রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কবি কামাল চৌধুরীর তিনটি কবিতা

বিজয় দিবস

আত্মসমর্পণের আগে যে কলমে নি:শেষিত কালি

তার নাম চূড়ান্ত পরাজয় ।

 

এই দৃশ্য সাধারণ নয় । কেননা এই দৃশ্যে

স্বাধীনতাকামী মানুষের সাথে পাখিরাও জয়োল্লাস করে

কেননা যে গুলিতে লক্ষ লক্ষ প্রাণ ঝরে যায়

সেখানে রক্তজবার রঙে লেখা হয় ঘৃণা ও উল্লাস ।

 

কেননা আমরা আজ নির্বাসন থেকে ফিরে আসা

গগনবিদারী শ্লোগান

আমরাও যুদ্ধের শেষে হয়ে গেছি সার্বভৌম পাখির পালক

আমরাও রক্তগঙ্গায় ভেসে থাকা নিজভূমে

পরবাসী স্বজনের লাশ

আমাদের দারুণ ক্রোধে ফিরে আসছে

গিন্সবার্গের  শরণার্থী কবিতা ।

 

আমরা বদ্বীপের  লোক

আমরা ভাত ও মাছের স্বপ্নে বেঁচে থাকি

আমরা মুজিবের লোক

আমাদের বারুদগন্ধ মিশে আছে পতাকার রঙে

ত্যাগ ও মহিমাভাষায়-

 

যে যুদ্ধ ভালোবাসার

সেখানে পরাজয় নেই

সেখানে বিজয়ী জাতির রক্তে প্রতিদিন ভোর আসে

প্রতিদিন সূর্যোদয়ে

আত্মসমর্পণ করে হানাদার।

 

নিয়াজি যখন আত্মসমর্পণ লিখছে

গণহত্যার হাতে নিয়জি যখন আত্মসমর্পণ লিখছে

তখন অনুভব করা যাচ্ছিল তার কম্পন

নিয়াজি তখন নিঃসঙ্গ ও বিধ্বস্ত

না কলম, না আগ্নেয়াস্ত্র, না মাতাল ইয়াহিয়া, না ভুট্টো

কেউ তার সঙ্গী নয়

 

অদূরে দাঁড়ানো হানাদার পাকিস্তানি সেনারা স্তব্ধবাক

তাদের চোখ নতমূখী, তাদের হন্তারক আঙুলও অসাড়

চতুর্দিকে টানটান উত্তেজনা

ঐতিহাসিক মুহূর্তের অপেক্ষায় মুক্তিকামী জনতা

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যৌথ কমান্ডের সৈনিকেরা

শেষ দৃশ্যে নিয়াজি কলম তুলে নিল

কাঁপা হাতে লিখল চূড়ান্ত পরাজয় ।

 

এই দৃশ্যে রেসকোর্স মাঠে বদলে গেল বাংলার আকাশের রঙ

আমরা ফিরে আসলাম মৃতদের দেশ থেকে

দীর্ঘ পরবাস, রাতজাগা নির্বাসন শেষে,

কাঁধে সহযোদ্ধার লাশ, হাতে রাইফেল

মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লাসে 'জয় বাংলা', 'জয় বাংলা' বলে

আমরা ফিরে আসলাম-

তখন রেসকোর্স মানে স্বাধীনতা

তখন রেসকোর্স মানে সার্বভৌম জাতির পতাকা

তখন রেসকোর্স মানে বিজয় উৎসব।

 

এই দৃশ্য আজ নদীস্রোতে, বহমান জলে লেখা

এই দৃশ্য লেখা আছে বর্ণমালার রঙে, লাল ফুলে

এই দৃশ্য শহীদ মিনার, এই দৃশ্য স্মৃতিসৌধ

এই দৃশ্য বধ্যভূমিতে স্বজনের স্মৃতিমুখ

এই দৃশ্য আমার সোনার বাংলা

এই দৃশ্য বজ্রকণ্ঠ, মুজিবের সাহসী তর্জনী

এই দৃশ্য চির উন্নত মম শির-

 

আমরা হারিনি। এই দৃশ্য বিজয়ী জাতির।

 

পতাকা

তোমাকে আমার পাঠশালা মনে হয়

যেখানে আমরা ধূলি, কাদামাটি শিখি

আলপথ থেকে শহীদ মিনারে এসে

বাংলা বানানে প্রিয় নীলাকাশ লিখি।

 

অ-আ-ক-খ স্মৃতি, বৃষ্টি ও ভাঁটফুলে

রাতে চাঁদ আসে; ডাক নাম ধরে ডাকে

ভাইবোন মিলে শীত তাড়াবার গানে

আগুন জ্বালিয়ে বুকের ভেতরে রাখে।

 

আমরা সবাই মাঠে জড়ো হই, মাঠে

হাতে চকখড়ি; মাটি ভেজা ইতিহাসে

বারুদের ঘ্রাণ, গণকবরের ছবি

ফুলের যুদ্ধ, লেখা থাকে সিলেবাসে।

 

তোমাকে আমার পাঠাশালা মনে হয়

দিবা পাঠক্রমে, নিশিকালে পাই মা-কে

প্রেম লিখি, ধান, রবি-গান, শ্যামা পাখি

বাংলা বানানে লিখে রাখি পতাকাকে।

Header Ad

বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়া স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য কারামুক্ত দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল । এভাবে ভোট করে ক্ষমতায় বসা কাপুরুষতার নিদর্শন।

জানা যায়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতে নির্বাচন করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

শুক্রবার (১৭ মে) মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে (বিকেসি) বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, "বাংলাদেশে কিছু দিন আগে নির্বাচন হয়েছে। সব বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হয়েছেন।"

তিনি আরও বলেন, "পাকিস্তানের দেশটির সবচেয়ে বড় বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খানকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তার দলকে ভেঙে দেয়া হয়েছে, দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। এভাবে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোদিজি (নরেন্দ্র মোদি) বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতে একই জিনিস করার চেষ্টা করছেন। তারা আমাকে জেলে ভরেছিলেন। (দিল্লির সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী) মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে পুরে রেখেছেন। কংগ্রেস পার্টির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছেন। এভাবেই আপনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং জিতবেন। এটা তো কাপুরুষতার নিদর্শন।"

বর্তমানে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। মোট সাত দফার ভোটের চার দফা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার ভোটে মুম্বাইয়ের ছয়টিসহ মহারাষ্ট্রের ১৩টি লোকসভা আসনে ভোট হবে। এই ভোটের মধ্যেই ৫০ দিন কারাবাসের পর গত ১০ মে দিল্লির মদ নীতির সঙ্গে জড়িত মানি লন্ডারিং মামলায় জামিনে কারামুক্ত হন কেজরিওয়াল।

রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের রাস্তা পার হওয়াকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন মেহেদী হাসান (১৮) নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী। নিহত মেহেদী হাসান বাড্ডার নূরের চালা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাস্তা পারাপারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে ছুরিকাঘাত করা হয় মেহেদীকে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিহতের মামা মো. চয়নের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‍্যালি কর্মসূচি ছিল। এতে যোগ দিতে দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি ও তার ভাগ্নে মেহেদী অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাড্ডা থেকে রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে আসেন। ধানমন্ডিতে র‍্যালি শেষে নূরের চালা থেকে আসা নেতাকর্মীরা হেঁটে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পার হচ্ছিলেন। এ সময় পিকআপ ভ্যানে চড়ে র‍্যালিতে যোগ দিতে আসা একদল নেতাকর্মীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। এ সময় কেউ একজন মেহেদীর বুকে ছুরিকাঘাত করেন। সংঘর্ষে আহত হন আরও বেশ কয়েকজন।

চয়ন জানান, মেহেদী এ বছর ভাটারার সোলমাইত হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ছাত্রলীগের কর্মী হলেও তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিতেন। তার মা লিপি সিকদার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরেবাংলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কর্মসূচি শেষে সংসদ ভবনের সামনে রাস্তা পারাপারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের হাতাহাতি থেকে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার প্রকৃত কারণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

টাঙ্গাইলে পুলিশকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই

ছবি:সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে পুলিশকে পিটিয়ে কাকন নামের এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আসামীর স্বজনরা। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের পঞ্চাশী গ্রামের গাজীবাড়ী এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।

আসামি কাকনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি পাশের এলাকায় একজনকে কুপিয়ে আহত করা ছাড়াও একাধিক মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রমজানের শুরুতে কথা কাটাকাটির জেরে বাজিতপুর গ্রামের মিজানুর রহমান নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করার পর পলাতক ছিল কাকন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছিল পুলিশ।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাতে মারা যান কাকনের এক চাচি। শনিবার দুপুর ১২ টার সময় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থনে তাকে দাফন করার ব্যবস্থা হয়। চাচির জানাজায় অংশ নিতে কাকন বাড়িতে এসেছে শুনে তিন সঙ্গী নিয়ে গাজীবাড়ী যান ধনবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) সিদ্দিক হোসেন। জানাজা শেষে হঠাৎ তাকে আটক করে এক হাতে হাতকড়া পরিয়ে ফেলে পুলিশ। এমন সময় কাকনের শোকাহত স্বজনরা বিক্ষুব্দ হয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ চালায়। তাদের হামলায় আঘাতপ্রাপ্ত হন ওই পুলিশ সদস্যরা। এ সুযোগে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায় কাকন।

ধনবাড়ী থানার ওসি হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
টাঙ্গাইলে পুলিশকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী
দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা
কিরগিজস্তানে হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার