রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

রমজান উপলক্ষ্যে বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রোজাদারদের ইফতারের জন্য ২০ টন খেজুর উপহার দিয়েছে সৌদি আরব। বাংলাদেশে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসের পক্ষ থেকে খাদেমে হারামাইন শরিফাইনের ইফতার আয়োজন কর্মসূচির অধীনে এই খেজুর উপহার দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সৌদি সংবাদ মাধ্যম এসপিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, রমজানে বিশেষভাবে বিতরণ করা এই খেজুরের মাধ্যমে ২০ হাজার পরিবার উপকৃত হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এবং দূতাবাসের ধর্ম বিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কনসাল মোবারক আল-আনজারি বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফরিদুল হক খানের কাছে খেজুর হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, আলেম, বিশ্ববিদ্যালয় ও দাতব্য সংস্থার কর্মকর্তারা।

এদিকে আরব নিউজের খবরে আরও ৯৩টি দেশে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে খেজুর পাঠানোর তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ ইন্দোনেশিয়ায় রমজান উপলক্ষে ২০ টন খেজুর এবং পবিত্র কোরআন শরিফ পাঠিয়েছে সৌদি আরব। এতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রমজান উপলক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেওয়া হয়েছে ছয় টন খেজুর; জাম্বিয়া এবং মোজাম্বিক পেয়েছে পাঁচ টন করে; মরিশাস, জিম্বাবুয়ে, মালাউই, অ্যাঙ্গোলা, বতসোয়ানা এবং নামিবিয়া তিন টন করে এবং এসওয়াতিনি পেয়েছে দুই টন খেজুর। দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশুর জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত ৯০ হাজার মুসলিম উপকৃত হবেন।

এছাড়াও বলকান রাষ্ট্র বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে ১০ টন খেজুর বিতরণ করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ওসামা আল-আহমাদি, বসনিয়ান গ্র্যান্ড মুফতি হুসেইন কাভাজোভিচ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা। এসময় বিশ্বজুড়ে ইসলামের সেবায় কাজ করার জন্য সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত আল-আহমাদি।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগালেও শত শত পরিবার, ইসলামিক কেন্দ্র, এতিমখানা এবং মসজিদে ১৫ টন খেজুর বিতরণের তত্ত্বাবধান করছে সৌদির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

আবাসিক হোটেল থেকে স্বামী–স্ত্রী ও ছেলের লাশ উদ্ধার

প্রতিকি ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক দম্পতি ও তাদের শিশুপুত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে মগবাজার সুইট স্লিপ হোটেল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, মৃতরা হলেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তারা ছেলের চিকিৎসার জন্য শনিবার ঢাকা এসেছিলেন এবং মগবাজারের ওই হোটেলে ওঠেন। তবে ওইদিন তারা ডাক্তার দেখাতে পারেননি। রাতের খাবার হিসেবে মগবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে হোটেলেই খেয়েছিলেন।

পরে রাতেই তিনজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার দুপুরে তাদের অচেতন অবস্থায় মগবাজারের আ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তারা মারা গেছেন।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, খাবারে বিষক্রিয়াই হতে পারে মৃত্যুর কারণ। তবে বিস্তারিত জানার জন্য মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং হোটেল ও সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবারের মতো ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স

ছবি: সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় সুখবর—চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থবছর শেষ হতে এখনো দু’দিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক ০৪ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৪ কোটি ডলার। এর আগে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০–২১ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, জুন মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৫৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২৩৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি জুন মাসেই রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭ কোটি ডলার বা প্রায় ৭ শতাংশ। ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ব্যাংক ছুটি থাকা সত্ত্বেও এই প্রবৃদ্ধি এসেছে, যা উল্লেখযোগ্য।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির মূল কারণ হলো হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার কমে আসা এবং দেশের অভ্যন্তরে ঋণ জালিয়াতি ও দুর্নীতির মাত্রা হ্রাস পাওয়া। আগে করোনা মহামারির সময়ও বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেড়েছিল, কারণ সেসময় হুন্ডি কার্যত অকার্যকর ছিল।

এদিকে রেমিট্যান্সে এই প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশ থেকে পাওয়া ঋণ এবং অনুদানের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও বড় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে গ্রস রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে পৌঁছেছে। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী এই রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলার। তবে পরবর্তী সময়ে অর্থপাচার, আমদানি বিল পরিশোধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রিজার্ভ দ্রুত কমতে থাকে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে তা নেমে আসে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ উভয়েই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উর্ধ্বগতি রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রাখবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

ইমাম-খতিবদের বেতন ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইমাম ও খতিবদের বেতন যেন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রদান করা হয়, সে লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

রোববার (২৯ জুন) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় হিফজুল কোরআন ও সীরাত প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি, যাতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইমাম-খতিবরা ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী ন্যায্য বেতন পান। এমনকি ওয়াক্‌ফভুক্ত মসজিদগুলোতেও একই নিয়মে বেতন প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, “যেহেতু সামনে নির্বাচন, তাই ফেব্রুয়ারির পর হয়তো আমি থাকব না। তবে যাওয়ার আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ওয়াক্‌ফের কার্যক্রমে যে অনিয়ম রয়েছে, তা সংস্কার করে যেতে চাই।” তিনি জানান, ওয়াক্‌ফের জমিজমা বা সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং পুরো ওয়াক্‌ফ ব্যবস্থাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হবে।

হজ ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ধর্ম মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আগামী বছর থেকে হজের সহযোগীদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা পুনর্বিন্যাস করা হবে। খাবার, চিকিৎসা ও পরিবহন ফ্রি দেওয়া হলেও কোনো ধরনের অ্যালায়েন্স দেওয়া হবে না।"

উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে ধর্মীয় সেবাখাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং সম্মানজনক কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আবাসিক হোটেল থেকে স্বামী–স্ত্রী ও ছেলের লাশ উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
ইমাম-খতিবদের বেতন ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি
আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে সেই ফজর আলীর ছবি ভাইরাল
জনগণ ও অর্থনীতির স্বার্থে ছাড় নয়, এনবিআর কর্মীদের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা
ক্লাব বিশ্বকাপে আজ মেসির সামনে সাবেক ক্লাব পিএসজি
অ্যান্টি-এজিং ওষুধেই মৃত্যু? রহস্যে ঢাকা শেফালি জারিওয়ালার অকালপ্রয়াণ
উত্তরায় হোটেল দখলের চেষ্টা, ‘মব সৃষ্টি’র ঘটনায় আটক ৯ জন
সান্তাহারে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত যুবক
ভিজিট ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ সৌদি প্রবাসীদের জন্য সুখবর
আ.লীগ নেতার অপকর্ম বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: রিজভী
৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল করল সরকার
ঢাকায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার
সরকার ব্যর্থ হয়েছে: নাহিদ ইসলাম
উত্তরায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ওপর উঠে গেলো ট্রাক, নিহত ৩
আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানের ১৩ সেনাকে হত্যা করেছে ভারত!
৫ বছর পর মেসির পারিশ্রমিক পরিশোধ করল বার্সেলোনা
দুপুরের মধ্যেই ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
বাকৃবি ডিবেটিং সংঘের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল, সম্পাদক শুভ্র
কুমিল্লায় আলোচিত ধর্ষণের মামলার মূলহোতা গ্রেফতার