রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘এবার ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা তুলনামূলক কম’

অন্য বছরের তুলনায় এবার ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কম ঘটেছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঈদ যাত্রায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কম হয়েছে বলে মনে করছে বিভিন্ন সংগঠন। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি, রোড সেফটি ফাউন্ডেশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে এমন বক্তব্য পাওয়া গেছে।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে গত ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনে রাজধানী শহর ঢাকা ছেড়েছেন এক কোটির বেশি মানুষ। এসব মানুষ বাস, রেল, লঞ্চসহ নিজস্ব যানবাহন ও মোটরসাইকেলে করে তাদের গন্তব্যে গেছেন।

অনেকেই ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে ফিরে আসছেন কর্মস্থলে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) খুলেছে সরকারি অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকায় ফিরতি মানুষের বেশ চাপ পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে।

দীর্ঘ ছুটি ও সড়ক মহাসড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজরদারির কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া মানুষের যাতায়াত এবার তুলনামূলক স্বস্তির হয়েছে। তবে ফেরার পথে চাপ অনেকটা বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। একই সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসন যেভাবে তৎপর ছিল ফিরতি পথেও যদি তৎপর থাকে তাহলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হবে বলে মন্তব্য সংগঠনগুলোর। এর ব্যতিক্রম হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা ঈদযাত্রার দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৩ হাজার ৮৭৭ জন। গত ছয় বছরে ঈদুল ফিতরের ঈদ যাত্রায় মারা যান ১ হাজার ৯৭৯ জন। ঈদুল আজহার ঈদ যাত্রায় মারা যান ১ হাজার ৮৯৮ জন।

২০২২ সালে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৩ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিনে সারা দেশে ৩১৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জন নিহত হয়, ৭৭৪ জন আহত হয়। সে সময় দুর্ঘটনার শীর্ষে ছিল মোটরসাইকেল। ১১৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত হয় ৬৮ জন আহত হয়। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং নিহত ৩২ দশমিক ৯১ শতাংশ।

এ ছাড়া, ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালে ঈদ যাত্রায় ৩৭২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৪১৬ জন এসময় আহত হয় ৮৪৪ জন। এরমধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৪৫ জন।

২০২৩ সালে ঈদুল ফিতরের আগে দীর্ঘ ছুটি, স্কুল-কলেজ আগেই বন্ধ, ফিটনেস বিহীন গাড়ি না চলতে দেওয়া এবং মহাসড়কগুলোতে মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠর নজরদারির কারণে অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হয়েছে সড়কে দুর্ঘটনা।

এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগেই অনেকে গ্রামে চলে যাওয়ার কারণে মহাসড়কগুলোতে এবছর যানজটের সংখ্যা ছিল কম। এসব বিষয় মাথায় রেখে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নিলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ অনেকাংশেই সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, হাইওয়েতে বিশেষ করে পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে প্রশাসন যেভাবে মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা জারি রেখেছে তার সঠিক বাস্তবায়ন করা গেলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, বিশেষ করে মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি থাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা মহাসড়কগুলোতে কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে ঈদের আগে এবং ঈদের দিন আঞ্চলিক এবং স্থানীয় সড়কগুলোতে মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়েছে।

ঈদ শেষে গ্রাম থেকে ফেরা মানুষগুলোর যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর থাকতে হবে তাহলে ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন রোড সেফটির এই নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, আর যদি সেটা না হয় তাহলে ফিরতি মানুষের দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট লেন এবং গতি নিয়ন্ত্রণ করে চালাতে হবে তা না হলে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই ভয় থেকে অনেকেই গতি নিয়ন্ত্রণ করে পদ্মা সেতু অতিক্রম করেছেন। আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাব জাগ্রত করার জন্য ভয়ের সৃষ্টি না করলে আমরা কেউ সচেতন হই না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়গুলো নিয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। ঈদের ছুটি শেষে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা এবং সড়কের মৃত্যুর বিষয় সম্পর্কে আমরা সঠিক তথ্য দিতে পারব। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কম হয়েছে বলে ধারণা করছি। যারা বাড়ি গিয়েছে ঈদ করতে এবং ঈদ শেষে যারা কর্মস্থলে ফিরবেন তাদের যাত্রা পথে যান চলাচলের বিষয়ে নজরদারি রাখলে দুর্ঘটনা এই বছর বহুগুণ কম হবে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান বলেন, ঈদ করতে যারা গ্রামের বাড়ি গিয়েছেন এবং ঈদ শেষে যারা সড়ক পথে, নৌ পথে ও রেলপথে ঢাকায় বা তাদের কর্মসংস্থানে ফিরবেন তারা যদি একটু সতর্ক হন তাহলে এবার সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটা কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সড়কে এবং বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তা ছাড়া সাধারণ মানুষের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট। সবাইকে আইন মেনে চলাচলের জন্য অনুরোধ করছি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারের অতিরিক্ত উপকমিশনার নিয়তি রায় বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে ডিএমপির সব ইউনিট কাজ করছে। তবে এবার ঈদের আগে রাজধানীতে অনেকটা সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ কম হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগ অনেকটা স্বচ্ছভাবে রাস্তায় যান চলাচলে সহযোগিতা করেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, সড়কের দুর্ঘটনা নিয়ে যে সমস্ত সংস্থা জরিপ করে তাদের দেওয়া তথ্য মতে এবার সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটা কম। তবে মহাসড়কে কম হলেও মফস্বলে সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ একটু বেশি। এবার ঈদ যাত্রায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে সড়কে, মহাসড়কে এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্ক ছিলেন ঠিক কর্মজীবী মানুষ তাদের গন্তব্যে ফেরার পথে যদি এমনটা সতর্ক হয় তাহলে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটা কম হবে এবং কমে আসবে।

তিনি বলেন, তবে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থেকে চলাচল করতে হবে। নিজে দায়িত্ব নিয়ে সতর্ক থেকে চলাচল করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

কেএম/এসএন

Header Ad
Header Ad

ড. ইউনূসের জন্মদিনে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা

তারেক রহমান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৮৫তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার অফিসে বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফুল ও কেক পৌঁছে দেন।

প্রধান উপদেষ্টার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল ফেরদৌস হাসান সেলিম ফুলের তোড়া ও শুভেচ্ছা সামগ্রী গ্রহণ করেন।

ফুলেল শুভেচ্ছা পেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার সুস্বাস্থ্য ও সফলতা কামনা করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তার এই অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।

Header Ad
Header Ad

পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চলছে: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রস্তাবিত পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের দাবিকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীতে জিয়াউর রহমান স্মরণে আয়োজিত এক স্মারক প্রকাশনা ও আর্কাইভ উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, “যারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট—তারা নির্বাচন বিলম্ব কিংবা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া বানচাল করতে চায়। পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের বাস্তবতায় প্রয়োগযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “সংস্কার মানে বাইবেল নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কারের মূল প্রবক্তা বিএনপি নিজেই। আমরা এরইমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি। তাই জাতীয় ঐক্যের নামে একপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।”

সালাহউদ্দিন আহমদ জোর দিয়ে বলেন, “কেউ যদি মনে করেন সবাইকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মত মেনে নিতেই হবে, তাহলে ঐকমত্য কখনোই সম্ভব নয়। একতরফা মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় বাস্তবতাকে বুঝতে হবে।”

বিএনপি এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত নির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঘোষণা না করায় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

“সরকার যদি সত্যিই নির্বাচন চায়, তাহলে তাদের উচিত দ্রুত সময়সূচি ঘোষণা করা। বর্তমানে স্থানীয় নির্বাচনের মতো আয়োজন উপযুক্ত নয়; জাতীয় নির্বাচনই এখন দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামি দলগুলোর পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির দাবি জোরালো হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের মহাসমাবেশে এ পদ্ধতি চালুর দাবি তোলে। বিএনপি এই পদ্ধতির বিরোধিতা করে বলছে, এটি বাস্তবসম্মত নয় এবং এতে নির্বাচনের স্বাভাবিক গতিপথ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ইস্যুতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যা আগামী নির্বাচনের আগে একটি বড় রাজনৈতিক বিতর্কে রূপ নিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম । ছবি: সংগৃহীত

ইসলামপন্থীদের ঐক্যের প্রতি গণমানুষের প্রবল প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, “যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, তাহলে জোটবদ্ধ ইসলামি দলই হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। ইনশাআল্লাহ, রাষ্ট্রক্ষমতা আমাদের হাতেই আসবে।”

শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চরমোনাই পীর বলেন, “আমরা স্বাধীনতার পর ৫৪ বছরে বহু রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় দেখেছি, কিন্তু ইসলামি দল আজও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারেনি। এর বড় কারণ—আমরা বারবার নেতৃত্ব ও নীতির বাছাইয়ে ভুল করেছি। এবার আর সে ভুল নয়, এবার আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো।”

তিনি জানান, শুধু ইসলামি দলগুলো নয়, বরং দেশপ্রেমিক আরও কিছু রাজনৈতিক শক্তিকে একত্রে নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া চলছে। সেই ঐক্যই হতে পারে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার সেতুবন্ধ।

চরমোনাই পীর বলেন, “আমি বহু আগেই বলে আসছি—ইসলামপন্থী ভোট এক বাক্সে আনতে হবে। আমরা যদি কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলতে পারি, তাহলে জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রাখবে এবং ইসলামি শক্তিই হবে এই দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব।”

তিনি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “আগামী নির্বাচনে ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি’ চালু করতে হবে। যে দল যত ভোট পাবে, তারা তত আসনে প্রতিনিধিত্ব পাবে। এটা এখন জনদাবি—বহু রাজনৈতিক দল এই দাবিতে একমত।”

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “বিএনপির উচিত পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিন্তা করা। এতে করে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা পাবে।”

এ সময় তিনি ইসলামী আন্দোলনের সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোর প্রতি দলটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “সংস্কার প্রশ্নে আমরা আপসহীন। দেরি করা মানেই ২০২৪-এর গণ-আন্দোলনের সঙ্গে বেইমানি। আমরা বিশ্বাস করি, ৭২-এর সংবিধান জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি বধির ছিল, তাই সেটিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন অপরিহার্য।”

তিনি আরও বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ উপায়ে জনমত গঠনে বিশ্বাসী। তবে জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে দেশজুড়ে নতুন গণজাগরণ শুরু হবে।”

মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি ও ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে এই বক্তব্য নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে ইসলামপন্থীদের সক্রিয় ও সংগঠিত ভূমিকাই যে এখন আলোচনার কেন্দ্রে, সেটাই যেন প্রতিফলিত হলো এই বক্তব্যে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ড. ইউনূসের জন্মদিনে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা
পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চলছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর
খামেনির প্রাণ বাঁচালাম, ধন্যবাদটুকুও দিলো না: ট্রাম্প
পুরস্কার না নিয়ে মনু মিয়ার জানাজায় অভিনেতা খায়রুল বাসার
মা হারালেন ব্যান্ড তারকা তানজির তুহিন
ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে বিএনপি: আমীর খসরু
ফিলিস্তিনের মতো সাইপ্রাসও দখলে নিচ্ছে ইসরায়েল!
কালও চলবে এনবিআরের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’
‘এনবিআরের প্রশাসনিক আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই’
সিইসির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
নওগাঁয় ছাত্রদলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নব গঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু,  শনাক্ত ৭
এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে: ট্রাম্প
ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে ১৬ দফা ঘোষণা
নতুন রক্তের গ্রুপের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
গোলাপ জলে গোসল করে রাজনীতি ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা
সাগরতীরে বিলাসবহুল রিসোর্ট উদ্বোধন করলেন কিম জং উন
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২
কূটনৈতিক অস্ত্র পানি নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান, শঙ্কায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান