বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ | ৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেশাত্মবোধকে হৃদয়ে লালন করেন আলোকিত ব্যক্তিত্ব আনোয়ার দোহা

কানাডার মূলধারায় এবং প্রবাসী বাংলা ভাষী, পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের তথ্য প্রসারের আলোকস্নাত প্রত্যয়ে দীর্ঘ সময়ব্যাপী নিবেদিত ভূমিকা রাখছেন একজন আলোকিত ব্যক্তিত্ব আনোয়ার দোহা। চেতনায় দেশাত্মবোধ, বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি দায়বদ্ধতা, বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যর ধারাকে হৃদয়ে লালন করে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার গতানুগতিক ছক কাটা বেড়াজাল অবস্থান হতে বের হয়ে বাংলা সাহিত্, বাংলা ভাষা ও কৃষ্টির পরিচয়ের উপকরণ সম্ভারে প্রবাসে তার শেষ পুঁজির বিনিময়ে বিস্তৃত পরিসরে গড়ে তুলেছেন ‘এটিএন মেগা স্টোর’ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বরেণ্য কথাসাহিত্যিকদের বিভিন্ন চিন্তার সুবিশাল বই সংগ্রহহের পাশাপাশি বাংলা গান ও চলচ্চিত্রের অডিও ভিডিও সিডি, দেশজ কুটির শিল্প, পাটজাত বাঁশ বেত ও হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, চিত্রকল্প, পরিধেয় তার এই বৈচিত্রময় প্রতিষ্ঠানে অন্তর্গত l

কানাডার টরন্টোতে বিভিন্ন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অধ্যুষিত জনপ্রিয় ড্যানফোর্থ এভিনিউয়েতে তার প্রতিষ্ঠান ২৯৭২ এভিনিউতে ‘এটিএন মেগা স্টোরে’ (atnmegastore@gmail.com ) প্রবেশ করলেই বাংলা ভাষা সাহিত্য ঐতিহ্যের সমন্বয়ে ছোট বাংলাদেশের এক বর্ণিল লালিত নান্দনিক অধ্যায় অনুভব করা l ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া কানাডায় তার কর্মময় জীবন ঘনিষ্ঠ সাক্ষাৎকারটিনিয়েছেন ফারজানা নাজ শম্পা l

ঢাকাপ্রকাশ: আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত হবার জন্য আনোয়ার দোহা ভাই আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম জানাচ্ছি l কানাডায় বাংলা বই নিয়ে আপনার যাত্রা শুরুর গল্পটি জানাবেন কি?

আনোয়ার দোহা: ২০০১ সালে প্রথমে আমার নিউইয়র্ক হতে কানাডায় আগমন l বাংলাদেশের দেশাত্মবোধের আদর্শকে হৃদয়ে লালন করে ২০০২ সালে প্রাথমিকভাবে বাংলা গান চলচ্চিত্রর অডিও এবং ভিডিও ক্যাসেট, সিডি প্রয়োজনীয় দ্রব্য যাত্রা শুরু করি। পরবর্তী বাংলা বই অনুরাগী কানাডা প্রবাসী কয়েকজন বিশেষ উৎসাহ প্রবাসে বাংলা ভাষা সাহিত্য বিকাশের নিরিখে আমার হৃদয়ের লালিত অদম্য এবং সুপ্ত ইচ্ছের সফল বাস্তবায়ন ঘটে ২০০৬ সাল হতে। সেই সময় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সবধরনের বই, অভিধান বাংলাদেশের ও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন উৎসব সাময়িকী যেমন ঈদ ও পূজা র বিষয়ে উৎসব সংখ্যা ইত্যাদি নিয়ে যাত্রাশুরু করে এখনো পর্যন্ত পথ চলছি।

ঢাকাপ্রকাশ: কোনো প্রেক্ষাপট হতে বাংলা বই নিয়ে ‘এটিএন মেগা স্টোর’ প্রতিষ্ঠান গঠনের আদর্শ হতে অনুপ্রাণিত হলেন?

আনোয়ার দোহা: আমি মূলত হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রবাসে আমেরিকা ও কানাডা কয়েকটি উচ্চতর ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেই। কানাডায় হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষক রূপে দীর্ঘ সময় কর্মরত ছিলাম। তবে কানাডায় মূলধারায় ও অভিবাসী বাঙালির বাংলাভাষার প্রসার পরিচিতি অব্যাহত রাখার তাগিদ ও বাংলা বইয়ের প্রাপ্তির শূন্যতা বোধের তীব্র তাড়না আমাকে বাংলাদেশেরসমৃদ্ধ এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ে লালিত বাংলা বইয়ের দোকান গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সুসাহিত্যের মাধ্যমেই সুন্দরজীবন বোধসম্পন্ন জাতি গড়ে তোলা সম্ভব তাই কানাডায় অধিবাসী প্রবাসী দের ও পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাসের লালিত সমুন্নত রাখার স্বতন্ত্র ভাবে আমার এই উদ্যোগ।

ঢাকাপ্রকাশ: সুনির্দিষ্ট কোনো আদর্শ দ্বারা প্রাণিত হয়ে কি কানাডায় বাংলা বই প্রচার বিপণন ও সম্প্রসারণে আগ্রহী হয়েছিলেন?

আনোয়ার দোহা: একজন বাঙ্গালী হিসেবে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি দায়বদ্ধতা, ছোটবেলা থেকে বইয়ের সাথে আমারগভীর সম্পৃক্ততা এবং অপরকে ভাল বই পড়ানোর মানসিক তৃপ্তি থেকে কানাডায় বিপণন ও সম্প্রসারণে আগ্রহী হয়েছি।আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আবু সায়িদের জীবন বোধ আমার অনুকরণীয় আদর্শ ।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার প্রতিষ্ঠানে কি দুই বাংলার লেখকদের বইয়ের সম্মিলন ঘটেছে? শিশু-কিশোরদের পাঠ উপযোগী বাংলা বই আপনাদের সংগ্রহে আছে কী?

আনোয়ার দোহা: দুই বাংলার বরণীয় লেখকদের স্মরণীয় জনপ্রিয় লেখা উপন্যাস ও কবিতা, অনুবাদ গল্প সমৃদ্ধ সকল বয়সের পাঠক উপযোগী বই আমাদের সংগ্রহে আছে। শিশুদের জন্য বাংলা বর্ণশেখা, গণিত ও সংখ্যা গণনা, ছড়া, কবিতা ও গল্পের বই এবং কিশোরদের জন্য ফিকশন নন-ফিকশান সবধরনের উপন্যাস,গল্প ও কবিতাসহ বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন ধর্মীয় বই আমাদের সংগ্রহে রয়েছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার প্রতিষ্ঠানের বাংলা বইয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী আরও অনেক পণ্যের সংযোজন ঘটেছে সেই উদ্যোগের কারণ কী?

আনোয়ার দোহা: ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছি একজন বাংলাদেশি এবং বাঙালি হিসেব আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সেই আদর্শ হতে বাংলা ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পরিচিত করে যেসব উপকরণ কানাডার মূলধারায় ও প্রবাসে বেড়ে উঠা নুতন প্রজন্মের মাঝেতুলে ধরা ছিল আমাদের অন্যতম ব্রত। আমাদের প্রতিষ্ঠানে বই ছাড়াও যে সকল পন্য পাওয়া যায় সেগুলো বাংলা সংস্কৃতি ওইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে যেমন মৃৎ শিল্প, পোড়ামাটি, বাঁশ, বেত ও কাঠজাত মনকাড়া গৃহসজ্জা, চিত্র ও উপহার সামগ্রী, বাংলাদেশের পতাকা ও পতাকা খচিত টি-সার্ট সুভেনীর, লুঙ্গি, গামছা ইত্যাদি। বাংলাদেশের ঐতিহ্য ইতিহাস ধারণ বা লালন করে না সেই পন্যসামগ্রী আমি আমাদের সংগ্রহে রাখি না।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলা বই নিয়ে কানাডায় আপনার দীর্ঘ পরিক্রমায় কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন কি? সেই দিকটির কিছুটা আলোকপাত করবেন কি?

আনোয়ার দোহা: আমার প্রাপ্তির অভিজ্ঞতায় কঠোর প্রতিবন্ধকতা এবং উৎসাহ দুটোই ছিল। বাংলা বইকে কানাডায় বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আজকের গ্রহণযোগ্য স্থানে নিয়ে আসার অভিপ্রায়ে আমাকে প্রচুর কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে। আমার প্রয়োজনে কানাডায় হাজার হাজার ডলার ভর্তুকি দিতে হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। তবে আমার শখ বা দেশপ্রেম এর কারণে কোনো বাধাই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারছে না l

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার জন্ম , শিক্ষাজীবন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে কিছুটা ধারণা দেবেন কি? আপনার জীবনের স্মরণীয় কোনো মুহূর্ত বা ঘটনা সম্পর্কে আলোকপাত করুন। অবসর সময় কীভাবে অতিবাহিত করতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?

আনোয়ার দোহা: আমার জন্ম ১৯৫৪ সালের অগাস্ট মাসে বৃহত্তর কুমিল্লার চাঁদপুর জেলায়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করি, যে বিষয়ে পড়ালেখা তার সঙ্গে ভাষা-সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ কম তথাপি আমার ভাষা ও ঐতিহ্যের প্রতি অদম্য নেশা সদাই আকৃষ্ট রাখত।


Header Ad
Header Ad

২২ ছক্কার সঙ্গে ৫০ চারে একাই ৪০৪ রান করলেন মুস্তাকিম  

ছবিঃ সংগৃহীত

স্কুল ক্রিকেটে মুস্তাকিম হাওলাদার রেকর্ড ৪০৪ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলছেন। বাংলাদেশের স্বীকৃত কোন ক্রিকেটে এটাই প্রথম ব্যক্তিগত ৪০০ রানের কীর্তি।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাউন্ডে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের হয়ে সেন্ট গ্রেগরি স্কুল এন্ড কলেজের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন তিনি। সেটাও আবার ৫০ ওভারের ক্রিকেটে।

মুস্তাকিম ওপেনিংয়ে নেমে ১৭০ বলে তার ৪০৪ রানের ওই ইনিংস সাজান। তার ব্যাট থেকে ৫০টি চার ও ২২টি ছক্কা আসে। শুধু মুস্তাকিম নয় দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন চারে নামা ক্যামব্রিয়ান স্কুলের সাদ পারভেজ। তিনি ১২৪ বলে ২৫৬ রান করেন। ৩২টি চারের সঙ্গে ১৩টি ছক্কা মারেন।

তাদের দুর্দান্ত ওই ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৭৭০ রান তোলে ক্যামব্রিয়ান স্কুল। জবাবে মাত্র ৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় গ্রেগরি। ক্যামব্রিয়ান স্কুল ৭৩৮ রানের জয় পায়।

বাংলাদেশের যেকোন পর্যায়ের স্বীকৃত ক্রিকেটে এর আগে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল তামিম ইকবালের। তিনি ২০২০ সালে ইস্ট জোনের হয়ে ৪২৬ বলে ৩৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। তার আগে দেশের ক্রিকেটে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন রাকিবুল হাসান। তিনি ২০০৬-০৭ মৌসুমে সিলেটের হয়ে বরিশালের বিপক্ষে ৩১৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন।

Header Ad
Header Ad

পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে  

ছবিঃ সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে এক আবাসিক মাদরাসা পড়ুয়া ১১ বছরের ছাত্রকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে রেজওয়ান পারভেজ (২২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তারের পর শিক্ষক রেজওয়ান পারভেজকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রোববার (১৬ মার্চ) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাষা মোশাররফ নগর এলাকার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মার্কাজুল উলূম মাদরাসায় (লিল্লাহ বোডিং ও এতিমখানা) এ ঘটনাটি ঘটে।

সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এর পর মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর সকালে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।

গ্রেপ্তার রেজওয়ান পারভেজ একই মাদরাসার আবাসিক শিক্ষক। তার বাড়ি বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বগদুলঝুলা সর্দারপাড়া এলাকায়।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো গত ১৬ মার্চ রাতে ওই শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে পড়ে। এর মাঝে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক রেজওয়ান পারভেজ তাকে জরুরী প্রয়োজনে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুঁমকি দিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এর পর ওই শিক্ষার্থীকে কোরআন শরীফের উপর হাত দিয়ে কাউকে না জানাতে শপথ করান শিক্ষক। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে মাদ্রাসার মসজিদের তারাবির নামাজের পর এক প্রতিবেশীকে দেখতে পেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে তার বাবাকে জানানোর পাশাপাশি ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে রাতেই থানায় নেয়া হয়। ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার ভোর সকালে থানায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মার্কাজুল উলূম মাদরাসার (লিল্লাহ বোডিং ও এতিমখানা) মুহতামিম নুর নবী বলেন, রাতে মাদরাসায় স্থানীয়দের অবস্থান দেখে জানার চেষ্টা করা হলে তারা বিষয়টি না জানিয়ে আমাদের সেখান থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে লোকজন ঘটনাটি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে অবগত না করেই অভিযোগ তুলেছে।

 

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত    

ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ‘ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী’ ইসাম দা’আলিসকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে গাজাজুড়ে ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় ইশাম দা-লিস নিহত হন। গাজায় তার পদবী হলো ‘সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ’ কমিটির প্রধান। যা প্রধানমন্ত্রীর সমপর্যায়ের পদ বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

ইশাম দা-লিস ছাড়াও গাজার হামাস সরকারের বিচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আহমেদ আল-খাত্তা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াতফা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান বাহজাত আবু সুলতান নিহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাহমুদ আবু ওয়াতফা হামাস সরকারের পুলিশ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করতেন।

দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামাস সরকারের উচ্চপদস্থ এ চার নেতাকে লক্ষ্য করে হত্যা করা হয়েছে। আইডিএফ আরও জানিয়েছে, হামাসের মধ্যম সারির কমান্ডারদেরও হামলায় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল হামাসের সামরিক ও বেসামরিক সরকারের ওপর বড় আঘাত হানা। যেন গাজায় তারা নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং দখলদার ইসরায়েলের জন্য কোনো ধরনের হুমকি না হয়।

এরআগে গাজার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাহি মুস্তাহাকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হত্যা করে দখলদাররা। এরপর তার স্থলাভিষিক্ত হন ইশাম দা-লিস।

দখলদার ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, যদি তাদের জিম্মিদের হামাস ছেড়ে না দেয় তাহলে গাজায় এ ধরনের হামলা আরও অব্যাহত রাখা হবে। সোমবার রাতে ঘুমন্ত এসব মানুষের ওপর বর্বরোচিত বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে চারশরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২২ ছক্কার সঙ্গে ৫০ চারে একাই ৪০৪ রান করলেন মুস্তাকিম  
পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে  
ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত    
তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করলো ডাকাতদল  
খিলক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে তরুণকে গণপিটুনি, পুলিশের ওপর হামলা
সোনার দাম ফের বাড়ল
চুয়াডাঙ্গায় শিশু খাদ্য, কাপড় ও কসমেটিক্সের দোকান মালিককে ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির ৬ সদস্য নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার
আমরা চাই না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক: ডিপ্লোম্যাটকে নাহিদ ইসলাম
গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি
ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টায় আটক ১৫ বাংলাদেশি
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বলিউড ইনফ্লুয়েন্সার ওরি আটক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার, আলোচনায় থাকছে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব
গ্রামের মানুষকে নিজ হাতে ঈদ উপহার দিলেন হামজা
ছাত্রদের নতুন দলের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই: মাসুদ সাঈদী
সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবির বহিষ্কৃত ১২৮ ছাত্রলীগ নেতার নাম-পরিচয় প্রকাশ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক রাতে নিহত ৪০০ ছাড়াল, আহতের সংখ্যা ৬৬০
১৫ দিনের মধ্যে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পাকিস্তানের কল সেন্টারে জনতার তাণ্ডব, শত শত ল্যাপটপসহ ইলেকট্রনিক পণ্য লুট!
নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে দাঁড়িয়েই ট্রাফিক পুলিশদের ইফতারি (ভিডিও)