শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

এডিটর’স টক

‘সরকারপ্রধান যদি চান তাহলে সবকিছু সম্ভব’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এসেছিলেন ঢাকাপ্রকাশ-এ। ‘এডিটর’স টক’-এ ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামালের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। সেখানে তিনি জাতীয় পার্টির বর্তমান অবস্থা, কাউন্সিল, পার্টির সংসদীয় দলের নেতা রওশন এরশাদ ইস্যু, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের প্রধান হুইপকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, ইভিএম, বেকারত্ব, দুর্নীতি, অর্থপাচার, মন্দা, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যসহ নানান বিষয়ে কথা বলেছেন। তার সেই কথোপকথনের চুম্বক অংশ ঢাকাপ্রকাশ-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি যদি আপনার এবং জাতীয় পার্টির অবস্থাটা আমাদের পাঠক দর্শকদের বলতেন।

জিএম কাদের: আমার ধারণা জাতীয় পার্টি খুব ভালো অবস্থানে আছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে একটা নতুন চোখে দেখছে। মোটমুটি যেটা আগে একেবারেই...আমাদের নেতা হোসেনই মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবের সময়ে যেভাবে জাতীয় পার্টি সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ এবং ভক্তি-ভালোবাসা ছিল, এটা মাঝখানে একটু ভাটা পড়েছিল। এখন আবার এটি উঠতির দিকে। আমরা খুবই আশাবাদী জাতীয় পার্টি শুধু তার পুরনো গৌরবই ফিরে পাবে না, সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করি এবং আমরা দেশের জনগণের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পার্টি নিয়ে জনগণের মধ্যে নানান কৌতুহল। আপনার সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়েও নানান কথা হচ্ছে। একদিকে জাতীয় পার্টি সরকারের সঙ্গে আছে। আবার বিরোধী দলেও আছে। তো এভাবে আসলে সরকারের ভিতরে থেকে কতটা সরকার বিরোধী হওয়া সম্ভব?

জিএম কাদের: না, আমরা সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই নেই। এই কথাটা কেন মানুষের মধ্যে ঢুকে গেছে সেটা আমি কিছুটা আঁচ করতে পারি। আমাদের কিছু কিছু বক্তব্য সংসদে সংসদ নেতার মাধ্যমে যেটা সংসদ সদস্যরা দিয়েছে সেটা খুব অল্প-মুষ্ঠিমেয় কয়েকজনের বক্তব্য। এটার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এই ভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে আমরা কোনো মহাজোট করে নির্বাচন করিনি। আমরা ১৪ দলের সঙ্গে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং করেছিলাম। আমরা কিছু সিটে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিলাম। আর কিছু সিটে আওয়ামী লীগ আমাদের সমর্থন দিয়েছিল।

ঢাকাপ্রকাশ: সম্প্রতি আপনার দল থেকে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন আপনাকে বিরোধী দলীয় নেতা করার জন্য। এটা কীভাবে...

জিএম কাদের: এটায় আমি পড়ে আসছি। আমরা যখন সংসদে বিরোধী দল হয়েছি তখন থেকে আমরা বিরোধী দল হিসেবে কথা বলেছি। সরকারের যেখানে যেখানে সমালোচনা করা দরকার, সংশোধন করা দরকার, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি, আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। সংসদের বাইরেও আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রাম করেছি। মানববন্ধন করেছি, সমাবেশ করেছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। তবে আমাদের মধ্যে একটা বিষয় ছিল, দীর্ঘ দিন আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম, আওয়ামী লীগের সঙ্গে অনেক হৃদ্যতা ছিল। সুখে-দুঃখে আমরা তাদের পাশে ছিলাম। মহাজোটের মন্ত্রীও ছিলাম। কাজেই পারস্পারিক একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তো ছিলই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে যে একটা সম্পর্ক, একটা হিংসাত্মক এবং সহিংসতাপূর্ণ সম্পর্ক, আমাদের মধ্যে এরকম সহিংস কোনো সম্পর্ক ছিল না।

এখন আসি স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে। আমাদের দলের ভেতরের কিছু মানুষ যাদেরকে আমরা জয়গা মতো অবস্থান দিতে পারিনি বা যারা অনেক আগে দল ছেড়ে চলে গেছেন বা বিভিন্ন কারণে দলের সঙ্গে নেই দীর্ঘদিন। তারা হঠাৎ করে...আমার শ্রদ্ধেয় ভাবীকে (রওশন এরশাদ)…। কিন্তু হঠাৎ দেখলাম উনি জাতীয় পার্টির সম্মেলন করার জন্য একটা চিঠি পাঠিয়েছেন। যেটা আমরা তিন বছর পর পর করি। যেটা আমরা করেছি। যেটাতে আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত আমাদের মেয়াদ আছে। কিন্তু হঠাৎ করেই ২৬ নভেম্বর সম্মেলন কল করে চিঠি দিয়েছেন। এরপর পরই পার্টির পক্ষ থেকে উনাকে একটা সময় বেঁধে দেওয়া হয় তার সম্মেলনের প্রস্তাব প্রত্যাহার করার জন্য। না হলে আমরা ধরে নেব যে আপনি এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন এবং আপনার বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, তিনি সংসদের একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছেন।

এই অবস্থায় দলের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আসলে দলের এমপিরা বসে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, উনাকে বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া দলের জন্য মঙ্গলজনক। আমি বলেছি সবাই মিলে যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি সেটাতে এতমত হব। সবাই শতভাগ এগ্রি করল যে উনাকে সসম্মানে এই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। আমাকে বলল, নেক্সট ম্যান হিসেবে আপনি দায়িত্ব নেন। ওইভাবে একটা রেজুলেশন হলো এবং সেটা স্পিকারকে দেওয়া হলো।

ঢাকাপ্রকাশ: কিছুদিন আগে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন। এটার বিশেষ কোনো কারণ আছে কি?

জিএম কাদের: বিশেষ কারণ তো বটেই। খুবই ইন্টারেস্টি...। সে কিন্তু বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিজেই মুজিবুর রহমান চুন্নুসহ সবাইকে নিয়েই চিঠিটা দিয়েছে। কিন্তু দুই তিন দিন পর সে বলতে শুরু করে, এটা দেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা সবাই রাজি ছিলাম না। অনেকে রাজি ছিল না। তখন সবাই বলল, হঠাৎ করে একটা লোক এরকম উল্টো কথা বলল। উনার মতো একটা লোককে এরকম একটা পজিশনে রাখা একটা সমস্যা। তখন সবার পরামর্শে সিদ্ধান্ত হল উনাকে দলের সব পদপদবি থেকে নিস্কৃতি দেওয়াটাই হবে আমাদের জন্য ভালো। সেটাই করা হয়েছে।

ঢাকাপ্রকাশ: বলছিলেন রংপুরে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন। এটা কি আপনার সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তব্য, বিভিন্ন ইস্যু ধরে সরকারের সমালোচনা করা এটা জন্য হয়েছে?

জিএম কাদের: আমার ধারণা মানুষ আসলে সরকারের অনেক কাজকেই পছন্দ করছে না। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক একটা ভীতির পরিবেশ আছে দেশে। অনেকে কথাগুলো বলতে চাচ্ছেন না বা বলতে পারেন না। আমি সেই কথাগুলো বলছি।

ঢাকাপ্রকাশ: এই যে আপনি কথাগুলো বলছেন এই জন্য কি কোথাও থেকে আপনাকে কোনো ধরনের হুমকি...

জিএম কাদের:  না, এখন পর্যন্ত সে রকম কোনো ভয়ভীতি বা বাধার সৃষ্টি করা হয়নি।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে কি আমরা এটা বলতে পারি যে রওশন এরশাদের নেতৃত্ব আলাদা কোনো জাতীয় পার্টি হচ্ছে না?

জিএম কাদের: না। জাতীয় পার্টি হওয়ার কোনো স্কুপ নেই। অন্য কোনো দল হওয়ারও কোনো স্কুপ নেই আমার মনে হয়।

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পার্টি কি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিচ্ছে?

জিএম কাদের: হ্যাঁ, আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেখেন সামনের দিকে রাজনীতিটা বেশ অনিশ্চিত হয়ে আছে। সামনের দিকে একটা সুষ্টু নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটা দাবি আছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাটা ভেঙে পড়েছে। স্বাভাবিক নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচনে প্রশাসন সরকারের পক্ষে কাজ করছে। এটা একদম সত্য কথা। কিন্তু আমরা নির্বাচন বর্জন করিনি। আমরা সব নির্বাচনে যাচ্ছি। দেখতে চাচ্ছি যে সরকার শেষ পর্যন্ত কী করে। এখন যেটা হয়েছে যে, নির্বাচন ভালো হয়নি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার কি মনে হয় যে, সরকারি দলকে জেতানোর জন্য গোটা মাঠপ্রশাসনকে ওইভাবেই সাজানো হয়েছে বা আপনার সংশয়টা কেন?

জিএম কাদের: এটা খুব একটা ন্যাচারাল ব্যাপার হয়ে গেছে। আমরা করছি কি, আমাদের সমস্ত ক্ষমতা সরকারি দলের প্রধানের হাতে ন্যস্ত করেছি। রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষমতা, সকল বিভাগ,স্তম্ভ, যেটাকে আমি বলি, নির্বাহী বিভাগের প্রধান তো উনি বটেই, পার্লামেন্টেরও প্রধান এবং বিচার বিভাগেরও বেশির ভাগ জিনিস উনার প্রভাবের বাইরে নয়। অধস্তন আদালতের শতভাগ উনার দ্বারাই চলে, উনার মন্ত্রী দ্বারা চলে। তাদের পদোন্নতি, পদায়ন সবই উনার দ্বার চলে। সংবাধানের ১১৬ ধারায় এটা চলে। সংবিধানের ১০৯ ধারায় বলা আছে, এটা হাইকোর্টের আওতায় থাকবে।

উচ্চ আদালতেও রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন। কিন্তু সবই করতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে। দেখেন আমাদের এখানে সংসদীয় গণতন্ত্রের কথা বলা হয়। আসলে এটা কোনো গণতন্ত্র নয়। এটা আসলে একজনের শাসনব্যবস্থা। কারণ, সব ক্ষমতা ৭০ ধারা অনুযায়ি প্রধানমন্ত্রীর হাতে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, ইলেকশন কমিশন সবই কিন্তু কন্ট্রোল একজনের হাতে। সেক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করা খুবই কঠিন। যদি উনি কিংবা উনার দল নির্বাচন করে। উনি যদি নির্বাচন না করেন তাহলে সেটা ভিন্ন কথা।

ঢাকাপ্রকাশ: নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে?

জিএম কাদের: নির্বাচনকালীন সরকার তো পরের কথা। যদি সরকার চায় তাহলে আমরা পার্টির ফোরামে বসে সিদ্ধান্ত নেব। একটা ফর্মুলা দেব। সরকার না চাইলে তো এগুলো অর্থহীন হয়ে যাবে। সরকার যদি না চায় তাহলে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। তখন খুবই কঠিন হয়ে যাবে ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করা। কারণ, সকল ক্ষমতা একটা দলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনকি নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা সেভাবে নেই। যদিও আমাদের সংবিধানে আছে নির্বাচনের সময় সমস্ত নির্বাহী ক্ষমতা ইলেকশন কমিশনের হাতে থাকবে। কিন্তু তার কথা যদি কেউ না শুনে তাহলে কী হবে? আসলে আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা সত্যিকার অর্থেই একটা ভঙ্গুর ব্যবস্থা। বর্তমানে যে ব্যবস্থা আছে তাতে সরকার দলীয় প্রার্থীকে ফেল করানো প্রায় অসম্ভব।

ঢাকাপ্রকাশ: ইভিএম নিয়ে একটা জটিলা দেখা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকেও চাচ্ছে ইভিএম। নির্বাচন কমিশন থেকেও বলা হচ্ছে অন্তত অর্ধেক আসনে ইভিএম-এ নির্বাচন করতে। নিশ্চয়ই সবাই একটা ভালো নির্বাচন চায়। তাহলে সমাধানটা কি?

জিএম কাদের: সমাধান খুবই কঠিন। সবাই চাইলে লাভ হবে না। এটা সরকারকে চাইতে হবে, সরকার প্রধানকে চাইতে হবে। উনি যদি চান তাহলে সবকিছু সম্ভব।

ঢাকাপ্রকাশ: বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভুলগুলো আপনি জানেন। সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি বিশেষ কোনো পরিকল্পনা করতে পারে কি না যে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যাবে। এই হচ্ছে আমাদের পরিকল্পনা…

জিএম কাদের: আমি মনে করি, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আসা দরকার। একটা বেসিক পরিবর্তন দরকার। আমি সব সময় এগুলো বলছি। একইভাবে সবকিছুতে নিরপেক্ষতা আনা উচিত। নির্বাচন ফেয়ার হবে, বিজনেস ফেয়ার হবে, অ্যাপয়ন্টমেন্ট ফেয়ার হবে। প্রতিটি মানুষ যেন ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা মনে করে। মনে করে যেন ন্যায়বিচার পাচ্ছে। ধরেন একজন যদি ১০ হাজার টাকা বেতন পায়, আরেকজন যদি দশ গুণ বেশি পায় তাহলে তো ন্যায় বিচার হলো না। আমাদের কথা সর্বক্ষেত্রে ন্যায় বিচারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে মেধা, সততাকে দাম দিতে হবে। শুধু এই সরকারের আমলে নয়, এর আগেও দেখেছি আমরা। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনের বদলে শিষ্টের দমন এখন আমাদের সমাজের রীতি হয়ে গেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: এখান থেকে বের হওয়ার উপায় কী?

জিএম কাদের: আমরা যদি দুর্নীতিটাকে বন্ধ করতে পারি তাহলে এগুলো কিন্তু অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। সরকার যদি দুর্নীতি বিরোধী একটা অবস্থান নিতে পারে যে, দুর্নীতি করলে তার এমন শাস্তি হবে, যে শাস্তি মানুষ দেখে। দুর্নীতিটা যদি আমাদের সমাজ থেকে চলে যায় তাহলে দুবৃত্তায়নও চলে যাবে। তখন সাধারণভাবেই মানুষ সৎ হওয়ার চেষ্টা করবে। আর সৎ হলে সৎ মানুষের কদর বাড়বে।

ঢাকাপ্রকাশ: এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় সংকট কী বলে আপনি মনে করেন?

জিএম কাদের: দেশের সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে বেকারত্ব আর দুর্নীতি। মানুষের আয় প্রতিদিন কমে যাচ্ছে, দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও ফিগারে অনেক কিছু বলা হয়। আমি সেটা বলছি না। আমি ন্যাচারালভাবে দেখেছি। বেকারত্বটা দিনকে দিন বাড়ছে। এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেভাবে অ্যাড্রেস করা হচ্ছে না। মহাজোট সরকার আসার সময় বলেছিল প্রতি ঘরে ঘরে একটা করে চাকরি দেওয়া হবে। এখন যেটা হচ্ছে প্রতি ঘরে ঘরে একটা করে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। বিদ্যুতের কারণে করখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি তো বিদ্যুতের কথা বলছেন। বিদ্যুৎ তো আমাদের এক সময় উদ্বৃত্ত থাকত…

জিএম কাদের: কথা হলো আমাদের দেশে বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি তৈরি করা হয়েছে ২০ হাজার মেগাওয়াটের মতো। আমাদের দরকার হলো ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মতো। কিন্তু কোনোদিন যে আমাদের দেশ লোডশেডিং ছাড়া ছিল সেরকম একটা দিনও হয়নি। বিভিন্নভাবে বিদ্যুতের প্রোডাকশন করা হয়েছে অনেক বেশি। কিন্তু সেভাবে বিদ্যুৎ লাইনসহ সার্বিক ম্যানেজমেন্ট হয়নি।

ঢাকাপ্রকাশ: এই যে অনেক প্রকল্পে নানা বিশৃঙ্খলা। এটা কি অজ্ঞতা নাকি দুর্নীতির কারণে হয়েছে। আপনি কি মনে করেন?

জিএম কাদের: দেখেন আমার কাছে তো কোনো সাক্ষী প্রমাণ নেই। তবে যে সময়টায় মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সেই সময়টায় গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি নামে একটা প্রতিষ্ঠান আছে, তারা কিন্তু খবর দিচ্ছে আমাদের দেশ থেকে প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশি টাকায় সুইস ব্যাংকে চার লাখ কোটি টাকা থাকার কথা গ্লোবাল ইন্টিগ্রিটি ডিক্লেয়ার করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: সবাই বলছে আগামী বছরটা আমাদের জন্য তথা সারাবিশ্বের জন্য খারাপ সময়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সবাইকে মিতব্যয়ী হতে। আপনার কাছে কোনো আশার বাণী আছে কি?

জিএম কাদের: বিষয়টা হলো কি, সারা পৃথিবীতেই মন্দা হচ্ছে। সামনের দিকে মন্দা আরও বাড়বে। সারা পৃথিবী কিন্তু ওইটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেকোনোভাবেই হোক তারা বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিচ্ছেন। যেমন প্রধানমন্ত্রী মিতব্যয়ী হতে বলেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটার সঙ্গে একমত। কিন্তু বাস্তবে আমি এটার কোনো প্রতিফলন এখনো দেখিনি। আমার চোখে পড়েনি যে সরকার খুব বেশি মিতব্যয়ী হচ্ছে। দরিদ্র মানুষেরা বড় বেশি কষ্টে আছে। দৃব্যমূল্যের যে চাপ সেটার চাপ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর দিয়ে। এটা সার্বিকভাবে একটা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং বিশৃঙ্খলার কারণ হতে পারে। সেই কারণে আমি মনে করি, এসব বিষয়ে একটু দৃষ্টি দেওয়া উচিত।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

জিএম কাদের: আপনাকে এবং ঢাকাপ্রকাশ-কে ধন্যবাদ।


এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে আশ্রয় ফিলিস্তিনিদের

ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে আশ্রয় ফিলিস্তিনিদের। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি সেনাদের বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে পরিত্যক্ত কারাগারে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশ ফিলিস্তিনি। ইয়াসমিন আল-দারদেশি নামে এক নারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের একটি জেলা থেকে বাস্তচ্যুত হওয়ার পর কারাগারে আশ্রয় নেয় ইয়াসমিন আল দারদাসির পরিবার। দারদাসি জানান, তার পরিবার তিন দিন একটি গাছের নিচে কাটিয়েছেন। এখন তারা খান ইউনিসের কেন্দ্রীয় সংশোধন ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের মসজিদে থাকেন। এখানে তারা সূর্যের প্রখর রোদ থেকে রক্ষা পাচ্ছে। এর চেয়ে বেশি আর তেমন সুবিধা পাচ্ছে না।

ইয়াসমিনের স্বামীর কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। অসুস্থ এ মানুষটি কোনো ধরনের লেপ ও তোষক ছাড়াই থাকছেন।

এই ফিলিস্তিনি নারী রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এখানেও বসতি স্থাপন করছি না। এই নারীর শঙ্কা এখান থেকেও তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে।’

ইসরায়েলের দাবি বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারা গাজায় অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা বলছেন ইসরায়েলি হামলায় তারা সব হারিয়েছেন। এখন তাদের যাওয়ার আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের, চাপে নেতানিয়াহু

নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ সেদেশের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিতে আপত্তি তুলে নিয়েছে যুক্তরাজ্য।

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে দেশটির নীতি ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিল ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি, যা ইসরায়েল বিষয়ে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ দেশটির।

এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নেওয়ার ব্যাপারে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে উপেক্ষা করেও এই পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রিটেনের লেবার পার্টি সরকার।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট শুক্রবার জানায়, আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে ওই আদালতের এখতিয়ার নিয়ে যুক্তরাজ্যের সরকার কোনও চ্যালেঞ্জ জানাবে না।

যুক্তরাজ্যের এ পদক্ষেপে এখন করিম খানের আবেদন আইসিসির গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আরও বেশি সম্ভাবনা তৈরি হল। আদালত এ আবেদন গ্রহণ করলে তা হবে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবচেয়ে বড় তিরস্কারের ঘটনা। সেই সঙ্গে দেশের বাইরে ভ্রমণে গ্রেফতার হওয়ার ঝুঁকিতেও পড়বেন নেতানিয়াহু।

যুক্তরাজ্যের ওই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নিয়ে দেশটির গত কয়েক মাস ধরে গ্রহণ করে চলা নীতির একেবারে বিপরীত। কেননা, আগের কনজারভেটিভ সরকার দেশটির প্রতি তার সমর্থনের ব্যাপারে ছিল অনমনীয়; যা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানেরই অনুরূপ।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারের মন্ত্রীরা ইসরায়েলকে নিয়ে নতুন আরও কিছু সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার মধ্যে থাকবে, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন কতটুকু প্রতিপালন করছে সে বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অনুরোধে শুরু হওয়া পর্যালোচনার ফলাফলও। ইতোমধ্যে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছেন তিনি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ

সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দম্পতির একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ৫৪তম জন্মদিন আজ শনিবার (২৭ জুলাই)। তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। নানা শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ‘জয়’ ও নানি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার দেওয়া ‘সজীব’ মিলিয়ে নাম রাখা হয় সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন তিনি।

পরবর্তী সময়ে মায়ের সঙ্গে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে সেখানেই। দেশটির নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন জয়।

২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের এক কন্যা সন্তান আছে। শিক্ষাজীবন থেকে রাজনীতির প্রতি অনুরাগ থাকলেও ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসেন তিনি। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে।

অবশ্য ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সময় গ্রেপ্তার হওয়া তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও মা শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলন জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে নেপথ্য ভূমিকা রাখেন তিনি। সে সময় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে এবং দলের নির্বাচনি ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি নির্ধারণে অবদান রাখেন। আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনি ইশতেহার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রয়েছে তার।

২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন সজীব ওয়াজেদ জয়।

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে আশ্রয় ফিলিস্তিনিদের
ইসরায়েল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের, চাপে নেতানিয়াহু
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ
বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের দাবি ড. ইউনূসের
জালিমদের ব্যাপারে ইসলাম যা বলে
ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট
'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল