মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু, ৮ জনই পুরুষ

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা দেশ। প্রচন্ড গরমে হাসফাস অবস্থা জনজীবনে। হাসপাতাল গুলোতেও বাড়ছে গরমে অসুস্থ হওয়া রোগির সংখ্যা। তীব্র তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে সারা দেশে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৮ জন পুরুষ দুইজন নারী। এছাড়া নিহত ১০ জনের মধ্যে গতকাল সোমবার হিটস্ট্রোকে তিনজন মারা যান। তারা তিনজনই পুরুষ। এদিকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম গত ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে হিটস্ট্রোকের রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে হিটস্ট্রোকে দশজনের মৃত্যু ও পাঁচজনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া দশজনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।

মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

তাদের বয়স ৩২ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি গ্রামাঞ্চলে।

এছাড়া, হিটস্ট্রোকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচজনের দুজন নারী। দুজনের বয়স ৪৫ বছরের বেশি। বাকি তিনজন পুরুষের একজনের বয়স ১২ বছর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি), বমি বমি ভাব থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হতেও পারা আবার না–ও পারে, ত্বক গরম ও শুষ্ক অথবা স্যাঁতসেঁতে থাকতে পারে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি সামঞ্জস্যহীন আচরণ করে, তার কথা জড়িয়ে যায়, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা ধারণা করছেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রথমত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন শুধু সরকারি হাসপাতালের হিসাব নিচ্ছে, দেশের বিপুলসংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোনো রোগী যাচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, রোগীর কোন লক্ষণ দেখে হিটস্ট্রোক শনাক্ত হবে সেই ধারণাও চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে পরিষ্কার ছিল না। অতিসম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে এবং সেই নির্দেশিকা অনুসরণ করে সরকারি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ ও ২০০৭ সালের মধ্যে দেশে তাপপ্রবাহের দেশেগুলোয় মৃত্যু ২২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোক ছাড়াও গরমজনিত আরও কিছু সমস্যা হয়। এর মধ্যে আছে: তাপজনিত শ্রান্তি, তাপজনিত সংজ্ঞালোপ, তাপজনিত পেশিসংকোচন, তাপজনিত ফুসকুড়ি। আর হয় তাপজনিত পানিশূন্যতা। প্রচণ্ড তাপ বিশেষ প্রভাব ফেলে অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও প্রবীণদের ওপর। এ ছাড়া যেসব মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাঁদের ঝুঁকি বাড়ে গরমে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও শতাধিক মৃত্যু, প্রাণহানি বেড়ে ৩৫৫৬২

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৫ হাজার ৫৬২ জনে।

সোমবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ১০৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছেন ১৭৬ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৫৬২ জনে। পাশাপাশি এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজার ৬৫২ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছেন না।

আনাদোলু বলছে, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে।

জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাতিসংঘ আরও বলছে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। এছাড়াও খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

আইপিএলে বৃষ্টিতে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ ভেস্তে গেলে কে যাবে ফাইনালে?

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে প্লে-অফ পর্ব। শীর্ষে থাকা দুই দল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মুখোমুখি হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে। জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ২৬ তারিখের ফাইনালে। আর পরাজিত দল খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি।

আইপিএলের শেষ পর্বেও দেখা মিলেছে বৃষ্টির। কলকাতা তো নিজেদের শেষ দুই ম্যাচই খেলতে পারেনি বৃষ্টির কারণে। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বৃষ্টি হানা দিলে কোন দল ফাইনালে যাবে, কী আছে আইপিএলের নিয়মে সেই প্রশ্ন অনেকেরই।

প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। বুধবার একই ভেন্যুতে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে রাজস্থান ও বেঙ্গালুরু। নিয়ম অনুযায়ী, প্লে-অফের ম্যাচগুলোতে রিজার্ভ ডে নেই। ফলে, বৃষ্টি হলেও জয়-পরাজয় নির্ধারণ করতেই হবে।

বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে গেলে সুবিধা পাবে পয়েন্ট তালিকায় উপরে শেষ করা দলের। এবারের আইপিএল গ্রুপপর্ব শীর্ষে শেষ করেছে কলকাতা। তাই কলকাতা-হায়দরাবাদ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলে ফাইনালে চলে যাবে কলকাতা। অন্য দিকে রাজস্থান-বেঙ্গালুরু ম্যাচ ভেস্তে গেলে পয়েন্ট তালিকায় উপরে থাকা রাজস্থানকে জয়ী ঘোষণা করা হবে।

আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দলের বিরুদ্ধে খেলতে হয় এলিমিনেটরের জয়ী দলকে। বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে গেলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে হায়দরাবাদ ও রাজস্থান। চেন্নাইয়ের সেই ম্যাচেও যদি বৃষ্টি বাগড়া দেয়, তবে পয়েন্ট তালিকায় উপরে থাকায় হায়দরাবাদ ফাইনালে উঠবে, বাদ যাবে রাজস্থান।

নজরুল পদক পাচ্ছেন চার গুণীজন

নজরুল পদক পাচ্ছেন যে চার গুণীজন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল পদক পাচ্ছেন দেশের চার গুণী। সম্প্রতি তাদের নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এবছর যে চার জন ‘নজরুল পদক-২০২৪’ পাচ্ছেন তারা হলেন নজরুল সংগীতের গুণী শিল্পী ডালিয়া নওশিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ এবং নজরুল গবেষণায় ড. গুলশান আরা কাজী ও অনুপম হায়াৎ।

জাতীয় কবির ১২৫তম জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার (১৯ মে) পদকের জন্য এ চারজনকে নির্বাচিত করেছে কমিটি। আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ২ জুন ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে নজরুল পদক প্রদান করা হবে।

কবির জন্মজয়ন্তীর সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদকপ্রাপ্তদের পুরস্কার তুলে দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর।

এ ছাড়া আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে চারদিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও শতাধিক মৃত্যু, প্রাণহানি বেড়ে ৩৫৫৬২
আইপিএলে বৃষ্টিতে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ ভেস্তে গেলে কে যাবে ফাইনালে?
নজরুল পদক পাচ্ছেন চার গুণীজন
জীবনের শেষ বক্তব্যে যা বলেছিলেন ইব্রাহিম রাইসি
ভূমধ্যসাগর থেকে ৩৫ বাংলাদেশি উদ্ধার
এভারেস্টজয়ী বাবর আলী এবার জয় করলেন লোৎসে
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে
সরকারি লোগো লাগানো গাড়িতে মিলল ৭ লাখ ইয়াবা, গ্রেপ্তার ৪
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মেসি-ডি মারিয়াকে নিয়ে আর্জেন্টিনার শক্তিশালী দল ঘোষণা
মেয়রের সামনে কাউন্সিলরকে জুতাপেটা করলেন নারী কাউন্সিলর
ওলামা লীগে ধর্মের নামে 'ধর্ম ব্যবসা' চলবে না: ওবায়দুল কাদের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের নির্বাচনী ব্রিফিং
ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায়ের ইঙ্গিত পেপ গার্দিওলার
বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক হোসেনউদ্দীন আর নেই
সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন
টাঙ্গাইলে আনসার সদস্যদের নির্বাচনী ডিউটি দিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণ পদক
রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম!