মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্রজীবনে মহসিন হলে ছাত্রদলের ভিপি ছিলাম: চুন্নু

জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের সুর বাজছে। শনিবার দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে দলের কাউন্সিল, রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে অপসারণসহ আরও অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। কেউ কেউ দাবি জানিয়েছেন রওশন এরশাদকে বহিষ্কার করার। এসব বিষয়েই শনিবার রাতে মুঠোফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তার সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পার্টি কি ভাগ হচ্ছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: আমরা তো এক ভাগই আছি, আমাদের তো কেউ যায় নাই। উনার (রওশন এরশাদ) নামে যারা কাউন্সিল ডাকছে এটার তো আমাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই। আমাদের দলের তো কেউ যায় নাই ওখানে। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। এটা আমরা জানি না। আমরা আমলেই নিচ্ছি না। আমলে নেওয়ার মতো না। বহিষ্কৃত কয়েকজন গেছে, এটা তো কোনো বিষয়ই না। সাবজেক্টই না আমাদের জন্য।

ঢাকাপ্রকাশ: কিন্তু আজকের বৈঠকে রওশন এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে কিছু বলুন।

মুজিবুল হক চুন্নু: ইনডোর মিটিংয়ে কত কিছু হতে পারে। সেটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ওনাকে বহিষ্কার করব কী, তিনি তো দলের কোনো পদে নাই। কীভাবে বহিষ্কার করব? উনি বিরোধীদলীয় নেতা। ওইটা ওনাকে চেঞ্জ করার জন্য এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উনি তো দলের কোনো পদে নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না?

মুজিবুল হক চুন্নু: এটা তো আগেই নিয়েছি। কার্যকর করার কিছু নাই। স্পিকার ফরমাল দেখবেন আইনগতভাবে ঠিক আছে কি না, এই। এটা উনি স্বীকৃতি দেবেন। স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়া কোনো রাস্তা নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: মসিউর রহমান রাঙ্গাকে নাকি স্থায়ী বহিষ্কার করা হচ্ছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য, প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য মিটিংয়ে সবাই মিলে একমত হয়েছে। কার্যকর করিনি, তবে রেজুলেশন নেওয়া হয়েছে। ঐক্যমত হয়েছি। কার্যকর করবেন চেয়ারম্যান। তবে সবাই দাবি করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: গোলাম মসীহ বলেছেন চুন্নু কে? উনি তো ছাত্রদলের নেতা ছিলেন, উনি জাতীয় পার্টির কী বুঝবেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: সেটা ঠিক আছে। উনি বলেছেন উনি বিদ্বান মানুষ, উনি অনেক কিছু বোঝেন, আমি লেখাপড়া কম জানি। তবে উনি যে সাবজেক্টে পড়েছেন আমি একই সাবজেক্টে পড়েছি। উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ফোর্থ ব্যাচ আমি পঞ্চম ব্যাচ। কাজেই ওনার চেয়ে লেখাপড়ায় কম জানি এটা মনে হয় না। আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন ছাত্রদল থেকে মহসিন হলের ভিপি ছিলাম এটা তো ঠিকই আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে কাউন্সিল হচ্ছে না?

মুজিবুল হক চুন্নু: আমাদের পার্টির কাউন্সিলের এখনো সময় হয়নি। আমরা এখনো পার্টিতে সিদ্ধান্ত নেই নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: জিএম কাদের তো কাউন্সিল ছাড়াই চেয়ারম্যান, রওশন অনুসারীরা তো সে কথাই বলছেন…

মুজিবুল হক চুন্নু: না, উনি কাউন্সিল করেই চেয়ারম্যান হয়েছে। ওরা কী বলল তাতে কী যায় আসে। অবশ্যই কাউন্সিল করে হয়েছে। কাউন্সিল হওয়ার পর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে। ওরা কী বলে না বলে এটা হ্যাডেক নাই। এরা আসলে বহিষ্কৃত লোক এটা হেডেক না। যাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেও কাউন্সিল ছাড়া হয়েছিল। এখন তো সে বহিষ্কৃত। রাঙ্গাও তো কাউন্সিল ছাড়া মহাসচিব হয়েছে, সে নিজেই তো বলল।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনিও তো কাউন্সিল ছাড়া মহাসচিব…

মুজিবুল হক চুন্নু: হ্যাঁ, আমি তো কাউন্সিল ছাড়া হয়েছি। এটা তো পার্টির চেয়ারম্যানের ক্ষমতা আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনারা আজকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানে তো সবাই উপস্থিত…

মুজিবুল হক চুন্নু: আজকে ২০ জন এমপি ছিলেন, তারা স্বাক্ষর করেছেন। প্রেসিডিয়ামের ৪১ জনের ৩৮ জন উপস্থিত ছিলেন। এমপিদের মধ্যে তিনজন নাই। ম্যাডাম তার ছেলে আর রাঙ্গা। আর থাকে ৩ জন। একজন সেলিম ওসমান চিকিৎসাধীন। পীর মিসবাহ ডেঙ্গু থাকায় আসতে পারেননি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি এর আগে ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, জাতীয় পার্টি কখনো বিএনপির সঙ্গে যাবে না। অথচ আপনাদের পার্টির চেয়ারম্যান নাকি বিএনপি এবং তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন?

মুজিবুল হক চুন্ন: এটা প্রপাগান্ডা। উনি তারেক রহমানসহ কারও সঙ্গে আলাপ করেন নাই। ফরমালি কোনো কথা হয় নাই। এগুলো পুরো ভুয়া কথা এবং প্রপাগান্ডা। আমি এখনো বলছি, বিএনপি-আওয়ামী লীগ কারও সঙ্গে জোটে যাওয়ার কোনো চিন্তা নাই। আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করব, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের আন্দোলন আমাদের নিজস্ব ধারায়। সরকার পতনের আন্দোলন করে এর সঙ্গে আমাদের আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নাই। আমাদের আন্দোলন আমাদের সিদ্ধান্তে। জোটে যাওয়ার মতো চিন্তাভাবনা নাই। ৩০০ আসনে এককভাবে নির্বাচন করার চিন্তা করছি।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে সরকার-ই কি জাতীয় পার্টিকে দিয়ে খেলছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: যদি কাউন্সিল হয় তাহলে তো জাতীয় পার্টি বিভক্ত হবে…

মুজিবুল হক চুন্নু: এটার কোনো সুযোগ নাই। জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোর কেউ কাউন্সিলে যায় নাই। বিভক্ত হবে কীভাবে? জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ৭৭টি জেলার সভাপতি, সেক্রেটারি, কো-চেয়ারম্যান একজন ব্যক্তিও যায় নাই। ভাঙার সুযোগ নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: কাউন্সিল যদি হয়…

মুজিবুল হক চুন্নু: কে করবে? আমি মহাসচিব, আমরা তো কাউন্সিলের তারিখ দেই নাই। বাংলাদেশে আরও ৪-৫টি জাতীয় পার্টি নামে সংগঠন আছে। এখন কেউ যদি জাতীয় পার্টির নামে আর একটা কমিটি করতে চায় করতে পারে। সেটা তে আমাদের সম্পর্ক নাই। জাতীয় পার্টি রেজিস্ট্রার্ড সংগঠন, লাঙল মার্কা সেটা জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কাউন্সিল আমরা ডাকি নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক যে কাউন্সিল ডাকলেন সেটা কি অবৈধ?

মুজিবুল হক চুন্ন: অবশ্যই অবৈধ, অগঠনতান্ত্রিক। ওনার কোনো এখতিয়ার নাই কাউন্সিল ডাকার।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির কেউ না?

মুজিবুল হক চুন্নু: না, উনি পার্টির কেউ না। উনি তো পার্টির কোনো পদে নাই। আমরা ওনাকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক করে রাখছি অলংকার পদ হিসেবে।

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মুজিবুল হক চুন্নু: আপনাকেও ধন্যবাদ।

এসজি/এএস

Header Ad

হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ভিআইপি পরিবহনের বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ৩০টি বাস আটক করেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী সাবিত, যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের ছাত্র, অভিযোগ করেছেন যে তিনি বাসে উঠার পর হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের হেল্পারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাস থেকে নামার সময় হেল্পার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, ফলে তার দুই পা কেটে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে হয়।

আহত সাবিত জানান, "আমি আজিমপুর থেকে কলেজে আসার জন্য ভিআইপি বাসে উঠি। নামার সময় হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় তারা আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, যার ফলে আমি পা ও হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই।"

অপরদিকে, আটক বাস চালকরা জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী কোনো ঘটনার কারণে এসব বাস আটক করা হয়েছে। লিটন নামের এক চালক বলেন, "কোন বাসের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি জানি না। তবে, শুনেছি কলেজের এক ছাত্রকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে হেল্পার। তাই আমাদের বাসগুলো আটক করেছে।"

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং নিউমার্কেট থানাকে জানিয়েছি। থানার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি দেখছে। তবে শিক্ষার্থীদের নিজেদের হাতে বিচার তুলে নেওয়া উচিত নয়।"

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে স্থানীয় নিউমার্কেট থানার পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় আটক বাসগুলো নিয়ে যায় মালিকপক্ষ। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

Header Ad

ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘকাল ধরে চলমান ভারত ও চীনের সীমান্ত সমস্যা অবশেষে মিটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষও ঘটেছে, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতির পথে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এবং আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপির রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) সংক্রান্ত এলাকায় 'টহল বন্দোবস্ত' এবং সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যে অচলাবস্থা ছিল, তা সমাধান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তাঁর এই সফরের প্রেক্ষিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, "গত কয়েক সপ্তাহে ভারত ও চীনের কূটনীতিক এবং সামরিক মধ্যস্থতাকারীরা বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার ফলস্বরূপ, সীমান্তে বিরোধের বিষয়গুলো সমাধান হয়েছে।"

তিনি আরও জানান, দুই দেশ এখন 'পরবর্তী উদ্যোগ' নিতে শুরু করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, "২০২০ সালের আগে সীমান্তে যে ধরনের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হত, তা আবারও শুরু হবে।"

যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই চুক্তির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে জয়শঙ্কর বলেছেন, "২০২০ সালের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছি, যার মাধ্যমে আমি বলতে পারি যে চীনের সঙ্গে সীমান্তে বিরোধের অবসান ঘটেছে।"

অতীতে, ভারত সরকার জানিয়েছিল যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি তখনই ফিরে আসবে, যখন চীন তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। চীনের সেনা মোতায়েনের জবাবে ভারতও ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রিকস সম্মেলন শুরুর এক দিন আগে এই ঘোষণায় মোদি ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মোদি ও শি'র দেখা হয়েছে ১৪ বার, কিন্তু ২০২২ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর মাত্র দুইবার তারা সাক্ষাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি জিয়ান জানিয়েছেন, "ভারত-চীন সীমান্তের বিরোধিতাপূর্ণ বিষয়গুলো সমাধানে দুই দেশ একমত হয়েছে।"

Header Ad

টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা

ছবি: সংগৃহীত

টাকা না পাওয়ায় চাঁদপুরের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) শাখায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত ব্যাংকটিতে টাকা উত্তোলনের জন্য গ্রাহকরা জড়ো হন। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ রাখলে উত্তেজিত গ্রাহকরা প্রবেশদ্বারে তালা লাগিয়ে দেন।

পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া উপস্থিত হয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চাঁদপুর জেলা শাখায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে ১০০ জন গ্রাহকেরও টাকা দিতে পারছে না ব্যাংক। জেলার অন্যান্য শাখাগুলোর পরিস্থিতিও একই রকম। ব্যাংকের টাকা সংকটের কারণে গ্রাহকরা চাহিদা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন না, যা তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

সরকার পতনের পর থেকেই ব্যাংকটির লেনদেনে জটিলতা শুরু হয় এবং তা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বর্তমানে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে টাকার সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না।

অনেক গ্রাহক জানান, দুই সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে এসে ব্যর্থ হচ্ছেন। প্রতিবারই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের পরবর্তী সপ্তাহে আসার পরামর্শ দেন, কিন্তু টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয় না। আজকের দিনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাংকের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মাহবুব আলম জানান, রোববার ও সোমবার সীমিত আকারে লেনদেন চলছিল, তবে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। আজ সম্পূর্ণ লেনদেন বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা তালা মেরেছেন। তিনি আরও জানান, প্রধান কার্যালয় থেকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা দিয়ে আপাতত গ্রাহকদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া সম্ভব হবে।

ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, "ব্যাংকে ভিড় জমেছে এবং গ্রাহকরা তাদের টাকা পাচ্ছেন না, এমন খবর পেয়ে আমরা টহল পার্টি পাঠাই। পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে আমি নিজে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে কিছু টাকার ব্যবস্থা করি। আশা করছি, আপাতত গ্রাহকদের শান্ত করা যাবে।"

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম
আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলো
বিরামপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
১৭ প্রতিষ্ঠানসহ সালমান পরিবারের নথি তলবে ৭০ সংস্থায় চিঠি
আন্ডারপাসের দাবিতে ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনের দীর্ঘলাইন
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
এসআই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষমা চেয়ে আদালতে ব্যারিস্টার সুমন বললেন, ‘আমি খুব সরি স্যার’
ফেসবুক লাইভে মিথ্যা আতঙ্ক ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৫৭ বাংলাদেশি
সারদায় পুলিশের ২৫০ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গনজমায়েতের ডাক
৩৬৯ দিন পর অবশেষে মাঠে ফিরলেন নেইমার