সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কারাগারে বিএনপির হামলাকারী ছাড়া কোন রাজবন্দি নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

কারাগারে বিএনপির হামলাকারী ছাড়া কোন রাজবন্দি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল । তিনি বলেন, বিএনপি বলছে হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলবো রাজবন্দি বলতে কারাগারে কেউ নেই। আমাদের কাছে বন্দি যারা আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট।

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যেটা পুলিশ করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ ছয়টি সিট পেয়েছে।

তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ইংল্যান্ডে গেছেন আত্মগোপন করেছেন তার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দেখলাম দলটির সেক্রেটারি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন। ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন।

তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয় তার দলীয় নেতাকর্মীদেরও বুঝি ভালো-মন্দ চান না। দিন দিন এই দলটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনারা দেখেন যেখানে যাবেন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সংবিধান অনুযায়ী যেভাবে বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করেছে দাবি করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নির্বাচনকালে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করেছে। গত নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা এই নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোনো ধরনের সাপোর্ট কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিওনি। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যে দলটির কথা বললাম এই দলটি নানান দেশে নানান সময়ে নানান ধরনের অপপ্রচার করছে। গত ২৮ অক্টোবর নির্বাচনের আগে তারা কী একটা সহিংস অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। আমরা কোথাও দেখিনি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই, প্রধান বিচারপতি বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে ভাঙচুর করার দৃশ্য, সাংবাদিকদের নির্যাতন, মারধরে দৃশ্য, জাজেস কম্পাউন্ডে ঢুকে অগ্নিসংযোগ করান দৃশ্য আমরা কখনো দেখি নাই। আসলে এসব করা হয়েছে মূলত তারা নিশ্চিত হয়েছে যে নির্বাচনে এলে তাদের পরাজয় হবে, জয়ী হতে পারবে না, সেজন্য তারা এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এখন তারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের কোনো ধরনের সত্যতা নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও দাবি করে বলেন, এখানে অন্যায়ভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তারা যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তবে তারা নির্বাচনের পরে মনগড়া তথ্য প্রচার করে বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। অথচ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি সাংবাদিকরা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচনের সুষ্ঠু হয়েছে। আমেরিকারও দুই একটি সংগঠন বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

তবে কে কী বললো সেটা আমাদের বিবেচ্য না। আমাদের দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, হামলা-মামলা করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। নির্বাচন সংক্রান্ত ও গণগ্রেফতার, আটক, নির্যাতন সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য আপনারা প্রত্যাখ্যান করছেন কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো হামলা মামলা, আমাদের পুলিশ বাহিনী, আমাদের পলিটিক্যাল বাহিনী করেনি। তারাই (বিএনপি) করেছে। তারা করে তারাই যদি অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা তরে তাহলে আমরা এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মনে করি এগুলো সত্যের অপলাপ। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আরেকটি ষড়যন্ত্রের একটা নতুন ক্ষেত্র তৈরির প্রচেষ্টা নিচ্ছেন।

আপনি বলছেন একটি দল অর্থাৎ বিএনপি অপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কীসের ওপর, কীসের ভিত্তিতে, কীসের বিনিময়ে স্টেটমেন্টগুলো দিচ্ছে বলে আপনি মনে করেন? উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ক্রমাগতভাবে বিএনপি মিথ্যে তথ্য প্রচার বা দিয়ে যাচ্ছে। তারা কে কীভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে পারি, তারা যেসব বলছেন সেসব দেশে ঘটেনি। দু-একটি দেশ বাদে সব দেশ সাধুবাদ ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তারা মনে করেন দেশে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে।

Header Ad

বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় অর্ধশতাধিক মার্কিন অধ্যাপক গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ পালিত হচ্ছে। ইসরাইলের অন্যতম মিত্র আমেরিকায়ও চলছে বিক্ষোভ। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করেছে। ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে ফেলার মতো ঘটনাও। যাতে সমর্থন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের অধ্যাপকরাও।

চলমান এ আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অন্তত ৫০ জন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসব কর্মকর্তাদের অনেকে পুলিশের কাছে মারধর ও হেনস্তার শিকারও হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় এই দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের জেরে ধরপাকড় ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। এ সময় অন্তত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করতে গেলে এগিয়ে আসেন আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারলিন ফলিন। তবে পুলিশ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরা হয়। এরপর তাকে আটকের পর পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া অভিযোগ করা হয়।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিভ তামারি নামের এক অধ্যাপককেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিক্ষোভের ভিডিও ধারণ করছিলেন ওই অধ্যাপক। তাকে অটকের সময় শারীরিক হেনস্তাও করা হয়। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশের মারধরে ওই অধ্যাপকের পাজর ও ডান হাত ভেঙে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপকদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস জানিয়েছেম অধ্যাপকদের হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

সিএনএন জানিয়েছে, গত ১৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ আন্দোলন চলছে। যা ইতোমধ্যে অন্তত ৫০ ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে দুই হাজার ৪০০ এর বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

অধ্যাপকদের দাবি, কিছু ক্ষেত্রে তারা তাদের নিজস্ব বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতিবাদে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়া অন্যরা বলেন যে তারা তাদের ছাত্রদের সমর্থন দেখানোর জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন।

প্রেম করলে শরীর ও মন ভালো থাকে: মন্দিরা

অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

ঈদে মুক্তি পাওয়া গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। পর্দায় তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজ। এই সিনেমার পর থেকেই দুজনকে ঘিরে প্রেমের গুঞ্জন চলছে। যদিও এই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মন্দিরা।

তবে এবার সেই গুঞ্জন না থামতে প্রেম করছেন বলে অকপটে স্বীকার করলেন এই অভিনেত্রী। ‘কাজলরেখা’ সিনেমার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়েও বেশ আলোচনায় মন্দিরা।

অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রেমের বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। অভিনেত্রী জানান, প্রেম করছেন তিনি। তবে কার সঙ্গে প্রেম করছেন, সেটা সাংবাদিকেরা যেন খুঁজে বের করেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসে অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রেম তো করছি, কার সঙ্গে করছি, কীভাবে করছি— এটা সাংবাদিকদের দায়িত্ব খুঁজে বের করার। আপনারাই খুঁজে বের করুন।’

প্রেম প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘বাস্তব জীবনে প্রেম আছে, প্রেম ছাড়া তো একজন মানুষ থাকতে পারে না। আমার মনে হয়, প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি, প্রেম করা উচিত। প্রেম করলে মন ভালো থাকে, শরীর ভালো থাকে। এখন বিয়ে করার কোনো ইনটেনশন একদম নেই, পরিবার থেকেও এখন প্রেশার নেই। এখন কাজে মনযোগ দিতে চাই।’

এর আগে রাজ প্রসঙ্গে মন্দিরা জানিয়েছিলেন, তারা দুজন ভালো বন্ধু, বিভিন্ন সময় এ কথা বলেও থাকেন মন্দিরা।

তবে হঠাৎ করে তাদের দুজনের প্রেমের গুঞ্জনও নানাভাবে এসেছে। অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা খুবই ভালো বন্ধু। প্রেমটা হওয়ার সুযোগ নেই আসলে। বলতে পারি, সে আমার খুবই ভালো একজন বন্ধু হয়ে উঠেছে। শুটিংয়ের সময় সে আমার বন্ধু ছিল না। কারণ, তখন আমার সঙ্গে তার বেশি কথা হতো না, খুবই কম। আমাদের শুটিং হচ্ছিল ২০২২ সালে। এখন সে যে লাইফটা কাটাচ্ছে, তখন সে এই লাইফে ছিল না। তার তখন সন্তান হয়েছিল, সবকিছু মিলিয়ে সে তার মতো ছিল। তখন মাত্রই আমাদের প্রথম দেখা।’

অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী এবং অভিনেতা শরিফুল রাজ। ছবি: সংগৃহীত

উল্লেখ্য, আগামী ঈদে ‘নীলচক্র’ নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তির কথা রয়েছে মন্দিরার। সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি। পাশাপাশি এরই মধ্যে নতুন আরেকটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তিনি। তবে এই মুহূর্তে সিনেমা সম্পর্কে কিছু জানানো নিষেধ আছে বলেও জানান এই অভিনেত্রী।

এবার একীভূত হলো সোনালী ব্যাংক-বিডিবিএল

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় সবক’টি উদ্যোগই যেন ভেস্তে গেছে। ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে, ইউসিবি ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের এবং সিটি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের একীভূতকরণ হচ্ছে না। তবে এরমধ্যেই তড়িঘড়ি করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) একীভূতকরণের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

আর বিডিবিএল ব্যাংকের খেলাপি ৪৪ দশমিক ২২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুই ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্তারা এতে সই করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক বলছে, দুই ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হচ্ছে। তবে বিডিবিএলের ভাষ্য, এখন না গেলে জোর করে একীভূত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা যায়, সোনালী ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের খেলাপি ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সময়ে উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাখানেক দেরি করে সেখানে আসে বিডিবিএলের প্রতিনিধি দল। যদিও অনুষ্ঠানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাউকে ডাকা হয়নি।

এই সমঝোতা স্বাক্ষরের পর কয়েক ধাপে পুরোপুরি সোনালী ব্যাংকে মিশে যেতে বিডিবিএলের সময় লাগবে অন্তত দুই বছর। তবে সমঝোতার পর নিজেদের ইচ্ছায় একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরুর দাবি করেছে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, অডিট ফার্ম নিয়োগ দেয়া হবে। এই অডিট ফার্ম দুটি ব্যাংকের সম্পদ আলাদাভাবে মূল্যায়ন করবে। এটার জন্য অন্তত ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। এরপর আরও কিছু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া রয়েছে, সেগুলো পূর্ণ হলেই দুটি ব্যাংক পুরোপুরি একীভূত হবে।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিক বলেন, আমাদের দুই ব্যাংকের যে অভিজ্ঞতা, এই দুটো একত্রিত করবো। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য বড় একটা অর্জন হিসেবে ধরা দেবে। অনেক বিচার-বিবেচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।

অন্যদিকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস জানান, শুধু খেলাপি ঋণ ছাড়া অন্যান্য আর্থিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সরকারের ইচ্ছায় এক হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। সমঝোতা চুক্তির বিষয়টি কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১২ তারিখে জানানো হয়। এখন আমরা যদি একীভূতকরণে না আসি তাহলে সামনের বছরগুলোয় বাধ্যতামূলক একীভূতকরণে যেতে হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় অর্ধশতাধিক মার্কিন অধ্যাপক গ্রেপ্তার
প্রেম করলে শরীর ও মন ভালো থাকে: মন্দিরা
এবার একীভূত হলো সোনালী ব্যাংক-বিডিবিএল
১৩ শিক্ষকের বিদ্যালয়ে ১৪ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত মিসরের
নিজের রেকর্ড ভেঙে ২৯ বার এভারেস্ট জিতলেন রিতা শেরপা
বাড়ি ফেরার পথে গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক পুলিশ সদস্য
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে মা পেলেন জিপিএ ৪.৫৪, মেয়ে ২.৬৭
ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ায় নিহত ১৫
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা মঙ্গলবার দুপুরে
চূড়ান্ত রায়ের আগে ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, জবি শিক্ষার্থী তিথি সরকারের ৫ বছর কারাদণ্ড
শূন্য রানে আউট হয়েও বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাবর আজম
স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
আওয়ামী লীগ পালানোর দল নয়: ওবায়দুল কাদের
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হতে পারে ২৬ মে
রাজধানীতে ২৩ জন গ্রেপ্তার
এসএসসি পাস করেছে বিদ্যালয়ের একমাত্র পরীক্ষার্থী রুবিনা