বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল না’

ববি হাজ্জাজ। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সম্প্রতি ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দল গঠন করলেও রাজনীতি তার পেশা না। পেশায় শিক্ষক ববি আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন। বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো দল না। তিনি তার বাবাকে (মুসা বিন শমসের) ছাত্রলীগের নেতা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি একজন তরুণ রাজনীতিক। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) নামে আপনার একটা রাজনৈতিক দলও আছে। রাজনীতিটা আপনি কেমন উপভোগ করেন?

ববি হাজ্জাজ: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। একই সঙ্গে আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশ এবং ঢাকাপ্রকাশ-এর সকল দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকদেরকে সালাম ও শুভেচ্ছা।

আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে গত ১০-১২ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। যারাই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন বা রাজনীতি করেন এটা তাদের জীবনের একটা অংশ হিসেবেই করেন। তারা জনগণের কাছে থাকতে চান। মানুষের কাছে থাকতে চান, মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য তারা কাজ করেন এবং একবার যখন মানুষের কাছে পৌঁছান তখন তারা মানুষকে নিয়েই কথা বলেন। মানুষকে নিয়েই তারা কাজ করেন। আসলে রাজনীতি বৃহত্তর ও একটা জীবনের অংশ।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে রাজনীতি আপনার পেশা না?

ববি হাজ্জাজ: না, রাজনীতি আমার পেশা না। একটা নির্বাচন জিতে আপনি চেয়ারম্যান বলেন, কাউন্সিলর বলেন কিংবা এমপি বলেন, ওই একটা জায়গায় বসার আগ পর্যন্ত রাজনীতি আসলে পেশা হতে পারে বলে আমি মনে করি না।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এ এইচ এম এরশাদের উপদেষ্টা ছিলেন। মানে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে গেলেন কেন?

ববি হাজ্জাজ: প্রথমত মরহুম প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। উনি দাওয়াত দিয়ে আমাকে পার্টিতে জয়েন্ট করতে বলেন। উনার বিশেষ উপদেষ্টা বানান। দলের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কও বানান এবং স্পোকস্ পার্সনও বানান। কিন্তু মূল বিষয় ছিল উনার বিশেষ উপদেষ্টা।

২০১৫ সালের মাঝামাঝির দিকে একটা সময় আসে যেখানে দলীয় কিছু কারণে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমার একটা দূরত্ব তৈরি হয়। এই দূরত্ব একবার তৈরি হওয়ার পর আর আসলে জাতীয় পার্টিতে আমি ফিরে যাইনি। আমি জাতীয় পার্টি ছেড়ে দিয়েছি, এ কথাটা আসলে ভুল।

ঢাকাপ্রকাশ: হঠাৎ কেন নতুন রাজনৈতিক দল করার ইচ্ছা জাগল আপনার মতো একজন শিক্ষকের?

ববি হাজ্জাজ: ২০১৫ সালে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমার একটা দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর থেকে আমি…তখনও আমি জাতীয় পার্টির হয়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছিলাম। কাজ করতে করতে কিছু উপলব্ধি হলো। আমি যে জিনিষগুলো বিশ্বাস করি, জাতীয় পার্টি ভালো না খারাপ সেটা বিষয় না। আমি বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য কাজ করা। সেই কাজগুলো জাতীয় পার্টির মাধ্যমে করা অত্যন্ত মুশকিল হতো। আমি যে জিনিষগুলো সঠিক বলে মনে করি সেগুলো নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা থেকেই জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন গঠন করা।

ঢাকাপ্রকাশ: দেশে তো অসংখ্য রাজনৈতিক দল আছে। এতো দলের ভিড়ে আরেকটি রাজনৈতিক দলের কি খুব প্রয়োজন ছিল?

ববি হাজ্জাজ: আলবত প্রয়োজন ছিল। প্রয়োজন ছিল বলেই আমরা শুরু করি। অনেক রাজনৈতিক দল আছে নিশ্চয়ই। নিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু যেই বিশ্বাসে আমরা বিশ্বাসী সেই বিশ্বাসে অন্যকোনো দল না থাকার কারণে আমরা এনডিএম গঠন করি।

ঢাকাপ্রকাশ: দল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

ববি হাজ্জাজ: দেখেন রাজনৈতিক দল আমরা সৃষ্টি করি জনণকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য। আর জনগণকে রিপ্রেজেন্ট একমাত্র ইলেকট্রেট পজিশনে গেলেই হয়। সো, দল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হল সব পর্যায়ে অর্থাৎ স্থানীয় নির্বাচনে, জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করা।

ঢাকাপ্রকাশ: সামনে তো নির্বাচন আসছে। নির্বাচনে আপনার দলের প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থা কি আছে কোথাও?

ববি হাজ্জাজ: ২০১৯ সালে আমরা নিবন্ধন পাই সিংহ প্রতীক নিয়ে। সামনে যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে, ২০২৪ সালের নির্বাচন যদি সঠিকভাবে হয়, একসেপ্টবল একটা নির্বাচন দিতে সরকার সক্ষম হয় তাহলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে আলবত এনডিএম বড় ভাবে প্রার্থী দেবে এবং নির্বাচন করবে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি বলছেন নির্বাচন যদি সঠিক হয়, আপনার মনে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন আছে কিনা?

ববি হাজ্জাজ: দেখেন আমি এক মুহূর্তের জন্য ধরছি না যে নির্বাচন সঠিক, স্বচ্ছ ও সুন্দর হবে। ২০১৪ তে হয়নি, ১৮তে হয়নি। এটা হবেই না। তারপরও ২০২৪-এ এসে যদি সরকার একটা আশাবাদের জায়গা তৈরি করতে পারে, যেখানে একটা মিনিমাম জায়গা তৈরি হবে তাহলে আমরা নির্বাচনে যাব। মিনিমাম একটা জায়গা তৈরি করা, বেসিক একটা জয়গা তৈরি করা। যেখানে সবার একটা আস্থা আসে যে, এটলিস্ট একটা মিনিমাম স্বচ্ছতা থাকবে নির্বাচনে। ফুল স্বচ্ছতা না, আমার বিশ্বাস ফুল স্বচ্ছতা আসবে না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের বসা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও কিছু বিষয়ে তাদের অপারগতার কথা জানিয়েছেন যে, অনেক জিনিসই তাদের ক্ষমতার বাইরে। তাদের ক্ষমতার ভেতরে থাকলে যে তারা করতেন আমি সেটাও বলছি না।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কয়েকদিন আগে ফেনীতে একটি সমাবেশে বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। আওয়ামী লীগকে উড়িয়ে দিলেন…

ববি হাজ্জাজ: আমি আওয়ামী লীগকে উড়িয়ে দেইনি। আওয়ামী লীগ এদেশের একটা প্রাচীন রাজনৈতিক দল। কিন্তু সেই দলের সঙ্গে আজকের আওয়ামী লীগকে আমি রাজনৈতিক দল হিসেবে ধরি না। কারণ ক্ষমতায় যারা আছেন তারা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আওয়ামী লীগ এদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এটা আমি বিশ্বাস করি। তবে যতদিন সরকারে আছে ততোদিন আওয়ামী লীগ জনসম্পৃক্ত না এবং কোনো রাজনৈতিক দল না। দ্বিতীয়ত, আমরা মনে করি আমরা শুধু সত্য বলছি। সত্যটা যদি কারো বিরুদ্ধে যায়, তাতে আমার করার কিছু নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার বাবা তো একজন ব্যবসায়ী এবং জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে স্বীকৃত। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আপনার রাজনীতির ক্ষেত্রে তার কোনো প্রভাব পড়ে কি না?

ববি হাজ্জাজ: প্রথমত আপনাকে বলে রাখি, এই জনশক্তি রপ্তানি, এই সেক্টরটার জন্ম দিয়েছে আমার বাবা। আজকের বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অবস্থা তার উপর বড় কোনো ইন্ড্রাস্টিয়াল ইম্পেক্ট যদি থেকে থাকে…বাংলাদেশের উন্নয়নের মাপকাঠি, উন্নত দেশ, এতো হাইরাইজ জিডিপি, আজকে যে ডলার ক্রাইসিস তৈরি হল… তখন কিন্তু এই ফরেন রেমিটেন্সের কারণেই আমরা বলতে পারছি ডলার ভ্যালু একটা সামঞ্জস্যে আসছে। এই জনশক্তি রপ্তানির কারণে, এই ইন্ড্রাস্টির কারণে। আর এই ইন্ড্রাস্টির জন্মদাতা আমার বাবা।

দ্বিতীয়ত, অস্ত্রের ব্যবসা নিয়ে অনেকভাবে কথা বলা যায়। রাস্তাঘাটে যারা অস্ত্র নিয়ে বা অবৈধ আর্মস নিয়ে হেলমেট বাহিনী দৌড়াদৌড়ি করছে, এটা যারা বিক্রি করছে এটাও অস্ত্রের ব্যবসা। আবার বিএই সিস্টেমস এ যারা অস্ত্র বিক্রি করছে সেটাও অস্ত্রের ব্যবসা। আমার বাবা বড় বড় ফাইটার জেট, ট্যাংক, ওয়্যার শিপ, ফ্রিগেট… একটা দেশ যখন আরেকটা দেশে বিক্রি করত তখন উনার মাধ্যমে বিক্রি করছে। বহু বছর আমার বাবা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমার বাবা কখনই বিতর্কিত কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাকে নিয়ে কেন বিতর্ক সেটা আমার বোধগম্য নয়। আর আমার রাজনীতিতে সেটা কোনো প্রভাব ফেলেনি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার পিতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করা, পাকবাহিনীকে সহায়তা করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মামলাও হয়েছে। কিন্তু আপনাদের পরিবারের সঙ্গে সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী নেতার পরিবারের আত্মীয়তার কারণে সেই মামলাটি আগায়নি। যার ফলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়া আগায়নি। যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি আপনি কীভাবে খণ্ডাবেন…।

ববি হাজ্জাজ: প্রথমত প্রশ্নটা একটা অবাঞ্ছিত প্রশ্ন। যেহেতু আপনি জিজ্ঞেস করে ফেলেছেন সেকারণে উত্তর দেই। যেকোনো বড় মানুষের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আরোপ আনা যায়। কখনো উনার নামে কোনো মামলা হয়ে কিছু প্রমাণিত হয়নি এবং বড় কথা কোনো মামলা নেয়ওনি। এই কমপ্লেইন আইসিটি ট্রাইব্যুনাল থেকে শুরু করে দুদক সব জায়গায় গিয়েছে। কিন্তু কোথাও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লগের মরহুম নেতা আব্দুর রাজ্জাক সাহেব যার ছেলেও এখন সংসদে আছেন, আব্দুর রাজ্জাক সাহেব পর্যন্ত বক্তব্য দিয়েছেন যে, আমার বাবা কখনো… এবং আমার বাবা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের আন্ডারেই উনি ছিলেন। মানে আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন সিনিয়র নেতা, আর আমার বাবা ছিলেন জুনিয়র নেতা। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা সেই এলাকায় বক্তব্য দিয়েছেন যে, উনি কখনো যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এমনকি কোনো মামলায় তার বিরুদ্ধে কোনো আইসিটি এভিডেন্স বের করতে পারেননি।

আর আপনি যদি বলেন যে, সরকারি দলের সঙ্গে সম্পর্কের…সরকারি দলের সঙ্গে যদি আমার এতোই দহরম-মহরম সম্পর্ক থাকে তাহলে আমার রাজনীতিতে এতো নাজেহাল কেন হতে হয়। এতোই যদি দহরম মহরম থাকে তাহলে দেখান গত ২০ বছরে আমার পরিবার… গত ৩০ বছরে আমাদের পারিবারিক যে ব্যবসা তার একটা কন্ট্রাক্ট সরকারের সঙ্গে করেছে। সরকারের সঙ্গে এতো দহরম মহরম থাকে তাহলে সরকারের কাছ থেকে না আমি একটা টাকা বানাতে পারছি …এই সরকারের আমলে দুদকে হয়রানি হয়, এই সরকারের আমলে রেন্ডম মামলা করে…যখন এদেশের অর্থনীতি যাদের উপর দাঁড়িয়ে তাদের নাজেহাল করে…তখন এই দেশের সরকারের সঙ্গে কতোখানি সম্পর্ক আমার, এখানে কি প্রতীয়মান হয় না।

আরএ/

Header Ad

আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম

অভিনেত্রী পাওলি দাম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সিনেমায় আবারও অভিনয় করতে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দাম। প্রখ্যাত নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খানের চতুর্থ সিনেমা ‌‘নীল জোছনা’য় দেখা যাবে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে।

সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে। আর এর প্রধান নারী চরিত্র লায়লার ভূমিকায় পাওয়া যাবে ওপার বাংলার এই অভিনেত্রীকে।

অভিনেত্রী পাওলি দাম। ছবি: সংগৃহীত

বুধবার (২৪ এপ্রিল) কলকাতার ডিকালগ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান। তবে সিনেমায় তার বিপরীতে কে থাকছেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নির্মাতা জানিয়েছেন, পাওলির বিপরীতে দেশের একজন অভিনয়শিল্পীকে দেখা যাবে। যা খুব শিগগির চুড়ান্ত করা হবে।

এদিকে, বাংলাদেশের সিনেমায় আবার অভিনয় করার প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, ‘গত বছর নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন খান আমার সঙ্গে এই সিনেমা নিয়ে যোগাযোগ করেন। প্রথমে তার কাছে থেকে গল্পটি শুনেছি, যেহেতু তখনও মোশতাক আহমেদের সেই বইটি আমার পড়া ছিল না, এরপর যখন বইটি পড়লাম, তখন দারুণ লাগল। বলা যায়, এই সিনেমার সঙ্গে সেদিন থেকেই জড়িয়ে আছি। যার আনুষ্ঠানিকতা গতকাল হয়েছে।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে কী প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে বাংলায় কাজ হয়নি বললেই চলে। হলিউডে কিছু কাজ হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টোফার নোলানের “ইন্টারেস্টলার”, “ইনসেপশন”র উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।’

নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, ‘এই সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম প্রায় ৬ বছর আগে। সেই ২০১৮ সালের শেষের দিকে। প্যারাসাইকোলজি নিয়ে আমার ধারণা এর আগে বাংলাদেশে কোনো কাজ হয়নি। আর সে কারণেই আমি মোশতাক আহমেদের উপন্যাসটি পড়ি, তখনই চিন্তা করি সিনেমা বানানোর। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার “জেকে ১৯৭১” সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল। এরপর আবারও গত বছরের শুরু থেকে কাজটি শুরু করি।’

পাওলি দাম প্রসঙ্গে এই নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের গল্পের অন্যতম নারী চরিত্র লায়লা, যা পাওলি দামের সঙ্গে অনেক বেশি যায়, যার কারণে আমরা তাকে এই চরিত্রের জন্য প্রথমে নির্বাচিত করি। এরপর পাওলির সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তাকে চিত্রনাট্য পাঠানো হলে তিনিও আমাদের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য রাজি হন। আশা করছি, আমরা পাওলিকে নিয়ে কাজটি খুব ভালোভাবে শেষ করতে পারব।’

নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান এবং অভিনেত্রী পাওলি দাম। ছবি: সংগৃহীত

নির্মাতা জানান, সরকারী অনুদানের সিনেমা ‘নীল জোছনা’র দৃশ্যধারণ শুরু হবে আগামী মাসের শেষদিকে।

উল্লেখ্য, হাসিবুর রহমান কল্লোলের ‘সত্তা’ সিনেমার মধ্যদিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন কলকাতার অভিনেত্রী পাওলি দাম। এতে তার বিপরীতে ছিলেন শাকিব খান। সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১৭ সালে।

ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২

নিহত কৃষকলীগ নেতা মো. শামীম পারভেজ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ফুলপুর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কৃষক লীগ নেতাসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে নজরুল ইসলাম দীপক নামে আরও একজন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের পৃথক পৃথক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ত্রিশাল পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আজহারুল ইসলামের বড় ছেলে শামীম পারভেজ (৩০) ও ফুলপুর উপজেলার ইমাদপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহীম শেখের ছেলে সুরুজ আলী (৭০)। শামীম পারভেজ উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, নিজের ফিসারির মাছ বিক্রি করে প্রাইভেটকারে ময়মনসিংহ থেকে ত্রিশালের নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন কৃষকলীগ নেতা শামীম ও নজরুল ইসলাম দীপক। এসময় তাদের বহনকারী প্রাইভেটকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার নুরুর দোকান এলাকায় আসতেই হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা লাগে। এতে প্রাইভেটকারটিতে আগুন ধরে গেলে যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ (৩০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মো. নজরুল ইসলাম দীপক আহত হন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অপরদিকে ময়মনসিংহের ফুলপুরে ফজরের নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হয়ে ট্রাকচাপায় সুরুজ আলী (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত সুরুজ আলী উপজেলার ইমাদপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম শেখের ছেলে।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, নিহত সুরুজ আলী ফজরের নামাজ পড়তে বের হয়ে সড়কে এলে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের ইমাদপুর এলাকায় ময়মনসিংহ থেকে আসা একটি বেপরোয়া গতির ট্রাক হঠাৎ তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়

গোবিন্দগঞ্জে সালাতুল ইস্তিসকার আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে বিশেষ নামাজ সালাতুল ইস্তিসকার আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এই নামাজ আদায় করা হয়।

বিশেষ এই নামাজে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সহস্রাধিক মুসল্লি অংশ গ্রহণ করেন। নামাজ শেষে খুতবা পাঠ ও পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
পরে তাপদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করন শ্রীমুখ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আব্দুস ছালাম নাটোরী।

এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি মাহমুদবাগ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও নাকাইহাট হাইস্কুল মাঠেও এই নামাজ আদায় করেন স্থানীয়রা।

সর্বশেষ সংবাদ

আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়
বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে চিঠি দুদকের
ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নেবে ২৩৮ জন
জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার
বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
তীব্র গরমে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ