মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ | ৩০ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

টেন্ডার ছাড়াই ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার কাজ দেন পলক

ছবি: সংগৃহীত

কোনো রকম দরপত্র আহ্বান না করেই ২০২১ সালে জাতীয় ডাটা সেন্টারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার বিনিময়ে ক্লাউড সেবার দায়িত্ব দিয়েছিল সরকার।অভিযোগ উঠেছে, এতে সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হস্তক্ষেপ করে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন।

দৈনিক একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০৭ কোটি টাকার বিনিময়ে তিন বছর ক্লাউড সেবা দেওয়ার কথা ওরাকলের। তবে রহস্যজনক কারণে চুক্তি স্বাক্ষরের আড়াই বছর পর ক্লাউড সেবা চালু করে ওরাকল।

ওই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন পলক। তারচেয়ে প্রভাবশালী একটি পক্ষও সেই টাকার ভাগ পেয়েছিল। পুরো প্রক্রিয়ার পরিকল্পনাকারী ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) তৎকালীন পরিচালক তারিক এম বরকতউল্লাহ। পলকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইকরামুল হক এই লেনদেনের সহযোগী ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০ সালের দিকে সরকারি সংস্থাগুলোর উপাত্ত সংরক্ষণে সরকারের একটি কেন্দ্রীয় ক্লাউড সেবা ব্যবস্থার প্রয়োজন দেখা দেয়। এর আগে সংস্থাগুলো নিজেদের মতো অর্থ খরচ করে ক্লাউড সেবা নিত। সেই সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ কেন্দ্রীয়ভাবে ক্লাউড ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা নেয়। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ক্লাউড ব্যবস্থা তৈরি করে সরকারি সংস্থাগুলোকে ভাড়ায় দিয়ে অর্থ উপার্জন এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়। এমন একটি ক্লাউড সেবার প্রস্তাব সে সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অধীন জাতীয় ডাটা সেন্টারকে (এনডিসি) দেয় ওরাকল। তবে বিসিসির তৎকালীন পরিচালক তারিক এম বরকতউল্লাহ সেই প্রস্তাব ঘুরিয়ে দেন বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) দিকে।

সূত্র বলছে, পলককে প্রভাবিত করে ডাটা সেন্টারে ওরাকলের ক্লাউড ব্যবস্থা স্থাপনের মূল ‘মাস্টারমাইন্ড’ এই তারিক বরকতউল্লাহ। প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির সদস্যরা এই ক্লাউড সেবার বিরুদ্ধে মত দিয়েছিলেন। শুধু তারিক বরকতউল্লাহ ওই কমিটির প্রতিবেদনে এককভাবে ভেটো দেন।

পরবর্তী সময়ে পলকের সরাসরি হস্তক্ষেপে ওরাকলের সঙ্গে বিডিসিসিএল ‘ডেডিকেটেড রিজিওনাল ক্লাউড’ স্থাপনে চুক্তিবদ্ধ হয়। এই ক্লাউড থেকে তিন বছরের সেবা নিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরে যথাক্রমে ৩০, ৬০ এবং ৯০ লাখ ডলার পরিশোধ করার কথা বিডিসিসিএলের। বিদ্যুৎ খাতের কুইক রেন্টালের সঙ্গে তুলনা করলে ওরাকলের সঙ্গে বিডিসিসিএলের এই অসম চুক্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

অনুসন্ধান বলছে, কোনোরকম প্রতিযোগিতামূলক অথবা আন্তর্জাতিক টেন্ডার ছাড়াই ‘ডিরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথড (ডিপিএম)’-এ ওরাকলকে কাজটি দিয়েছেন পলক। তবে ৪৯ কোটি টাকা মূল্যের বেশি দরপত্র একনেকে পাস করিয়ে নেওয়ার নিয়মও ওরাকলের ক্ষেত্রে কৌশলে এড়িয়েছেন পলক। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিডিসিসিএলের সরাসরি ক্রয়ক্ষমতার সুযোগ নিয়েছেন তিনি। এজন্যই এনডিসির বদলে বিডিসিসিএলের মাধ্যমে ক্লাউড স্থাপনের পক্ষপাতী ছিলেন তারিক বরকতউল্লাহ। তবুও বিডিসিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের অন্তত তিন সদস্য এই প্রস্তাবের মৌখিক বিরোধিতা করেছিলেন বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।

একটি সূত্রের ভাষ্য, ক্লাউড হয়তো প্রয়োজন ছিল; কিন্তু এমন সেবা দেয় সেরকম আরও প্রতিষ্ঠান ছিল। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা যেত।

সেই সময়কার পর্ষদের আরেক সদস্য বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলক বোর্ডসভায় উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করছিলেন যে, ওরাকলের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে দেরি হচ্ছিল কেন। কয়েকজন মৌখিকভাবে ওরাকল ক্লাউডের বিরোধিতা করি। সবশেষে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ওরাকলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করে বিডিসিসিএল। চুক্তি স্বাক্ষরকালে অন্যদের মধ্যে তারিক বরকতউল্লাহও ছিলেন। অবশ্য গত মে মাসে অর্থাৎ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় আড়াই বছর পর এই ক্লাউড চালু করে ওরাকল। গত ৬ মে সালমান এফ রহমানের উপস্থিতিতে পাঁচতারকা হোটেলে বেশ জাঁকজমকভাবে এর উদ্বোধন হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর আর কার্যক্রম শুরুর মাঝের সময় নিয়ে পাওয়া যায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। চুক্তির পর থেকেই ওরাকলের সিঙ্গাপুর ক্লাউডে উপাত্ত সংরক্ষণ শুরু করে বিডিসিসিএল। এক বছরের সেবার জন্য ওরাকলকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এই লেনদেনের ৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার (ডলারের দাম ১১৫ টাকা হিসেবে) একটি অর্ডার ডকুমেন্ট রয়েছে কালবেলার কাছে।

সেখানে দেখা যায়, ভিন্ন কোনো টেন্ডার বা চুক্তি না করে, পূর্বের চুক্তি মূলেই ওরাকল সিঙ্গাপুর থেকে সেবা নেওয়ার নামে ওই অর্থ পরিশোধ করা হয়। উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, পলক যখন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল ডাটা সিঙ্গাপুরে রাখছিলেন, তখনই ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২২’ নামে একটি আইনের খসড়াও করছিল তার অধীন আইসিটি বিভাগ। সেই খসড়ার অন্যতম বিষয় ছিল বাংলাদেশের ডিজিটাল উপাত্ত বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যেই সংরক্ষণ করা। অর্থাৎ একদিকে তথ্য স্থানীয়করণের আইন তৈরি আর অন্যদিকে নিজেই তথ্য দেশের বাইরে পাঠাচ্ছিলেন পলক।

এসব কর্মকাণ্ডের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ওরাকলের বাংলাদেশে ক্লাউড স্থাপন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। সিঙ্গাপুর থেকে উপাত্ত দেশে ফিরিয়ে আনলেই উপাত্ত সুরক্ষা আইন পাস করতেন তিনি। তবে ওরাকলের যন্ত্রাংশ আমদানিবিষয়ক জটিলতায় বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়।

এই যন্ত্র আমদানিতেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন পলক। ওরাকলের ক্লাউড বসবে গাজীপুরের হাইটেক পার্কে অবস্থিত বিডিসিসিএল ডাটা সেন্টারে। নিয়ম অনুযায়ী, হাইটেক পার্কের বিনিয়োগকারীরা বিনাশুল্কে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারে। পলকের পরামর্শে ওরাকল কাস্টমসকে ফাঁকি দিয়ে বিনাশুল্কে ক্লাউড যন্ত্রাংশ খালাসের চেষ্টা করে। তবে বিষয়টি ধরা পড়ায় কাস্টমস যন্ত্রাংশগুলোর খালাস আটকে দেয়। এ ঘটনার কারণেই রাজস্ব বোর্ডের তখনকার চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় পলকের।

পরে মোটা অঙ্কের রাজস্ব দিয়েই যন্ত্রাংশ খালাস করে ওরাকল। এজন্য পলক নিজের কমিশনে কিছুটা ছাড় দিয়েছিলেন বলেও বিডিসিসিএলে প্রচলিত রয়েছে। আর পলকের পক্ষে এসব লেনদেন দেখভাল করতেন তার এক সময়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইকরামুল হক। বিশ্বস্ততার পুরস্কারস্বরূপ, ১৬ হাজার টাকার বেতন স্কেলের ইকরামকে সরাসরি ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলে বিডিসিসিএলের ব্যবস্থাপক (লজিস্টিকস) পদে বসান পলক। উদ্দেশ্য ছিল আস্থাভাজন ইকরামের মাধ্যমে বিডিসিসিএল আর ওরাকলের মধ্যকার লেনদেন থেকে শেয়ার বুঝে নিতে নিজের লোককে বসানো।

এ বিষয়ে ওরাকলের বক্তব্য জানতে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রুবাবা দৌলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি জনসংযোগ শাখার সংশ্লিষ্টদের মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা পাঠাবেন বললেও পরে আর সাড়া দেননি।

Header Ad

মিস গ্রান্ড প্রতিযোগিতায় মুকুট জয়ে ভোট চাইলেন জেসিয়া

মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে বিনোদন জগতে পা রাখেন মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম। তারপর নানা ঘটনায় অনেকবারই আলোচনায় এসেছেন তিনি। প্রেম থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবন কোনো কিছুই বাদ যায়নি। এরমধ্যে অভিনয় মডেলিং ও করেছেন সমান তালে। এবার সেই জেসিয়া লড়ছেন নতুন একটি প্রতিযোগিতায়।

মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য মিস গ্রান্ড ২০২৪ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে লড়ছেন তিনি। এরইমধ্যে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগীদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন নানা আয়োজনে।

সেখান থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে ভোট চাইলেন সবার কাছে। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী পেজে ফলো বাটনে ক্লিক করে তারপর জেসিয়ার ছবিতে লাইক বা শেয়ার করতে হবে। লাইক করলে ১০ পয়েন্ট ও শেয়ার করলে ৫ পয়েন্ট যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন জেসিয়া

তিনি সবার কাছে ভোট চেয়ে বলেন, ‘আমি সবার কাছে ভোট চাইছি। সবার সহযোগিতায় আমি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।

জানা গেছে আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফিনালে। সেখান থেকে নির্বাচিত হবে সেরা ১০। উল্লেখ্য এই প্রতিযোগিতা চারটি বিষয় লক্ষ রাখা হয় বলে ওয়েব সাইট সুত্রে জানা গেছে। তারা মূলত ফোর বি কে গুরুত্ব দেন। এই ফোর বি হলো, বডি, বিউটি, ব্রেন ও বিজসেন।

Header Ad

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে গণহত্যার বিচার

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হবে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য বিচারপতিদের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা আগামীকাল প্রদান করা হবে। এর আগে, ১৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এবং সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী নিয়োগ পান।

এছাড়াও, গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রসিকিউশন টিমে আরও পাঁচজন প্রসিকিউটর আছেন: মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যা ২০১০ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত হয়, এবার গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করবে। ইতোমধ্যে, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পেয়েছে, যেখানে অভিযুক্ত হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আরও জানান, বিচারকরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ট্রাইব্যুনাল কার্যকর হবে এবং তখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা এবং তথ্য জব্দ করার জন্য আদেশ চাইবে প্রসিকিউশন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং ২০১২ সালে গঠিত দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালে একীভূত করা হয়।

Header Ad

হাথুরুসিংহে বরখাস্ত, নতুন হেড কোচ ফিল সিমন্স

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে (বামে) এবং ফিল সিমন্স। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ হলো চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অধ্যায়। তার সাথে বিসিবির চুক্তি ছিল দুই বছরের। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেখানেই তিনি হাথুরুসিংহেকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রথম বারের মতো বাংলাদেশে চান্দিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় বারও শেষ হলো মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই।

তিনি আরও বলেন, ‘বরখাস্ত করার আগে আমরা তাঁকে নিয়ম মেনে শোকজ নোটিশ করেছি। ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। এরপর আমরা বরখাস্ত করব। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত কোচ ফিল সিমন্স।’

মূলত অসদাচরণের জন্যই হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। আগের দফায় হাথুরুসিংহে নিজেই বাংলাদেশের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এই দফায় দুই বছরের চুক্তির মাস পাঁচেক বাকি থাকতেই চাকরি হারালেন ৫৬ বছর বয়সী কোচ।

২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন শ্রীলঙ্কার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ৩৫ হাজার ডলারে তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। যে চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ পূরণ না করে এবারও বরখাস্ত করা হলো হাথুরুসিংহেকে।

উল্লেখ্য, হাথুরু এসব অপরাধ হয়ত ঢাকা পড়ে যেতো, যদি ভারত সিরিজে ভালো কিছু করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে লড়াইটাও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এমনকি যেভাবে হেরেছে, তাও ছিল দৃষ্টিকটু। এসব কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সামনে রেখেই হাথুরুকে অব্যাহতি দিয়েছে বিসিবি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মিস গ্রান্ড প্রতিযোগিতায় মুকুট জয়ে ভোট চাইলেন জেসিয়া
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে গণহত্যার বিচার
হাথুরুসিংহে বরখাস্ত, নতুন হেড কোচ ফিল সিমন্স
সিন্ডিকেট ভাঙতে কঠোর পদক্ষেপ: করপোরেট ব্যবসায়ীদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি
৮ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল খুলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
পুত্র সন্তানের বাবা হলেন পেসার শরিফুল
ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করলো সরকার, বুধবার থেকে কার্যকর
দোষী সাব্যস্ত হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা হবে: আইন উপদেষ্টা
এইচএসসিতে শিক্ষাবোর্ড সেরা রাজশাহী জেলা, দ্বিতীয় বগুড়া
চলতি বছরেই আমার দেশ পত্রিকা চালু করা হবে: মাহমুদুর রহমান
১১ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে চীনের প্রধানমন্ত্রী
যে কারণে নায়িকা হতে চান না মাহি
এইচএসসিতে ৬৫ কলেজে পাস করেনি কেউ
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ভিডিও ও স্থিরচিত্র জমাদানের আহ্বান তথ্য অধিদপ্তরের
আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস
এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এবারও এগিয়ে মেয়েরা
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরে গেলেন সেনাপ্রধান
এইচএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান গ্রেপ্তার