দেশাত্মবোধকে হৃদয়ে লালন করেন আলোকিত ব্যক্তিত্ব আনোয়ার দোহা

১০ মে ২০২৩, ০২:২২ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:১১ পিএম


দেশাত্মবোধকে হৃদয়ে লালন করেন আলোকিত ব্যক্তিত্ব আনোয়ার দোহা
কানাডার মূলধারায় এবং প্রবাসী বাংলা ভাষী, পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের তথ্য প্রসারের আলোকস্নাত প্রত্যয়ে দীর্ঘ সময়ব্যাপী নিবেদিত ভূমিকা রাখছেন একজন আলোকিত ব্যক্তিত্ব আনোয়ার দোহা। চেতনায় দেশাত্মবোধ, বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি দায়বদ্ধতা, বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যর ধারাকে হৃদয়ে লালন করে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার গতানুগতিক ছক কাটা বেড়াজাল অবস্থান হতে বের হয়ে বাংলা সাহিত্, বাংলা ভাষা ও কৃষ্টির পরিচয়ের উপকরণ সম্ভারে প্রবাসে তার শেষ পুঁজির বিনিময়ে বিস্তৃত পরিসরে গড়ে তুলেছেন ‘এটিএন মেগা স্টোর’ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বরেণ্য কথাসাহিত্যিকদের বিভিন্ন চিন্তার সুবিশাল বই সংগ্রহহের পাশাপাশি বাংলা গান ও চলচ্চিত্রের অডিও ভিডিও সিডি, দেশজ কুটির শিল্প, পাটজাত বাঁশ বেত ও হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, চিত্রকল্প, পরিধেয় তার এই বৈচিত্রময় প্রতিষ্ঠানে অন্তর্গত l

কানাডার টরন্টোতে বিভিন্ন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অধ্যুষিত জনপ্রিয় ড্যানফোর্থ এভিনিউয়েতে তার প্রতিষ্ঠান ২৯৭২ এভিনিউতে ‘এটিএন মেগা স্টোরে’ ([email protected] ) প্রবেশ করলেই বাংলা ভাষা সাহিত্য ঐতিহ্যের সমন্বয়ে ছোট বাংলাদেশের এক বর্ণিল লালিত নান্দনিক অধ্যায় অনুভব করা l ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া কানাডায় তার কর্মময় জীবন ঘনিষ্ঠ সাক্ষাৎকারটিনিয়েছেন ফারজানা নাজ শম্পা l

ঢাকাপ্রকাশ: আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত হবার জন্য আনোয়ার দোহা ভাই আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম জানাচ্ছি l কানাডায় বাংলা বই নিয়ে আপনার যাত্রা শুরুর গল্পটি জানাবেন কি?

আনোয়ার দোহা: ২০০১ সালে প্রথমে আমার নিউইয়র্ক হতে কানাডায় আগমন l বাংলাদেশের দেশাত্মবোধের আদর্শকে হৃদয়ে লালন করে ২০০২ সালে প্রাথমিকভাবে বাংলা গান চলচ্চিত্রর অডিও এবং ভিডিও ক্যাসেট, সিডি প্রয়োজনীয় দ্রব্য যাত্রা শুরু করি। পরবর্তী বাংলা বই অনুরাগী কানাডা প্রবাসী কয়েকজন বিশেষ উৎসাহ প্রবাসে বাংলা ভাষা সাহিত্য বিকাশের নিরিখে আমার হৃদয়ের লালিত অদম্য এবং সুপ্ত ইচ্ছের সফল বাস্তবায়ন ঘটে ২০০৬ সাল হতে। সেই সময় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সবধরনের বই, অভিধান বাংলাদেশের ও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন উৎসব সাময়িকী যেমন ঈদ ও পূজা র বিষয়ে উৎসব সংখ্যা ইত্যাদি নিয়ে যাত্রাশুরু করে এখনো পর্যন্ত পথ চলছি।

ঢাকাপ্রকাশ: কোনো প্রেক্ষাপট হতে বাংলা বই নিয়ে ‘এটিএন মেগা স্টোর’ প্রতিষ্ঠান গঠনের আদর্শ হতে অনুপ্রাণিত হলেন?

আনোয়ার দোহা: আমি মূলত হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রবাসে আমেরিকা ও কানাডা কয়েকটি উচ্চতর ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেই। কানাডায় হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষক রূপে দীর্ঘ সময় কর্মরত ছিলাম। তবে কানাডায় মূলধারায় ও অভিবাসী বাঙালির বাংলাভাষার প্রসার পরিচিতি অব্যাহত রাখার তাগিদ ও বাংলা বইয়ের প্রাপ্তির শূন্যতা বোধের তীব্র তাড়না আমাকে বাংলাদেশেরসমৃদ্ধ এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ে লালিত বাংলা বইয়ের দোকান গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সুসাহিত্যের মাধ্যমেই সুন্দরজীবন বোধসম্পন্ন জাতি গড়ে তোলা সম্ভব তাই কানাডায় অধিবাসী প্রবাসী দের ও পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাসের লালিত সমুন্নত রাখার স্বতন্ত্র ভাবে আমার এই উদ্যোগ।

ঢাকাপ্রকাশ: সুনির্দিষ্ট কোনো আদর্শ দ্বারা প্রাণিত হয়ে কি কানাডায় বাংলা বই প্রচার বিপণন ও সম্প্রসারণে আগ্রহী হয়েছিলেন?

আনোয়ার দোহা: একজন বাঙ্গালী হিসেবে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি দায়বদ্ধতা, ছোটবেলা থেকে বইয়ের সাথে আমারগভীর সম্পৃক্ততা এবং অপরকে ভাল বই পড়ানোর মানসিক তৃপ্তি থেকে কানাডায় বিপণন ও সম্প্রসারণে আগ্রহী হয়েছি।আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আবু সায়িদের জীবন বোধ আমার অনুকরণীয় আদর্শ ।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার প্রতিষ্ঠানে কি দুই বাংলার লেখকদের বইয়ের সম্মিলন ঘটেছে? শিশু-কিশোরদের পাঠ উপযোগী বাংলা বই আপনাদের সংগ্রহে আছে কী?

আনোয়ার দোহা: দুই বাংলার বরণীয় লেখকদের স্মরণীয় জনপ্রিয় লেখা উপন্যাস ও কবিতা, অনুবাদ গল্প সমৃদ্ধ সকল বয়সের পাঠক উপযোগী বই আমাদের সংগ্রহে আছে। শিশুদের জন্য বাংলা বর্ণশেখা, গণিত ও সংখ্যা গণনা, ছড়া, কবিতা ও গল্পের বই এবং কিশোরদের জন্য ফিকশন নন-ফিকশান সবধরনের উপন্যাস,গল্প ও কবিতাসহ বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন ধর্মীয় বই আমাদের সংগ্রহে রয়েছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার প্রতিষ্ঠানের বাংলা বইয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী আরও অনেক পণ্যের সংযোজন ঘটেছে সেই উদ্যোগের কারণ কী?

আনোয়ার দোহা: ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছি একজন বাংলাদেশি এবং বাঙালি হিসেব আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সেই আদর্শ হতে বাংলা ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পরিচিত করে যেসব উপকরণ কানাডার মূলধারায় ও প্রবাসে বেড়ে উঠা নুতন প্রজন্মের মাঝেতুলে ধরা ছিল আমাদের অন্যতম ব্রত। আমাদের প্রতিষ্ঠানে বই ছাড়াও যে সকল পন্য পাওয়া যায় সেগুলো বাংলা সংস্কৃতি ওইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে যেমন মৃৎ শিল্প, পোড়ামাটি, বাঁশ, বেত ও কাঠজাত মনকাড়া গৃহসজ্জা, চিত্র ও উপহার সামগ্রী, বাংলাদেশের পতাকা ও পতাকা খচিত টি-সার্ট সুভেনীর, লুঙ্গি, গামছা ইত্যাদি। বাংলাদেশের ঐতিহ্য ইতিহাস ধারণ বা লালন করে না সেই পন্যসামগ্রী আমি আমাদের সংগ্রহে রাখি না।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলা বই নিয়ে কানাডায় আপনার দীর্ঘ পরিক্রমায় কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন কি? সেই দিকটির কিছুটা আলোকপাত করবেন কি?

আনোয়ার দোহা: আমার প্রাপ্তির অভিজ্ঞতায় কঠোর প্রতিবন্ধকতা এবং উৎসাহ দুটোই ছিল। বাংলা বইকে কানাডায় বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আজকের গ্রহণযোগ্য স্থানে নিয়ে আসার অভিপ্রায়ে আমাকে প্রচুর কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে। আমার প্রয়োজনে কানাডায় হাজার হাজার ডলার ভর্তুকি দিতে হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। তবে আমার শখ বা দেশপ্রেম এর কারণে কোনো বাধাই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারছে না l

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার জন্ম , শিক্ষাজীবন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে কিছুটা ধারণা দেবেন কি? আপনার জীবনের স্মরণীয় কোনো মুহূর্ত বা ঘটনা সম্পর্কে আলোকপাত করুন। অবসর সময় কীভাবে অতিবাহিত করতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?

আনোয়ার দোহা: আমার জন্ম ১৯৫৪ সালের অগাস্ট মাসে বৃহত্তর কুমিল্লার চাঁদপুর জেলায়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করি, যে বিষয়ে পড়ালেখা তার সঙ্গে ভাষা-সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ কম তথাপি আমার ভাষা ও ঐতিহ্যের প্রতি অদম্য নেশা সদাই আকৃষ্ট রাখত।



তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৭ এএম


তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান
ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাই ডেকেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুস দুদকে আসবেন কি না, এটা তার ব্যাপার।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর ‍দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।

এদিন বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। মামলা হবে কি, হবে না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে ডাকবেন তিনি। যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে ডাকবেন। তার নিজস্ব বিষয় এটা।

তিনি আরও বলেন, তলবের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর জানতে পেরেছি আমি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাই ডেকেছেন। তিনি আসলে ভালো, আর না আসলে সেটা তার ব্যাপার।

এছাড়া ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেন হয়রানি করা হবে তাকে। শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত করেছে দুদক এবং মামলা হয়েছে। আপনারা এটাকে কেন হয়রানি বলছেন?

এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

 

 


আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৯ এএম


আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।ফাইল ছবি

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে লাল কার্ড। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।

দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।


অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৪ এএম


অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি সংগৃহিত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই তার পর আমরা ঘরে ফিরব।

মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌদুরী।

তিনি বলেন, মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করা খুবই জরুরি কিন্তু সরকার নানান রকম দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করছে।

তিনি বলেন, একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা টেকানোর জন্যে একের পর এক অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভয়, বেগম খালেদা জিয়া যদি দেশের বাইরে যান, তবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে, তবে তারেক রহমান দেশে চলে আসবেন।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রধান বক্তা বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একদফা আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

অনুসরণ করুন