রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পাড়ার ক্রিকেটে ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে আজ আইসিসি আম্পায়ারিং এ ডলি সরকার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির আম্পায়ারিং প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারী আম্পায়ার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ডলি রানি সরকার। এই পর্যায়ে আসার পেছনে রয়েছে এক সংগ্রামী জীবনের গল্প। বৃহত্তর বরেন্দ্র ভূমির নওগাঁ শহরের দরিদ্র পরিবারে জন্ম তার। ছোটবেলায় পাড়ার ক্রিকেটে ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে স্বপ্ন বোনার শুরু।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এরপর ভর্তি হন বিকেএসপিতে। জাতীয় দলের ২০ জনের ক্যাম্পেও ডাক পেয়েছিলেন, কিন্তু থামতে হয়েছে সেখানেই। পরে বিকেএসপিতেই চাকরি হয়ে গেছে, ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা আর এগোয়নি। সেই ডলি রানি সরকারই এখন আম্পায়ারিং হাল ধরে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাংলাদেশকে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

আম্পায়ারিং এ জায়গা পাবার পর ঢাকাপ্রকাশের মুখোমুখি হয়ে ডলি সরকার বলেছেন নিজের অনুভূতি আর প্রত্যাশার নানা কথা। এই একান্ত সাক্ষাতকারটি পাঠকদের জন্যে তুলে ধরা হলো-

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শামীনূর রহমান।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকাপ্রকাশ : বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির আম্পায়ারিং এ জায়গা পাওয়ায় অভিনন্দন।

ডলি সরকার : ঢাকাপ্রকাশকে ধন্যবাদ।

ঢাকাপ্রকাশ : আইসিসির আম্পায়ারিং এ যুক্ত হয়েছেন, অনুভূতিটা কেমন?

ডলি সরকার : আসলে অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ভাষা নেই কারণ অনেক অনেক খুশি এবং আনন্দিত। এত দ্রুত আমরা আইসিসি আম্পায়ারিং এ যুক্ত হতে পারবো তা প্রতাশা ছিলো না। ক্রিকেট বোর্ড আমাদের নিয়ে কাজ করছে দুই বছর হতে চলেছে। গত দুই বছর ক্রিকেট বোর্ড আমাদের বিভিন্ন জায়গায় ম্যাচ দিয়ে চেষ্টা করেছেন উপযুক্ত করার। আমরা সেই কাজটি করেছি। আজ আইসিসি আম্পায়ারিংয়ে অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছি।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকাপ্রকাশ : ক্রীড়াঙ্গনে পদচারণা শুরু হয় কখন থেকে?

ডলি সরকার : আমি ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা করতাম। স্কুলে খেলতাম হ্যান্ডবল, ভলিবল, অ্যাথলেটিকে যে খেলা গুলো আছে ইভেন্টগুলোতে সেগুলো। পাড়ার সব বড় ভাইদের সঙ্গে খেলতাম। শুরুটা আমার পাড়ার বড় ভাইদের হাত ধরেই।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকা প্রকাশ : জাতীয় দলের ক্যাম্পেও ডাক পেয়েছিলেন কি?

ডলি সরকার: জাতীয় দলের ২০ জনের ক্যাম্পেও ডাক পেয়েছিলেন, কিন্তু থামতে হয়েছে সেখানেই। পরে বিকেএসপিতেই চাকরি হয়ে গেছে, ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা আর এগোয়নি। সেই ডলি রানি সরকারই এখন আম্পায়ারিং হাল ধরে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাংলাদেশকে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকাপ্রকাশ: কোচিংয়ের হাতেখড়িটা কীভাবে হলো?

ডলি সরকার : আমি বিকেএসপির স্টুডেন্ট ছিলাম। বিকেএসপিতে থাকা অবস্থায় আমাদের ক্রিকেট ডিপার্টমেন্টের মাসুদ হাসান স্যার ছিলেন। বিশেষ করে মানজিৎ স্যার, ডলি ম্যাডাম ওনাদের সহযোগিতায় ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে তাদের হাত ধরেই কোচ হিসেবে কোচিংয়ে আসা।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকাপ্রকাশ: প্রথম কোন খেলায় আম্পায়ারিং এ অংশ নেন?

ডলি সরকার : যেহেতু আমি বিকেএসপি স্টুডেন্ট ছিলাম। ২০০৯ সাল থেকেই আম্পায়ারিং প্র্যাক্টিস এর মধ্যে ছিলাম। মেয়েদের ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দিয়ে যাত্রা শুরু করি। এছাড়া বিকেএসপিতে ছেলেদের যে ম্যাচগুলো বিশেষ করে সৌম্য বিজয়রা যখন ছিলো ওই সময় ওদের ম্যাচ আম্পায়ার ছিলাম। এছাড়া দেশের বাহিরের অনেক টিম বিকেএসপিতে খেলতে আসতেন যেমন শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে আম্পায়ারিং করতাম।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকাপ্রকাশ : বৃহত্তর বরেন্দ্র ভূমির নওগাঁ জেলার একমাত্র কন্যা হিসেবে ক্রিকেট যখন শুরু করেছেন তখন খেলাধুলাতে আসা কতটা কঠিন ছিল?

ডলি সরকার : শুরুটা আমার পক্ষে খুব কঠিন ছিল যদি না নওগাঁ জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং পাড়ার বড় ভাই, ছোট ভাই এবং প্রতিবেশী কাকারা তারাই পাড়ায় যে সকল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হইতো সেখানে আমাকে খেলতে নিয়ে যেত ঐখান থেকে আমি তৈরি হইছি। ওনারা যদি হেল্প না করতো তাহলে এতদূর আসতে পারতাম না।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকাপ্রকাশ : বিশ্বমঞ্চে দেশের আম্পায়ারদের মাঝে নারী আম্পায়ারিং এ
ভবিষ্যৎ ভাবনা কি?

ডলি সরকার: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চয়ই আমাদের নিয়ে বড় পরিকল্পনা বা প্লান ছিলো তাদের প্রচেষ্টায় আইসিসি প্যানেলে আমরা যুক্ত হতে পেরেছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে সেরাটা উপহার দেয়ার চেষ্টা।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকাপ্রকাশ: শিক্ষা জীবন কোথায় থেকে শুরু?

ডলি সরকার: আমার জন্মস্থান নওগাঁতে, বেড়ে উঠাও নওগাঁতে, খেলা শুরুটাও নওগাঁতে। সব কিছুই নওগাঁ কেন্দ্রিক। আমার প্রাথমিক স্কুল জীবন চকএনায়েত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিকে নওগাঁ প্যারীমোহন (পিএম) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং খেলাধুলার জন্য আমি নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করি, এইচএসসি পাশ করি নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে, গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করি বিকেএসপি থেকে, মাস্টার্স কমপ্লিট করি দেবেন্দ্র কলেজ মানিকগঞ্জ থেকে, বিপিএড কমপ্লিট করি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং এমপিএড কমপ্লিট করি উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে।

Header Ad

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলংকায় ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ভারত সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য রপ্তানি বন্ধ ছিল বেশ কয়েক সপ্তাহ। তবে এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ভারত সরকার।

ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডকে (এনসিইএল) এই পেঁয়াজ রপ্তানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ এবং আলোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে, এই ৬ দেশে এনসিইএল পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে জানা যায়।

যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে থাকে এনসিইএল। আর যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়। এছাড়া ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।

এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিকের দেশে ফেরা নিয়ে নতুন তথ্য

ছবি:সংগৃহীত

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসের কাজ শেষ করেছে। এবার আরব আমিরাতের মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে জাহাজটি। সেখানে পণ্য লোড করে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য দিয়েছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।

তিনি জানিয়েছেন, আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার রাতে জাহাজটি মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন পণ্য নিয়ে তারপর চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এমভি আবদুল্লাহ।

কবে নাগাদ মুক্ত ২৩ নাবিক দেশে ফিরবেন- এ প্রশ্নের জবাবে মেহেরুল করিম বলেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করবে বলে আশা করছি।

নতুন বন্দর থেকে পণ্য লোড করার পর নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাতও।

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাফেরোতে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে; এমন সংবাদ পেয়ে শনিবার দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তারা দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিকের দেশে ফেরা নিয়ে নতুন তথ্য
নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ইরাকের টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা
তীব্র গরমে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানাল বোর্ড
গোবিন্দগঞ্জে চোরাবালিতে আটকে পড়া কিশোরকে উদ্ধার
চাকরি ছেড়ে বসের সামনে ঢোল বাজিয়ে নাচানাচি, ভিডিও ভাইরাল
টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন, হিটস্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
৬০ বছর বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব, কে এই আর্জেন্টাইন নারী?
গোবিন্দগঞ্জে দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
হজের প্রথম ফ্লাইট ৯ মে
স্বর্ণের দাম আরও কমলো
আজও দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা
বনানীতে সড়কের মাঝে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন
টাঙ্গাইলে ইসতিসকার নামাজ শেষে মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের
উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে দেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী
চিফ হিট অফিসার একটি টাকাও বেতন নেন না: মেয়র আতিক