শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

দুদকে এখনো বহাল ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেষণে আসা অর্ধশত কর্মকর্তা  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একের পর এক ব্যক্তি স্বার্থে নিয়োগ পাচ্ছেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডাররা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের (স্বার্থ রক্ষায়) প্রেষণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা থেকে আসা অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। তাদের মধ্যে আলোচিত একটি দুর্নীতির মামলায় আসামি হয়েও উপসচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা পরিচালক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়েছেন। একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আমলে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের বহাল রাখা এবং একটি নির্দিষ্ট ক্যাডার থেকে ধারাবাহিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হলে দুদক ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যাবে। পাশাপাশি, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশ বাস্তবায়ন করাও অসম্ভব হয়ে পড়বে।

দুদকের বিধিতে বলা আছে, প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনধিক ৩ বছর থাকতে পারবেন। ৩ বছরের অধিক হলে তারা নিজ সংস্থায় ফেরত যেতে বাধ্য। অথচ অনেক কর্মকর্তা প্রেষণে যোগদানের পর পদোন্নতি পান। আবার বছরের পর বছর দুদকের শীর্ষ পদগুলোয় বহালও থাকেন। এমনকি তাদের কেউ কেউ আট বছর ধরে দুদকে কর্মরত আছেন-এমন নজিরও আছে, যা দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি নং ০৮(২) (ক)-এর সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুদক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আগে এ ধরনের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে স্থগিত রাখা উচিত। সুপারিশ বাস্তবায়নের আগে এ ধরনের প্রেষণে প্রেরণ করা শুরু হলে তা দুদকের জন্য বিব্রতকর হবে। তাহলে ধরে নিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে এমন কিছু মহল আছে, যারা চাচ্ছে সংস্কারের আগে দুদককে আরও অকার্যকর করে ফেলা, যাতে পরবর্তীকালে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা না যায়। এটিকে ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো দুর্নীতি মামলার আসামিকে মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে পাঠাতে চাইলেও কমিশনের উচিত হবে তাকে প্রত্যাখ্যান করা। সে ক্ষমতাও কমিশনের আছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সরকারি অফিসে থাকা পতিত সরকারের দোসর হিসাবে চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত, অনেককে ওএসডি করা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেষণে আসা ‘ভাড়াটে’ কর্মকর্তাদের বেশির ভাগ এখনো বহাল তবিয়তে। এসব কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে পতিত সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আমলাদের দুর্নীতির অভিযোগের ফাইল বছরের পর বছর চাপা দিয়ে রেখেছেন। আবার অনেকের দুর্নীতির অভিযোগের ফাইল যাচাই-বাছাই পর্যায়েই বাতিল করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর নতুন কমিশন দায়িত্ব নিলেও পতিত সরকারের আমলে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের সরানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার দুদককে স্বাধীন কার্যকর সংস্থা হিসাবে গড়ে তুলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বললেও বাস্তবে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। রহস্যজনকভাবে আগের মতোই দুদকের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ পদগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই। ৬ জানুয়ারি মহাপরিচালক (প্রশাসন) পদে আবু হেনা মোর্শেদ জামান, ১১ জানুয়ারি ঈশিতা রনিকে পরিচালক পদে (জাবাক সদস্য), একেএম সাইফুল আলমকে চেয়ারম্যানের পিএস, ৫ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ ইকবাল বাহারকে পরিচালক (প্রসিকিউশন) হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সবশেষ গত রোববার মো. আমিন আল পারভেজ ও মো. কামরুজ্জামানকে প্রেষণে দুদকে বদলি করা হয়। তারা সবাই প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

দুদক থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ (জনসংযোগ), মো. আব্দুল আওয়াল ও উত্তম কুমার মণ্ডল তিন বছরের জন্য প্রেষণে দুদকে এসে সাত বছরের বেশি সময় কর্মরত আছেন। পরিচালক ফজলুল জাহেদ পাভেল আছেন ছয় বছর। উপপরিচালক সাবরিনা নার্গিস আট বছর, উপপরিচালক একেএম মাহবুবুর রহমান আছেন সাত বছর। প্রশাসন, পুলিশ ও জুডিশিয়ারি থেকে তিন বছরের জন্য তারা প্রেষণে বদলি হয়ে দুদকে আসেন।

প্রসঙ্গত, দুদক সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে ৩৬ নম্বর সুপারিশে বলা হয়েছে-মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপপরিচালক প্রতিটি স্তরে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পদের নিয়োগ প্রেষণে বদলির মাধ্যমে হতে পারে। তবে তদন্ত, প্রসিকিউশন বা বিচারের স্বার্থে বিচারকর্ম বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা এই হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। এই সুপারিশ বাস্তবায়নের আগেই একের পর এক প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রেষণে দুদকে পাঠানো হচ্ছে।

জানতে চাইলে দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (আইন ও প্রসিকিউশন) মইদুল ইসলাম বলেন, ‘পট পরিবর্তন হলেও দুদকে কার্যত তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মরতরা চাকরিজীবনে মামলা তদন্তের অভিজ্ঞতা অর্জন না করলেও তারা প্রেষণে দুদকে বছরের পর বছর চাকরি করছেন। বিধি অনুযায়ী প্রেষণ তিন বছরের জন্য হলেও নিয়ম ও বিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনেকেই ৭/৮ বছরও থাকছেন। এক্ষেত্রে দুদক তাদের সরিয়ে নিতে বলছে না। আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও তাদের বদলি করছে না। এমনও হতে পারে-যারা আছেন, তারা তদবির করেই আছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় যাদের দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তারা তা দেখছে না। প্রেষণের মেয়াদ তিন বছরের আইন করাই হয়েছে যাতে এখানে কোনো গোষ্ঠী গড়ে উঠতে না পারে।’ প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন দুদকে আসতে এত আগ্রহী কেন-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের লোকজন ব্যাপকভাবে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তাদের রক্ষার জন্যই প্রশাসনের লোকজন ধারাবাহিকভাবে দুদকে প্রেষণে পাঠানো হয়। এমনকি যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাকেও দুদকে প্রেষণে পাঠানোর নজির সৃষ্টি করা হয়েছে। এভাবে চললে দুর্নীতি দমনের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা কখনো হবে না।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য-দুদক আইনের ৩ (২) ধারায় বলা আছে, ‘এই কমিশন একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন হইবে।’ অথচ ওই আইন ও বিধি ভঙ্গ করে প্রশাসন ক্যাডারের এতসংখ্যক কর্মকর্তা প্রেষণে কাজ করলে দুদক নামের প্রতিষ্ঠানটির স্বাতন্ত্র্য থাকে না।

জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে পিবিআই ভবন নির্মাণ প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির মামলার (এলএ কেস) আসামি হন আমিন আল পারভেজ। মামলাটির তদন্ত হয় দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা)-২-এ। সংস্থার একজন উপসহকারী পরিচালক মামলাটির (নং-১, তারিখ : ১০.০৩/২০২০ইং ও স্পেশাল মামলা নং ০৬/২০২০ইং) তদন্ত করেন। তদন্তে পিবিআই কার্যালয় নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পের ২২ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০২০ সালে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রায় পাঁচ বছর চলে গেলেও কোনো ধরনের ‘কোয়ারিজ’ ছাড়া চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ সংক্রান্ত ফাইলটি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এতকিছুর পরও পারভেজকে দুদকের পরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ ও জালজালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যেখানে অন্যান্য আসামির সঙ্গে আমিন আল পারভেজ এখন কারাগারে থাকার কথা, সেখানে তাকে করা হয়েছে দুদকের পরিচালক। নিজ ও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা আলোচিত এই মামলাটি ‘গায়েব’ করতে পারভেজ কৌশলে দুদকের পরিচালক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়েছেন।

জানতে চাইলে মো. আমিন আল পারভেজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো মামলা নেই। কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি হয়েছিল। আমি ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। কমিটি নিরপেক্ষভাবে কাজ করেনি মর্মে অভিযোগ এনে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে আমাকে আসামি করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কী, আমার অপরাধ কী, সে বিষয়ে দুদক কর্মকর্তা আমার কাছে কখনো কিছু জানতে চাননি। কোনো নোটিশও করেননি। আসামি করতে হলে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটা প্রমাণ তো তদন্ত কর্মকর্তাকে দিতে হবে। আবার ওই প্রতিবেদন দুদক গ্রহণও করেনি। তাহলে আমাকে দুর্নীতি মামলার আসামি বলা কতটা সমীচীন।

Header Ad
Header Ad

প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান

ছবি: সংগৃহীত

‘প্রত্যেকটা জেলায় শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন হাসপাতাল আছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সিনেমা হল থাকা দরকার। সুস্থ বিনোদন থাকলে মানুষ নেশা, হানাহানি ও মব জাস্টিস থেকে দূরে থাকবে। আমাদের যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান দরকার তেমনি বিনোদনের জন্য সিনেমা হল দরকার।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘উৎসব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী শেষে কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসান।

‘উৎসব’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। শুটিংয়ের বহুদিন পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীর চরিত্রের মধ্যে থেকে এখনো বের হতে পারেননি বলেন জানালেন এই অভিনেতা।

 

ছবি: সংগৃহীত

জাহিদ হাসান বলেন, ‘এখনো আমি এই চরিত্রটার মধ্যে ডুবে আছি। সিনেমার আমার চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে জাহাঙ্গীর লুকিয়ে আছে। কারণ, আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে হিরোইজম আছে, ভিলেন আছে। আছে উপলব্ধি করার ক্ষমতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের সেই রিয়েলাইজেশনের সময়টা আছে। কখন মৃত্যু হয় আমরা জানি না। এই রিয়েলাইজ যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আজ আমরা যারা জাহাঙ্গীরের মত আছি, কাল আমরা ভালো হয়ে যাবো।’

ঈদের সিনেমা মানেই এখন যেন অ্যাকশন অথবা থ্রিলার। গত কয়েক বছরে ঈদে বাজিমাত করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে এমনটাই মনে হতে পারে। সেসব থেকে বেরিয়ে হাস্যরস পরিবার এবং সম্পর্কের গল্পে এবার ঈদে বাজিমাত করেছে ‘উৎসব’। এই সফলতার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করলেন প্রত্যেক শিল্পীর সততাকে।

জাহিদ হাসানের কথায়, ‘প্রডাক্টশন বয় থেকে শুরু করে এই সিনেমার সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত ছিলাম তারা প্রত্যেকেই অনেক সৎ ছিলাম। অভিনয় নিয়ে কোনো অসৎ অবস্থার মধ্যে আমরা যাইনি। এটাই মনে হয় আমাদের সফলতার বড় বিষয়। এই সিনেমার প্রত্যেকটি দৃশ্যের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে।’

করোনা মহামারির পর অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়নি জাহিদ হাসানকে। নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে খুব একটা কথা হয়নি তার। কারোনার পর ‘উৎসব’-ই তার প্রথম সিনেমা। তার ভাষ্য, ‘করোনার পর খুব একটা অভিনয় করা হয়নি। আমাকে অভিনয়ে নেওয়া বা না নেওয়াটা নির্মাতাদের দায়িত্ব। বলতে গেলে গত কয়েকবছর সেভাবে সুযোগও আসেনি। ‘উৎসব’ সিনেমার মধ্যে সেই সুযোগটা এলো। অভিনয় করলাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝেছি অন্তত ফেল করিনি।’

 

ছবি: সংগৃহীত

সিনেমার হলের সংখ্যা কম হওয়ায় দেশের সিনেমা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন জাহিদ হাসান। সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।

জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। আমার বোন ফোন করে বললেন এখানে তো সিনেমা হলে নেই। তাই আমরা সিনেমা দেখতে পারছি না। এই কথা শুনে কষ্ট পেয়েছি। এটা সত্য সিরাজগঞ্জের মত দেশের অনেক বড় শহরে সিনেমা হল নেই। জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা আছে তাদের সবাইকে অনুরোধ করবো তারা যেন প্রত্যেকটি জেলায় সিনেমা হলের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে তার বাস্তবায়ন করেন।’

তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমায়ি জাহিদ হাসান ছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মান।

 

Header Ad
Header Ad

দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি

ছবি: সংগৃহীত

উদ্ভূত যুদ্ধ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ইরানে বসবাসরত প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের প্রথম দলটি (২৮ জন) সড়কপথে ইরান থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা করে দেশটির সীমান্তে পৌঁছেছে। পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতায় তারা সীমান্ত থেকে শিগগিরই করাচি পৌঁছাবেন। সেখান থেকে বিমানে করে বাংলাদেশ ফিরে আসবেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, ইরানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক অন্য বাংলাদেশিদের ফেরত আসার বিষয়ে তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দূতাবাস ইরানে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

উল্লেখ্য, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির শুরুতেই দূতাবাসের সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিকদের যোগাযোগের সুবিধার্থে দূতাবাস দুটি হটলাইন নম্বর চালু করে। হটলাইন নাম্বারগুলোর হোয়াটসঅ্যাপে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরানের হটলাইন নম্বর: +৯৮৯৯০৮৫৭৭৭৩৬৮, +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঢাকাস্থ কার্যালয়ের হটলাইন নম্বর: +৮৮০১৭১২০১২৮৪৭

Header Ad
Header Ad

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

যদিও সাক্ষাৎটি ‘সৌজন্য’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এর আগে, ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ওই বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, যদি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, তাহলে ২০২৬ সালের পবিত্র রমজানের আগের সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সে লক্ষ্যে বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এদিকে, আগাম নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন চায় কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষাপটেই সিইসির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকে নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য আলোচনার সূচনা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।

যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবুও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগাম ভোটের সম্ভাবনা ঘিরে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!