সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

দুজনে বেশ খানিকটা সামনে গিয়ে রাস্তার দুপাশে দাঁড়ায়। দুজনেই বুঝতে পারে যে গাড়িটা আসতে বেশ সময় লাগবে। দূরত্বটা এখনও অনেক।

মারুফ মনে মনে স্বস্তি বোধ করে। সময় লাগাই ভালো, তাহলে আসমানীকে পরিস্কার করে ফেলতে পারবে ওর মা। গর্ভের পানি ও রক্তে ভিজে আছে ও। আহারে আসমানী! সবার জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো আজ। সন্তানটির জন্ম ও মৃত্যু ঘটে গেল মাটিতে এবং আকশের নিচে। এই স্মৃতি মৃত্যু পর্যন্ত কেউ ভুলবেনা। দূর থেকে দেখতে পায় আসমানীকে অন্য একটি শাড়ি পরাচ্ছে ওর মা।
সময় পেরিয়ে যায়। গরুর গাড়ি এগিয়ে আসছে। চারদিকে তাকালে পথ-প্রান্তর দেখে মন ভরে যায় রবিউলের। জোরে জোরে বলে, কি সুন্দর আমার দেশ। মনে হচ্ছে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে রাখি।

- না, আব্বা আমরা যুদ্ধ করব। আমি শুধু শরণার্থী হব না। আপনাদেরকে ক্যাম্পে রেখে আমি ট্রেনিং নিতে যাব।
- ঠিক বলেছিস বাবা। আমিতো ভেবেছিলাম ছেলেটার মৃত্যু তোকে বসিয়ে দেবে।
- ওর মৃত্যু বুকে নিয়ে যুদ্ধ করব। যুদ্ধ শুরু না হলেতো ছেলেটার জন্ম রাস্তায় হতোনা। ঠিকমতো কবর দিতে পারলামনা।

কথা শেষ করে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে ও। রবিউলের চোখও পানিতে ভরে যায়। মাথা নিচু করে বসে থাকে। মনে হয় মৃত্যুর হৃদয়-ভাঙা কান্না স্তব্ধ করে ফেলেছে দুজনকে। চারদিকে বাসাতের শোঁ- শোঁ শব্দ। খোলা প্রান্তর জনশূন্য।

পাখিদের ওড়াউড়ি মাথার ওপর থেকে ভালোবাসার পরশ বুলোয়। রবিউল বিড়বিড়িয়ে বলে, আমাদের যুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা
- তোরা আমাদের পাশে থাকিস পাখিরা।

ততক্ষণে গরুর গাড়ি এগিয়ে এসেছে। দুজনে মাথার উপর হাত তুলে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে। গরুর গাড়ি কাছাকাছি এসে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে নামে ওয়াজেদ মিয়া। জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে আপনাদের? 

- আমরা আপনাদের সাহায্য চাই।
- কি হয়েছে?

রবিউল কাঁদ কাঁদ কন্ঠে বলে, আমার মেয়েটি গর্ভবতী ছিল। এই যে মারুফ আমার মেয়ের জামাই।

মারুফ বলে, আমরা গরুর গাড়িতে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একটাও খোঁজ পাইনি। শেষে হেঁটে রওনা করি। ওই যে সামনের বট গাছের নিচে আমার শাশুড়ি আর বউ বসে আছে।

রবিউল কাঁদতে কাঁদতে বলে, ওই বট গাছের নিচে আমার মেয়েটি একটি সন্তানের জন্ম দেয়। ছেলেটি জন্মের পর মরে গেছে।
- কি করেছেন আপনারা?
- ওকে কবর দেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় মেয়েটি হাঁটতে পারবে না বলে আপনাদের সাহায্য চাই। গাড়িতে যদি জায়গা থাকে ওকে গাড়িতে তুলে নেন।
- জায়গা বের করব। চলেন বটগাছের কাছে যাই। ওখানে গাড়ির সবাইকে নামিয়ে জায়গা ঠিক করব। আমি গাড়িতে উঠবনা। আপনাদের সঙ্গে হাঁটব।

মারুফ ঝট করে ওনার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে।
রবিউল জিজ্ঞেস করে, তোমার নাম কি রে ভাই?

- মোবারক। আমি সাতগাঁ গ্রামে থাকি। ঠিক করেছি বউ-ছেলেমেয়েকে শরণার্থী ক্যাম্পে রেখে আমি ফিরে এসে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হব। ওরা যা করতে বলবে তাই করব। 

- বাব্বা, তুমিতো অনেক চিন্তা করেছ।

মোবারক গরুর গাড়ির চালককে বলে, সামনে এগোও। আমাদের সঙ্গে চলো। ওই বটগাছের কাছে গিয়ে থামবে।
গরুর গাড়ির সঙ্গে স্বামী আর মেয়ের জামাইকে আসতে দেখে আকাশী বুঝে যায় যে আসমানীর যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। পোটলাগুলো পথের পাশে এনে জড়ো করে রাখে। আসমানীর দুহাত ধরে বলে, মা ওঠ। ওই দেখ ওরা গরুর গাড়ি জোগাড় করতে পেরেছে। দরকার হলে শুধু তোকে ওঠাব। আমরা সবাই হেঁটে যাব।

- আমার উঠতে কষ্ট হচ্ছে মা। আমি গরুর গাড়িতে বসতে পারবনা। তাহলে আমি যাব না।
- না গেলে এখানে কি করবি?
- মরে যাব। তারপর ছেলের সঙ্গে মাটির নিচে শুয়ে থাকব।

- কি বলছিস মারে। এটা কোনো কথা হলো। দেশ স্বাধীন হলে মনে রাখবি তোর ছেলে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছে। ও আমার শহীদ নাতি।
- মাগো, তুমি এইভাবে বলতে পারলে?
- কেন পারবনা? এটাইতো সত্য। যুদ্ধের সময় না হলে আমরাতো পথে নামতাম না।
আসমানী কেঁদে উঠে মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, তুমি আমাকে বাঁচিয়ে দিলে। সম্মানের শিক্ষা দিলে। সবার কাছে এভাবেই বলব।
- হ্যাঁ, বলবি, বলবি। আজীবন তোর স্মরণে এইকথা থাকবে।
- ওই দেখ গরুর গাড়ি কাছাকাছি এসে গেছে। চল রাস্তার ধারে গিয়ে দাঁড়াই।

পা টেনে হেঁটে রাস্তার কাছে যায় আসমানী। একটু পরে গরুর গাড়ির এসে থামে। মোবারক এগিয়ে এসে বলে, আমার বউ বাচ্চারা আছে। আমি আসমানীকে নিতে পারব গাড়িতে। মোবারক বউ সাফিয়াকে বলে, মেয়েটার বাচ্চা হয়ে মরে গেছে। ও হেঁটে যেতে পারবেনা। ওকে গাড়িতে নিতে হবে।

- হ্যাঁ, হ্যাঁ, নিব। আস মা আস।
গাড়িতে আছে মোবারকের দশ-পনেরো বছরের তিনজন ছেলেমেয়ে। ওরা একসঙ্গে বলে ওঠে, আমরাও মাঝে মাঝে হাঁটব। বুবুকে গাড়িতে উঠান। দেখি কতদূর হেঁটে যেতে পারি।
সবাই গাড়ি থেকে নেমে আসে। আকাশী এগিয়ে গিয়ে সাফিয়াকে বলে, আমি ওর মা। ওকে গাড়িতে একটু জায়গা দেবেন। আমি হেঁটে যাব।
- চলেন, ওকে গাড়িতে উঠাই। আয় মা। দুজনে আসমানীকে গাড়িতে উঠায়। ও গাড়িতে উঠেই গুটিসুটি হয়ে
শুয়ে পড়ে। বসে থাকার সাধ্য ওর নেই।

সাফিয়া বলে, মাগো এই বালিশটা মাথার নিচে দে। আমি গাড়িতে শোব বলে বালিশ রেখেছি। কাঁথা রেখেছি।
- আমিতো বিছিয়ে রাখা কাঁথার উপরে শুইলাম। নে, বালিশ দিচ্ছে তোর মাথার নিচে। আমরা দুজন তোর দুই পাশে বসব। আমার ছেলেমেয়েরা
হাঁটুক। যখন ওরা হাঁটতে পারবেনা, তখন ওরা গাড়িতে উঠে বসবে, আমরা দুজন নেমে যাব।
- আচ্ছা, ঠিক আছে। তাই হবে।

মোবারক গাড়োয়ান শফিককে বলে, তুমি আগাও। পথ একটাই। এদিক-ওদিক যেতে হবে না।
- আচ্ছা, সালাম হুজুর।
গরুর গাড়ি চলতে শুরু করে। ছেলেমেয়েরা দৌড়াতে শুরু করে। কিছুদূর গিয়ে থামে। মারুফও ওদের সঙ্গে দৌড়ে ওদের কাছে থাকে। বাবুল বলে, আপনি কেন
এসেছেন মারুফ ভাই?
- তোমরা যেন এদিক-ওদিক চলে না যাও সেজন্য। আমরা এখানে এখন দাঁড়িয়ে থাকব। তোমাদের বাবা এলে, আমার বাবা এলে, গরুর গাড়ি এলে
আমরা একসঙ্গে যাব।
- আচ্ছা তাই হবে। তাহলে আমরা এখানে বসি।
- তোমাদের নাম বল আমাকে।
- আমি বাবুল, আমি সবার বড়। আমি নজরুল, আমি মেজো। আমি আমিনা সবার ছোট।
- চলো ওই ঘাসের উপর বসি। কি সুন্দর চারদিক। সবাই মিলে ঘাসের ওপর বসে। আমিনা জিজ্ঞেস করে, এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে মারুফ ভাই?
- যেদিন আমরা পাকিস্তান সেনাদের এই দেশ থেকে তাড়াতে পারব সেদিন। যেদিন দেশ স্বাধীন হবে সেদিন। বাবুল জিজ্ঞেস করে, মারুফ ভাই আপনি
বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন।
- তিনি যেদিন মার্চ মাসের সাত তারিখে রমনা রেসকোর্সে ভাষণ দিয়েছিলেন সেদিন আমি তাঁকে মঞ্চে দেখি। আর কোনোদিন দেখিনি।
- আমরাতো দেখতে চাই। কিভাবে দেখতে পাবো?
- যুদ্ধ শেষ হলে আমি তোমাদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাব।
- সত্যি, সত্যি, সত্যি মারুফ ভাই।
- হ্যাঁ রে সত্যি। গাড়ি এসে গেছে। চল, আমাদের যেতে হবে। উঠে দাঁড়িয়ে তিনজনে দৌড়াতে শুরু করে। কিছুদূর দিয়ে আবার দাঁড়িয়ে থাকে। মারুফ ওদের সঙ্গে যায়নি। ও গরুর গাড়ির পেছনে সবার সঙ্গে চলে।

মোবারক বলে, আমার ছেলেমেয়ে তিনটি এমনভাবে দৌড়ায় যে আমি ভয় পাই।

- ভয় পাবেন না চাচা। এরপরে আমি ওদেরকে আমার সঙ্গে ধরে রাখব। ওদেরকে আর দৌড়াতে দেব না। তাহলে হয়রান হয়ে যাবে।
- ঠিক বলেছ। চলো এগোই।

(চলবে)

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

Header Ad

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে এক প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমিনুল ইসলাম নামে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) ধাওয়া দিয়ে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। একই সময়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে থাকা এক পুলিশের সোর্স শহীদুল ইসলাম জাহেদকেও আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ মে) বিকেলে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা আবদুল খালেক জানান, তার ছোট ভাইয়ের পাঠানো ১৬ ভরি ওজনের ৮টি বালা নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নগরীর টাইগারপাস এলাকায় তাকে পুলিশ পরিচয়ে বাস থেকে নামায় দুই যুবক। পরে তাকে সিএনজিতে উঠিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়। এসময় চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগী। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষেরা দুই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে।

এসময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি টহল দল। টহল দল দুই ছিনতাইকারীর মধ্যে একজন খুলশী থানার এস আই আমিনুল ইসলাম বলে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৯ মে) দুপুরে জেলার পোরশা ও মহাদেবপুর উপজেলায় পৃথক সময়ে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলো- পোরশা উপজেলার নিতপুর মনোহরপুর গ্রামের রুবেল ইসলামের ছেলে লালচাঁন ইসলাম (৭) এবং মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সিফাত হোসেন (১২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- রোববার দুপুরে রুবেল ইসলাম তার ছেলে লালচাঁনকে সাথে নিয়ে পোরশা উপজেলার কপালী মোড় পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্যে আসেন। এসময় রাস্তা পারাপারের সময় মাসুদ বিড়ি বহনকারি একটি অটোরিশার লালচাঁনকে ধাক্কা দেয়। এতে লালচাঁন গুরুত্বর আহত হয়ে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে যায়। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে অটোরিকশার চালক আবুল কালামকে আটকসহ অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, রোববার বিকেল ৫টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের রানীপুকুর মাদ্রাসার অদূরে বাস চাপায় সিফাত হোসেন নামে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ফয়সাল হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। নিহত সিফাত হোসেন মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এবং রানিপুকুর ক্বেরাতুল কুরআন ক্বওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে’র মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, এ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন ইশরাক। সেই সময় শেষ হতে চলায় গত ২৩ এপ্রিল তিনি জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।

ইশরাক হোসেন পল্টন থানাসহ ১২টি মামলায় স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। আদালত ১১ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক বলেন, হাই কোর্টথেকে জামিনে থাকলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বেশিরভাগ মামলাতেই আদালত জামিন দিয়ে দেন। কিন্তু একটায় আটকানো হল আমাকে। এটা উদ্দেশ্যমূলক। সরকার তো গোটা দেশটাকেই কারাগার বানিয়ে ফেলেছে।

গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা মিঞা জাহিদুল ইসলাম আরেফীর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সে সময় বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপিকর্মীরা। তাতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি জাহিদুল ইসলাম আরেফী, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী কিছুসংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। মে সময় আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশকরেছেন বলে তিনি বক্তব্য দেন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন আরেফীকে ‘মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা’ করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে ‘উসকানি’ দেন।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই
নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর
বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল, ফেঁসে যাচ্ছেন এএসআই
দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি
দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, আইন-শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ব্রিফিং
মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ: নিপুণ
পুকুর খননের মাটির ভেতর থেকে মিলল কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী-নারায়ন মূর্তি
ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ