারো বিরুদ্ধে যায়, তাতে আমার করার কিছু নেই।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনার বাবা তো একজন ব্যবসায়ী এবং জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে স্বীকৃত। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আপনার রাজনীতির ক্ষেত্রে তার কোনো প্রভাব পড়ে কি না?
ববি হাজ্জাজ: প্রথমত আপনাকে বলে রাখি, এই জনশক্তি রপ্তানি, এই সেক্টরটার জন্ম দিয়েছে আমার বাবা। আজকের বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অবস্থা তার উপর বড় কোনো ইন্ড্রাস্টিয়াল ইম্পেক্ট যদি থেকে থাকে…বাংলাদেশের উন্নয়নের মাপকাঠি, উন্নত দেশ, এতো হাইরাইজ জিডিপি, আজকে যে ডলার ক্রাইসিস তৈরি হল… তখন কিন্তু এই ফরেন রেমিটেন্সের কারণেই আমরা বলতে পারছি ডলার ভ্যালু একটা সামঞ্জস্যে আসছে। এই জনশক্তি রপ্তানির কারণে, এই ইন্ড্রাস্টির কারণে। আর এই ইন্ড্রাস্টির জন্মদাতা আমার বাবা।
দ্বিতীয়ত, অস্ত্রের ব্যবসা নিয়ে অনেকভাবে কথা বলা যায়। রাস্তাঘাটে যারা অস্ত্র নিয়ে বা অবৈধ আর্মস নিয়ে হেলমেট বাহিনী দৌড়াদৌড়ি করছে, এটা যারা বিক্রি করছে এটাও অস্ত্রের ব্যবসা। আবার বিএই সিস্টেমস এ যারা অস্ত্র বিক্রি করছে সেটাও অস্ত্রের ব্যবসা। আমার বাবা বড় বড় ফাইটার জেট, ট্যাংক, ওয়্যার শিপ, ফ্রিগেট… একটা দেশ যখন আরেকটা দেশে বিক্রি করত তখন উনার মাধ্যমে বিক্রি করছে। বহু বছর আমার বাবা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমার বাবা কখনই বিতর্কিত কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাকে নিয়ে কেন বিতর্ক সেটা আমার বোধগম্য নয়। আর আমার রাজনীতিতে সেটা কোনো প্রভাব ফেলেনি।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনার পিতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করা, পাকবাহিনীকে সহায়তা করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মামলাও হয়েছে। কিন্তু আপনাদের পরিবারের সঙ্গে সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী নেতার পরিবারের আত্মীয়তার কারণে সেই মামলাটি আগায়নি। যার ফলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়া আগায়নি। যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি আপনি কীভাবে খণ্ডাবেন…।
ববি হাজ্জাজ: প্রথমত প্রশ্নটা একটা অবাঞ্ছিত প্রশ্ন। যেহেতু আপনি জিজ্ঞেস করে ফেলেছেন সেকারণে উত্তর দেই। যেকোনো বড় মানুষের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আরোপ আনা যায়। কখনো উনার নামে কোনো মামলা হয়ে কিছু প্রমাণিত হয়নি এবং বড় কথা কোনো মামলা নেয়ওনি। এই কমপ্লেইন আইসিটি ট্রাইব্যুনাল থেকে শুরু করে দুদক সব জায়গায় গিয়েছে। কিন্তু কোথাও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লগের মরহুম নেতা আব্দুর রাজ্জাক সাহেব যার ছেলেও এখন সংসদে আছেন, আব্দুর রাজ্জাক সাহেব পর্যন্ত বক্তব্য দিয়েছেন যে, আমার বাবা কখনো… এবং আমার বাবা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের আন্ডারেই উনি ছিলেন। মানে আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন সিনিয়র নেতা, আর আমার বাবা ছিলেন জুনিয়র নেতা। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা সেই এলাকায় বক্তব্য দিয়েছেন যে, উনি কখনো যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এমনকি কোনো মামলায় তার বিরুদ্ধে কোনো আইসিটি এভিডেন্স বের করতে পারেননি।
আর আপনি যদি বলেন যে, সরকারি দলের সঙ্গে সম্পর্কের…সরকারি দলের সঙ্গে যদি আমার এতোই দহরম-মহরম সম্পর্ক থাকে তাহলে আমার রাজনীতিতে এতো নাজেহাল কেন হতে হয়। এতোই যদি দহরম মহরম থাকে তাহলে দেখান গত ২০ বছরে আমার পরিবার… গত ৩০ বছরে আমাদের পারিবারিক যে ব্যবসা তার একটা কন্ট্রাক্ট সরকারের সঙ্গে করেছে। সরকারের সঙ্গে এতো দহরম মহরম থাকে তাহলে সরকারের কাছ থেকে না আমি একটা টাকা বানাতে পারছি …এই সরকারের আমলে দুদকে হয়রানি হয়, এই সরকারের আমলে রেন্ডম মামলা করে…যখন এদেশের অর্থনীতি যাদের উপর দাঁড়িয়ে তাদের নাজেহাল করে…তখন এই দেশের সরকারের সঙ্গে কতোখানি সম্পর্ক আমার, এখানে কি প্রতীয়মান হয় না।
আরএ/

তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৭ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাই ডেকেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুস দুদকে আসবেন কি না, এটা তার ব্যাপার।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।
এদিন বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। মামলা হবে কি, হবে না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে ডাকবেন তিনি। যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে ডাকবেন। তার নিজস্ব বিষয় এটা।
তিনি আরও বলেন, তলবের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর জানতে পেরেছি আমি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাই ডেকেছেন। তিনি আসলে ভালো, আর না আসলে সেটা তার ব্যাপার।
এছাড়া ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেন হয়রানি করা হবে তাকে। শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত করেছে দুদক এবং মামলা হয়েছে। আপনারা এটাকে কেন হয়রানি বলছেন?
এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৯ এএম

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে লাল কার্ড। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।
দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।

অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৪ এএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই তার পর আমরা ঘরে ফিরব।
মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌদুরী।
তিনি বলেন, মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করা খুবই জরুরি কিন্তু সরকার নানান রকম দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করছে।
তিনি বলেন, একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা টেকানোর জন্যে একের পর এক অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভয়, বেগম খালেদা জিয়া যদি দেশের বাইরে যান, তবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে, তবে তারেক রহমান দেশে চলে আসবেন।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রধান বক্তা বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একদফা আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।